আমি অনেক দিন ধরে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ উদার ও প্রগতিশীল রাজনিতির কথা বললেও বাস্তবে তা নয়। আমার এলেখার পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক ঝড় ও মত পার্থক্য উঠবে। তা স্বত্ত্বেও লেখলাম।
আমি বেশি রাজনিতি বুঝিও না। এক সময় অর্থাৎ ১৯৭৫ পরবর্তী দুরসময়ে আওয়ামিলীগের যারা কাণ্ডারি ছিল তাদের প্রতি এক ধরনের অবিচার করা হয় এবং ধামাধরা চামচারা সুর সুর করে উপরে উঠে যায়। যারা ত্যাগী ও নিঃস্বার্থ তাঁরা অতর গভীরে হারিয়ে যান আবার দুষ সময়ে তাদের দাকা হয়।
আব্দুর রাজ্জাক সাহেব মারা গেল তাঁকে দেখতে পর্যন্ত যাওয়া হয়নি এবং খোঁজ খবরও নেয়া হয়নি, ঠিক তেমনি আব্দুল জলিল ও তাই। সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ক্ষেত্রেও তাই। বর্তমানে বর্ষীয়ান দুই নেতা সরকারে বিগত মন্ত্রী সভায় ঠায় না দিলেও দলের স্বার্থে অতিত বঙ্গবন্ধুর জন্যেই মনে হয় নিজেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কলংগ হলেও নিরবাচনিন সরকারে যুক্ত হয়েছেন! তাঁরা মহৎ মনের অধিকারী এটা নিদিধায় বোলা যায়।
১১ নং সেক্টর কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এম হামিদুল্লাহ খান (২ নভেম্বর,১৯৭১-১৪ ফেব্রুয়ারি,১৯৭২) সাহেব মারা গেলে সরকারী ভাবে তাঁকে দেখতে যাওয়া হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক।এরকম অনেক আছে।
অথচ মানান ভুইয়া সাহেব মারা গেলে বা হাস্পাতালে অসুস্থআবস্থায় বিএনপির অনেক নেতা তাঁকে দেখতে গেছেন।
বিএনপির দুরনিতি আর আওয়ামিলীগের দুর্নীতির পার্থক্য অনেক।
বিএনপি দুর্নীতির সঙ্গে কর্মী ও সমর্থকের আয়ের ও ভবিষ্যৎ এর জীবন ও পরিবারের আর্থিক উন্নয়নের একটি সুপথ থাকে। যার ফলে কর্মী ও সমর্থক বেশি।যার ফলে অনৈতিক হলেও বিএনপি সমর্থকের স্বচ্ছল থাকত , যা সাধারন মানুষের মাঝে বিরুপ থাক্লেও স্বাভাবিক ভাবে অনেকে মেনে নেয়।
পক্ষান্তরে আওয়ামিলীগ নেতা ও উপরের কয়েকজন অর্থ উপারজন করে কিন্তু সমর্থক দুরের কথা কর্মীর চিন্তায় করেনা। এক্ষেত্রে আওয়ামিলীগের চেয়ে বিএনপি উদার মনের অধিকারী। বিএনপির অনেক নেতা আছে তাঁরা ভোট ও জনগনের আস্থা পাওয়ার জন্য টাকা না কামিয়ে নিজ নিজ অঞ্চলে বিনা টাকায় সরকারী ও বেসরকারী চাকরি দেয় অপরদিকে আওয়ামিলীগ দলমত নিবিশেসে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয় তানা হলে হয় না।
এক্ষেত্রে বিএনপির কর্মীর টাকা আছে চাকরী হয় আর আওয়ামিলীগ ডিলেট। আমি যখন টাকা দিয়েই চাকরি নেব দল কে কেন উপরে দিকে তুলতে যাওয়ার চেষ্টা করব? দল্কে কেন ওত গুরুত্ব দেব? টাকাই যখন দেব।
১৯টি মন্তব্য
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
রাজনতি মটেও বুঝি না ……… অনেকক্ষণ থেকে বোঝার চেষ্টা করলাম কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
দুঃখিত ভাইয়া রাজনীতি মোটেও বুঝি না বলছি……………… ভুল করে ফেলেছিলাম তাই দুঃখিত অনেক 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
বুঝিনা সত্য কিন্তু তাঁরা আমাদের এমন পেদানি দিচ্ছে যে ঘুমের ঘোরেও টের পাচ্ছি!
শুন্য শুন্যালয়
দুর্নীতির কথা বলবো না..কে কি করেছে তা তাদের নিজেদের জেলার লোকজন ভালো বলতে পারবে.., তবে প্রথম কথাগুলো সত্যি.
বিগত কেয়ারটেকার সরকারের সময় লীগের দলীয় নেতাদের নিজেদের পিঠ বাচানো টা হয়তো এক্ষেত্রে কারণ ছিলো …তবে এটা আসলেই দুঃখ জনক.
বি এন পি র ক্ষেত্রে নো কমেন্টস 🙂
খসড়া
বড় কঠিন পোস্ট।
মোঃ মজিবর রহমান
এই দুই দল থেকে কি আমরা মুক্ত হতে পারব?
তাঁরা কি আমাদের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর হতে চেয়ে,
ধংস্বের কারিগর নয়?
নীলকন্ঠ জয়
আমার কাছে মন্দের ভালোটাই গ্রহণযোগ্য।
মোঃ মজিবর রহমান
ঊপায় নেয় জয়, বর্তমানে মন্দের ভালো বাছায় করা দুস্কর।
কিভাবে?
বেলাল হোসাইন রনি
হয়তো আমিও রাজনীতি বুঝিনা, রাজনীতি নিয়ে কথা বলতেও পচ্ছান্দ করি না। আজকে দুটি দল এমন এক স্থানে এসে পৌচেছে যে তারা এক বার ক্ষমতায় আসতে পারলে আর ছাড়তে চায় না। জনগন কি চায় এটা তাদের কাছে মূর্খ্য বিষয় নয়। তাই আমাদের উচিত এই দুটি দলকে বর্জন করা। এবং যারা দুখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারবে তাদেরকে ক্ষমতায় আনা। তবে আমি জানি যে এটা কখনো সম্ভব না। তবে আস্তে আস্তে মানুষের মাঝে ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে দেশ একদিন ধংশ হযে যাবে।
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
ছন্নছাড়া
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে এবং ১৯৭৫ সালে শেখমজিবর মারা যাবার পরে আমাদের দেশে কোন রাজনীতিবিদ সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করেন নাই
তাঁরা শুধু মারত তাঁদের নিজেদের জন্য রাজনীতি করেছেন এবং সম্পদের পাহার গরেছেন …………
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক বলেছেন ছন্নছাড়া
আজকের প্রথম আলোতে তাঁর হিসেব আছে।
জিসান শা ইকরাম
কিছুটা দ্বিমত থাকলেও অসত্য বলেননি আপনি । এই অবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি ৭৫ সনের পরে দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল লীগ । এত বছর ক্ষমতার বাইরে থাকলে দেশের অন্য কোন দলের পাত্তাও থাকতো না । প্রবীন নেতারাই দলকে এত গুলো বছর বয়ে বেড়িয়েছেন । কিছুটা স্বার্থপরতা এজন্য সৃষ্টি হতে পারে । আর নবীন নেতারা অনেকটাই স্বার্থপর – এটা প্রমাণিত ।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ বস।
ছাইরাছ হেলাল
সত্য বলার সাহস আছে দেখতে পাচ্ছি ।
রিমি রুম্মান
আমাদের মন্দের ভাল বেছে নিতে হবে। আমার দেশ, আমার পতাকা, আমার স্বাধীনতা যারা মানেনা… আমি তাদের সমর্থন দিতে পারিনা… সরি… খুব সরি।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনি বলবেন না কেন?
সবাই গর্জে উঠুন
ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকব।
লীলাবতী
ভোট থেকে বিরত থাকবো না । রাজাকারদের বিনাশের জন্য লীগের সাথে আছি ।
মোঃ মজিবর রহমান
(y) (y) (y) (y)