দুখিঃত বলিনি কখনো –
ভেবেছি বলবার প্রয়োজনই নেই।
আমি দুঃখ পেলে জেনেছিলাম –
তোমার স্বর বিষন্নতার ফুল ফোঁটায়।
তোমার বুকে ডাকে মেঘ, জল ছলকায়।
তাই,
দুখিঃত বলিনি কখনো,
ভেবেছি বলবার প্রয়োজনই নেই।
জানিনি কখন অঙ্গুলীস্পর্শ ছেরে হয়েছি সূদূর এমন,
দুরত্ব বেড়ে কবে হয়েছে এমন পরবাস –
অয়নান্তরেখায় দাড়িয়ে স্থির জানতেও পারিনি,
আমি আর নেই কিছুতেই –
তোমার মনখারাপের ঘুড়ি সুতো ছিঁড়ে উড়িয়ে দেবার
নই আর নিজস্ব উন্মুক্ত আকাশ।
তবু,
দুখিঃত বলিনি কখনো –
ভেবেছি বলবার প্রয়োজনই নেই।
দুখিঃত, বলবোনা কখনোই।
১৫টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এখন তো প্রিয় লিস্ট আছে, যখন তখন নিতে পারি। না বলে নেবার জন্য দু:খিত বলবোনা কখনোই 🙂
দূরত্ব কখন বেড়ে যায় এমন তা কী কেউ জানি, তবে কাছে থেকেও দূরত্বের চেয়ে তা অনেক কিন্তু ভালো।
এতো আবেগের কাছে কাছে, দূরে ব্যাপারই না। অনেক সুন্দর কবিতা।
আগুন রঙের শিমুল
কিছু কিছু দুরত্ব বেড়ে বেড়ে হয়ে যায় আকাশ, চাইলেও ফেরা যায়না। সময় অবশ্য ভুলিয়ে রাখে, তবু বাউড়ি বাতাসে ধুলো সরে গেলেই দগদগ করে ক্ষত 🙂
ধন্যবাদ নেয়ার জন্য 🙂
মেহেরী তাজ
দুখিঃত বলিনি কখনো……
বলতে পারে না যারা তাদের কাছে এটা শুনতেও কেমন যেনো লাগে!
বলার দরকার নাই!
আগুন রঙের শিমুল
আচ্ছা, দরকার নেই 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
উমুক্ত আকাশ না থাক্লেও আপন ঘরে বলার প্রয়োজন আছে বলেও মনে হয় না।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
আগুন রঙের শিমুল
মাঝেমধ্যে মনে হয় বলতে পারলে খারাপ হতোনা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
‘দুঃখিত’ এই শব্দটা গভীর আবেগে আসেনা। তবে আবেগের টানাপোড়নে খুব প্রয়োজন।
কবিতায় ভালো লাগা রইলো। আপনি অনেক ভালো লেখেন।
আগুন রঙের শিমুল
হ্যাঁ, স্বাভাবিক নিয়ম মেনে যারা মুখে বলতে পারে এন্ড অব দ্য ডে তারাই ভালো থাকে। আর যারা ভাবে আমি দুখিঃত এইটা বুঝে নেবে …. তারা 🙂
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রতিমন্তব্য ভালো লেগেছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
নীহারিকা
জেদ কেনো? অভিমান বা যাই হোক,
দু:খিত হলে বলে দিলেই হয়।
আগুন রঙের শিমুল
জেদ, নাহ জেদ না। অহঙ্কার 🙂
ব্লগার সজীব
দুঃখিত বলার কি বাকী আছে ভাইয়া? 🙂 আপনার লেখাগুলো পড়লে ভিতরে থেকে যায় ধ্বনি।
আগুন রঙের শিমুল
বাকি আছেরে ভাই, বলতে পারলে ইতিহাস অন্যরকম হতো, হয়তো 🙂
ভালোবাসা সজীব
নীরা সাদীয়া
বেশ লাগল এ দুঃখগাঁথা।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ নীরা 🙂 আপনার অসুখ করলে কলকাতার মানুষেরা খুব দুখী হয়ে যায় 🙂