
Bhuj মুভির ট্রেলার দেখার দেখার পর থেকে ভাবছি বলিউড মাশালা মুভির মাথা নিয়ে কেন কেউ সত্যি ঘটনার উপরে মুভি বানায়? এরা খালি মশালা মুভি বানালেই পারে। Bhuj মুভিটা ১৯৭১ এর ৮ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্থান আর্মি ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের ভুজ এয়ারস্ট্রিপে এ্যাটাকের উপর তৈরী। বাংলাদেশ পাকিস্থান যুদ্ধের সময় ভুজে ওইদিন পাকিস্তান ১৪টা napalm bomb এটাক করে, যার ফলে এয়ারস্ট্রিপ বিমান উড্ডয়নের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে যায়। এই অবস্থায় ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের পক্ষে আর এ্যাটাক করা সম্ভব ছিলো না আর পাকিস্থানেরও ওইখানে আবার হামলা করার আশঙ্কা ছিলো। এই সময়ে পাশের গ্রাম মাধবপুরের মানুষ বিশেষ করে মহিলারা এগিয়ে আসে। ৩০০ মহিলা বাড়িঘর ছেড়ে এসে তিনদিন ধরে এই এয়ারস্ট্রিপ মেরামত করতে হেল্প করে। তাদের মারা যাবার আশংকা ছিলো, যে কোনো সময়ে এয়ার এ্যাটাক হইতে পারতো কিন্তু তবু তারা ভয় পায়নি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আইএএফ কে হেল্প করে কারণ আইএএফের তখন পর্যাপ্ত লোকবল ছিলো না দ্রুত এয়ারস্ট্রিপ কে বিমান ওড়ানোর উপযোগী করার। উইং কমান্ডার বিজয় কার্নিক এই পুরো অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়। মহিলাদের বলা হয়েছিলো হাল্কা রঙের সবুজ শাড়ি পরতে যাতে আবার এয়ার এ্যাটাক হলে তারা দ্রুত কাছের ঝোপে পালাতে পারে আর চেনা না যায়। তিনদিন এভাবে কাজ করে তারা পুণরায় বিমান রান করার উপযুক্ত করে তোলে। একেবারে গ্রামের মহিলাদের পক্ষে এমন সাহসীকতার কাজ করা ইজি কোনো বিষয় ছিলো না, তাও প্রতিক্ষণে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে। ইন্দিরা গান্ধী তিন বছর পর গ্রামের বীর মহিলাদের পুরষ্কার দিতে চাইলে তারা সেইটা নিতে অস্বীকার করে বলেন যে তারা যা করেছেন দেশের জন্য করেছেন। এই হলো গিয়ে মোটামুটি মূল ঘটনা।
কিন্তু বরন্তু অবশ্যই এইটা নিয়ে একটা সুন্দর মুভি হতে পারে, দেশপ্রেমের মুভি হতে পারে। তা বলে ট্রেলার দেখে মনে হলো গল্পের গরু গাছে উঠে গেছে। এতো এতো অতিরিক্ত করার কি আছে! যেইটা আসল ঘটনা সেটাই ইনসেলফ একটা বীরত্বের সাহসের দেশপ্রেমের কাহিনী। এইটার মধ্যে সোনাক্ষী সিনহা( যে মনে হয় ওই ৩০০ মহিলার একজন ভালবাই সেহগানির রোল করেছে হয়তো) তারে দিয়ে কি সব ইয়ে মার্কা ডায়লগ আর মনে হলো তলোয়ার দিয়ে বাঘের মতো কি যেন একটা মারলো! আবার নোরা ফাতেহিরেও নাচায়ে দিছে। সে মনে হয় এজেন্টের অভিনয় করেছে। এই মুভির মধ্যে নোরা ফাতেহির আইটেম নাচের কি দরকার আমি বুঝলাম না!
একটা ভাল প্লটরে কি করে ইয়ে করে দেওয়া যায় তা বলিউড জানে। ভাই তোমরা সাউথের মুভি দেখে কিছু শেখো পিলিজ লাগে। ওই মহিলারা আর বিজয় কার্নিক এখনও বেঁচে আছে, তারা মুভি দেখে এসে মার না দেয় তোমাদের।
৮টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
বলিউডে নির্মিত ১৯৭১ কে কেন্দ্র করে যতগুলো ছবি করেছে তার সবগুলোই ছিলো বিতর্কীত।আরো একটি লক্ষণীয় ব্যাপার হলো সে সময়ের প্রেক্ষাপটকে কখনোই তারা বাংলাদেশর স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা বলে না বলেন ভারত পাকিস্থান যুদ্ধ।এছবির ঘটনাটিও ১৯৭১ এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার।এখানে বাংলােশ সৃষ্টিতে তাদের সহযোগীতাই পাকিদের টার্গেট।
দেখা যাক পুরো মুভিটিতে কী দেখায়।
মোঃ মজিবর রহমান
মনির ভাইয়ের সঙ্গে সহমত। তারা বিকৃত ভাবে বাংগালীদের পক্ষে না বলে পাকিদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে বলে। এখনও মাঝে মাঝে এই রকম বিতর্ক করে নিম্নমানুষিকতার পরিচয় দেয় তারা।
নাজমুল আহসান
বলিউডের আবার সিনেমা 🤣
সাবিনা ইয়াসমিন
অতিরঞ্জিত কিছু না থাকলে দর্শক এইসব সিনেমা খাবে না ” এমন ধারণা থেকেই হয়তো ছবি গুলো এভাবে তৈরী করা হয়। বেশিরভাগ বলিউড মুভি গুলোতে অনেক ভালো গল্প থাকার পরেও এসব আইটেম দৃশ্য থাকবেই।
জিসান শা ইকরাম
এমন সুন্দর একটি কাহিনীর মধ্যে আইটেম গান!
অবাক হলাম।
সত্যি কাহিনীটি জানা ছিলো না। মুভি রিলিজ হলে দেখবো অবশ্যই।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আইটেম ব্যাপারটা আইটেম হয়ে গেছে। তবে অনেক ভালো মুভিও তারা বানায়। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
এইসব মুভি ভালো লাগে না।
তারপরও অনেক ভালো মুভির স্থান। যা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
নিতাই বাবু
এই সিনেমা না দেখা পর্যন্ত আপনার লেখায় মন্তব্য করাও হয়তো ঠিক হবে না। কারণ যে মুভি এখনো রিলিজ হয়নি, সেই মুভি বিষয়ে আলোচনা করাটাও হতে পারে ভুল। তাই, আগে মুভিটা দেখি! তারপর নাহয় আবার মন্তব্যে আসি।
শুভকামনা থাকলো।