
জীবনের উপমা গুলো বিরল স্বাক্ষর রাখে । নিজে ভাল থাকতে , সন্তানদের মানুষ
করতে, পরিজনদের ভাল রাখতে আমাদের প্রতি দিনের ছুটে চলা।
দিন শেষে গোধূলি বেলা আমরা বুঝতে পারি, কতটা ভাল থেকেছি, কতটা ভাল রেখেছি, আত্ননিবেদনে কতোটা রিটার্ন পেয়েছি । দিন শেষে আমরা কেউ কারো না, এটাই প্রমাণ পেয়েছে বার বার । ভালবাসার মানুষটি ও সরে দাঁড়ায়, পান থেকে চুন খসলে । বুকের পাঁজর ক্ষয় করে যাদের লালন করে বড় করি, তারা ও দৃষ্টি ফেরায় অন্য কোন প্লাটফরমে । এতোটুকু কদর নেই, সময় নেই শিকড়ের দানে । একটা জীবন যাদেরকে ঘিরে উৎসর্গ করি, তাদের সাথেই দুরত্ব বাড়ে, মনের, পরিমাপের । যাদের দায়িত্ব নিয়ে যোবনের উন্মাদনায় উত্তাল সাগর পারি দেই, অবেলায় তাদেরর তাদের দায়িত্বহীনতায় আর অবহেলায় দুস্থ জীবনে নেতিয়ে পড়ি । এই চরম বাস্তবতার মাঝেও চাই, নিজ সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে । এই ত্যাগ কখনো জীবনের উপমা হয় না । বৃদ্ধের চোখের স্বপ্ন কেউ খুঁজে না, মনের ভাষা কেউ বুঝে না । অনাদরে, অবহেলায় পরিত্যাক্তা কক্ষ, বা বৃদ্ধাশ্রম ই তাদের নিয়তি । মহসিন সাহেবের মতো সাহসী হলেই রাখতে পারে আত্মত্যাগের স্বাক্ষর । আমরা শিক্ষিত হই, ডিগ্রী অর্জন করি, বিনিময়ে হয় নৈতিক অবক্ষয় । চাকচিক্যের পৃথিবীতে আমরা নিজেকে তৈরী করি, যোগ্য হয়ে উঠি, মূলধারাকে বিসর্জন দিয়ে । নিজেকে সোসাইটিতে সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতেই সামাজিক অবক্ষয়টা বর্ধিত করি । তাও প্রতিযোগিতা মূলক । এ যুদ্ধ ক্রমাগত ই বিরাজমান। তাতে আমরা কতোটা মনুষ্যত্বহীন হয়ে পড়ছি, তার খতিয়ান হিসাব কেউ রাখিনা ।
পরিশেষে , সকল মানুষের বিবেক জাগ্রত হোক, মূল ধারার চৈতিণ্যে ।
এই কামনা
২টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
জীবনের ধারাটাই যেন এমন।
জাগ্রহ হোক সর্বত্র চৈতন্য এমনই প্রত্যাশা।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
কামরুল ইসলাম
ধন্যবাদ ও অনেক শুভ কামনা