জলিল মিয়া :আর কইওনা মিয়া অনেক দিন ধইরা আমার জমিটা বন্ধক আছে মহাজনের কাছে। ছোট পোলাটার অসুখের লাইগা মহাজনের কাছ থাইকা বিশ হাজার টাকা নিছিলাম।মহাজন কইছে তিন মাসের মধ্যে টাকা ফিরত দেওন লাগব। কিন্ত অহনো পুরা টাকার জুগার করতাম পারিনাই।টাকা দিতে না পারলে মহাজন আমার জমি দখল নিয়া নিবো। জমি নিয়া নিলে আমার সব শেষ হইয়া যাইবো।
রমিজ মিয়া :তোমার কথা হুইননা খারাপ লাগতাছে কিন্ত কি করুম কও আমার অবস্থাতো জানোই কত কষ্ট কইরা দিন যাইতাছে। তোমারে সাহায্য করতে পারলে মনডা ভালা লাগতো। কত টাকা জুগাড় করছো?
জলিল মিয়া : আট হাজার টাকা।
রমিজ মিয়া :তাইলে মিয়া একটা কাম কইরা দেখতে পারো
জলিল মিয়া :কী কাম?
রমিজ মিয়া :যেই টাকা আছে তা দিয়া মহাজনের কাছ থাইকা আরো কিছু দিনের সময় নেয়ও
জলিল মিয়া :না মিয়া মহাজন যেই মানুষ সে কুনমতেই রাজি অইবো না।
রমিজ মিয়া :রাজি অইবো একটা উপাই আছে
জলিল মিয়া :কি উপায়?
রমিজ মিয়া:আমডার গ্রামের মাস্টার মশাই রে লগে লইয়া তুমি যাইবা।মাস্টার মশাই হলো সম্মানিত মানুষ মহাজন তার কথা ফেলতে পারবো না
জলিল মিয়া :ঠিক আছে তুমি যহন কইলা আমি যামু মাস্টার মশাইয়ের কাছে।
তারপর রমিজ মিয়া মাঠে চলে গেল
জলিল মিয়া কয়েক পা হাটার পর দূর থেকে দেখল মাস্টার মশাই হেটে যাচ্ছে।”মাস্টার মশাই বলে জুড়ে ডাকলো
জলিল মিয়া:অসসালামুয়ালাইকুম মাস্টার মশাই।
মাস্টার মশাই:ওয়ালাইকুমআসসালাম।কেমন আছ জলিল?তোমার ছেলের কি অবস্থা?
জলিল মিয়া:আপনাদের দোয়ায় ভালা আছে স্যার।এহন আগের থাইকা অনেকটা সুস্থ।আপনার লগে আমার কিছু কথা আছিল।
মাস্টার মশাই:ঠিক আছে আমি এখন স্কুলে যাচ্ছি বিকালে বাসায় আসো তারপর শুনব।
জলিল মিয়া:আইচ্ছা আমি বিকালে যামু।
মিমি ক্লাস নাইনে পড়ে।তার জন্য অনেক বিয়ের সমন্ধ আসে।কিন্ত রমিজ মিয়া এখনই মেয়ের বিয়ে দিতে চায়না।সে ভাবে মেয়েকে পড়াশুনা শিখিয়ে শিক্ষিত করবে।আশেপাশের কিছু পারাপরসিড় নানান ধরনের কথা শুনে আমেনা বেগম বলে মেয়েকে এতো পড়াশুনা শিখিয়ে কি লাভ?পরের বাড়ি গিয়ে রান্না বান্নার কাজ করতে হবে তার জন্য এত বেশি পড়াশুনার দরকার নাই যতটুকু করেছে তাতে চলবে।আমাদের এমন অভাবের সংসারে এইসব মানায় না।উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তারা যাদের অনেক টাকা আছে।মিমি চায় পড়াশুনা করে একজন শিক্ষিকা হবে।কিন্ত পরিবেশ পরিস্থিতি যেমন হয়েছে তাতে মনে হয় বেশিদিন লেখাপড়া আর হবেনা।
চলবে…..
১৬টি মন্তব্য
বনলতা সেন
পড়লাম এটিও ।
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ।
স্বপ্ন নীলা
চলুক —– তবে মিমির বিয়ে দিয়ে দিও না কিন্তু এত তারাতারি ——
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ আপু।
মা মাটি দেশ
চলুক -{@ (y)
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
শুধু কথোপকথান দিয়ে গল্প লেখা দারুন লাগলো
এভাবে লেখা কিন্তু অত্যন্ত কষ্টকর ।
বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা তো ভালোই লিখছেন ?
লেখকের বাড়ি কি বরিশালের দিকে ?
মশাই
হা হা হা ভাইয়া লেখকের বাড়ি বরিশাল বলে মনে হয় না, হতে পারে স্বামীর বাড়ি বরিশাল।
পুষ্পবতী
মশাই এইসব কি হচ্ছে?বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্ত?
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ ভাইয়া।বরিশালের ভাষা হয়ে গেছে?
আমিতো বুঝতে পারিনাই মনের মধ্যে যেমনটা আসছে তেমনটা লিখেছি।
আমার বাড়ি সিলেটে।
মশাই
দুটি পর্বই পড়লাম। চর্চা চালিয়ে যাও এক সময় ভাল গল্পকার হতে পারবে জীবনে। প্রথম পর্বের গল্পের উপস্থাপনা বেশ লেগেছে আর তাছাড়া আঞ্চলিক ভাষায় গল্প লিখতে গেলে ভাষা নিয়েই আমার মাথা ব্যাথা শুরু হয়। ভাল লিখেছ, আমি আছি গল্পের শেষ পর্যন্ত।
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ মশাই পড়ার জন্য।
স্বপ্ন
ভালো লিখছেন আপু।
পুষ্পবতী
ধন্যবাদ আপু। -{@
সিনথিয়া খোন্দকার
ভাল লেগেছে। চলুক। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ভালো হচ্ছে গল্প। লিখুন আরো।