
আমাজানের দক্ষিণ বাহু ছুঁয়ে দারিদ্রের যে রেখাটা চলে গেছে
ইউরোপের সুউচ্চ সুরক্ষা দেয়াল পর্যন্ত
তার সূত্রপাত যেন কোথায় হয়েছিলো ?
প্রাচ্যের কঙ্কালসার মানুষের প্রতিচ্ছবি এঁকে
ওরা ভুলুণ্ঠিত করেছে দক্ষিণ-পূর্বের যাবতীয় রত্নাধার
এখানে দারিদ্র্যতাকে বলা হয় অভুক্তের অর্ণামেন্ট
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে আমরা জ্বলতে দেখেছি
মহাভারতের আনাচে কানাচে অসংখ্য প্রোজ্জল নক্ষত্র,
নেতাজী সুভাষ বসুর অখন্ড বাঙলায় আমরা পেয়েছিলাম
মাওলানা ভাসানীকে, পেয়েছিলাম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।
পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের করাল থাবায় সেও চুর্মাচার –
ওরা শিখিয়ে দেয় পুঁজিবাদের মূলমন্ত্র, আমরা লুফে নেই –
ক্ষমতার মসনদ আর স্বৈরাচারী ঈশ্বর নির্জীব পড়ে থাকে
পুঁজিবাদের পদতলে, এখানে ঈশ্বর বিকায় ছড়া মূল্যে
তারপর বিভোর ঘুম- মানুষ মানুষকে চিবিয়ে খায়
অথচ ঈশ্বর সে নির্বিকার ।
নিপীড়িত জনস্রোত এখনো দিগ্বিদিক ছুটে যায় – খুঁজে ফিরে কোথায় সেই কান্ডারী,
উদ্ধত বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যে সন্তানের কথা বলে
ঈশ্বর তাকেও কেড়ে নেয়, তারপর নির্বিকার ঘুম
নিপীড়িত সব মজলুম আজ একসাথে চলো –
চলো ঈশ্বরের ঘুম ভাঙ্গাই ।।
৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঈশ্বরের ঘুম ভাঙাতেই হবে , ঈশ্বর যেন দর্শক হয়ে মঞ্চনাটক দেখছে আর দারুনভাবে উপভোগ করছে। খুব সুন্দর কবিতা। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদ সবকিছুকে গিলে খাচ্ছে। চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ — পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের করাল থাবায় সেও চুর্মাচার –
ওরা শিখিয়ে দেয় পুঁজিবাদের মূলমন্ত্র, আমরা লুফে নেই –
ক্ষমতার মসনদ আর স্বৈরাচারী ঈশ্বর নির্জীব পড়ে থাকে
পুঁজিবাদের পদতলে, এখানে ঈশ্বর বিকায় ছড়া মূল্যে
তারপর বিভোর ঘুম- মানুষ মানুষকে চিবিয়ে খায়
রোকসানা খন্দকার রুকু
ঈশ্বর দুটো দিক দিয়েই পাঠিয়েছেন। আমরা যেটার ব্যবহার যেভাবে করবো ফল তেমনই হবে।
শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
ঈশ্বর ভালো-মন্দ দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আমরা কোনটাকে গ্রহণ করব সেটা আমাদের ব্যপার। শুভ কামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঈশ্বর থাকেন স্বর্গ-নরকের ফটক জুড়ে,
উদ্যত মাটির বুকে ঈশ্বর নির্বিকার।
আরজু মুক্তা
আমার, মনে হয় ঈশ্বরই ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছেন। ওনার ঘুম ভাঙ্গুক। জাগ্রত হোক মানববোধের।