
সেই তো তুমি এলে,
যখন ঘনিয়ে আসছে মেঘমেদুর সন্ধ্যা!
অনুভূতিরা স্বেচ্ছা বন্ধ্যাত্ব নিয়ে ঝাড়া হাতপা।
গোধূলির কাছে ছিল কিছু পুরনো ঋণ,
চুকিয়ে দিয়ে এখন আমি অন্ধকারে অবনতা মৌণ!
পিছুডাক শুনে দুরুদুরু বুকে জাগে শিহরণ!
একই সঙ্গে পায়ের বেড়ি বেজে ওঠে ঝনঝন।
দেখা হলো আমাদের সমরখন্দের তীরে,
সভ্যতার পরিখা মধ্যিখানে।
বেওকুফ হরমোন যখন দক্ষ তীরন্দাজ।
ছেয়ে যায় শিরা উপশিরায় বিষাক্ত ফলার নীল বিষ!
ধুপধাপ মাইগ্রেন কেড়ে নেয় কতশত ঘন্টা, দিন।
উপসর্গে প্রকাশ পায় শরীরবৃত্তীয় সুরতহাল প্রতিবেদন।
নির্বিবাদী এজলাসে কৌশুলীর একচ্ছত্র আধিপত্য, সভ্যতাই জিতে যায় যদিও তথাকথিত।
অথচ এসব মেধা পচানোর রসদ,
প্রয়োজন বিবর্তন।
অদ্ভুত বিচার প্রক্রিয়া এ সমাজ ব্যবস্থার,
এখানে মানুষ স্বাধীন, পরাধীন মন!
১০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
বেওকুফ হরমোন যখন দক্ষ তীরন্দাজ। ভালো বলেছেন। আসলেই মানুষের মন পরাধীন।
খাদিজাতুল কুবরা
অসংখ্য ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া। ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা সবসময়
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অতুলণীয় নাম করণ আপু!
‘জীবন যখন গোধুলীর বাটে
কিবা লাভ আছে অভাগার তরী
দোলনে জাগলে ঘাটে!’
অনন্য উপমার সমাহারে জীবনবোধের উপস্থাপন।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন
নিতাই বাবু
“নির্বিবাদী এজলাসে কৌশুলীর একচ্ছত্র আধিপত্য, সভ্যতাই জিতে যায় যদিও তথাকথিত।
অথচ এসব মেধা পচানোর রসদ,
প্রয়োজন বিবর্তন।”
যথার্থ উপস্থাপন!
সৌবর্ণ বাঁধন
চমৎকার লিখেছেন কবি। সমরখন্দের তীরে বসে সভ্যতা জিতে গেলেও মন স্বাধীন ই থাকে হয়ত। মন পরাধীন হলে মানুষ জীবন্মৃত হয়ে যায় আসলে। শুভকামনা সতত।
রিতু জাহান
উফ এই মাইগ্রেন! একে তাড়াতে কতো কি যে করেছি!
মন কি পরাধীন!
আমি বাহ্যিক মানুষটাই মনেনহয় পরাধীন, স্বাধীন আমার মন। কোথায় কোথায় যে উড়ে যায়, কতো কল্পবাসরে লুটায়! পাহাড়ে সমুদ্রে, ঘাসবুকে কোথায় কোথায় যায় পলকে পলকে।
এখানে সে সেচ্ছাচারিও।
আমি মানুষটাই শুধু পরাধীন।
আলমগীর সরকার লিটন
স্বাধীন পরাধীন দুটই অন্ধকার মন
অথচ ভাল বুঝার চেষ্টা করি না
অনেক সুন্দর লেখেছেন কবি আপু!
ভাল থাকবেন———
হালিমা আক্তার
স্বাধীন মানুষের পরাধীন মন। চমৎকার উপমা। মনটাকে স্বাধীন ভাবে নাচাতে গেল যত বিপত্তি । তবু ও প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াক মন। শুভ কামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
ভালোবাসা নিবেন আপু। সবসময় অনুপ্রেরণা পাই আপনার কাছে। ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা রইল।