
এখনকার সময়ে একটি আতংকের নাম ‘কিশোর গ্যাং’ । আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের অধিকাংশ এই আতংকের সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ভাবে জড়িয়ে পড়ছে। আজ আমরা শংকিত, ভীত কিশোর-কিশোরীদের চালচলন, সংস্কৃতি, সামাজিকতা, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মানদন্ড নিয়ে। আমাদের প্রজন্ম শিক্ষার আলোয় আলোকিত, উদ্ভাসিত হয়েছে কিন্তু আমাদের উত্তরসূরীরা প্রকৃত শিক্ষা লাভ করতে পারেনি বা আমরা তাদেরকে সেই শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। এর দায়ভার, ব্যর্থতা আমাদের উপরেই বর্তায়। আমরা তাদের হাতে সুশিক্ষা, মানবতা, সুস্থ ও সুন্দর সংস্কৃতি তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছি। পারিবারিক কোলাহল, অভিভাবকদেরকে দরকারের সময়ে কাছে না পাওয়া, সঠিক গাইডলাইন এর অভাবে এমনটা ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি, ইভটিজিং ও মাদক ব্যবসার মতো অপরাধে বেশি জড়িয়ে পড়ছে। র্যাব জানায়, ২০২০ সালে বিভিন্ন অপরাধে কিশোর গ্যাংয়ের ২০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে কিশোর গ্যাংয়ের ৭১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুরুতে মূলতঃ অন্যদের হামলা থেকে নিজেদের প্রটেক্ট করার জন্যই কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হয়। পরে বেশ বড় একটা গ্যাং তৈরি হয়। পরে এখান থেকেই গুন্ডামি করে, গ্যাং বানায়, দেয়ালে দেয়ালে স্প্রে দিয়ে গ্যাংয়ের নাম লিখে। এভাবেই এটা একটি ট্রেন্ড এ পরিণত হয়ে যায়। ৫/৬ টা গাড়ি নিয়ে একসঙ্গে মুভ করে; একসময় বেশ বড় একটা গ্যাং তৈরি হয়ে যায়।
তবে গ্যাং তৈরি হওয়ার পর খুব দ্রুতই অন্য এলাকার গ্রুপগুলোর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়। অনেক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এরা। মেয়েলি বিষয়, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, এক এলাকার ছেলে অন্য এলাকায় গেলে, কাউকে গালি দিলে, ‘যথাযথ সম্মান’ না দেখালে, এমনকি বাঁকা চোখে তাকানোর কারণেও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গ্যাংয়ে একসময় অস্ত্র বহন করা, মাদক নেয়া শুরু হয়ে যায়। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে অনেক কিশোর গ্যাংয়ের নাম লেখা গ্রাফিতি চোখে পড়বে। মূলতঃ স্কুলে পড়তে গিয়ে কিংবা এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতে মজার ছলে এসব গ্রুপ তৈরি হয়। পরে সবরকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
সমাজবিজ্ঞানী রাশেদা ইরশাদ নাসির মনে করেন মূলতঃ দুটি কারণে কিশোররা এসব গ্যাং-সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ছে।
প্রথমতঃ মাদক, অস্ত্রের দাপটসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।
দ্বিতীয়তঃ এখনকার শিশু-কিশোররা পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে না।
ফলে কিশোররা যখন বন্ধুদের মাধ্যমে এসব গ্যাংগুলোতে প্রবেশ করছে এবং মাদক ও অস্ত্রের যোগান সহজেই পেয়ে যাচ্ছে তখন তার প্রলুব্ধ হওয়া এবং অপরাধপ্রবণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তিনি মনে করেন, একদিকে সমাজে অপরাধী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে পরিবারে কিশোরদের একাকী বা বিচ্ছিন্ন না রেখে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
কিশোর গ্যাং-কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি অপরাধ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। গাজীপুরে এক কিশোর হত্যার ঘটনায় ‘ভাই-ব্রাদার’ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের ৮ জনকে গ্রেফতারের কথা জানায় র্যাব। খুনের ঘটনা সংঘটিত হবার পর প্রশাসন পর্যন্ত নড়েচড়ে বসেছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের তাৎক্ষণিক ও ঢালাওভাবে গ্রেপ্তারে অনেক নির্দোষ কিশোর আটক পড়ছে ফলে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে তারা, তাদের পরিবারের উপর নেমে আসে অমানুষিক , দুর্বিষহ পরিস্থিতি। সেই নিরপরাধ কিশোরদের কেউ কেউ ট্রমায় পর্যন্ত চলে যায় এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে।
পুলিশের মুখপাত্র সোহেল রানা বলেছেন, সারাদেশেই পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে তারা নির্দেশ দিয়েছেন কিশোরদের গ্যাং সংস্কৃতি এবং অপরাধ বন্ধ করতে; স্কুল-কলেজ, অভিভাবক এবং সুশীল সমাজের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করতে।
আসুন আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে, তারুণ্যকে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সচেষ্ট হই; একটি সুস্থ, সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়তা করি। সামাজিক, পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ়, অটুট করি সেইসাথে সুন্দর, সুস্থ, মানসম্মত বিনোদনের ব্যবস্থা করি। তাহলেই আমরা একটি সুন্দর জাতি উপহার পাবো, আমাদের দেশটা একদিন সোনার সন্তানে ভরে উঠবে, বিশ্বের দরবারে আমাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে।
ছবি ও তথ্য-গুগল
২১টি মন্তব্য
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন।
খুব ভালো লেখা পড়ে মুগ্ধ।।
শুভকামনা রইল সতত।।।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন আপনাকে। সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো অফুরন্ত
অনন্য অর্ণব
পরিবার হলো একটা শিশুর প্রথম বিদ্যাপীঠ আর মা হলো প্রথম শিক্ষক। আপনি যে বিষয়টি আলোকপাত করেছেন এটা খুবই স্পর্শকাতর একটা সামাজিক সমস্যা। আর আমি এই সমস্যার জন্যে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়কে দায়ী করবো-
১. পরিবারের সিনিয়র সদস্যদের দায়িত্বহীনতা ।
২. পাড়া মহল্লা বা গ্রামের প্রতিবেশী পরিবারগুলোর মধ্যে সামাজিক বন্ধন হ্রাস পাওয়া।
৩. প্রতিটি মাইনর শিশুকে তার গন্ডি সীমিত করে দেওয়া।
৪. মাইনর শিশুকে নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ব্যাবহার করা।
৫. শিশুদের রাজনৈতিক ফায়দায় ব্যবহার করা।
৬.সকল প্রকার মাদক ও অশ্লীল সামগ্রীর স্থুলতা বৃদ্ধি পাওয়া।
এমন আরো অসংখ্য কারণ আছে। তার মধ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি কঠোর হস্তে দমন করা যায়- তবে এই কিশোর অপরাধ আরো কমবে বলে আমার বিশ্বাস।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার সুচিন্তিত মতামত গুলো খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি সবাই এগিয়ে আসবে নিজেদের সন্তানদের সুন্দর ও সুস্থ জীবনের জন্য।
সৌবর্ণ বাঁধন
সুন্দর লেখা দিদি। তবে এই সংস্কৃতির পিছনে ঢালাও ভাবে আমাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করা যাবেনা। একবিংশ শতকের পরিবর্তনটা বৈশ্বিক। সমাজ ও জীবনধারায় যে বদল তা কিন্তু ব্যক্তিবিশেষ বা পিতা মাতা চাইলেই থামাতে পারেনা। এখানে বহুবিধ বিষয়ে বদল আনা প্রয়োজন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঢালাওভাবে না হলেও অনেকাংশে ই দায়ী আমাদের এখনকার সমাজব্যবস্থা, পরিবার, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিনোদনের মাধ্যমগুলো। নিজেদের অসম্পূর্ণতা ঢাকতে ,অন্যদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে সন্তানদের হাতে তুলে দেয় যখন যা খুশী। আবদার করলেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছু দেয়াই ঠিক না। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আলমগীর সরকার লিটন
এ সমস্যার মূলহতা হলো ইন্টার নেট ঘরে বসে যত ধরনের গ্যাং পরিচালনা হচ্ছে আগেও এরকম গ্যাং বা ক্লাব ঘর ছিল কিন্তু খুন খারাপি হত না
আমাদের আরও সচেতনা হওয়া দরকার কিশোরেরা নেট ব্যবহার বেশী যাতে না করতে পারে ইত্যাদি ————
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা অবিরাম
মোঃ মজিবর রহমান
পরিবার, সমাজ ও সর্বপরি দেশের দায়িত্বহীনতায় সমাজের কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
সাবিনা ইয়াসমিন
❝সমাজবিজ্ঞানী রাশেদা ইরশাদ নাসির মনে করেন মূলতঃ দুটি কারণে কিশোররা এসব গ্যাং-সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ছে।
প্রথমতঃ মাদক, অস্ত্রের দাপটসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।
দ্বিতীয়তঃ এখনকার শিশু-কিশোররা পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে না❞
সমাজবিজ্ঞানীর যুক্তি আংশিক সত্যি কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। শিশু-কিশোররা প্রায় সময়েই অদমিত মনোভাবাপন্ন স্বভাবের হয়। তারা অনুকরণশীল/ অনুসরণ করে (বৈশ্বিক বিভিন্ন কালচার)। তাদেরকে ঠিকভাবে সামনে এগিয়ে নেয়ার সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, দেশের শিশু-কিশোরদের উচ্ছন্নে যাওয়ার সঠিক কারণ/সমাধান না খুঁজে, পরিবার/সমাজের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়ার প্রবনতা বন্ধ করা দরকার।
দরকার কিশোর গ্যাং দ্বারা দুর্ঘটনা গুলো ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করে সময়োপযোগী এবং সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা নেয়া।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আরও লিখুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এমন পর্যবেক্ষণ করার জন্য , সন্তানকে ভালো রাখার জন্য পরিবারকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে, কাউন্সিলিং করতে হবে যা আমাদের বেশীরভাগ পরিবারের মধ্যে জানা নেই বিষয়টি। সেক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগাতে হবে, শিক্ষার্থীদের মনোভাব বুঝে পদক্ষেপ নিতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। অবিরাম ভালোবাসা
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দিদি ভয়াবহ ভয়ংকর আতঙ্ক কিশোর গ্যাং নিয়ে সময়োপযোগী লেখা লিখেছেন। আমাদের চোখের সামনেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম , দেশের তারুণ্য বিপথে চলে যাচ্ছে। আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি — “আসুন আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে, তারুণ্যকে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সচেষ্ট হই; একটি সুস্থ, সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়তা করি। সামাজিক, পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ়, অটুট করি সেইসাথে সুন্দর, সুস্থ, মানসম্মত বিনোদনের ব্যবস্থা করি। তাহলেই আমরা একটি সুন্দর জাতি উপহার পাবো, আমাদের দেশটা একদিন সোনার সন্তানে ভরে উঠবে, বিশ্বের দরবারে আমাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে”। শুভ কামনা রইলো দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দিদি সুস্থ আর ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
এখনকার সময়ে এটি একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে,
তবে আমি একটি কথাই ভাবছি, সব গ্যাংদের গডফাদার আছে, কাজেই এত সহজে সব সমস্যা কেটে যাবে তা ভাবতে পারছি না।
খুব ভাল একটি সমস্যার বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সহজ নয় তবে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচেতন হলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হলে এসব কমিয়ে আনা সম্ভব। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
হালিমা আক্তার
বর্তমান সময়ের এক ভয়ানক সামাজিক ব্যাধি কিশোর গ্যাং।
বৈশ্বিক যুগে বিশ্ব যেভাবে আগাচ্ছে, আমাদের পরিবার এবং সমাজ ব্যবস্থা সেভাবে আঘাতে পারছে না। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে সন্তানের সাথে বাবা মার দুরত্ব সৃষ্টি যাচ্ছে। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা একাকীত্বে ভুগছে। এর ফলে তারা বিভিন্ন বন্ধু- বান্ধবের সাথে যুক্ত হয়ে অপরাধ মূলক কাজ করে যাচ্ছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ আপু। শুভ কামনা রইলো
উর্বশী
সময়পোযোগী সুন্দর পোষ্ট আপু।এক ধরনের মহামারীর অংশ।।সব জায়গায় এর উপস্থিতি। একদিনে তারা তৈরি হয়না।আরে এদের পিছনে অদৃশ্য ছাঁয়া কাজ করে।তারা কখনোই সামনে আসেন না। তাই কুছুদিন হৈচৈ হয়ে কেউ কেউ ধরা পড়লেও আসল ছাঁয়ারা দূরেই থাকেন।আর এজন্যই কখনোই নির্মুল করা সম্ভব নয়।কালের আবর্তে কিছু কমে যাওয়া দেখা গেলেও ছাঁয়ারা প্রয়োজনে কৌশলে অন্যরুপে অন্যকিছু প্রকাশ করে।ভাল থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
আজ নিয়ে তিন দিন হলো তবেই কমেন্ট করতে পারলাম।
আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হইনি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞ আপু ও অজস্র ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা অবিরাম