
••
আত্মহত্যার আগে আমি কিছুটা স্থির ছিলাম।
একটার পর একটা সিগারেট পুড়িয়েছি।
এক গ্লাস ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়েছি – এর বেশি জল ছিলোনা; হয়তো বরাদ্দ শেষ।।
আমার পোষা কুকুরকে বললাম ভালো থেকো বন্ধু।
সে কিছু বলল না লেজ নাড়িয়ে দৌড়ে চলে গেল। খানিক বাদে একটা পুরনো ডাইরি মুখে করে নিয়ে এলো।
আমি ডাইরিটা হাতে নিলাম।
প্রথম পৃষ্টায় লিখা, ওগো জলফরিং মেয়ে
আমার আকাশ হবি। আমার বৃষ্টি হবি।
আমার বুকের সন্ধ্যা হবি।
আস্তে আস্তে পাতা উল্টাতে লাগলাম।
একটা ছবি পেলাম অনেক পুরনো।
ছবিটা আমাকে বললো কি করতে যাচ্ছো?
আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম নিজেকে মুক্তি দিতে যাচ্ছি,সব আয়োজন শেষ।
ছবিটা কিঞ্চিৎ হেসে বললো, বুদ্ধু কোথাকার,
মুক্তি বলতে কোন শব্দ আছে নাকি?
আমাকে ভালোবাসো?
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম – হ্যাঁ।
সে বললো আমি কোন কাপুরুষকে ভালোবাসি না।
এরপর ছবিটি আর কোন কথা বলেনি।
আমি ফিরে এলাম।
কারণ আমি যাকে ভালোবাসি সে কোন কাপুরুষকে ভালোবাসেনা।
ভালোবাসা আমাকে বাঁচিয়ে দিলো,
ভালোবাসা আবারো আমাকে গৃহবন্দী করে দিলো।।
৬টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
বাহ্
সুইসাইড থেকে বেচে যাওয়া।
জয়তু ভালবাসা।
রেজওয়ানা কবির
দারুন লিখেছেন ভাই। জীবনে যাইহোক না কেন আত্নহত্যা মহাপাপ। তবে এই লেখা পড়লে মানুষের বিষন্নতা কেটে যাবে, মানুষ কেন হেরে যাবে??? নতুন করে নতুনভাবে বাঁচতে হয়।।।
পজিটিভলি উপস্থাপন করেছেন।
শুভকামনা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ফিরে আসাই উত্তম — সে বললো আমি কোন কাপুরুষকে ভালোবাসি না।
এরপর ছবিটি আর কোন কথা বলেনি।
আমি ফিরে এলাম।
হালিমা আক্তার
সঠিক পথে ফিরে আসা উত্তম। সুইসাইড মুক্তির পথ নয়। চমৎকার ইতিবাচক কবিতা। শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
পৃষ্ঠা ফড়িং বানান দেখেন।
এভাবে নতুন জীবন খুঁজে পেলে মন্দ হতো না।
সাবিনা ইয়াসমিন
কারো কমেন্টের জবাব নেই!
এখানে শুধু পোস্ট দিতে আসেন?