মিতা ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলে আবার বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে পরলো। কদিন যাবত চোখ ভর্তি ঘুম যেন ছাড়ছেই নাহ। এরই মাঝে মা এসে দুটো ধমক লাগালেন, “মিতা….. এই মিতা, ওঠ। তোর বাবা দুদিন আগে যে বায়োডাটাগুলো দিয়েছেন,সেগুলো টেবিলে জমিয়ে রেখেছিস কেন? এগুলো দেখে এবার মতামত দে।তোর বাবা তো আমাকে জিজ্ঞেস করে করে পাগল করে দিচ্ছে। ওহ, আমি আর পারি না।”
মিতা হুরমুর করে উঠে বসলো। চোখ থেকে ঘুম চলে গেলো। দ্রুত উঠে হাতমুখ ধুয়ে নিজ টেবিলে এসে বসলো। এই “বিয়ের প্রস্তাব” নামক শব্দ দুটি ওর মাথা চিবিয়ে খাচ্ছে! কী দরকার বিয়ে করার তা সে ভেবে পায় না। হাতের বামপাশে রয়েছে একটি কাগজের স্তূপ,তাতে জমে রয়েছে একগাদা বিবরন,পাত্রের বিবরন। এবার একটা একটা করে সেগুলো দেখে নিতে হবে। প্রথমে প্রথমটা, না দ্বিতীয়টা, নাহ….. তৃতীয়টা তুলে নিলো। তিন সংখ্যাটা মিতার খুব পছন্দ,তাই। বায়োডাটা পড়ে দেখলো, ছেলে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করে, ছেলের আরো দুজন বোন রয়েছে।একজন বড়,অন্যজন ছোট। এটা হাতে নিয়েই মিতা ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে গেল।
বেশ ভালোইতো, বোনদুটির সাথে গল্প করে, লুডো খেলে আর শপিং করে কেটে যাবে বেলা। কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়ে গেল, বান্ধবী ইতুর বিবাহিত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা!বাবারে! “বড় একটা বোন, ছোট একটা বোন। বড়জন এর যদিও বিয়ে হয়ে যাবে,তবুও কিছুদিন পর পর বাবার বাড়ি আসবে,আর ভাই বৌকে হুকুম জাড়ি করবে।বলবে, আমার মার কষ্ট হচ্ছে, তুমি সংসারের সব কাজ একা করো।মাকে কোন কাজ করতে যেন না দেখি। মাকেই যদি সব করতে হবে তাহলে তোমাকে এনেছেন কেন?” এরপর আবার আছে ননদ। “বৌকে একটা শাড়ি কিনে দিলে বোনকে দিতে হবে দশটা। তারপরো বৌয়ের জন্য পছন্দ করে যেটা আনবে, বোন সেটাই চেয়ে বসবে। বৌ হয়ে শশুড়বাড়িতে জন্মেছো তো মুখতো বন্ধ রাখতেই হবে, নইলে বলবে, ছোট মন! বৌ হতে হলে আবার ইয়া বড় মন থাকতে হবে। নিজের পছন্দের কিছুই থাকতে পারবে না, সবাইকে সব বিলিয়ে দিতে হবে, আর সারাদিন মুখবন্ধ করে সব কাজ করে যেতে হবে।”
না বাবা, থাক এটা! এই ভেবে মিতা লটারীর মত করে আরেকটা বায়ো তুলে নিল। এটাতে আবার পাত্র একজন ব্যাংকার পাত্রের দুটি ভাই। দুজনেই বড় এবং পাত্র সবার ছোট। মিতা আবার ভাবতে শুরু করলো,
এটা বেশ। যাদের কোন মেয়ে নেই, তারা একটা মেয়ে পেলে প্রচুর আদর করবে। পরক্ষনেই আবার ভাবলো, তা কি করে হয়?জিনিয়ার কথা মনে পড়লো। পাত্রের বড় দুই ভাই নিশ্চই বিয়ে করে বউ নিয়ে এসেছেন। সুতরাং মেয়ের অভাব তাদের পূরণ হয়ে গেছে। এখন ছোট বউ হয়ে গেলে কি আর হবে? বড় দুই বৌ সারাক্ষণ মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাবে! থাক, এটাও বাদ।
এরপর পেল আরেকটা। স্তূপের ভেতর থেকে এটার একটু কোণা বের হয়ে ছিলো। সেটাই টেনে বের করলো। এটাতে দেখা গেলো, ছেলে একজন প্রভাষক। তারা একভাই, একবোন। বোনটার বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে। এটা নিশ্চই ভালো হবে। তারপরেই মনে পড়লো বান্ধবী কোনালের অভিজ্ঞতার কথা। সারাদিন অফিস শেষে কোনাল ও তার বর বাড়ি ফেরে। রাতের খাবার খেয়ে দুজনেই নিজ নিজ প্লেট ধুয়ে টেবিল গুছিয়ে রাখতে গেলো, তাই দেখে শাশুড়ি বলে উঠলো, “আমার একটা মাত্র ছেলে। তার যদি খাবার পর নিজের বাসন নিজেকেই ধুতে হয়, তাহলে তুমি আছো কি করতে?” এক মায়ের এক ছেলে হলে বুঝি এমনটাই হয়?
মনে পড়লো, সেদিন দীনা বলছিলো, “বাড়ির সকল কাজ করার সময় সবাই বলবে, এটা তোমার সংসার, তোমাকে দায়িত্ব নিয়ে সামলাতে হবে। আবার কোন অধিকার খাটিয়ে বাড়ির ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বা নিজের কোন অতিথিকে শশুড়বাড়িতে রাখতে গেলে তখন জনে জনে সবার অনুমতি নিতে হবে। এমনকি অনুমতি ছাড়া বাবার বাড়িতেও যাওয়া যাবে না।যাবার পর বাবার বাড়িতে কদিন থাকবো, তাও তারাই ঠিক করে দেবে।নিজের স্বামীর দেয়া টাকায় নিজের হার্টের চিকিৎসা করাতে গেলেও শশুড়বাড়িতে পই পই করে টাকার হিসেব দিতে হবে। তারা যদি দয়া করে চিকিৎসার অনুমতি দেয় তাহলে চিকিৎসা হবে, নয়ত সমাধি রচনা করে তাদের ছেলের ঘাড় থেকে নামতে হবে।বৌকে হতে হবে সুপার ওমেন, রোগী হলে চলবে না।এসব যখন ঘটে, তখন নিজেকে মনে হয় উদ্বাস্তু কিংবা ক্রীতদাসী! ”
“আচ্ছা, বৌ যত শিক্ষিত, গৃহকর্মে নিপুণা, কর্মজীবী যাই হোক না কেন,শশুড়বাড়িতে তার স্থানটা কি ছেলের সহধর্মিণী নাকী ঘুটে কুরোনী?তার নিজের কাজ কেউ করে দেবেনা, কিন্তু তাকে সবার কাজ করে দিতে হবে! সবাই হাত পা গুটিয়ে আয়েশ করার জন্যই কি বাড়িতে বৌ আনে? কী আজব এ সমাজ, আজব এ রীতি। আবার এসব মেনে নিতে না পারলেই, মেয়েটির মন ছোট, কিচ্ছু শেখেনি, বেয়াদব! এই তাহলে বিবাহিত জীবন? কিসের টানে কিসের প্রয়োজনে তাহলে একটা মেয়ে নিজের বাবা মাকে ছেড়ে অন্যের বাড়ির গৃহকর্মী হতে যাবে?”
রুশার এই কথাগুলো এতক্ষণ মিতার দুকানে ইয়ার ফোনের মত বাজছিলো!
অবশেষে মিতা টেবিলের ওপর গৃহকর্মী হবার সকল প্রস্তাব, উদ্বাস্তু হবার সকল দলিলপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিলো। আর ভাবতে লাগলো, “এ পৃথিবী আমার নয়, আমাকে এক্ষুনি এখান থেকে পালাতে হবে।”
কিন্তু পালাবে কোথায়?
১৯টি মন্তব্য
ইঞ্জা
^:^ হায় হায় ^:^
মাথার চুল ছিড়ে ফেলার যোগার, কেমনে বিয়ে করে মেয়ে, এতো প্যাঁচাল, কেমনে কি ^:^
আরে মেয়ে এতো সাত পাঁচ ভাবলে তো আর সংসার হয়না, বিয়ে করে অন্যের ঘরে গিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়, তাহলেই না সংসার সুখের হয়। :).
নীরা সাদীয়া
এখানেইতো সমস্যা ।নিজের সবাইকে ছেড়ে একটা মেয়ে পরের বাড়িতে যাবে। তারপর সেখানে মানিয়ে নেবার দায়িত্বটা একা তার ওপরেই কেন বর্তাবে? শশুড়বাড়ির লোক কেন মেয়েটিকে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করবে না? একটু পান থেকে চুন খসলেই কেন দাকে নানা কথা শুনতে হবে?
এসব কারনেই কিন্তু যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে অণু পরিবার গড়ে ওঠে, সেখানেও সব দোষ বৌয়ের! যারা শশুড়বাড়ির লোক, তাদের এটা মনে করা উচিত নয় যে মেয়েটিকে তারা কিনে এনেছে,তাদের হুকুম তামিল করার জন্য। তাদেরকেও বুঝতে হবে, মেয়েটির বাবা মাও মেয়েটিকে আদর যত্নেই মানুষ করেছেন। সুতরাং তাকে সুখে রাখাও শশুড়বাড়ির লোকের দায়িত্ব, যেটা বাঙালি সমাজ মানতে চাইবে না।
সর্বোপরি, এখানে বোঝানো হয়েছে, শশুড়বাড়ির লোকেরা ছেলের বাড়ির বলে এমন বিভীষিকা যেন তৈরি না করে যেটা দেখে আরেকটা মেয়ে বিয়ে করতেই শিওরে ওঠে। তাদের মাঝে ধ্যান ধারনার পরিবর্তন অানার জন্যেই এই লেখা।
ইঞ্জা
আপনার প্রতিটি কথায় সত্য, এই জন্যই বলি সব বাছবিচার করেই বিয়ে করতে হবে, কিন্তু আগে থেকেই সব কিছু নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এর উল্টো দিকও আছে ভুরি ভুরি…এমনো পরিবার আছে যেখানে মেয়ে নয় বৌকেই বেশী প্রধান্য দেয় বেশী।তবে আমার মতে গুণ দোষ নিয়েই সংসার।মেয়ে যেমন অন্যের ঘরে যাবেন তাকেও পরিবেশ পরিস্থিতি ধৈর্য সহ মেনে তার আপণ গুণে সবাইকে আপণ করে নিবেন আর না পারাটা তার ব্যার্থতা তার ম্যানেজে কোথাও না কোথাও ত্রুটি ছিলো আর ভাগ্য দেবতাতো আছেই তবে নিজ বিচক্ষণ গুণের নিকট ভাগ্য দেবতা মাতা নত করবেই।ভাবনাগুলো বাস্তব এটাই এ দেশের বৌদের বাস্তবতা।তবে এ ভেবে বিয়ে করবে না এটা নির্ঘাত বোকামী।অন্যের বেলায় যা ঘটে তা আমার বেলায় ঘটবে এটার কি গ্যারান্টি আছে!তাহলেতো আর আমাদের মা বাবার ঘরে আমাদের জন্ম হতো না।সে জন্যই বিয়েতে মা বাবারা বংস কি কি তার পারিবারিক বৈশিষ্ট ইত্যাদি চেক করেন।ধন্যবাদ। -{@
নীরা সাদীয়া
একটা মেয়ে যখন নিজের চেনা পরিবেশ, নিজের মা বাবাকে ছেড়ে অন্য বাড়িতে যায়, তখন তার মনের অবস্থাটা কি হয়, তা কি উপলব্ধি করতে পারেন? মেয়েটাকেই অন্যের ঘরে যেতে হয়, এই ত্যাগটা মেয়েকেই স্বীকার করতে হয়, ছেলে বা ছেলের বাড়ির লোককে নয়। সুতরাং মেনে নেওয়া, মানিয়ে নেওয়ার সকল বোঝা কেন মেয়েটির ঘাড়েই চাপবে, বলতে পারেন? যে মেয়ে এতবড় ত্যাগ স্বীকার করে এসেছে, বরং তাকেই সেটা ভুলিয়ে দিয়ে আনন্দে ভরিয়ে রাখার দায়িত্ব শশুড়বাড়ি কেন নেবে না? শশুড়বাড়ির কোন লোকের কোন গুন থেকার দরকার নেই, সবগুন শুধু মেয়েটারই থাকতে হবে! কেন এরকম দু চোখা নীতি বলতে পারেন?
মোটকথা এখানে বোঝানো হয়েছে, এমন কিছু মানুষ যারা আছে, যারা বৌয়ের জন্য শশশুড়বাড়িকে বিভীষিকাময় করে তোলে, তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। শশুড়বাড়ির লোক বলেই তারা যেন এই না ভেবে বসে যে তারা মাথা কিনে নিয়েছে! তাদের অবস্থা দেখে অন্য একটা মেয়ে যেন বিয়ের নাম শুনলেই শিওড়ে না ওঠে।
শশুড়বাড়ির লোকেদের মানসিকতা পাল্টানোর জন্যেই এই গল্প লিখা।
জিসান শা ইকরাম
এমনই হয়ে আসছে আমাদের সংসারগুলোতে। এ অবস্থা পাল্টাবে বলে মনে হয়না।
খুব সুন্দর ভাবে উদাহরন সব বুঝিয়ে দিলে একজন বধুকে কত কিছু সহ্য করতে হয়।
নীরা সাদীয়া
জ্বী দাদা, আমি ঠিক এটাই বোঝাতে চেয়েছি।
মোটকথা এখানে বোঝানো হয়েছে, এমন কিছু মানুষ যারা আছে, যারা বৌয়ের জন্য শশশুড়বাড়িকে বিভীষিকাময় করে তোলে, তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। শশুড়বাড়ির লোক বলেই তারা যেন এই না ভেবে বসে যে তারা মাথা কিনে নিয়েছে! তাদের অবস্থা দেখে অন্য একটা মেয়ে যেন বিয়ের নাম শুনলেই শিওড়ে না ওঠে।
শশুড়বাড়ির লোকেদের মানসিকতা পাল্টানোর জন্যেই এই গল্প লিখা।
মোঃ মজিবর রহমান
কোন সংসার কেমন হবে তাঁর হিসেব কি আগেই করা সম্ভব???
আগে মাঠে নাম তাঁর পর পরিস্থিতি দেখে পা বাড়াও বোন। বিপরিত অবস্থা না বুঝে হাল ছেড়ে দেওয়া জাবেনা। সবাই এক নয়।
নীরা সাদীয়া
ভাই, একটা প্রবাদ আছে জানেন নিশ্চই “ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া ভাবিও না।” এখন কোন মেয়ে যদি মাঠে নেমেই যায়, অর্থাৎ বিয়ে করেই ফেলে, তখন তো ভেবে কাজ নেই।তখন তো সে বর/শশুড়বাড়ি পাল্টাতে পারবে না। সুতরাং যা ভাবার তাকে আগেই ভাবতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, আজকালকার মানুষের যে দৃষ্টিভঙ্গি, তা হলো, “আমরা শশুড়বাড়ির লোক এটাই আমাদের গুন, আর কোন গুন না থাকলেও চলবে। মেয়েটি বৌ হয়ে এসেছে,সবগুন তার ভিতরে থাকতে হবে। সব মানিয়ে নেয়া তাকেই নিতে হবে। সব দায় তার। আমাদের কোন দায় নেই তাকে ভালো রাখার। আমাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, তার দোষ ধরা, খোঁচা দেয়া, তার ঘাড়ে পুরা গোষ্ঠীর দায় চাপিয়ে নিজেরা আয়েশ করা!”
কিন্তু তারা কখনো ভাবে না, এই মেয়েটিকেও তারা মা বাবা আদর যত্নেই বড় করেছেন। সে নিজের সবকিছুই ছেড়ে আমাদের কাছে এসেছে, তাকে সুখে রাখাও আমাদের দায়িত্ব।
এরম করে ভাবেনা বলেই সংসারে এত অশান্তি হয়। এদের মানসিকতা পাল্টানোর জন্যই এই গল্পের অবতারনা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাবতে ভাবতে যদি জীবন যায় ভাবুন! দিল্লিকা লাড্ডু খাইলেও পস্তাই না খাইলেও পস্তাই।
নদির একুল হইতে ছাড়িয়া নিশ্বাস ঐপাড়ে শান্তি এইপারে অশান্তি।
সব ফ্যামিলির একই অবস্থা বিশ্বাস করিনা, তেমনি সব মানুষ খারাপ তাও বিশ্বাস করিনা।
বর্তমান মানুষের মাঝে স্থায়ী আবেগ, প্রেম , ভালোবাসা, দায়ীত্ববোধ, একেঅপরের প্রতি যে একটি সৈজন্যবোধ, মিলেমিশে কাজ করা হারিয়ে গেছে। তাঁরা ডিজিটালের মত খপা খপ নেব আর দেব।
এখন আপনার লেখার পরিপ্রেক্ষিত বলা যায় সিঙ্গেল থাকায় উত্তম। কারন আমরা কেউ না কেউ সংসারে নিষ্পেষিত হতে হতে সঙ্গারের প্রতি বিতৃষ্ণা।
বাস্তব উদাহরন দিই, আমি তখন একটি এন জি ও তে কাজ করি। তখন মনে করতাম এরাই খারাপ। যাইহোক, আমার নির্বাহী প্রধানের ছোট ভাই আর্মি অফিসার, ভাই বোনে গল্প করতে করতে তাঁর ভাই বলত আপু, আপনারা সব এন জি ও গুলা নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করে কিন্তু অনেক ঘরে পুরুষ নির্যাতন হয় তাঁদের নিয়ে কাজ করেন না কেন?
অনেক দিন পর সেই ম্যাডাম বুঝতে পারে তাঁর ভাই ও নিরযাতিত।
হয় তো আপনি বলবেন এটা আর কয়জন?? না আপু অনেক দেখেছি পুরুষরা সংসারে শান্তি বজায় রাখতে অনেকে অনেক অনিচ্ছা স্বতেও বউয়ের কিছু আবদার মানতে বাধ্য হয়, কিইন্তু এগোলও এক্সময় এমন পর্যায় যায় মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না।
তাই আবার বলছি মনে সিঙ্গেল ব্যাবস্থায় ভালো।
নীরা সাদীয়া
সিঙ্গেল থাকা কোন সমাধান নয়। তবে আপনি নিজেও যদি নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন বা আপনার চারপাশে এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে সেটা নিয়েও লিখতে পারেন।
তবে সংসারের ক্ষেত্রে উভয়কেই কিছু না কিছু ছাড় দিতে হবে। এটাই নিয়ম।
মোঃ মজিবর রহমান
না আপু অনেক ব্যাক্তি সমস্যা আমি সবার মাঝে আনতে অনুচিত মনে করি বা আমার সেই রকম কোন লেখার যোগ্যতা নাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার মনের মতো গল্প লিখেছো আপুনি।
দারুণ লিখেছো। :c
নীরা সাদীয়া
অনেক ধন্যবাদ দিদি। শুভকামনা রইলো।
তৌহিদ ইসলাম
কিছু সত্য বাস্তব চিত্র খুব সুন্দরভাবে আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে। এ অবস্থা পরিবর্তনে একটা হাজবেন্ড এর বাসার মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন সবচেয়ে জরুরী। শুভকামনা, ভালো থাকবেন আপু।
নীরা সাদীয়া
ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
একজন শিক্ষার্থী যেমন শত প্রস্তুতি নেবার পরেও বুঝতে পারেনা প্রশ্নপত্র কেমন হবে,তেমনি বিয়ের আগমুহূর্তেও বোঝা যায়না বিয়ে পরবর্তি জীবন কিভাবে কাটবে।যার প্রশ্ন কমন পরে তিনি নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় উর্ত্তীন হোন।কিন্তু যার সঠিক উত্তর জানা নেই সেও শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করতে থাকে পাশ করার জন্যে।জীবনটাও এমন।প্রেমের বিয়ে বা অ্যারেন্জ বিয়েতে খুব একটা পাথর্ক্য নেই।বিয়ের পরে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি উভয় বিয়ের মানুষদেরই পরতে হয়।
আপনার লেখাটি অস্বাধারন লেগেছে।আশা করছি আপনি নিয়মিত লিখবেন।অনেক শুভ কামনা। (3 -{@ -{@
নীরা সাদীয়া
একদম ঠিক বলেছেন। এই পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে। কেন সবসময় মেয়েটিকেই বৌ হয়ে ওঠার পরীক্ষা দিতে হবে? ছেলেরা যদি বিয়ে করেই জামাই বনে যেতে পারে, তবে মেয়েদের বেলায় কেন এত কঠোরতা?
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালোবাসা ❤