এজহারুল এইচ শেখ

কংসাবতীর কোলে ,নদীর বালু চরে,আমার কবিতা জন্মায়,বালির দহন তাপে.. এজহারুল এইচ শেখ

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ১২ বছর ৪ মাস ২৬ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ৯৫টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ৩৩টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৫০১টি
চারিদিক হাহাকার! চারিদিক তৃষিত ভুমির বুকফাঁটা নিশ্বাস!মাথার উপর উত্তপ্ত দুপুর আমার ! মরুর বুকে ভাঙ্গাবাড়ির দেওয়ালে ,সবুজ শ্যাওলা জমে! ঝড়ের বুকে ধেয়ে আসা কাঁটা কাঁটা কয়েকটি শব্দে, ''কি রে? কেমন আছিস? বল'' মাঝে মাঝে আমার এলোমেলো শশ্মানের দিকে চোখ পড়লেই,আৎকে উঠি আমি! দম বন্ধ হয়ে আসে,নির্জন ভাঙ্গা ঘরে! যেন জীবন্ত লাশ বয়ে যায় সময়ধারায় ! [ বিস্তারিত ]
পাখির ঠোঁটের সরষে কনার অনু যদি নাও জোটে! প্রভুর পাঁচ বৎসর কালে! পাখির পালকে লেপ্টে যেন থাকে উষ্ন শান্তি! পেটের খোলের ডোবা - পুকুরে, শ্যাওলা -পুকুরের অতল গভীরে এই আশার যঞ্জ - আগুন লেগেই থাকে প্রজার পাঁজরে !প্রভুদের জীবৎ - কালে! মৃত্যু কালে পেখম ফোটে আকাশে ডানা ভরে ওড়ে!।আকাশের বাদশা আমি! ভুমি আর কিবা দামি! [ বিস্তারিত ]
এতকাল যাবৎ এই যে এতো হম্বি-তম্বী , রামায়ন ক্লীষ্ট থেকে মহাভারত শ্রেষ্ঠ! সকালে রাম তো অবেলার রাবণ! সবই ঐ আমার মায়ের বুকের উপর দাড়িয়ে! ছোট্টো থেকেই ছেড়াঁ ছেড়াঁ চোখে দেখি 'মায়ের দহনযাত্রা'! কাচাঁরোদের রান্নাশালের অন্নপূর্ণা! তো আবার দুপুরে বিশ্বের জজ্ঞালের 'কালী'! আর রাতের লিঙ্গশূলে বিদ্ধ পুরুষ-পিতার 'দ্রোপদী'! সব বাবাই তো লুটের জন্য পণ দিয়ে মেয়ে [ বিস্তারিত ]
সকালের রোদে সেই তাপ কই! যে তাপ আমি ভুমিষ্ঠ হওয়ার সময় পেয়েছিলাম! আমার মায়ের নেতানো উঠোন আর শোষে না! স্যাঁতে স্যাঁতে উঠোন আমার! আমার বুকে গড়িয়ে পড়া চোখের নোনা জলে! আমার দেহ!আমার বুকে! আর চোষে না! রাত-বেরাত গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে! সারা শরীরে জুড়ে দগ-দগে ঘাঁ! নোনা জলে আরও ঘাঁ বাড়ে! শুক্নো চোখে অশ্রু নিয়ে মাছির [ বিস্তারিত ]
খিদে পেটে কবিতার গলিতে ঢুকতে ইচ্ছে করে না! ওসব গলি ওই চামচিকেদের পতিতালয় আর পান্থশালা! ওরা ওখানে মুখোস পরে যখন-তখন ঢোকে আর নেশার ঘোরে বীর্য বিনিময়, আবার ভদ্র বেশে বেরিয়ে যায়! মা বলে ওতো কবিতা মারিও না! বোনের বিয়ে,বাবার অসুখ! কোন শতাব্দীতে কবির হাত, ছেড়া নেকড়ায় চোখের জল মুছে, কবে ভাত দিয়েছে? বলতো হবু কবি! [ বিস্তারিত ]
শীত কাঁতুরে মেঘষোড়শীর ঘাসের ঠোঁটে আলতো চুমু! ঘাসের শিহরনে-জাগরনে বনকূল জাগে ! বাঁকা চোখে! বনস্পতির কলঙ্ক পড়ে চাপা, চাঁদের ঘোমটার ছাপে! পোকার দল চিৎকার জুড়ে, ক্ষনিকের ধন-যশের লোভের তোড়ে! এই রে জাত গেল! কুল গেল! ওদের অন্য-প্রান্তে তোলো! সারা শরীর ভয় জুড়ে, রাত-ভোর অপবাদে, ঘাসের চোখে অশ্রু ঝরে! রাত্রি শেষে ঘুম চোখে বেশ সুর্য হাসে! [ বিস্তারিত ]
সাদাখাতার সাদাপৃষ্ঠা, তুমি কার? কুকুরের মতো নাল ঝরিয়ে, মুখ উচিয়ে, আমার দিকে ডাইনি চোখে, সারাক্ষণ তাকিয়ে কেন রও? তেলেমেখে বেনের ও অসুরের উচ্ছিষ্ট, বিলাস ভোজন, রক্ত, আদিকাল থেকেই বেশতো জমিয়ে খাও! ইতিহাসের পাতায়,রাত প্রহরে, রাত পাহারা দিয়ে বেশ তো আজীবন গীত গাও! আর বাজনাও দাঁতে বাঁও! ও সাদাপৃষ্ঠা, এই বার জঞ্জালে পড়ে না থেকে, চাষির [ বিস্তারিত ]
তোমার চোখের, অশ্রু মোছা এই হাত! আর ছুঁয়ে দেখেনি অন্য কোনো যুবতীর ঠোঁট! যন্ত্রনাগলা জলে ভেজারুমাল আজও নিঃস্বঙ্গ রাতে, বালিশের পাশে খোঁজে, স্বান্তনা আর উষ্ন -উত্তাপ! তোমার হাত থেকে ফেলেদেওয়া, নিরাপত্তার গন্দ্ধবিহীন গোলাপ-পাঁপড়ি, আজ প্রতিক্ষনে শুকায়, পান্ডুপাতার নির্মম চাপে ! অভিমানের শালিক আমার, রান্নাঘরের খড়ের চালে, বিকেল বেলায় আর বসে না! এখন শুধু বিড়ালছানার, ভয় [ বিস্তারিত ]
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আকাশের নীলে আলতো রোদে, শোকাচ্ছন্ন নীরার অশ্রুতে, আমার বাসি চোখের দুই পাতা শুধু ভেজে! আজ নীরা আছে,তুমি নেই! তোমাকে শুধুই ভাবি,আর নীলসাগরে ডুবি! রাত দুটোই বিনম্র আলোয় উত্তর আকাশের, ধ্রুবতারায় নীলনদে ডুবিয়ে , ফুটে আছে মিটি মিটি আলোয় নীললোহিত! প্রেমের হৃদয় শুধু নীলসাগরেই ডোবে! নীরাও নীললোহিতে রোজ সন্ধ্যায় ডোবে! বাঙালী [ বিস্তারিত ]
নিশিতে আমি শশ্মানে কান পেতে শুনি, গলিত শবের বুকে, আমার জন্য তোমার, প্রেমের কত বেগ ! মাঝে মাঝে আবার কুকুর দিয়ে নাক শুকি, আমার জন্য তোমার, অবিশ্বাসের কত টান! সূত্র দিন-রাত খুজি, আইনেস্টাইন থেকে মার্কস! মরাপ্রেম কিভাবে বাঁচবে! শতাব্দীর পর শতাব্দী রাত কাটে আর কাল কাটে! পতিতা শুধুই রাত-দুপুরে, হাতুড়ি তোলে আর হাঁপর টানে! পতিতালয়ে [ বিস্তারিত ]
উচু আকাশের গাঙ্গচিল, অমাবস্যার রাতে শুধু শক্ত ঠোঁটে খোঁটে, পাথরের নুড়ি কনায় রুপোলি আলোর ঝিল! প্রাচীন মহাকুর্মের পিঠে ঠোঁট পড়ে , ইতিহাস গড়ে! ইতিহাস নড়ে! সবাই শুধু , মহেঞ্জো থেকে পিরামিড খোঁড়ে! কেউ আবার অশোক গড়ে! কনিষ্ককে শুক্নো তালপাতায় ছোড়ে! কালবৈশাখী বাতাস ওড়ে! পাতাচাপা ধুলো ওড়ে! পিঁপড়ের দল সব রাস্তায় ঘোরে! ডানায় ভরে সন্ধ্যাপ্রদীপে পিঁপড়ে [ বিস্তারিত ]
সময় পাল্টাই,মানুষ পাল্টাই, ব্রম্ভান্ডের গর্ভমুখ থেকেই ধুত্রা থেকে ধরিত্রী , আসলে নাকি সব পাল্টাই! বাবারা কবে পাল্টাই? মা! আর কত দিন ! আমার নাভিমূলে কামড় দিয়ে, পৃথিবী ঘুরবে! আর কত দিন! আমার গর্ভমুখে, দংশন, পেষন! মা তোমার সতীপর্দা, জীবনে একবারই ফাঁটে! সতীপর্দা আমার, এক রাতে শত বার, মদযন্ত্রে কাঁটে! ভীষণ রক্ত বয়,মা! গঙ্গা থেকে লোহিত [ বিস্তারিত ]
তোমাকে ঘিরে, তুষ-কাদার আলতো রোদের আমার যত স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন আমার আর নেই! স্বপ্ন গুলো আমার, তোমার বিলেতি মদের নেশায়, মিশে গেছে আজ! তোমার মতো, আমি নেশা করতে পারি না! ব্রম্ভ-যুগের মানুষ আমি, ব্রম্ভা আমার টানে! মাঝে মাঝে তোমার জন্য আমার ক্লীষ্ট মন, ভীষণ খারাপ হয়! আমার স্বপ্ন গুলো, যখন সুমেরুতে দিন-প্রতিদিন ভাঙ্গে, তখন [ বিস্তারিত ]
উইপোকার ঢিবে, যতটুকু গেছে যাক! কলাপাতার কোরক পাতায়, যেটুকু কুকড়ে পড়ে আছে, সেইটুকু আমার শেষ সম্বল! নইলে , আমি মানবজাতি থেকে বাদ! অকালে কোকিল ডাকলে, শুধু ভয় হয়, আমার ডিম, তার বাসা হারাবে না তো! তুমি আমার গালে, আগ বাড়িয়ে চুমু খাচ্ছো, সন্দেহ হয়! শতাব্দীর প্রাচীন, কোহিনুর গেছে যাক! আমার 'তাজ', মমতাজ হারাবে না তো! [ বিস্তারিত ]

আশালতা

এজহারুল এইচ শেখ ১৩ অক্টোবর ২০১২, শনিবার, ০২:২৩:০৫অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি, কবিতা, সাহিত্য ৫ মন্তব্য
তোমাকে নিয়ে, আমি হয়েছি নীলকন্ঠ! ক্ষনিকে তুমি, সাগর সাঁতারাও, কাঠি বেয়ে, চাঁদে ঝাঁপ দাও, আবার রাস্তায়, পড়ে পড়ে কাঁতারাও! আশালতা, তুমি যখন ক্ষত-বিক্ষত, জীবন যুদ্ধে, তখন আমি তোমার জন্য, আমার পেটে পাথর বাধি, তখন আমি হই নবী! এখন তুমি, স্বর্গের পথের পথিক, আশালতা! আর তুমি শুনতে পাওনা! ক্ষুধার্ত শিশুর, রাত দুপুরের কান্না! শুনতে শুধু পাও, [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ