বাঙ্গালী রক্তের রন্দ্রে রন্দ্রে মিশে আছে খেলাধূলা।গ্রাম বাংলায় জাতীয় খেলা কাবিডি হতে শুরু করে ফুটবল,দাড়িয়া বান্ধা,গোল্লাছুট,ঢাং গুডি প্রভূতি খেলা হতো খুব জাকজমক ভাবে।ফুটবল খেলা ছিলো পাড়ায় মহল্লায়।দেশে ফুটবলের ইতি কথাগুলো একটু আলোচনা করলে বুঝা যাবে স্বাধীনের পর পরই মুলত ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের জোক বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর তত্ত্বাবধানে ১৯৭২ সালে ঢাকায় ফুটবল লীগ শুরু হয় যা ১৯৭৩ সালে জাতীয় ফুটবল খেলা ও ১৯৭৪ সালে জাতীয় যুব ফুটবল খেলা শুরু হয় আর ১৯৮০ সাল হতে শুরু হয় ফেডারেশন কাপ। অপেশাধারি খেলা হতে বেরিয়ে আসে ২০০৭ সাল। প্রথম দিকে এ টুর্নামেন্টের নাম ছিল বি-লিগ,তবে ২০১০ সাল থেকে এ আসরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ লিগ।দেশের ফুটবল ক্লাবগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আবাহনী ক্রীড়া চক্র লিমিটেড, ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র।উইকিপিয়ার মতে সারা দেশে ফুটবল খেলার ক্লাবগুলোর সংখ্যা প্রায় ৪১০০ টি তবুও বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার ভাগ্য বা যোগ্যতা আমাদের হয়নি।আশি শতকের শেষ দিকে এ দেশে আবহানী ও মোহামেডান তুমুল মর্যাদাপূর্ণ লড়াই খেলা হত এ দু’দলের জনপ্রিয় ফুটবলার সালাউদ্দিন,মুন্না,এ্যামিলি,কায়সার,সাব্বির,জনি,মানিক,পনির,আসলাম মুসলেম আরো অনেক জনপ্রিয় ফুটবলারের নাম ছিলো ফুটবল প্রেমীদের মুখে মুখে।সেই থেকে যদিও ফুটবলে বিশ্বে তেমন কোন অবস্থানে নেই কিন্তু বিশ্ব কাপ ফুটবল খেলা নিয়ে আগ্রহ আর উত্তেজনারও শেষ নেই।যেমনটি উত্তেজনা ছিলো আবাহনী বনাম মোহামেডান তেমনি বিশ্ব কাপে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল।
এ খেলাটি প্রথম কোন দেশে কখন প্রথম চালু হয় সে সম্বন্ধে ভিন্ন জনে ভিন্ন ভিন্ন ইতিহাস বলে কেউ বলেন চীন,কেউ বা গ্রিস,কেউ রোম,কেউ বা ইংল্যান্ডকে ফুটবল খেলার আবিষ্কারক মনে করে থাকেন।ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে যার কারনে ১৮৪৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রথম ফুটবলের জন্য আইন-কানুন প্রণয়ন করেন।পরবর্তীতে এর এর আরো পরিবর্তন,পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে ফুটবলের জন্য একটি পরিপূর্ণ নীতিমালা তৈরি হয়।ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পৃথিবীতে ফুটবলের জন প্রিয়তা বাড়তে থাকলে ১৯০৪ সালের ২১ মে প্যারিসে ইউরোপের ৭টি দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) গঠিত করা হয়।১৯৩০ সালে আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ ফুটবল যা উরুগুয়ে প্রথম বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে।
আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল। (y)
এ দেশে বলা যায় আর্জেন্টিনার সমর্থকই বেশী কেননা এ দলে ছিলো ম্যারাদোনা যা বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসকে চমকে দেয়া এক জনপ্রিয় খেলোয়ার।তার খেলার জীবনে মারাদোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফি এর ক্ষেত্র বিশ্ব রেকর্ড করেন।প্রথম বার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয় বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।তার পেশাদার ক্যারিয়ারে সে কখনো আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স,কখনো বোকা জুনিয়র্স,কখনো বা বার্সেলোনা,নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন।ক্লাব পর্যায়ে তিনি তার নাপোলিতে কাটানো সময়ের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন।আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে জনপ্রিয় এই খেলোয়ার ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন।তাদের জার্সির ডিজাইন ও রং বলে দেয় তারা পৃথিবীর বিশাল আকাশে শুভ্রতায় বিলিয়ে দেয় আনন্দ উল্লাস।আর এখনকার চমক মেসি যার খেলা দেখতে রাতকে রাত পার করে দেয়া যায়।আরো আছেন দি মারিয়া,জিওবানী লো সেলসো,মার্কোস আকুনা,নিকোলাস ওটামেন্ডি,মার্কোস রোহ,ক্রিষ্টিয়ানাস পাবোন,এনজো পেরোজ,দি মারিয়া প্রমুখ।মুলত সেই ম্যারাদোনার আমল হতে এ দেশে আর্জন্টিনার সমর্থক বাড়তে থাকে যা আজও বলবৎ আছে।বিশ্বকাপ ২০১৮ তে যারা অংশ গ্রহন করছেন তাদের খেলার রেটিংও সন্তোষজনক।আর্জেন্টিনা ১৯৩৮ হতে ১৯৫৪ সালে তিনটি বিশ্ব কাপ বিভিন্ন কারনে খেলেননি।
ব্রাজিলে আছেন যার নামটি শুনলেই ফুটবল বলতে পেলেকেই বুঝায়।হ্যা তিনিই ফুল বল জনক পেলে ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়।তাঁর পুরো নাম এদসোঁ আরাঁচ দু নাসিমেঁতু।ব্রাজিলের হয়ে সে ১৯৫৮,১৯৬২,১৯৬৬ও১৯৭০সালের বিশ্ব কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।বলা বাহুল্য তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলের সর্বো কালের সর্বোচ্চ গোল দাতা এবং তিন বার বিশ্বকাপ জয়ী এক মাত্র ফুটবলার।আছেন আরো জনপ্রিয় নেইমার,মার্সেল,রোনালদো,রোমিরিও,জিকো,বেবেতো,আদেমির,রিভালডো,তোস্তাউ প্রমুখ।২০১৮ ফুটবল বিশ্ব কাপে ব্রাজিল প্লেয়ারদের রেটিং বলা যায় এক কথায় চমৎকার।
১৯১৪ সালের বিশ্বকাপে মুলত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রথম মুখো মুখি হন । তখন হতে এখন পর্যন্ত দল এই দুইটি ৯৫টি খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন,যার মধ্যে রয়েছে প্রদর্শনী
খেলা, বিশ্বকাপের খেলা এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিযোগিতা।এখানে ৯৫টি খেলার মধ্যে ৩৬টিতে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা,৩৬টিতে জয় পেয়েছে ব্রাজিল এবং বাঁকি ২৪টি খেলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।মোট গোলের ১৫১টি করেছে আর্জেন্টিনা এবং ১৪৭টি করেছে ব্রাজিল।
যদি আমরা বিশ্বকাপ খেলার জয় পরাজয় হিসাব করলে তাতে দেখা যাবে ব্রাজিল ২টি খেলার জয় নিয়ে এগিয়ে আছেন,একটি খেলা ড্র হয়েছিলো এবং অন্যটি একটিতে আর্জেন্টিনার জয় ছিলো।
অন্যান্য খেলার দিকে তাকালে দেখা যাবে…বিশ্বের সবচেয়ে নজর কাড়া ফুটবল খেলা কোপা আমেরিকায় বেশি জয় পেয়েছেন আর্জেন্টিনা।তারা ১৫টি খেলায় জয় আনেন,৮টি খেলা ড্র করেন এবং কেবল ৯টিতে জিতেছিলো ব্রাজিল।এই দল দুইটির মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০টি প্রদর্শনী খেলা অণুষ্ঠিত হয়েছিলো।তার মধ্যে ১৯টিতে জিতেছিলো ব্রাজিল আর ১৯টিতে জিতেছিলো আর্জেন্টিনা আর ড্র হয়েছিলো ১৪টিতে।আর্জেন্টিনার সবচেয়ে খারাপ খেলেছেন ১৯৭০ এর দশকে।সে সময় তারা ১২টি খেলার মধ্যে মাত্র একটিতে জয় লাভ করেছিলো,৭টিতে পরাজিত হয়েছিলো এবং ৪টি খেলা ড্র হয়েছিলো।
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে আর্জেন্টিনা মোট চার বার ফিফার ফাইনালে উঠেছেন।এর মধ্যে ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্ব কাপ যেখানে আর্জন্টিনা উরুগুয়ের বিপক্ষে ৪-২ ব্যাবধানে হেরে যায়।১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে ৩-১ গোলে জয় লাভ করে প্রথম বিশ্বকাপ ঘরে তুলেন।এর পর ১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাদোনার নেতৃত্বে পশ্চিম জার্মানীর বিপক্ষে ৩-২ গোলে বিশ্বকাপ জিতে নেন।এরপর আর্জেন্টিনা ১৯৯০ সালের ফাইনালে উঠে জার্মানীর বিপক্ষে ১-০ গোলে পরাজিত হন।
ফিফা বিশ্ব কাপে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা এক নজরে ১৯৩০-২০১৪ বিশ্ব কাপঃ
(y) অংশগ্রহণ করেন ব্রাজিল: ২০ বার
১৯৩০,১৯৩৪,১৯৩৮,১৯৫০,১৯৫৪,১৯৫৮,১৯৬২,১৯৬৬,১৯৭০,১৯৭৪,১৯৭৮, ১৯৮২,১৯৮৬, ১৯৯০,১৯৯৪, ১৯৯৮,২০০২,২০০৬,২০১০,এবং ২০১৪ সাল।
(y) আর্জেন্টিনা: ১৬ বার অংশ গ্রহন করেন
১৯৩০,১৯৩৪,১৯৫৮,১৯৬২,১৯৬৬,১৯৭৪,১৯৭৮,১৯৮২,১৯৮৬,১৯৯০,১৯৯৪,১৯৯৮,২০০২,২০০৬,২০১০,এবং ২০১৪ সাল।
(y) বিশ্বকাপ জয় করেন:
ব্রাজিল : ৫ বার -১৯৫৮,১৯৬২,১৯৭০ ,১৯৯৪,২০০২
আর্জেন্টিনা : ২ বার -১৯৭৮,১৯৮৬ সাল
(y) রানার্স আপ ব্রাজিল : ২ বার ও আর্জেন্টিনা : ৩ বার
(y) তৃতীয় স্থান করেন-ব্রাজিল : ২ বার ও আর্জেন্টিনা : ০ বার।
(y) চতুর্থ স্থান করেন ঃ ব্রাজিল : ২ বার,ও আর্জেন্টিনা : ০ বার
(y) বিশ্ব কাপে ম্যাচ জয়ী পার্সেন্টঃ ব্রাজিল : ৬৯.১% এবং আর্জেন্টিনা : ৫২.৯%
(y) বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে গোল দেওয়ার গড় সংখ্যা।
ব্রাজিল : প্রায় ২.১৬% ও আর্জেন্টিনা :প্রায় ১.৭৬%
(y) বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে গোল খাওয়ার গড়।
ব্রাজিল : ০.৯১% ও আর্জেন্টিনা : ১.১৪%
(y) বিশ্ব কাপের প্রতি ম্যাচে গড়ে ফাউল করেছিলেন।
ব্রাজিল : ১৫ টি ও আর্জেন্টিনা : ১৭ টি
(y) দুই দলের বর্তমান এবং সর্বনিম্ন রেংকিং হল
ব্রাজিল : বর্তমান – ৬ সর্ব নিম্ন ২২ এবং আর্জেন্টিনা :বর্তমান -২,সর্বো নিম্ন – প্রায় ২৪
(y) বিশ্বকাপে হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড এর সংখ্যা:
ব্রাজিল : হলুদ কার্ড – ৯৬ টি,লাল কার্ড – ১১ টি
আর্জেন্টিনা : হলুদ কার্ড -১০৮ টি,লাল কার্ড – ১০ টি
(y) বিশ্বকাপের সব ম্যাচ,জয়-পরাজয ও গোল সংখ্যা
ব্রাজিল -ম্যাচ খেলেছেন: ১০৪, জয় পেয়েছেন : ৭০টি, পরাজয় : ১৭টিতে, ড্র করেন ১৭টি আর গোল সংখ্যা হল : ২২১,গোল খেয়েছে : ১০২টি।
আর্জেন্টিনা-ম্যাচ খেলেছেন : ৭৭টি , জয় পেয়েছেন : ৪২টি,পরাজিত হন : ২১টিতে্, ড্র করেন ১৪টি, গোল করেছিলেন : ১৩১টি,গোল খেয়েছিলেন: ৮৪টি।
(y) তাদের ম্যাচ জয়ী গড় রেকর্ড হলো -ব্রাজিল : ৬৩.৩৯% এবং আর্জেন্টিনা :৫৪.৪%
গোল করার গড়-ব্রাজিল :২.১৭%, এবং আর্জেন্টিনা :১.৮৯%
গোল খাওয়ার গড়-ব্রাজিল :০.৯৩% এবং আর্জেন্টিনা : ১.০৭%
(y) খেলার ম্যাচ সংখ্যা ছিলোঃ
ব্রাজিল : ৯৫১টিতে জয় পায় :৬০৫টিতে, আর পরাজয় হন :১৬০টিতে এবং ড্র করেন :১৮৬টিতে
আর্জেন্টিনা : ৯৭২টিতে জয় পায় ৫২৯টিতে,পরা জয়:২১৯টি, আর ড্র করেন : ২২৪টিতে
(y) খেলার সব ম্যাচের গোল সংখ্যা হলঃ
ব্রাজিল : ২০৬৮টি
আর্জেন্টিনা : ১৮৪২টি
(y) খেলার সব ম্যাচের গোল খাওয়ার সংখ্যা হলঃ
ব্রাজিল : ৮৮৩টি
আর্জেন্টিনা : ১০৩৮টি
(y) সবচেয়ে বেশী গোল দেওয়া খেলোয়াড়
ব্রাজিল : পেলে ৭৭ গোল, ৯২টি ম্যাচে
আর্জেন্টিনা : বাতিস্তুতা ৫৬টি গোল, ৭৮টি ম্যাচ।
(y) বিশ্ব কাপে জয়ের অবস্থান
ব্রাজিল : ৫ বার,আর্জেন্টিনা: ২ বার
(y) অলম্পিক গোল্ড
ব্রাজিল : ০,আর্জেন্টিনা: ২
(y) কোপা আমেরিকা
ব্রাজিল : ৮ বার,আর্জেন্টিনা: ১৪ বার
(y) কন ফেডারেশন কাপ
ব্রাজিল : ৪ বার,আর্জেন্টিনা: ১ বার
(y) ইউ-২০ বিশ্ব কাপ
ব্রাজিল : ৫ বার,আর্জেন্টিনা: ৬ বার
(y) ইউ-১৭ বিশ্ব কাপ
ব্রাজিল : ৩বার,আর্জেন্টিনা: ০
মোট :ব্রাজিল : ২৫,আর্জেন্টিনা : ২৫
(y) মাইনর এবং কোয়ালিফিকেশন টূর্ণামেন্ট টাইটেলে পান আমেরিকান গেইমে।
ব্রাজিল : ৪,আর্জেন্টিনা: ৬
(y) সাউথ আমেরিকান ইউ-২০ চ্যাম্পিয়ানশীপে
ব্রাজিল : ১্ আর্জেন্টিনা: ৪
(y) সাউথ আমেরিকান ইউ-১৭ চ্যাম্পিয়ানশীপে
ব্রাজিল : ১০ বার,আর্জেন্টিনা: ৩বার
(y) সাউথ আমেরিকান ইউ-১৫ চ্যাম্পিয়ানশীপে
ব্রাজিল :৩ বার,আর্জেন্টিনা: ০
(y) এ যাবৎ কালের বিশ্ব কাপে সর্বোচ্চ ১০জন সেরা গোল দাতারা হলেন…
রোনালদো ব্রাজিল ১৫, মিরোস্লাভ ক্লোসা জার্মানি ১৪, জার্ড মুলার জার্মানি ১৪,জাঁ ফন্টেইন ফ্রান্স ১৩,পেলে ব্রাজিল ১২,স্যান্ডর ককসিস হাঙ্গেরি ১১,ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান জার্মানি ১১,হেলমুট রান জার্মানি ১০,তিওফিলো কুবিলাস পেরু ১০,গ্যারি লিনেকার ইংল্যান্ড ১০,জর্জ লাটো পর্তুগাল ১০,এবং গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা আর্জেন্টিনা ১০।
বিশ্বকাপ ফুটবলের জানা-অজানা কিছু কথাঃ
খেলার দুনিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের চেয়ে বড় ঘটনা বা আনন্দ উল্লাস হয়তো আর কিছুইতেই হয় না,কারণ আর কোন এমন টুর্নামেন্টই পৃথিবীতে নেই যে সব প্রান্তের মানুষকে এমন পাগল করে তুলতে পারে না।একমাত্র ফুটবলই তা সম্ভব নতুবা বিশ্ব ফুটবল অংশগ্রহনের ধারে কাছেও বাংলাদেশ নেই তবুও এর আনন্দ যেন উপচে পড়ছে ছোট বড় সবার মনে।এবারে খেলছেন ৩২টি দেশ।
(y) ফুটবল খেলার জগতে এই প্রথম ইউরোপ এবং এশিয়া এই দুটি উপমহাদেশ ঘিরে বিশ্ব কাপ হচ্ছে এছাড়া এবারই প্রথম প্রতিটি দেশ অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলি খেলোয়াড় নামাতে পারবেন।
(y) কোয়ালিফাইং পর্ব বিহীন অনেকগুলো ইউরোপীয় দেশগুলোকে আমন্ত্রন জানিয়ে ছিলেন দক্ষিন আমেরিকার উরুগুয়ের রাজধানী মন্টিউভিডিওতে ফুটবলের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে।সে সময় মন্টিউভিডিতে জাহাজে আসতে দু’সপ্তাহ লাগত তাই অনেক দেশ রাজি হয়নি সে সময় এসেছিলো :বেলজিয়াম,রোমানিয়া,যুগোস্লাভিয়া আর ফ্রান্স।
(y) বিশ্বকাপ ফুটবল খেললে চাকুরী চলে যাবার ভয় ছিলো না রোমানিয়া দলটির।সে দেশের রাজা ক্যারল তখন নিয়োগদাতাদের সাথে সমঝোতা করে নিয়েছিলেন কেননা সে সময় বিশ্বকাপ খেলতে খেলার মাঠে পৌছতেই চলে যেত আসা যাওয়ায় ত্রিশ দিন এবং খেলা চলবে সতের দিন।এই দীর্ঘ সময়টা কর্মহীন ভাবে নিয়োগ কর্তার ছাড় দেয়াটা ছিলো চিন্তার বিষয়।দীর্ঘ এ সময়ে জাহাজেই খেলোয়াররা তাদের শরীর চর্চা করতেন।প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিলেন বিশ্বের নয়টি দেশ।
(y) কোটি কোটি ডলারের টুর্নামেন্ট ফুটবল…
গত ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফিফার আয় হয়েছিলো প্রায় ৪৮০ কোটি ডলার। ২১৪টি দেশে টিভিতে খেলা দেখানোর স্বত্ব থেকে আয় হয় ২৪০ কোটি ডলার আর স্পন্সরশীপ থেকে আসে ১৬০ কোটি ডলার।গত বিশ্বকাপে সব খরচের পর ফিফা নেট মুনাফা করেন ২৬০ কোটি ডলার।
(y) এ বছর বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণকারী প্রতিটি দেশ সব মিলিয়ে পাবেন কম পক্ষে ৯৫ লাখ ডলার করে।
(y) এবার ২০১৮ বিশ্বকাপে জয়ী দেশ পাবে ৩৮ মিলিয়ন ডলার এবং রানার্স আপ টিম পাবে ২৮ মিলিয়ন ডলার
(y) এই বিশ্ব কাপ ২০১৮ জন্য মোট ৩৬ জন রেফারি এবং ৬৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি নিয়োগ দিয়েছেন ফিফা।
(y) বিশ্ব কাপে বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড রয়েছে জার্মানির টমাস মুলারের।
(y) বিশ্ব কাপের ইতিহাসে কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সবচেয়ে বেশি বয়সের গোল দাতা হলেন বলিভিয়ার পাবলো এসকোবার।
(y) সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ জিতেছেন ইতালির গোল রক্ষক দিনো জফ। যা ১৯৮২ সালের স্পেন বিশ্ব কাপ জয়ের সময় জফের বয়স ছিল ৪০।
প্রথম বিশ্ব কাপের ট্রফিটির নাম ছিল “জুল রিমে কাপ”ফিফার সে সময়কার প্রেসিডেন্টের নামে।তা নির্মিত হয়ে ছিল ১০ সেন্টিমিটার উঁচু সোনার তৈরি পাখা-ছড়ানো পরীর মূর্তি।ট্রফিটি প্রথমবার চুরি হয় ইংল্যান্ডে ১৯৬৬ সালের মার্চ মাসে।লন্ডনে এক প্রদর্শনী থেকে এডওয়ার্ড ব্লেচলি নামে এক সাবেক সৈনিক এটি চুরি করেন।এক সময় পুলিশ তাকে ধরতে পারলেও ট্রফিটি পায় নি।২৭ শে মার্চ দক্ষিণ লন্ডনের নরউড এলাকার একটি পার্কে হেঁটে বেড়ানোর সময় ডেভ করবেট নামে এক ব্যক্তির কুকুর’ সেই ট্রফি খুঁজে পায়।তিন বার বিশ্বকাপ জেতার পর ১৯৭০ সালে ব্রাজিলকে চির তরে দিয়ে দেয়া হয়েছিলো “জুল রিমে ট্রফিটি কিন্তু তাও ১৯৮৩ সালে হারিয়ে যায় যা আর কখনো পাওয়া যায়নি তবে এর ভিত্তিটি সংরক্ষিত আছে জুরিখের ফুটবল মিউজিয়ামে।
(y) ২০১৪ বিশ্বকাপ খেলাগুলো দেখেছিলেন প্রায় ৩২০ কোটি মানুষ।যা পৃথিবীর মোট জন সংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
(y) এবারের বিশ্ব কাপ ফুটবলে সব চেয়ে দুঃখজনক বিষয় হল বিশ্ব নন্দিত ফুটবল খেলার দেশ ইতালী খেলছেন না।গ্রুপ পর্বে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যার্থ হন।
মাহে রমজান মাস চলছে এখন প্রায় শেষের দিকে ঈদের আমেজে মুসলিম প্রধান দেশগুলো আনন্দে মেতে আছেন সেই সাথে বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় খেলা রাশিয়ায় বসতে চলছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর।চার বছর পর পর বিশ্ব বাসীদের আন্দনে মাতিয়ে যান ফুটবলের কিংরা।বিশ্ব ফুটবলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য যাদের নাম চির স্মরণীয় হয়ে থাকে বা থাকবে তাদের মধ্যে রয়েছেন–
ব্রাজিলের পেলে,আর্জেন্টিনার দিয়াগো ম্যারাডোনা,নেদারল্যান্ডসের ইয়োহান ক্রুইফ,হাঙ্গেরির ফেরেংক পুসকাস,জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার,ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি,পর্তুগালের ইউসেবিও,ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি ম্যাথুজ আরো অনেকে।
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার সময় সূচীঃ
-{@ খেলা শুরু…
১৪ জুন: রাত ৯টায়-রাশিয়া-সৌদি আরব
১৫ জুন: সন্ধ্যা ৬টায়- মিশর-উরুগুয়ে
১৫ জুন: রাত ৯টায় মরক্কো-ইরান
১৫ জুন: রাত ১২টায় পর্তুগাল-স্পেন
১৬ জুন: বিকেল ৪টায় ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া
১৬ জুন: সন্ধ্যা ৭টায় আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড
১৬ জুন: রাত ১০টায় পেরু-ডেনমার্ক
১৬ জুন: রাত ০১টায় ক্রোয়েশিয়া-নাইজেরিয়া
১৭ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় কোস্টারিকা-সার্বিয়া
১৭ জুন:রাত ৯টায় জার্মানি-মেক্সিকো
১৭ জুন:রাত ১২টায় ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড
১৮ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় সুইডেন-দক্ষিণ কোরিয়া
১৮ জুন: রাত ৯টায় বেলজিয়াম-পানামা
১৮ জুন: রাত ১২টায় তিউনিসিয়া-ইংল্যান্ড
১৯ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় পোল্যান্ড-সেনেগাল
১৯ জুন: রাত ৯টায় কলম্বিয়া-জাপান
১৯ জুন:রাত ১২টায় রাশিয়া-মিশর
২০ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় পর্তুগাল-মরক্কো
২০ জুন: রাত ৯টায় উরুগুয়ে-সৌদি আরব
২০ জুন: রাত ১২টায় ইরান-স্পেন
২১ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় ফ্রান্স-পেরু
২১ জুন: রাত ৯টায় ডেনমার্ক-অস্ট্রেলিয়া
২১ জুন: রাত ১২টায় আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া
২২ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাজিল-কোস্টারিকা
২২ জুন: রাত ৯টায় নাইজেরিয়া-আইসল্যান্ড
২২ জুন: রাত ১২টায় সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড
২৩ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া
২৩ জুন: রাত ৯টায় জার্মানি-সুইডেন
২৩ জুন: রাত ১২টায় দক্ষিণ কোরিয়া-মেক্সিকো
২৪ জুন: সন্ধ্যা ৬টায় ইংল্যান্ড-পানামা
২৪ জুন: রাত ৯টায় জাপান-সেনেগাল
২৪ জুন: রাত ১২টায় পোল্যান্ড-কলম্বিয়া
২৫ জুন: রাত ৮টায় উরুগুয়ে-রাশিয়া
২৫ জুন: রাত ৮টায় সৌদি আরব- মিশর
২৫ জুন: রাত ১২টায় স্পেন-মরক্কো
২৫ জুন: রাত ১২টায় ইরান-পর্তুগাল
২৬ জুন: রাত ৮টায় ডেনমার্ক-ফ্রান্স
২৬ জুন: রাত ৮টায় অস্ট্রেলিয়া-পেরু
২৬ জুন: রাত ১২টায় নাইজেরিয়া-আর্জেন্টিনা
২৬ জুন: রাত ১২টায় আইসল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া
২৭ জুন: রাত ৮টায় দক্ষিণ কোরিয়া-জার্মানি
২৭ জুন: রাত ৮টায় মেক্সিকো-সুইডেন
২৭ জুন: রাত ১২টায় সার্বিয়া-ব্রাজিল
২৭ জুন: রাত ১২টায় সুইজারল্যান্ড-কোস্টারিকা
২৮ জুন: রাত ৮টায় জাপান-পোল্যান্ড
২৮ জুন: রাত ৮টায় সেনেগাল-কলম্বিয়া
২৮ জুন:রাত ১২টায় ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম
২৮ জুন:রাত ১২টায় পানামা-তিউনিসিয়া
-{@ শেষ ১৬
৩০ জুন: সি ১ – ডি ২ -ম্যাচ ৫০-রাত ৮টায়
৩০ জুন: এ ১ – বি ২-ম্যাচ ৪৯-রাত ১২টায়
১ জুলাই: বি ১ – এ ২-ম্যাচ ৫১-রাত ৮টায়
১ জুলাই: ডি ১ – সি ২-ম্যাচ ৫২-রাত ১২টায়
২ জুলাই: ই ১ – এফ ২-ম্যাচ ৫৩-রাত ৮টায়
২ জুলাই: জি ১ – এইচ ২-ম্যাচ ৫৪-রাত ১২টায়
৩ জুলাই: এফ ১ – ই ২-ম্যাচ ৫৫-রাত ৮টায়
৩ জুলাই: এইচ ১ – জি ২-ম্যাচ ৫৬-রাত ১২টায়
-{@ কোয়ার্টার ফাইনাল
৬ জুলাই: ম্যাচ ৪৯ এর জয়ী – ম্যাচ ৫০ এর জয়ী (ম্যাচ ৫৭) (রাত ৮টা)
৬ জুলাই: ম্যাচ ৫৩ এর জয়ী – ম্যাচ ৫৪ এর জয়ী (ম্যাচ ৫৮) (রাত ১২টা)
৭ জুলাই: ম্যাচ ৫৫ এর জয়ী – ম্যাচ ৫৬ এর জয়ী (ম্যাচ ৬০) (রাত ৮টা)
৭ জুলাই: ম্যাচ ৫১ এর জয়ী – ম্যাচ ৫২ এর জয়ী (ম্যাচ ৫৯) (রাত ১২টা)
-{@ সেমি ফাইনাল
১০ জুলাই: ম্যাচ ৫৭ এর জয়ী – ম্যাচ ৫৮ এর জয়ী (ম্যাচ ৬১) (রাত ১২টা)
১১ জুলাই: ম্যাচ ৫৯ এর জয়ী – ম্যাচ ৬০ এর জয়ী (ম্যাচ ৬২) (রাত ১২টা)
-{@ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী
১৪ জুলাই: ম্যাচ ৬১ এর পরাজিত – ম্যাচ ৬২ এর পরাজিত (রাত ৮টা)
-{@ -{@ -{@ ফাইনাল:
১৫ জুলাই রাত ৯টায় -{@
“ফুটবল বিশ্ব কাপ খেলা দেখুন মনের আনন্দে
ঈদে বাড়ী ফিরুন খুব সাবধানে”
“সবাইকে অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা”
কৃতজ্ঞতায়: jagonews24
www.bbcnewsbangla.com
www.wikipiabangla.com
এবং অনলাইনের অন্যান্য মাধ্যম
ছবি:অনলাইন
১৩টি মন্তব্য
অপার্থিব
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক বেশি কারন ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৬ সালে,.৯০ সালেও ফাইনালে তুলেছিল। ৮৬ সালে নাকি প্রথম বিটিভিতে বিশ্বকাপ দেখিয়েছি্ল, টেলিভিশনও আস্তে আস্তে গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছিল। এ কারণে অনেক বেশি মানুষ আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঠিক তাই।৮৬তে আমিও দেখেছি তখন বিটিভি ছাড়া অন্য কোন চ্যানেল ছিলো না।ফুটবলকে চিনিয়ে দেয় পেলে আর বাংলাদেশে ফুটবলের প্রতি বেশী আগ্রহ আসে ম্যারাদোনার কারনেই জন্য এদেশে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার বেশী ।ধন্যবাদ বহু দিন পর আপনাকে পেলাম লেখা দেন না কেনো? -{@
জিসান শা ইকরাম
ফুটবল ইতিহাসের অনেক কিছুই জানলাম আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম ধন্যবাদ -{@
মোঃ মজিবর রহমান
বিশ্ব ফুটবল ও দেশীয় দুটবলের পোষ্ট মরটেম ভালই করলেন। জানলাম। কে কতবার কঠায় কি করেছেন। ধন্যবাদ। আপনাকে।
-{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ ভাই। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
মৌনতা রিতু
সমসাময়িক পোষ্ট। পুরোটা পড়লাম না ভাই। খেলার প্রতি আমার বরাবরই আগ্রহ কম। দেখি, তবে তা কম।
ভাল থাকবেন ভাই। দোয়া করবেন ভাই। টাইফয়েড জ্বরের কি ত্যাজ এবার বুঝতেছি। চারটা ইনজেকশন গেলো। আরো দশটা। আজ মাথাটা কোনোরকম তুলতে পারলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হায় আল্লাহ কয় কি!টায়ফয়েড জ্বর হলো কি করে নিশ্চয় শরীরের প্রতি অযত্ন!এটা ঠিক না বোন আপনার উপর নির্ভর করছে সোনামণিদের ভবিষৎ।অবশ্যই ভাল করে চিকিৎসা নিবেন।আল্লাহ ভরসা।নিশ্চয় তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন।আমীন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
নীরা সাদীয়া
অনেক তথ্যবহুল একটা পোস্ট পড়লাম। অনেক অজানা তথ্য জানা হলো। শুভকামনা রইলো আপনাদের যার যার প্রিয় দলের জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই অনেক কিছুই জানা ছিলোনা।
জানতে পারলাম।
আমি একসময় দেশে আবাহনীর ভক্ত ছিলাম। ১৯৮৬ সালে প্রথম দেখলাম বিশ্বকাপ, আর্জেন্টিনাকে প্রথম থেকেই ভালোবেসে ফেলা।
ধন্যবাদ মনির ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখাটি কাজে লাগবে খুব।