তবে শোন, কবি এভাবেই বলেছিলেন….
অনিচ্ছা স্বত্বেও সেদিন গিয়েছিলাম অন্ধগলির সেই অভিশপ্ত কামরা’য়, তোমাকে ছুঁতে পারিনি বলে ধিক্কার দিয়ে বলেছিলে “আমি একটা কাপুরুষ”। প্রত্যুত্তরে কিছুই বলতে পারিনি সেদিন, রুলারে পিষ্ঠ হওয়ার মতোই নুয়ে পড়েছিলো মাথাটা; শত অভিযোগের বোঝা নিয়েও নিঃশর্তে মুক্তি দিয়েছিলাম তোমাকে…..
তার ঠিক দু’মাস পর….অভিভাবকের তিরস্কারে বাধ্য হয়েই অভিভাবকের মন রক্ষার্থে কনে দেখতে সেদিন গিয়েছিলাম বাবা বন্ধুর বাসায়। তারা আমাকে সুন্দরী কনে দ্যাখাবে, তাদের খুব পছন্দ তাদের বন্ধুর মেয়ে। সেই বাসায় প্রবেশ করে যখন কনে দ্যাখার শুভক্ষণটি সম্মুখে এলো, আমি তো অবাক। সেকালের সেই ঘোমটা পরা সুন্দর হাতের একটি মেয়ে আমার সামনে রাখা সোফায় বসলেন… যখন ঘোমটা খুলে মুখটা দ্যাখানো হলো, আমি বধির হয়ে গেলাম…
মুর্তির মতো থাকতে দেখে দুপক্ষ থেকেই একরকম জোড় করে পাঠিয়ে দিলো একটি কামরা’য়, আজ এই কামরাটিকেও আমার সেই কামড়ার মতোই মনে হচ্ছিলো, তার মুখের দিকে আর তাকাতে পারিনি, হঠাতই বুঝতে পারলাম কে যেন আমার পায়ের কাছে বসে দু-হাত জোড় করে ক্ষমা ভিক্ষা করছে। সেদিনের চেয়ে আরও দ্বিগুন ওজনের বোঝা আমার পুরো শরীরটাকে পিষ্ঠ করে গেলো…
অতঃপর, আজ আমি সুপুরুষ। সেই দিনের মুক্তি আর সেদিনের ক্ষমা আজ আমাকে মহান করেছে। তাকে শুধু একটি কথাই বলেছিলাম, যাই করো না ক্যানো বিশ্বাস ভেঙো না; পৃথিবীতে তোমার আমার আয়ুদীর্ঘ নয়। কি হবে সৃষ্টি ভুলে ধর্ম ভুলে ভোগ বিলাসে মত্ত থেকে?
বুঝতে পারলে বুঝে নিস.. বাকিটা ইতিহাস।
তোর ন্যাকামো আর গেলো না,
বিস্তারিত জানতে হলে আরো সময় লাগবে, তারচেয়ে তুই সুর্পণাকে কিছু সময় ভুলে এই লেখাটি ভাবতে থাক। এই সুযোগে আমি একটু ঘুমিয়ে নিই।
–চলবে।
২টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিশ্বাস ভাঙ্গলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। কবিতার ছলে দারুন একটি শিক্ষনীয় বিষয় পেলাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
মনির হোসেন মমি
পৃথিবীতে বেচে থাকার একমাত্র সম্বল ঐ বিশ্বাসটুকুই। দারুণ কাব্য কবি।চলুক লেখা।তবে প্রতি পোষ্টে পূর্ব প্রকাশিত পোষ্টের লিংক যোগ করে দিলে পাঠক উপকৃত হত।ধন্যবাদ প্রিয়।