
আজকাল আমাকে খুব করে খুঁজি, খুঁজছি
নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি
অবসর কাগজে প্রতি পাতায় পাতায়
শিরোনামসহ দগদগে লাল অক্ষরে,
তবু কারো চোখে পড়ে না।
আমার পাওয়ারই চশমাও আজকাল ঝাঁপসা বড়,
নেই, আমার কোনো হদিস নেই কোথাও।
শুধু টের পাই, দিন শেষে এক রাত্রি নামে উদ্দেশ্যহীন, গন্তব্যহীন।
দীর্ঘ সন্ধ্যাজুড়ে যে কুমারি মুহূর্ত তাতেও আমার হৃদস্পন্দনের কোনো শব্দ নেই।
সাড়া শব্দহীন এক কম্পন বুকের বাম পাশে
বেঁচে থাকার তাগিদেই তার শুধু উঠানামা।
আমার এই অবসর সময় নিয়ে যে সন্ধে নামে তাতে স্মৃতি নামক বিশ্রি এক গোলকধাঁধা,
কি নিষ্ঠুরভাবে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলে!
অথচ,
নীড়ে ফেরা পাখির মতো আমার কোনো তাড়া নেই আদরে ভাসার,
চোখের সামনে সেজে ওঠে
ঘাসবুক জোনাক পোকার বাসর,
তাতেও
অসম্ভব কল্পনায় ভেসে যাওয়া অনুভূতির তন্ত্রীবাদ্য বাজেই না!
আক্ষেপহীন শূন্য বিহ্বল অনুভূতি সকল
সে আমার
ভীষণ রকম বিষন্ন সুন্দর।
আমি তাই জীবনকে শুনিয়ে যাই
‘জানি জানি তুমি এসেছো এ পথে মনেরও ভুলে
তবে তাই হোক তবে তাই হোক’
,,,জাহান,,, রংপুর।
৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ঝক্ঝকে আলোয় মৃদু জলপ্রপাত
আকাশের আকাশে,
বৃষ্টিপাত আর উল্কার হলাহলে
জাল বিছিয়ে আছে
স্মৃতির বিস্মৃতির আঁজলে আজঁলে।
রিতু জাহান
সে এক আঁজল জল কোথায় পাই?
যে জলে ভাসবে না বিষাদময় স্মৃতি আমার!
জল যেমনই হোক তা অসচ্ছ ঘোলাটে হোক,
স্মৃতির সে ছায়া পড়লেও যেনো অবয়ব না ওঠে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ গুরু
হালিমা আক্তার
সে আর এখন পত্রিকা পড়ে না। আলোর পৃথিবীতে ছুটে বেড়ায় আলোর খোঁজে। সময় পেলে চোখ তাতায় ফেসবুক, মেসেঞ্জারে। সে চোখে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি নিখোঁজ হয়ে থাকে। চমৎকার লেখা। শুভ কামনা রইলো।
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু,,,
মোঃ মজিবর রহমান
আজ বড্ড ডিজিটালাইজড সময় বড্ড আবেগহীন পাতাহীন কাব্য সংবাদ পড়ে যায়, যা সংগ্রহে যেমন থাকেনা তেমনি না থাকে ভাব্লেশ। সব যাচ্ছে শুধুই যাচ্ছে বহমান জিবনের মতই নাই গতি নাই স্রত শুধুই শুকনো রুটি রস্কসহিন। বড্ড বেরসা। কেউ মানুসত্য নিয়ে পাশে থাকে না। সুন্দর উপস্থপনা।
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই,,,
তবু একটু অক্সিজেন দরকার,,