আমার দেখা প্রথম কোরিয়ান সিরিয়াল “I’m Sorry, I Love You”। আজ পর্যন্ত জীবনে যত সিরিয়াল দেখেছি এখন পর্যন্ত মনে সবচেয়ে গাঢ়ভাবে দাগ কেটেছে এই সিরিয়ালটি। এই সিরিয়ালটিই আমার সবচেয়ে প্রিয় সিরিয়াল। এটা নিয়ে লেখার আগে অনেক ভাবতে হয়েছে, আদৌ লিখবো কিনা। কারণ, হয়ত লেখায় আবেগ সম্পূর্ণতা পাবে না।
“I’m Sorry, I Love You” ২০০৪সালের অন্যতম হিট একটি রোমান্টিক মেলোড্রামা। ১৬টি পর্বের সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন So-Ji Sub ও Im Soo Jung। এই সিরিয়ালটিই এই দুজনকে তারকা করে তোলে। Im Soo Jung এরপর সরাসরি বড়পর্দায় চলে যান। আর So-Ji Sub বেশ ভালভাবেই ছোট পর্দায় সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। আমি এই সিরিয়াল দেখে দুজনের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এবং So-Ji Subএর প্রেমেও পড়ে গিয়েছিলাম, সেই প্রেম আজো কাটেনি। 😛
“I’m Sorry, I Love You” হল এক কথায় আবেগ আখ্যান। পুরোটা সময় আপনাকে আবেগে ভাসিয়ে রাখবে সিরিয়ালটি। আপনি নিজে কতটা কোমল সেটাও বুঝতে পারবেন। সিরিয়ালের মূল কাহিনী Cha Moo Hyuk ও Song Eun Chaeকে কেন্দ্র করে। Cha Moo Hyuk অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী কোরিয়ান। Cha Moo Hyukকে অস্ট্রেলিয়ান এক দম্পতি দত্তক নিয়েছিল। Cha Moo Hyukএর সাথে তার পালক মা-বাবা ভালো ব্যবহার করতো না। তাই অল্প বয়সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকে রাস্তায় রাস্তায়। যোগ দেয় লোকাল ঠকবাজ ও গুন্ডাদের গ্যাঙে, যারা ট্যুরিস্টদের ঠকিয়ে তাদের টাকা নিয়ে নেয়। Cha Moo Hyukএর জীবনে শুধু একজন মানুষই তার সব কিছু, তার প্রেমিকা Moon Ji Young, যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে বেঁচে থাকার। Cha Moo Hyuk চায় অনেক টাকা উপার্জন করতে, তারপর কোরিয়া গিয়ে তার বায়োলজিক্যাল বাবা-মাকে খুঁজে বের করবে সে।
Song Eun Chae বিখ্যাত গায়ক Choi Yoonএর বেস্ট ফ্রেন্ড ও একইসাথে তার ফ্যাশন কোঅরডিনেটর। Choi Yoonকে গভীরভাবে পছন্দ করে Song Eun Chae, যদিও Choi Yoon ভালো ফ্রেন্ড ছাড়া আর কিছুই ভাবে না Eun Chae কে। অস্ট্রেলিয়াতে এক ফটোশুটে যায় Choi Yoon ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী Min Joo এবং সাথে Eun Chae। সেখানে গিয়েই Choi Yoon ও Min Joo জুটি হয়ে যায় যদিও Min Jooর Choi Yoonএর প্রতি তেমন কোন অনুভূতি ছিল না। বলতে গেলে Choi Yoonএর জোরাজুরিতেই রাজী হয় সে। Eun Chae বিষণ্ণ মনে একাই আগে আগে কোরিয়া ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়, রাস্তায় ঠকবাজদের পাল্লায় পড়ে স্যুটকেস হারিয়ে যায়। রাস্তায় বসে কাঁদতে থাকে সে, তখন Cha Moo Hyuk দেখে তাকে। Cha Moo Hyukকে দেখে আনন্দে লাফাতে থাকে Eun Chae, ভিনদেশে ভিনভাষীদের মাঝে অসহায় বোধ করছিল সে। কোরিয়ান একজনকে পেয়ে সে ভাবল, তার বিপদ কেটে গেছে। প্রথমে কথা বললেও সাহায্য করতে কোন আগ্রহ দেখাল না Cha Moo Hyuk, Eun Cha ফলো করতে শুরু করে তাকে। তখন ঠকবাজ Cha Moo Hyuk বদ মতলব আঁটল, বারে নিয়ে যায় Eun Chaeকে। কিন্তু হঠাত কি মনে করে নিজেই বিপদ থেকে উদ্ধার করে তাকে, খুঁজে পায় Eun Chaeর স্যুটকেস যা আসলে তার গ্যাং মেরে দিয়েছিল। রাতে আশ্রয় দেয় থাকার। পরদিন Eun Chae ফিরে যায় কোরিয়া।
এদিকে Cha Moo hyuk হঠাত খেয়াল করে তার প্রেমিকা Moon Ji Young অন্য একলোকের সাথে ঘুরছে। তখন Moon Ji Young জানায়, ঐ লোককেই বিয়ে করবে সে, শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না, বাঁচার জন্য টাকা লাগে। বিয়ের দাওয়াত দেয় সে। Cha Moo Hyuk ভগ্নহৃদয়ে প্রেমিকার বিয়েতে যায় প্রেমিকাকে দেখবার জন্য। সেখানে প্রেমিকার হবু জামাইকে খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনি যায়, যাকে খেয়াল করে Cha Moo Hyuk। Mo0n Ji Young ও তার জামাইদের দিকে বন্দুক টার্গেট করা দেখে তাদের বাঁচাতে যায় সে। তখন ২টা বুলেট ঢুকে যায় Cha Moo Hyukএর ব্রেনে। অপারেশন করে একটি বের করে আনা সম্ভব হয়, আরেকটি বের করা সম্ভব হয় না। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও আয়ু বেশিদিন নেই জানিয়ে দেয় ডাক্তাররা। ১ বছর বা ৬ মাস বা তারও কম। তখন Moon Ji Young অনেক টাকা দেয় Cha Moo Hyukকে এবং বলে সে যেন কোরিয়া গিয়ে নিজের মা-বাবাকে খুঁজে বের করে, শেষ মুহূর্তগুলো তাদের সাথেই কাটায় যেন।
Cha Moo Hyuk কোরিয়াতে এসে জানতে পারে, সে একাই বঞ্চিত না। তার যমজ বোনও বঞ্চিত, যে কিনা মানসিক প্রতিবন্ধী ও বোনের একটা ছেলে আছে। Cha Moo hyuk ও তার বোন দুজনেই অনাদরে অবহেলায় বড় হয়েছে। তাদের মা আর কেউ না কোরিয়ার এক সময়কার অন্যতম বিখ্যাত অভিনেত্রী Oh Deul-Hee, যার ছেলে Choi Yoon। কেন ২ই সন্তানকে ফেলে এক সন্তানকে বড় করল মহিলা? তাদের কি সে মা না? প্রতিশোধ নেবার সিদ্ধান্ত নেয় Cha Moo Hyuk। যাকে সবচেয়ে ভালবাসত সেই প্রেমিকাও আজ অন্যলোকের স্ত্রী। প্রতিশোধ ছাড়া বেঁচে থাকার আর কোন কারণ নেই তার। Eun Chaeর বাবা আবার Oh-Deul heeর ম্যানেজার ও ড্রাইভার, মা কেয়ারটেকার। Oh Deul Hee-র বাসার বেজমেন্টে থাকে Eun Chae-র পরিবার। Cha Moo Hyuk এসে ঘুরঘুর করতে লাগলো বাড়ীর আশেপাশে। Eun Chae দেখেই চিনতে পারল। সে ভাবল, এই লোক তার প্রেমে পড়েছে এবং তার জন্য কোরিয়া চলে এসেছে। সে Cha Moo Hyuk কে “Ajussi”(Mr.) সম্বোধন করতো। সে নানাভাবে তাকে বুঝায় অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ার জন্য, কিন্তু Cha Moo Hyuk তার গোপন উদ্দেশ্যর কথা প্রকাশ করে না। কিভাবে বাড়িতে ঢোকা যায় সেই প্লান করে সে। ধীরে ধীরে Choi Yoonএর সাথে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলে সে, Choi yoon তাকে নিজের ম্যানেজার পদে নিযুক্ত করে। Choi Yoonএর আশেপাশে থাকতে থাকতেই সে Song Eun chaeর Choi yoonএর প্রতি অনুরাগ বুঝতে পারে এবং ধীরে ধীরে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে। কারণ Moon Ji Youngএর কাছে থেকে সে এমন ভালবাসাই চেয়েছিল যা সে পায় নি। Choi Yoonএর কাছে থেকে সে সব কিছু ছিনিয়ে নিতে চায় প্রতিশোধ নেবার জন্য , শুধুমাত্র Eun Chaeকে চায় নিজের জন্য। হঠাত করেই Cha Moo Hyuk এর মন স্বার্থপর ও লোভী হয়ে ওঠে ভালবাসা পাবার জন্য। অল্পকিছুদিনের জন্য হলেও সে ভালবাসা চায়, শেষ কটা দিন সে Eun Chaeকে নিজের পাশে পেতে চায়, তার ভালবাসা পেতে চায়।
Choi Yoon ও Min Jooর মাঝখানে থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার জন্য আফ্রিকা চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় Eun Chae। যাবার আগে সে দেখা করতে যায় Cha Moo Hyukএর সাথে। Cha Moo Hyuk তার প্রেমিকাকে বিয়ে করা থেকে আটকানোর জন্য বলেছিল, “আগে আমার জন্য কিমচি(কোরিয়ান তরকারি) বানায়ে দাও অনেক, তারপর তুমি যেও।” সে সেই একিভাবে Eun Chaeকে বলে, “আফ্রিকা যাবার আগে কিমচি বানায়ে দিয়ে যাও।” Eun Chae বলে, ” স্যরি, আমি তো কিমচি বানাতে জানি না।” বলে বিদায় জানিয়ে চলে যেতে লাগে। কয়েক পা গিয়েই ঘুরে বলে, ” কিন্তু আমি কাকদোগী(আরেক পদের তরকারি) বানাতে পারি। ওটা চলবে?” Cha Moo Hyuk তখন মৃদু হাসল।
Cha Moo Hyukএর বোন ও ভাগ্নের সাথে পরিচয় হল Eun Chaeর। কাকদোগীতে প্রচুর ঝাল দিয়ে ফেলে Eun Chae, Eun Chaeকে খুশি করার জন্য খেতে লাগে Cha Moo Hyuk। কাকদোগী বানানো শেষ, Cha Moo Hyukএর বোন ও ভাগ্নে ঘুমিয়ে পড়েছে। Eun Chae ঘরের বাইরে এসে দেখে, Cha Moo Hyuk ও ঘুমাচ্ছে। Eun Chae যখন যেতে লাগে, Cha Moo Hyuk পিছন থেকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে Eun Chaeকে।
খুব ক্ষীণ স্বরে বলে, “যেও না।” নরম Eun Chae Cha Moo Hyukএর কাকুতি ফেলতে পারে না। সে আফ্রিকা যায় না। এদিকে Choi Yoon বুঝতে পারে যে তার জীবন Eun Chaeকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। নানা কারনে Eun Chaeকে ফিরে যেতে হয় নিজের বাড়িতে।
একটা সময় Cha Moo Hyuk জোর করে দখল করতে চেয়েছিল Eun Chaeকে, আর Eun Chae নিজেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। Eun Chae ও Cha Moo Hyukএর মাঝে বাঁধা শুধু সমাজ, পরিবার না সময়ও তাদের বাঁধা। যা Eun Chae জানে না। কোন পরিণতি নেই জেনেও নিজের শেষ সময়টাতে Cha Moo Hyuk চায় Eun Chaeকে।
কাহিনী পড়ে আপাত দৃষ্টিতে যা মনে হবে, সিরিয়ালটি দেখার পর পুরো ধারণা বদলে যাবে। কাহিনী পড়ার পর Cha Moo Hyukএর উপর রাগ হয়েছিল। নিজে মরবে জেনেও কেন সে একটা নিষ্পাপ মেয়েকে ভালবাসায় জড়াচ্ছে? সিরিয়ালটি দেখার পর মানুষের আবেগ-অনুভুতি সম্পর্কে পুরো ধারণা বদলে গেছে? আমরা অনেক সময় জেনেই অনেক ভুল করি। আসলে আবেগের বেগের রশি কারো হাতেই নেই। সিরিয়ালটি দেখে Cha Moo Hyuk, Eun chae প্রতিটি চরিত্রকেই ভালবেসে ফেলেছি।
সিরিয়ালটি শুধু নরনারীর ভালবাসার উপর ফোকাস করে নি, মা-ছেলে, মা-মেয়ে, বাবা-মেয়ে, বোন-বোন, ভাইবোন, মামা-ভাগ্নে সম্পর্কের উপর ফোকাস করেছে। সিরিয়ালটির ইফেক্ট কয় সেকেন্ড, কয় মিনিট, কয় ঘন্টা, কয় দিন, কয় সপ্তাহ, কয় মাস, কয় বছর থাকবে- কোন গ্যারান্টি দিতে পারছি না। কারণ আমার উপর ইফেক্ট আজো যায় নি। যতই লিখি না কেন, কম মনে হয়। এই সিরিয়ালের মোহনিয়তা ভাষায় প্রকাশ করা সভব না।
বিঃ দ্রঃ আমার প্রথম প্রফ পরীক্ষার পর সিরিয়ালটি দেখেছিলাম। তখন বাসায় যে ব্রডব্যান্ড ইউজ করতাম তার স্পীড বেশ স্লো ছিল। আমি রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারতাম না। ১ঘন্টা পরপর ঘুম থেকে উঠে ডাউনলোড দিতাম। সিরিয়ালটি দেখে আমি হেসেছি, কেঁদেছি। হাসার জন্য কিছু না লাগলেও, কাঁদার সময় টিস্যু পেপার লাগবে। এই সিরিয়ালটি দেখার পর থেকেই আমি কোরিয়ান সিরিয়াল দেখা শুরু করি। এখনো দেখি, সাম্নেও দেখবো। কোরিয়ান সিরিয়ালের একটা বিশেষত্ব, সিরিয়ালগুলোতে আবেগ-অনুভুতিই মুখ্য ব্যাপার, হিন্দী সিরিয়ালের মত কুটনামি না, ইংলিশ সিরিয়ালের মত জটিলতাও না এবং একইসাথে বেশ মার্জিত বিদেশী হিসেবে।
৩৪টি মন্তব্য
লীলাবতী
কয়েকদিন পরে ব্লগে এসে এমন সিরিয়ালের রিভিও পেলাম। ভাগ্য খুব ভালো মনে হচ্ছে আমার। কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন আপনি। নামের কারনে একটু সমস্যা হয়েছিল, তবে দুইবার পড়ার পরে একদম ক্লিয়ার এখন। আপনি দেখি আমাকেও কোরিয়ান সিরিয়ালের ভক্ত বানিয়ে ফেলছেন। দেখার ইচ্ছে হলো, দেখবোই 🙂
কৃন্তনিকা
হুম, কোরিয়ান নামগুলো একটু কঠিনই আমাদের বোঝার জন্য। কষ্ট করে ২বার পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি কোরিয়ান সিরিয়ালের বিশাল ভক্ত। সোনেলায় সবার সাথে শেয়ার করে আমারো ভীষণ ভালো লাগছে। সিরিয়ালটি দেখার পর আমার এই উপস্থাপন আপনার কাছে ঠুনকো মনে হবে। দেখার পর কেমন লাগলো- জানাতে ভুলবেন না, আপু। 🙂 🙂 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আবেগ টা ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। সিরিয়াল দেখা হবে কিনা জানিনা, তবে আপনার আবেগ দেখে বুঝতেই পারছি সামান্য নয় সিরিয়াল টি। নামগুলো পড়তে গিয়ে একটু সমস্যা অবশ্যি হয়েছে 🙂
গল্পটা সত্যি সুন্দর। আর ইমেজগুলো কিউট। -{@
কৃন্তনিকা
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। 😀
নামগুলো লেখার সময় আমারো মনে হচ্ছিল পাঠকের জন্য বোঝা কঠিন হবে। কিন্তু ওদের নাম গুলো এমনি… :p
পুরো গল্পটা কিন্তু লিখিনি ;(
এসব ক্ষেত্রে পুরো কাহিনী তুলে দিলে দর্শক দেখার স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। :p :p :p
আরো অনেক কিউট কিউট ইমেজ ছিল। কিন্তু সব তো দেওয়া যায় না…
ব্লগার সজীব
এত ভালো রিভিউ পড়লে সিরিয়াল দেখার কি দরকার ? আপনি কষ্ট করে সিরিয়াল দেখে দেখে এমন রিভিউ লিখবেন নিয়মিত, আমি তা পড়বো, সিরিয়াল আর দেখতে হবে না :p
কৃন্তনিকা
মানুষ রিভিউ লেখে যাতে দর্শক দেখার আগ্রহ পায়। আর আমার রিভিউ পড়েই দর্শক খুশি, দেখার আগ্রহ নেই… ;? তাহলে তো আমি ব্যর্থ। :p :p :p
(পুরো কাহিনী কিন্তু নেই এখানে, ভাইয়া 😀 )
ব্লগার সজীব
ফান করেছি আপু, অবশ্যই দেখবো। আপনাকে কোরিয়ান সরকার এওয়ার্ড দিতে পারে, যদি তাঁরা জানেন, এমন রিভিউ লিখছেন। এওয়ার্ড পেয়ে আবার আমাকে ভুলে যাবেন না 😛
কৃন্তনিকা
হুম, আমি আসলেই অ্যাওয়ার্ড ডিজারভ করি। 😀 😀 😀
দেখা যাক, ভুলবো কিনা। :p
ব্লগার সজীব
আচ্ছা ঠিকাছে, আপনার লেখার লিংক পাঠিয়ে দেবো কোরিয়ান দুতাবাসে। অ্যাওয়ার্ড পেয়ে ভুলে গেলেও সমস্যা নেই। আপুটা একসময় আমাদের এখানেই ছিলো, এ ভেবে গর্ব বোধ করবো।
কোরিয়ান সিরিয়ালের এমন রিভিউ দেশের আর কোথায় প্রকাশ হয় বলে আমার জানা নেই।
কৃন্তনিকা
সোনেলায় সবই হয়…
অলিভার
প্রযুক্তির কল্যাণে কোরিয়ান বেশ কিছু মুভি দেখেছি। তাদের আবেগ যেভাবে তারা ফুটিয়ে তুলতে পারে তা ভিন্ন কোন দেশের ছায়াছবিতে দেখতে পাইনি। নাটক সিরিয়াল দেখা যায় না। তবুও বুঝতে পারছি চমৎকার কিছু জিনিষ রয়েছে এই সিরিয়ালটাতে।
সামনে কখনো সুযোগ পেলেই দেখে নিবো হয়তো, এই ব্যাপারে কথা দিতে পারছি না।
আপনার উপস্থাপন একটু কঠিন মনে হয়েছে কিছু জায়গাতে, হয়তো নাটক কিংবা সিরিয়ালের রিভিউ পড়ে অভ্যস্ত না থাকার কারণেই এমন মনে হয়েছে। তবুও আপনি অনেক জিনিষ তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে 🙂
কৃন্তনিকা
না, আপনি ঠিকই বলেছেন, উপস্থাপন একটু কঠিন হয়েছে। আসলে নিজের প্রিয় কিছু নিয়ে লিখতে গেলে এতো কথা চলে আসে যে, মানুষ খেই হারিয়ে ফেলে। খুব সম্ভবত তাই হয়েছে… ;?
আপনাকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
পুষ্পবতী
কিমচি এক ধরনের কোরিয়ান তরকারি।এইটা সিদ্ধ সবজি আর কোরিয়ান মসলা দিয়ে বানানো হয়। আমাদের অনেক বাঙালিরা এইটা খেতে পারে।কিন্ত আমার কাছে গন্ধটা খারাপ লাগে।
ভালো লিখেছেন ভালো লেগেছে।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂 🙂 🙂
কোরিয়ান কোন খাবারই আমার কাছে অবশ্য সুবিধার মনে হয় না। তারা আমাদের মত মশলা ব্যবহার করে না। সুতরাং স্বাদ ভালো না হওয়াই স্বাভাবিক। এছাড়াও তারা প্রচুর কাঁচা জিনিস যেমন কাঁচা সবজি, কাঁচা মাছ (সুশি), জ্যন্ত অক্টোপাস খায়। সুতরাং গন্ধ তো থাকবেন। :p
কোরিয়ান সিরিয়াল যতই ভালো হোক না কেন খাবারের উপর কোন ভরসা নেই। :p :p :p
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বিদেশী রোমান্টিক ছবি তেমন একটা এদেশে আসে না যা আসে তার কোনটার ইমেজ কম নয়।
কৃন্তনিকা
হুম, আমি নেট থেকে নামিয়ে দেখি। 🙂
প্রজন্ম ৭১
আপু, কাহিনীটা অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। দেখে ফেলবো, আপনার লেখা সিরিয়াল বুঝতে সহজ করে দিবে 🙂 ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য -{@ (y)
কৃন্তনিকা
ভাইয়া, দেখার পর জানাবেন কেমন লেগেছে। দেখার পর কাহিনী আরো ভালো লাগবে আমার বিশ্বাস।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂 🙂 🙂
জিসান শা ইকরাম
অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।
পরপর দুটো রিভিউ দিলেন– এত ডিটেইলস লেখেন যে মনে হয় যেন দেখে ফেললাম।
ওদের নায়ক নায়িকা গুলো এত কিউট হয় যা বলার মত না ।
বাস্তবেও ওরা এমনি কিউট।
আমার এই কোরিয়ান সিরিয়াল সম্পর্কে ধারনাই ছিল না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখবো —
আপনার প্রথম প্রেমের জন্য শুভ কামনা 🙂
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 😀
সিরিয়াল দেখার পর বুঝবেন সিরিয়ালের কাছাকাছিও যেতে পারি নি। 🙁
হুম, ওদের নায়ক নায়িকা চরম কিউট হয়।
কোরিয়ান সিরিয়াল সম্পর্কে সামনে আরো অনেক অনেক ধারণা দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস :p :p :p
আপনাকে ধারণা নেবার জন্য জানাই “সুস্বাগতম” ( জলিল মামার Most Welcome) :p
শুধু প্রথম প্রেমের জন্যই জানালেন? :@ তাহলে ২য়, ৩য়, ৪র্থ … প্রেমে কি হবে? ;?
আপনার সকল প্রেমের জন্য আমার শুভকামনা রইল। 😀 😀 😀
মিথুন
সিরিয়ালের নামটিই তো খুব কিউট। আপনার অনেক ধৈর্য আপু। এতগুলো পর্ব দেখে এর উপরে লেখা। খুব ধৈর্যের ব্যাপার।
কৃন্তনিকা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য 🙂
হুম, সিরিয়ালের নামটি খুব সুন্দর।
কাউকে ভালবেসে ফেলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা…
আমার ধৈর্য অনেক কম। কিন্তু এই সিরিয়ালগুলোই চুম্বকের মত ধরে রাখে আমাকে, আমার মত আরো অনেক দর্শককে। আমার ক্যাম্পাসে আমাকে “কোরিয়ান সিরিয়ালের Dealer” বলা হয় :p :p :p
শাদমান সাকিব
এখানে মুভি বা সিরিয়াল নিয়ে আপনি লিখছেন দেখে ভালো লাগল । আপনার লেখায় আপনার অনুভুতি প্রকাশ বেশ সচ্ছন্দ । আমি মুভি দেখি এখনও সিরিয়াল দেখতে শুরু করিনি । দেখব হয়ত ।
কৃন্তনিকা
যদি আমার লেখা কাউকে কোন কিছু করতে প্ররোচিত করতে পারে, সেখানেই আমার লেখার সার্থকতা।
আশা করছি আপনাকে ধীরে ধীরে সিরিয়াল দেখায় প্ররোচিত করে ফেলবো :p
ভালো থাকবেন। 😀
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আমাকে পড়েই সন্তষ্ট থাকতে হবে। গ্রামীণ ব্যবহার করি লিমিটেড প্যাকেজ। আপনি সিরিয়ালের কাহিনী যেভাবে লিখেছেন, তাতেই বুঝতে পেরেছি যে এটি অনেক সুন্দর একটি সিরিয়াল। লেখা বুকমার্কস করে রাখলাম, নেট স্পীড পেলে যাতে ডাউনলোড করে দেখতে পারি।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
আশা করি কোন একদিন দেখবেন সিরিয়ালটি… 🙂
শিশির কনা
খুব ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। দেখার লোভ জাগিয়ে দিলেন, কখন যে দেখবো ? সময়ের খুব অভাব।
কৃন্তনিকা
হুম, সময়ের আসলেই অভাব। এই সিরিয়ালটি দেখেই কোরিয়ান সিরিয়াল দেখা শুরু করি। দেখার লিস্টে এখনো ১৭টা আছে। দিন যায়, আমার লিস্ট বাড়ে। কখন সময় হবে- কে জানে? তবুও ২-৩সপ্তাহে মিনিমাম একটা তো দেখিই, পারলে ২-৩টাও দেখি। :p পড়াশুনা নষ্ট করার বুদ্ধি দেবো না, সামনে যখন কোন ছোটো বা বড় ছুটি মিলবে তখন দেখা সেরে ফেলবেন না হয়… 🙂
লীলাবতী
নতুন রিভিউ চাই আপু । আপনার রিভিউ গুলোতে ডিটেইলস থাকে -{@
কৃন্তনিকা
চেষ্টা করবো তাড়াতাড়িতে রিভিউ লেখার। সময় হয়ে উঠছে না আসলে… 🙁 🙁 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার সিরিয়ালের রিভিউ পড়ে তো আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম কৃন্তনিকা ।
কৃন্তনিকা
আমি খুব ভালো লিখি না। এরপরও কেউ ভক্ত হয়ে গেছে- জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আমি রিভিউ ছাড়াও গল্প লিখি। সোনেলাতেই আমার প্রফাইলে গল্পগুলো আছে, ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। 🙂
প্রিন্স মাহমুদ
দেখতে হবে । অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য ।
কৃন্তনিকা
আপনাকে স্বাগতম। 🙂
দেখুন, দেখে কেমন লাগলো জানাবেন।