ক্যাটাগরি এদেশ

যেদিন নির্বাচন হবে তার পূর্বের দিন রাত দুইটার সময়---- আমি তখন শহীদ সাহেবের বাড়িতে, শহীদ সাহেব বারান্দায় শুয়ে আছেন। ডা. মালেক এসে বললেন, " আমাদের অবস্থা ভাল মনে হচ্ছে না, কিছু টাকা খরচ করলে বোধহয় অবস্থা পরিবর্তন করা যেত।" শহীদ সাহেব মালেক সাহেবকে বললেন, "মালেক, পাকিস্তান হয়েছে, এর পাক ভূমিকে নাপাক করতে চাই না। আমার [ বিস্তারিত ]

বাঙালীর “খাওন দাওন” কড়চা

শিপু ভাই ১৩ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৪:০২অপরাহ্ন এদেশ, বিবিধ, রম্য, সমসাময়িক ২১ মন্তব্য
বিয়ে বাড়িতে গরুর মাংসের বাটিতে হাড়ওয়ালা মাংস খুজে বাঙালী! কিন্তু নিজে যখন বাজার থেকে মাংস কিনে তখন হাড়ছাড়া মাংস দিতে বলে। অর্থাৎ হাড় খুবই সুস্বাদু যখন সেটা ফ্রি পাওয়া যায়। এককালে গরুর চেয়ে মুরগী বেশি এলিট ছিল। ব্রয়লার তখন এতটা প্রসার পায়নি। ফলে মুরগীর দাম ছিল গরু এবং মাছের চেয়ে বেশি। বিয়েতে তখন কেউ কেউ [ বিস্তারিত ]
শহীদ সাহেব তো কোনোদিন দুই গ্রুপ চিন্তা করেন নাই, তাই নাজিমুদ্দিন সাহেবের সমর্থকদেরও নমিনেশন দিয়েছিলেন, মন্ত্রী করেছিলেন পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি, চিফ হুইপ, স্পিকার অনেক পদই দিয়েছিলেন। এরা সকলেই তলে তলে শহীদ সাহেবের বিরুদ্ধাচরণ করছিলেন। অন্যদিকে, পশ্চিম বাংলার মুসলিম লীগ এমএলএরা ভোট দিতে পারবেন না, কারণ তারা হিন্দুস্তানে পড়ে গিয়েছেন। তাঁর নিজের দল হাশিম সাহেবের নেতৃত্বে ঘরে [ বিস্তারিত ]
শহীদ সাহেব শাসন চালাবেন, মুসলমানদের রক্ষা করবেন, না ইলেকশন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন! সিলেটের গণভোটেও শহীদ সাহেবকে যেতে হল। আমাদের মত হাজার হাজার কর্মীকে সিলেটে পাঠালেন। টাকা বন্দোবস্ত করতে হয়েছিল তাঁকেই বেশি। এস. এম. ইস্পাহানী সাহেব বেঙ্গল মুসলিম লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসাবে বহু টাকা দিয়েছিলেন, আমার জানা আছে। কারণ, শহীদ সাহেব তাঁর সাথে যখন আলোচনা করেন ৪০ [ বিস্তারিত ]
সিলেটে ৪-৫ টা জঙ্গি ধরতে এতো সময় লাগছে কেন? আমাদের আর্মি এতো দূর্বল কেন? এতো কোটি কোটি টাকা দিয়ে আর্মি রেখে কি লাভ? হাজার কোটি টাকা বাজেট দিয়ে কি লাভ? চার পাচ টা জঙ্গিকে যদি চারদিনেও ধরতে না পারে? ;? ফেসবুকে অনেককেই এইরকম অভিযোগ করতে দেখলাম। স্বাভাবিক, আমরা বাংলাদেশীরা ময়দানে নেমে কিছু করার চেয়ে বাইরে [ বিস্তারিত ]
এই সময় বড়লাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন তলে তলে কংগ্রেসকে সাহায্য করছিলেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল তিনি ভারত ও পাকিস্তানের গভর্নর জেলারেল একসাথেই থাকবেন। জিন্নাহ রাজি হলেন না, নিজেই পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হয়ে বসলেন। মাউন্টব্যাটেন সম্বন্ধে বোধহয় তাঁর ধারণা ভাল ছিল না। মাউন্টব্যাটেন ক্ষেপে গিয়ে পাকিস্তানের সর্বনাশ করার চেষ্টা করলেন। যদিও র‍্যাডক্লিফকে ভার দেওয়া হল সীমানা নির্ধারণ করতে, [ বিস্তারিত ]
মাগো, কেমন আছো? অনেকদিন তোমার মুখে খোকা ডাক শুনিনা। তোমাদের দোয়ায় আমি ভাল আছি। আমাকে নিয়ে কোন দুঃশ্চিন্তা করবে না। জীবন মৃত্যু মানুষের হাতে নয়। এটা পরম করুণাময় আল্লাহর হাতে। তার নির্দেশ ছাড়া কিছুই হয় না। তিনি যা চাইবেন সেটাই হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা অনুপ্রাণিত। প্রয়োজনে বীরের মত মাথা উঁচু করে, মৃত্যু কে বরণ করে, [ বিস্তারিত ]
কোনো-একদিন। দিন মনে নেই, ঋতুকাল মনে আছে; কেননা, আমি যখন যখন বাস থেকে বিহ্বল মাছের চোখ নিয়ে এ-শহরে পা রাখলাম, তখন ভেজা রাস্তার আকাশগঙ্গা থেকে গলিত নক্ষত্রের লাভায় আমার প্যান্ট মাখামাখি হয়ে গেল শহুরে কাদার আস্বাদ। এসবে আমার চোখ ছিল না যদিও, কেননা বিহ্বল মাছ কাদায় বিভ্রান্ত হয় না, আমার সুতি ঢোলা মফস্বলী প্যান্ট বহুবার [ বিস্তারিত ]
এই সময় শহীদ সাহেব ও হাশিম সাহেব মুসলিম লীগের তরফ থেকে এবং শরৎ বসু ও কিরণশংকর রায় কংগ্রেসের তরফ থেকে এক আলোচনা সভা করেন। তাঁদের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত হয় যে, বাংলাদেশ ভাগ না করে অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা যায় কি না? শহীদ সাহেব দিল্লিতে জিন্নাহর সাথে সাক্ষাত করে এবং তাঁর অনুমতি নিয়ে আলোচনা শুরু [ বিস্তারিত ]
সরকারে যোগদান না করে একটু অসুবিধায় পড়েছিল মুসলিম লীগ। শেষ পর্যন্ত জনাব লর্ড ওয়েভেলের সাথে সাক্ষাত করেন এবং মুসলিম লীগ যাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগদান করতে পারে সেই সম্বন্ধে আলোচনা করেন। মি. জিন্নাহ তাকে অনুমতি দিয়েছিলেন আলোচনা চালাতে। শেষ পর্যন্ত জিন্নাহ-ওয়েভেল আলোচনা করে মুসলিম লীগ সরকারে যোগদান করতে রাজি হয়। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে লিয়াকত আলী [ বিস্তারিত ]
একসময় নারায়ণগঞ্জকে প্রাচ্যের ড্যান্ডি বলা হতো। কেনো বলা হতো জানি কি? স্কটল্যান্ডের ড্যান্ডির নামানুসারে এই নামকরণের কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী পাটকলের অবস্থান ছিল নারায়ণগঞ্জে। অর্থাৎ শুধুমাত্র পাটের জন্যই নারায়ণগঞ্জ ’প্রাচ্যের ড্যান্ডি’ হিসেবে পরিচিতি পায়। আর পাটকে বলা হতো ‘সোনালী আঁশ। এই পাট বিক্রি করে তৎকালীন বাংলাদেশে সে সময় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো। [ বিস্তারিত ]
আজকে ঢাকা শহরে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়েছে। অর্থাৎ বৃষ্টির সীজন চলে এসেছে। বৃষ্টির সীজন চলে আসা মানে রাস্তার ধারে ছাউনিবিহীন লোকদের দূরাবস্থার শুরু। যারা এতোদিন ছাউনিবিহীন ফুটপাতে নিশ্চিন্তে দিন কাটিয়েছে তারা এখন হয়তো জায়গা বদল করে আশ্রয়ের খুঁজে অন্য কোথাও জায়গা করে নেবে। প্রথম যেদিন পথের ধারে অপ্রকৃতস্থ মানুষটিকে দেখতে পাই, কেমন ভয়ভয় লাগছিলো। তার [ বিস্তারিত ]
পরীক্ষার কিছুদিন পূর্বে কলকাতায় চলে আসি। হোস্টেল ছেড়ে দিয়েছি। আমার ছোটবোনের স্বামী বরিশালের এডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত তখন পার্ক সার্কাসে একটা বাসা ভাড়া নিয়েছেন। আমার বোনও থাকত, তার কাছেই উঠলাম। কিছুদিন পরে রেণুও কলকাতায় এসে হাজির। রেণুর ধারনা পরীক্ষার সময় সে আমার কাছে থাকলে নিশ্চয়ই আমি পাস করব। বি এ পরীক্ষা দিয়ে পাস করলাম। শেখ [ বিস্তারিত ]
পরে ময়রা ও মাধাইগঞ্জে ক্যাম্প খুললাম। এই দুই ক্যাম্পে প্রায় দশ হাজার মোহাজের দেওয়া হয়েছিল। অনেক শিক্ষিত ভদ্র ফ্যামিলিও এসেছিলেন। মোহাজেরদের আর আসানসোল এরিয়ায় জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। আমরা এর পরে বিষ্ণুপুর, অন্ডাল ও বর্ধমানেও কিছু কিছু মোহাজের পাঠালাম। আমার সাথে যে সমস্ত কর্মী ছিল, আহার নিদ্রার অভাব ও কাজের চাপে প্রায় সকলেই অসুস্থ [ বিস্তারিত ]
প্রথমে ক্যাম্প খোলা হয় 'নিগাহ' নামে একটি ছোট্ট গুদামে। সেখানে হাজার খানেক লোক ধরবে। পরে কান্দুলিয়া ক্যাম্প খোলা হল। এতে প্রায় দশ হাজার লোকের জায়গা হবে। আমি এই ক্যাম্পের নাম দিলাম 'হিজরতগঞ্জ'। মওলানা ইয়াসিন নামটা গ্রহণ করলেন এবং খুশি হলেন। আসানসোল স্টেশনে ও পরে রাণীগঞ্জ স্টেশনে মোহাজেরদের নামানো হত, পরে ট্রাকভরে ক্যাম্পগুলিতে নিয়ে আসা হত। [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

সংরক্ষণাগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ