
নামাজ শেষ –
বাড়িতে না ফিরে বাজারে চলেছি
উদ্দেশ্য চা সিগারেট আর বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ জমিয়ে আড্ডা,
ঘটনাটা এক ঈদের দিনের।
স্কুল পেরোতেই নজরে পড়লো
ভাঙা বারন্দার থামে হেলান দিয়ে পা দু’টি ছড়িয়ে
বসে আছে এক পাগল,
মলিন বদনে তার রাজ্যের বিরক্তি।
কারণটা খুঁজলাম না
পাগল বলে কথা –
বাজারের সামনে দেখা হলো এক বড় ভাইয়ের সাথে,
হাত নেড়ে অদূর থেকেই হাসিমাখা মুখে
বুঝিয়ে দিলেন তিনি, কোথাও চলেছেন।
দেখলাম হাতে তার পলিথিনের কালো একটা ব্যাগ।
তারপর আর কি –
ঘন্টা খানিক বাদে ফিরতি পথে
সেই বারন্দার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি
পাগলটা অমনি বসে থাকলেও বিরক্তি বিলকুল উধাও।
মুখমন্ডলে তার আশ্চর্যজনক ভাবে ফুটে উঠেছে প্রশান্তির রেখা
বিড়বিড়ও করছে না সে আর আগের মতো
যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন আঁখি দু’টিতে সঁপে দিয়েছে হৃদয়ের খলবলে শান্তি।
আবোল তাবোল প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খেতে লাগলো
কোথা থেকে কি –
অবশেষে যখন ভাবতে যাবো
’পাগলের সুখ-ই কি আর দুঃখ-ই বা কি’
ঠিক তখনই নজরে আসলো পাশে পড়ে আছে তার
পলিথিনের কালো একটা ব্যাগ।
ছবিঃ সোনেলা গ্যালারী থেকে।
৬টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
অল্প কথায় চমৎকার বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। পেটে ক্ষিদে থাকলে পাগলের ও কষ্ট হয়। পাগল হলেও অনূভুতি মানুষের। শুভ কামনা রইলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অতিশয় অনুপ্রাণিত হলাম!
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন সতত!
সুস্থ থাকুন খুব ভালো থাকুন!
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর এক অনুভূতির ছোঁয়া কবি দা
বোরহানুল ইসলাম লিটন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সতত কবি দা!
সুস্থ থাকুন খুব ভালো থাকুন।
ফারজানা তৈয়ূব
সুন্দর লেখা।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
নিরন্তর ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল!
সুস্থ থাকুন খুব ভালো থাকুন।