প্রচারেই প্রসার অতীব গুরুত্বপুর্ণ বাক্য। দুই শব্দেই জ্বলন্ত প্রমাণ। কিন্তু আপামর সমাজে এমন কিছু কাহিনী ঘটে যা প্রচারেই প্রসার সেই প্রসার কিন্তু সমাজকে আরও কলুষিত থেকে আরও অন্ধকারে পতিত করবে নিঃসন্দেহ বলা যায়।
আমরা সামাজিক বসবাসেই অভ্যস্ত পরিবারে অনেক ঘটনা ঘটে যা দেখে অন্যরাও ঘটানোর প্রবল সম্ভাবনা থাকে। সেগুলি প্রচার না করাই উত্তম বলে মনে করি।
যেমন বর্তমানে ডিজিটাল যুগ ডিজিটালাইস ঘটে ডিজিটালাইস প্রচার হই আবার দ্রতবেগে নতুন নতুন হাজারো ঘটে , ঐ যে কথায় আছে না, দেখা দেখি বাস, তেমনি দেখা দেখি করা ও দেখা দেখি শিখা ও করার আগ্রহ গতিশীল্ভাবে বাড়ে।
সমাজে ঘটে এই গুলি মনুষত্যবোধকে নিপতিত করে অন্ধকারে। আমরা বা আপনারা যে যা দেখে সে তাহাতে বেশি আকৃষ্ট হই। এই ডিজিটাল যুগে দেখার ইচ্ছে না থাকলেও কিছু বিজ্ঞাপন, কিছু অনাকাংক্ষিত ছবি চোখ মাঝে অটো চলে আসে, হঠাত আকৃষ্ট বোধ করে, মনে মজে সেখানে। এই দেখাই আমি আপনি অন্য কারো ঘটছে। কিন্তু নষ্ট হচ্ছি নির্দিধায় বলা যায়।
সবাই বলবে নিজেকে কন্ট্রোল কর কিন্তু কন্ট্রোল সময়টা পেরিয়ে যায় বেশ কিছু সময় কিছু অনেক জীবনে মৃত্যু ডেকেও। কন্ট্রলিং পাওয়ারটা সবার সমান থাকে না। সবাই নিজের মাইন্ড সেটআপ নেয়া খুব কঠিন ব্যাপার।
যেমন পরকিয়া। এটাই নিউজ ও এই ধরণের মুভি ও নাটক আমাদের দেশে ও বহিরবিশ্বে অহরহ ঘটছে ও প্রচার হচ্ছে। যা দেখে কিশোরকিশোরী এখানে আকৃষ্ট হয়ে তারা বিপথাগামী হচ্ছে। এই প্রচার ও ঘটানোর উপর ভিডিওচিত্র খুব বিপদজনক আমাদের সকলের জন্যই।
অনেক ঔষধ আছে যা প্রচার এতোই কুছবিতে ও বিজ্ঞাপনে হয় যাহা আমার নিকট কাম্য নই। অনেক ভিডিও বার্তা প্রচার হই লজ্জা নই জানতে হবে, এই জানতে ও শিখতে গিয়ে ভুল পথে পতিত অনেক কিশোরকিশোরিরা। এই ভুল পথ অনেক দূর নিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে ফেরত আসা খুব দুরহ। অনেকের উপলদ্ধি হই ধ্বংসের পর তাও অনেক ফিরতে পারে আবার অনেকে অন্ধকার থেকে অন্ধকারে যায় চলে।
ছোট একটি কথা আমাদের দেশে অনেক বাবা-ম সন্তানের কুপথ থেকে দূরে রাখার জন্য থানায় দেয় সেটা আরও বিপথজনক। থানায় টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় না এমন জিনিস খুব কম। স্বচক্ষে দেখা ও জানা থানায় জিডি করে নাড়ীছেড়া ধন জমা দেয় কিন্তু থানায় তারা খুব সহজে জেকারণে জমা হয়েছে তাহা অতি সহজে আরও ভোগ করার সহজ পথ পেয়ে যায়। যা অতি দুঃখজনক ও মর্মাহত কাহিনী, দেশ ও জাতি কলুষিত ও নষ্ট হওয়ার পথ রোধ করা অতীব জরুরী।
সমাজের ঘটে যাওয়া সবগুলোই প্রচারে যে , মানব কল্যাণ বয়ে আনে তা কিন্তু নয়। যাহা প্রচারে মানব জাতির ক্ষতি সাধন হওয়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে পোছে যেতে পারে সেই প্রচার আইনের মাধ্যমেই বন্ধ করা উচিত। যেমন, পারিবারিক অনেক নিন্দনীয় ঘটনা, সেটা ঘরে বাহিরে, ভাইয়ে ভাইয়ে, চাচা-ভাতিজা, সমাজের একেওপরের সাথে ঘটে যা দেখে/শুনে অন্যারা ঘটানোর অনুরুপ করার ইচ্ছা পোষন জাগতে পারে। কারণ যতই বলি ততই রটে। খারাপে আগ্রহ বাড়ে বৈ কমে না।
আমি ভাই, পিতা আমার দায়িত্ব আমাকে সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হলে ঘটে যাওয়া খারাপ কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ/খারাপের দায়ভার নিজ কাঁধে নিতেই হবে। সন্তান বা বউয়ের কারো ঘাড়ে উপর চাপায়ে দোশারোপ করা যেতে পারে কিন্তু সমাধান অসম্ভব।
আমি মোবাইল টিপ্প কিন্তু সন্তানকে নিষেধ করব এটা সম্ভব নই। পরিবারে নিজে পড়ি, নিজে ধর্মপালন করি, নিজে অন্যায় থেকে বিরত থাকি, নিজে মানুষকে সাহায্য করি স্বস্ব সন্তান ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে, ইনশা আল্লাহ।
চলবে।
১২টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ সচেতনামূলক লেখেছেন প্রিয় মজিবর দা সত্য আমরাই সচেতনা না
আমাদের সন্তানকে ইচ্ছা মত ছেড়ে দেই একটু ক্ষিয়াল রাখি না
মোঃ মজিবর রহমান
অশেষ ধন্যবাদ লিটন ভাই আমাকে এইগুলো অনেক ভাবায়।
উর্বশী
সময়পোযোগী সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। নিজেরা সচেতন না হয়ে অন্যকে বলার পথ ই তো তৈরি করতে পারিনা।নিজের পরিবার,পাড়া, মহল্লা সকল জায়গায়ই সচেতন হতে হবে।পাশাপাশি সুষ্ঠু আইন ও নীতিমালা প্রনয়ণ বাস্তবায়ন শতভাগ করতে হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
https://sonelablog.com/author/rubyhillol/ ধন্যবাদ আপু। আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। এইগুলো আমাকে ভাবায়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এটা ঠিক বলেছেন আমরা অভিভাবকরাই ঠিকঠাক চলি না তো সন্তানদের শাষন করবো কেমন করে।
সময় উপযোগী পোষ্ট। শুভ কামনা সবসময়।
মোঃ মজিবর রহমান
রোকসানা খন্দকার রুকু আপু আপনার সঙ্গে সহমত।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সর্বত্রই সচেতনতা দরকার ভাই।
আগে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুধু পণ্যের প্রচারণা চালানো হতো
আজ তার সাথে যোগ হয়েছে অশ্লিলতা।
এটা মেকি জৌলুসে আকৃষ্ট হওয়া সভ্যতার বিপর্যয়।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন সতত।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ বোরহান ভাই, আপনি ঠিক বলেছে। শালীন পোষাক বলতে এখন, হাফ পেন্ট, উড়ু, হাঠু ছেড়া, বডি বাহির করে রাখা এই গুলি। দেখুন পরিমনি গ্রেপ্তারের সময় যে পোশাক পরিধান করে লাইভে এসে ব্রিফফ্রিং দিয়েছে সেই পোশাককে অনেক বা হা বা দিয়েছে। আমাদের রুচি আছে বলতে হবেই।
আমরা আধুনিকতার নামে বেইজ্জত হচ্ছি তাতে কারোর নজর পরে না।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অভিভাবক দের দেখাদেখি আজকের প্রজন্ম নষ্ট সমাজের সঙ্গী হচ্ছে। কি শিক্ষা দিচ্ছি আমরা এই প্রজন্ম কে সেটাই সবার ভেবে দেখা উচিৎ। সন্তানের উপকার করতে গিয়ে অপকারীতা ডেকে আনছি। আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে আরো আদিম, পৈশাচিক হয়ে পড়ছি। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য। সাবধানে থাকবেন
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার মুল্যমান মন্তব্য আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করল। এই রকম লেখা জন্য। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনন্য অর্ণব
রচনার বিষয়বস্তু সমসাময়িক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ। তবে শব্দের গঠন, প্রয়োগ, এবং বাক্যে সঠিক কর্তা নির্ধারণে আরো যত্নবান হওয়া দরকার। প্রথমত লেখার শিরোনামে “আত্মঘাতী” বানানটা ভুল। যখন এই লেখাটা কোন পাঠক পড়বে তখন শিরোনাম দেখেই লেখকের প্রতি পাঠকের বিরূপ ধারণা জন্ম নিতে পারে।
“এই গুলি মনুষত্যবোধকে নিপতিত করে অন্ধকারে। যে যা দেখে সে তাহাতে বেশি আকৃষ্ট হই” চতুর্থ প্যারার প্রথম লাইন এটা। এখানে এখানে দ্বিতীয়াংশের কর্তাই প্রথমাংশের কর্তা নির্দেশক। দ্বিতীয়াংশের বাক্য শুরু থার্ড পারসন দিয়ে আর শেষ হলো ফার্স্ট পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার দিয়ে। আর প্রথমাংশেও সেইম অবস্থা, এই লাইন দুটো যদি সঠিক গঠন প্রক্রিয়া মেনে লিখতেন, তবে ভাষার মাধুর্য আরো অনেক বেড়ে যেতো।
আশা করি গঠনমূলক সমালোচনা সহজভাবে নেবেন। ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
অনন্য অর্ণব ভাই, আপনার গঠনমূলক সমালোচনা আমার কাছে অতি শিক্ষণীয়। আপনার প্রতি আমার অনেক ভালোবাসা রইল। আমি এইরকম পোষ্ট লিখার সাহস পাই না এই জন্যই। আপনার প্রতি একান্ত শ্রদ্ধা রইল।
ভালো থাকুন।