: সবাই আস্তে আস্তে অনেক পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছি। চেনার ভেতরেই নতুন করে অচেনা হয়ে যাচ্ছি। হারিয়ে যাচ্ছি একই স্থানে বসে থেকেও।
› সময়ের সাথে সবই বদলায়। প্রকৃতির তো এটাই নিয়ম। প্রকৃতি কখনো নিয়ম ভাঙ্গে না।
: তবুও কেউ পুরানো সুতা আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে চায়। তাদের পরিবর্তন হয়েও হয় না। ভেতরে ভেতরে পুরাতনই থেকে যায়।
› তাই তো তাদের এই প্রকৃতি সাথে নেয় না। ফেলে সামনে এগিয়ে যায়। কি লাভ পুরাতন ধরে রেখে? কি ক্ষতি নতুন কে গ্রহণ করতে?
: লাভ ক্ষতির হিসেব করে তারা পুরাতন আঁকড়ে থাকে না। তবে নতুনের মাঝে নিজেকে নিজের সত্ত্বাকে হারানোর ভয় থাকে। তারা দেখেছে, জেনেছে অনেকেই হারিয়েছে এই নতুনের প্রকৃতিতে। নতুন সময় অনেক কে গ্রাস করেছে পুরাতন ছেড়ে দেবার কারণেই। তাদেরই বা কি দোষ বল??
› পুরাতন কে আঁকড়ে ধরে যদি সুখী হতো, যদি না পাওয়ার দীর্ঘশ্বাস না থাকতো তাহলে সেটাই তো ভালো হত। কিন্তু তা কি হয়েছে?
: তা হয়তো হয়নি। কিন্তু পুরাতন ছেড়ে যারা আপন সত্ত্বাহারা হয়েছে তারাই বা কতটুকু সুখে আছে নতুনত্বে সেটাও কিন্তু দেখার বিষয়।
› তারা ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই চেষ্টা করা থামিতে দিলেই তো সব নির্জীব লাগে।
: হয়তো! আবার হয়তো এমনও হতে পারে তারা নিজেদের পুরনো অবস্থানটাকেই খুঁজে চলেছে লোক চক্ষুর অন্তরালে। কে জানে বল?
(এরপর অজানা, কথোপকথন এগুলে হয়তো চলবে। নয়তো এখানেই সমাপ্তি..)
২৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
লেখককেও দেখছি নূতন অনুভুতির রাজ্যে বিচরণ করতে। নতুনকে স্বগত পুরোনো শিক্ষা বহন করে।
আপডেট নিলাম, অলিভারের সাথে।
অলিভার
লেখক এখনো পুরাতনকে আঁকড়ে থাকতে চায় :p সে অন্য কেউ যে লেখক কে নতুন নতুন অনুভূতির রাজে প্রবেশ করতে ইন্ধন যোগাচ্ছে। যদিও লেখক কোনভাবেই নতুন এই অনুভূতি গুলিকে বুঝতে পারছে না, তবুও চাপাচাপি সহ্য করতে না পেরে ঘুরতেই হচ্ছে তাকে অনিচ্ছাতেই।
প্রজন্ম ৭১
কথোপকথন ভালোই লেগেছে, চলুক এমন কথোপকথন ।
অলিভার
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কথোপকথন তো সবসময় এভাবে উপস্থিত হয় না, আবার যখন হয় তখন সেও থাকে অগোছালো। তাই ঠিক কখন কিভাবে আবার হবে তা নিয়ে আমিও খুব সন্দিহান। তাই শেষে সেই অপারগতাকে স্বীকার করেই নিয়েছি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মানুষ নিজেকে খুব বেশি পরিবর্তন করতে পারে কি? নতুন পুরনোর সহাবস্থানেই নিজেকে খুঁজে পেতে হবে। কথোপকথন চলুক।
অলিভার
মানুষ হয়তো ভেতর থেকে নিজেকে খুব পরিবর্তন করতে পারে না। কিন্তু সময়ের টানে নতুন সব পরিস্থিতি পরে তাকে বাইরে থেকে পরিবর্তিত আচরণে অভিনয় করতেই হয়। কেউ কেউ সেই অভিনয় করতে করতে এমন দক্ষতা অর্জন করে যে ভেতর থেকে সেই পুরনো সে নিজেকে ভুলিয়ে দেয়। আর কেউ কেউ অভিনয়ে অনভিজ্ঞতার কারণে পিছনেই পড়ে থাকে। সামনে আর এগুতে পারে না।
কথোপকথন চললে অবশ্যই আপডেট জানাবো। শুভ কামনা থাকলো 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
হয়তো! আবার হয়তো এমনও হতে পারে তারা নিজেদের পুরনো অবস্থানটাকেই খুঁজে চলেছে লোক চক্ষুর অন্তরালে। কে জানে বল?
পুরাতনকে এড়িয়ে কি জীবন চলে। মানুস হয়ত পরিবর্তনশীল আবার নতুনকে ধরতে না পারলে ফিরে আসা।
অলিভার
পুরাতনকে এড়িয়ে জীবন চলে কি না তা জানি না ভাইয়া, এতটা অভিজ্ঞতা এখনো হয়নি জীবন নিয়ে।
তবে কেউ কেউ পুরাতনকে ঠেলে সরিয়ে যখন এগিয়ে যায় আর নতুনের সাথে যখন নিজেকে মিলাতে পারে না তখন আবার পিছনের দিকেই ছুটে আসতে চেষ্টা করে। তবে উপরে থেকে সেটা বোঝা যায় না।
শুভ কামনা থাকলো ভাইয়া 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত
মানুস সামনে এগুতে অবস্যই চাই।
অলিভার
বেঁচে থাকলে মানুষকে এগুতেই হবে। চাই সেটা হোক স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়। এগুতে তাকে হবেই।
আম্মানসুরা
প্রতিটা মানুষের মনে একটা সময় এই কথোপকথন চলে, যখন সে পুরানদের খাতায় নাম লেখায়। এই সময়টা অনেক দ্বিধার!
অলিভার
সত্যিই ঐ সময়টা বড় দ্বন্দ্বে ফেলে দেয় আপু। না পারে নতুনের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে, না পারে পুরাতনকে নিজের মধ্যে পুনরায় ধারণ করতে।
নুসরাত মৌরিন
পুরাতন আঁকড়ে থাকা মানুষ গুলো দিনশেষে নিজের সাথে থাকে…আমার তো তেমনই মনে হয়।নতুনের অবগাহনে গা ভাসাতে নিজেকে যারা ভোলে তারা আসলে খুব বেশি ভাল থাকে কি?
কথোপকথন ভাল লাগলো। 🙂
অলিভার
দোটানায় থাকে সবসময়, যখন এভাবে থাকে তখন ওভাবে থাকার জন্যে আফসোস হয়। আবার যখন ওভাবে থাকার অবস্থা তৈরি হয় তো তখন পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবার ইচ্ছে জাগে। ভালো থাকা মন্দ থাকা পুরোটাই সেই ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। যদি যে অবস্থানেই আছে সেটাকে নিজের অনুকূলে ভেবে নিতে পারে তখন আর এই সমস্যাটা হয় না। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই অনুকূলে থাকা মেনে নেয়াটাই কেউ করতে পারে না। তাই তো বার বার পিছনে ফিরে যেতে চায়।
কথোপকথন ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম, শুভ কামনা জানবেন আপু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মনোযোগী অলিভারকে দেখ ভালই লাগে।
অলিভার
:D) ভাইয়া মনযোগী আর আমি !!!
দুদিন ছুটি ছিল, সেটার উসুল তুলে নিলাম :p
ব্লগার সজীব
নিজস্ব উপলব্দি ভালো লেগেছে ভাই।
অলিভার
অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্যে 🙂
জিসান শা ইকরাম
অলিভার লেখায় নতুন মাত্রা ( ডাইমেনশন বলা যায় ) আনছে।
এটি বেশ ভালো ।
চলমান থাকুক
নিজকে অতিক্রম নিজকেই করতে হয়।
অলিভার
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
নতুন মাত্রা কিন্তু পুরাতনকে ঘিরে। কেউ কেউ সেই মায়া অতিক্রম করে নিজের গন্তব্যে পৌছতে পারে। বাকিরা একবার হলেও পিছু ফিরে তাকায়।
কৃষ্ণমানব
অজানা বাস্তবতার টাণে সত্যরা আজ পিছুটাণ ছেড়েছে !
ভাইয়া
লেখাটা পড়ে অনেক কিছুই বলার থেকে যায় ।
মৌনতার মাঝে ও এক প্রকার তন্দ্রা আছে ।
অলিভার
সোনেলা পরিবারে স্বাগতম কৃষ্ণমানব 🙂
অনেক কথাই অনেকের না বলাই থেকে যায়, তারপরও কেউ কেউ বলতে চেষ্টা করে। আপনিও করুন, আমরা শুনবো 🙂
মরুভূমির জলদস্যু
লেখা চলুক
যা লিখেছেন তাও চলে…..
অলিভার
ধন্যবাদ ভাইয়া সময় নিয়ে লেখাটা দেখার জন্যে।
শুভ কামনা জানবেন 🙂
বনলতা সেন
নূতন মাত্রা যোগ হচ্ছে লেখায়। চালু রাখতে হবে।
অলিভার
চেষ্টা থাকবে আপু 🙂
সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা জানবেন 🙂
মানিক পাগলা
লাভ ক্ষতির হিসেব করে তারা পুরাতন আঁকড়ে থাকে না। তবে নতুনের মাঝে নিজেকে নিজের সত্ত্বাকে হারানোর ভয় থাকে। তারা দেখেছে, জেনেছে অনেকেই হারিয়েছে এই নতুনের প্রকৃতিতে।
আমি মনে হয় এই দলের সদস্য।
অলিভার
সদস্যপদের হিসেব করলে আমার অবস্থানও এই দলেই।
ধন্যবাদ ভাইয়া সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্যে 🙂