একবার মনে হলো ফিরে যাই
তোমার ঐ বন্ধ দরজার এপার থাকে
পেছন ফিরতেই থমকে গেলাম আমি
নাহ আর চলতে পারছি না।
দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ক্লান্ত শ্রান্ত অবসন্ন দেহকে
সামনে এগিয়ে নেবার ক্ষমতা নেই আমার
আবার পিছন ফিরে তোমার দরজায়
অাঘাত করবো এমন সাহসও যে পাচ্ছিনে।
অনেক কষ্টে বন্ধ দরজায় আঘাত করে
তোমার দোর খোলার অপেক্ষায় থাকলাম।
ঠিক এমনি সময় কাঁধের উপর আলতো হাতের স্পর্শে চমকে উঠি!
ভয়ে বুকটা কেঁপে ওঠে ,কি জানি কার স্পর্শ?
(নিলয় কখনো নীরাকে স্পর্শ করেনি তাই এ স্পর্শ চেনা নয় নীরার)
সন্ধ্যায় আধো আলো ছায়ায় নীরা কে চিনতে একটু ভুল হয়নি নিলয়ের
নীরা!তুমি?
নিলয়! হ্যাঁ এতো নিলয়,নিলয়েরই কণ্ঠ। দ্রুত পেছন ফিরে দেখি
নিলয় ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে
তুমি! তুমি বাইরে তাহলে দরজার ও পারে,,,,,,,,,,
দরজা তলা বন্ধ নীরা, তুমি বোধহয় খেয়াল করো।
ওহ!
নীরা! কি হয়েছে তোমার, ঠিক আছো তুমি
কেমন আছো তুমি নীরা?
হ্যাঁ! আমি ঠিক আছি, ভালো আছি নিলয়, তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমি ভালো আছি,তোমার থেকে দূরে গিয়ে আমি ভালো আছি। ভালো আছি আমি ভালো আছি,ফুঁপিয়ে উঠলো নীরা ।
নীরা! এতো রাতে তুমি কোথা থেকে এলে, সেই যে গেলে চলে, আজ এতো দিন পর কোথা থেকে এলে নীরা?
নিলয়, তুমি কেমন আছো?
তুমি জানো না নীরা আমি কেমন আছি, কেমন থাকতে পারি?
জানি নিলয়, আমি জানি তুমি কেমন আছো, কতোটা কষ্টে আছো? যে কষ্ট আমি তোমায় দিয়েছি তাতে কেউ ভালো থাকে না নিলয়। জানি আমি জানি
আচ্ছা বাদ দাও নীরা
না নিলয় আজ আমাকে বলতে দাও,আজ আর থামিয়ে দিও না নিলয়।এতো দিন যে যন্ত্রণা আমি তোমাকে দিয়েছি সেই একই যন্ত্রণা আমিও বয়ে বেড়িয়েছি নিলয়।একটা দিনের জন্য,একটা মুহূর্তের জন্য আমি তোমায় ভুলতে পারিনি নিলয়। নিলয় আমাকে শাস্তি দাও, শাস্তি দাও নিলয়,,,,,,
বলেই হু হু করে কেঁদে উঠলো নীরা
নীরা, এই নীরা শান্ত হও। তোমার উপর আমার কখনো কোনো অভিযোগ ছিলো না নীরা, না আজ আছে। আজো তেমনই ভালোবাসি যতটা আগে বাসতাম।ভালোবাসাকে শাস্তি দেওয়া যায় না নীরা।আর তাছাড়া তুমি নিজেও তো কম কষ্ট পাওনি ।
নিলয়, আমি সব পিছুটান ছিন্ন করে তোমার কাছে এসেছি। গ্রহণ করবে আমায়, এই আমাকে স্থান দেবে তোমার পায়ে?
বলেই নীরা ঝাঁপিয়ে পড়লো নিলয়ের পায়ে।
এই নীরা কি করছো, কি করছো? ওঠো তোমার স্থান পায়ে নয়, বুকে। বলেই নীরাকে বুকে টেনে নিলো।
নীরাও নিলয় কে শক্ত করে ধরলো
দুজন দুজনার বাহুডোরে বাঁধা পড়ে গেলো। একে অপরের ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে উঠলো। জোনাকিরা তাদের আলো ছড়িয়ে দিলো, ফিরে পেলো তারা নব যৌবন
মহাকাল স্বাক্ষী হলো তাদের ভালোবাসার।সমাপ্ত হলো তাদের অসমাপ্ত প্রেম,তৃষিত হলো দুটি চাতক প্রাণ
৩৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
গভীর ভালোবাসার মাঝে থাকলে একজনকে অন্যজনকে আঘাত করলে নিজেই তার চেয়ে বেশী কষ্ট পায়।
এই কষ্টকে বুঝানো যাবে না।
মিলনাত্মক লেখা ভালো লাগলো।
আপনার উপস্থাপনা সুন্দর।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভিন
কৃতজ্ঞতা সহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
শাহরিন
ভালোবাসার জন কখনো একে অপরকে কষ্ট দিয়ে ভালো থাকতে পারে না। যারা বোঝে তাদের ভালোবাসাই দীর্ঘস্থায়ী হয়। গভীর প্রেমালাপ পড়ে ভালো লাগলো।
সুরাইয়া পারভিন
একদম সঠিক বলেছেন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আপু
এস.জেড বাবু
আমি সব পিছুটান ছিন্ন করে তোমার কাছে এসেছি। গ্রহণ করবে আমায়, এই আমাকে স্থান দেবে তোমার পায়ে?
কতজন আর স্থান দেয়ার সামর্থ রাখে ততদিন !!
নীরা সৌভাগ্যবতী ।
সুন্দর উপসংহার।
সুরাইয়া পারভিন
সত্যিই নীরা সৌভাগ্যবতী ছিলো
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
হালিম নজরুল
“হ্যাঁ! আমি ঠিক আছি, ভালো আছি নিলয়, তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমি ভালো আছি,তোমার থেকে দূরে গিয়ে আমি ভালো আছি। ভালো আছি আমি ভালো আছি,ফুঁপিয়ে উঠলো নীরা ।”
———————ভাল আছি বললেও ভাল থাকে না কেউ।
সুরাইয়া পারভিন
একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
নৃ মাসুদ রানা
বেশ লিখেছেন তো..
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
কামরুল ইসলাম
সমাপ্ত হলো, অসমাপ্ত প্রেম, মাথা গুঁজে বুকে
সন্ধ্যা নামে, জোছনা ছড়ায়, মহাকালের সুখে।
ভাল লিখেছেন ।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
প্রদীপ চক্রবর্তী
দুজন দুজনার বাহুডোরে বাঁধা পড়ে গেলো। একে অপরের ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে উঠলো। জোনাকিরা তাদের আলো ছড়িয়ে দিলো, ফিরে পেলো তারা নব যৌবন
মহাকাল স্বাক্ষী হলো তাদের ভালোবাসার।সমাপ্ত হলো তাদের অসমাপ্ত প্রেম,তৃষিত হলো দুটি চাতক প্রাণ।
খুবি সুন্দর উপস্থাপন।
শেষ তাদের ভালোবাসায় মহাকাল সাক্ষী হলো।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
পায়ে পড়া প্রেম! এখন অচল, আপনি একটু অন্য ভাবে বলুন।
সুন্দর বলতে চাই।
সুরাইয়া পারভিন
মেকি প্রেমের দুনিয়াতে পায়ে পড়া প্রেম সত্যিই বিরল। তবুও প্রেমিক মন চাইবেই এমন প্রেম আসুক জীবনে।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
হালিম নজরুল
“না নিলয় আজ আমাকে বলতে দাও,আজ আর থামিয়ে দিও না নিলয়।এতো দিন যে যন্ত্রণা আমি তোমাকে দিয়েছি সেই একই যন্ত্রণা আমিও বয়ে বেড়িয়েছি নিলয়।একটা দিনের জন্য,একটা মুহূর্তের জন্য আমি তোমায় ভুলতে পারিনি নিলয়। নিলয় আমাকে শাস্তি দাও, শাস্তি দাও নিলয়,,,,,,
বলেই হু হু করে কেঁদে উঠলো নীরা”
—————–ভাল লাগলো।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
অনন্য অর্ণব
চমৎকার প্রেম কাব্য
সুরাইয়া পারভিন
কৃতজ্ঞতা অশেষ প্রিয়
সঞ্জয় মালাকার
গভীর ভালোবাসার মাঝে একজন আরেক জনকে কষ্ট দেল নিজেই কষ্ট পায়।
একবার মনে হলো ফিরে যাই
তোমার ঐ বন্ধ দরজার এপার থাকে।
চমৎকার প্রেম কাব্য।
সুরাইয়া পারভিন
Cordially thanks dada
তৌহিদ
এ জামানায় এমন প্রেম সত্যিই বিরল। ভালোবাসাবাসির গল্প দারুণ লেগেছে। একজনের জন্য অন্যজনের সহমর্মিতা না থাকলে কি আর প্রেম জমে?
ভালো থাকবেন।
সুরাইয়া পারভিন
Well said,,, thanks a lot for your excellent comment
রুমন আশরাফ
“ভালোবাসাকে শাস্তি দেওয়া যায় না।”
সত্যিই তাই। ভাল লাগলো।
সুরাইয়া পারভিন
Cordially thanks vaiya
ব্লগ সঞ্চালক
প্রিয় ব্লগার,
সোনেলার সাথে আছেন বলে সোনেলা ব্লগ টীম এর পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
আপনার লেখা সোনেলার লেখার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।
আপনাকে মন্তব্য কন্যা হিসেবে অভিহিত করা যায় 🙂
শুভ ব্লগিং।
সুরাইয়া পারভিন
মন্তব্য কন্যা,,,ওয়াও দারুণ তো।😱😱
কৃতজ্ঞতাসহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
আমি ধন্য এমন উপাধি পেয়ে
শফিকুল ইসলাম
নিটোল প্রেমের মধুময় স্পর্শ পেলাম লেখার মাঝে।
অনুভবের স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সিক্ত হয়েছে কথামালা।
কলম চলুক… শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভিন
কৃতজ্ঞতা সহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
কামাল উদ্দিন
আমাদের জানার মাঝেও অসমাপ্ত রয়েই গেল, নীরা মাঝখানে গিয়েছিলটা কোথায়? …………কবিতায় ভালোলাগা
সুরাইয়া পারভিন
কোনো এক গল্পে সেটাও জানিয়ে দেবো
সাথেই থাকুন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
কামাল উদ্দিন
অপেক্ষায় থাকলাম আপু