
পৃথিবীর সবচেয়ে অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে নীল টাঙ্গাইল শাড়ি আর এক হাত ভর্তি নীল চুড়ি। দিপ্তীর আজ আবৃত্তির অনুষ্ঠান। এই শরতে তাই নীল সাজেই সাজবে। অনুভূতি প্রকাশের আর এক নাম নীল শাড়ি। কিন্তু নীল চুড়ি…. সেটা কিনতে শাহবাগে আসা।
আশিক ফ্যালফ্যাল করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। নীল শাড়িতে মেয়েটিকে একটুকরো আকাশ মনে হচ্ছে।
আবির বিষয়টা খেয়াল করে বললো, ” তুই তো কুপোকাত! ”
কুপোকাতের কি দেখলি ? সুন্দর দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে থাকা দোষের কিছু নয়।
ভাগ্যিস চুড়ি পরেনি ; না হলে তো নিশ্চয় বলতি… ” একটু রিনিঝিনি আওয়াজটা শোনান।”
ধুর। এসব তো ফ্রিতে পাওয়া যায়।
যা না ! কাছে যা।
হ্যালো! আপনি নীলাঞ্জনা? ফুড এণ্ড নিউট্রিশন থার্ড ইয়ার?
মেয়েটি চমকাবার আগেই ছেলেটি বললো। আপনাকে অপরূপ লাগছে। বিশেষ করে নীল শাড়িতে। নীল শাড়ি, সমুদ্র, সূর্যাস্ত একই রেখায়। না দেখে বাড়ি ফেরা যায় না। হাঁটবেন আমার সাথে?
আমি কিন্তু আপনার প্রশংসায় ভাসছি না।
সব কিছু কি আর ফ্রিতে পাওয়া যায়?
পুরুষ মানুষের এই এক সমস্যা। লাই দিলেই মাথায় ওঠে।
কি করবো বলুন? একটা হাত থাকলে উপরে উঠতে ভয় লাগে না।
সহজেই ভাবছেন সবকিছু?
আমার আবার কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে মেয়েদের হাত ধরলে।
ওমা! তাই নাকি?
না, মানে…..
কি মানে মানে করছেন?
ভালোবাসা হলে নিজে নিজে উড়তে পারেনা। দুজনকেই হাওয়ায় ভাসতে হয়।
ভালোই মেয়ে পটাতে জানেন।
একজনকেও তো পটাতে পারলামনা।
এখানে আসুন। এই হাতে নীল চুড়িগুলো পরিয়ে দিন।
আমি???
মুহূর্তেই মেয়ে পটান। এবার দক্ষতা দেখি। চুড়ি পরানো, খোঁপায় অপরাজিতা কিংবা কপালে নীল টিপ!
এবার চুপ হয়ে গেলো আশিক।
কি হলো? কথার মায়াজাল না বাড়িয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটান।
চুড়ি পরিয়ে দেয়ার চেয়ে সহজ কাজ হলো আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকা।
বুঝছি, ফাঁসীর মঞ্চে ফাঁসী কার্যকর হতে আর দেরি নাই।
হা হা। এবার চলুন। ঘরে না ফিরে নীল শাড়ির আঁচলে আমার দুঃখগুলো ঢাকতে চাই। নীল শাড়িতে মুগ্ধ হয়ে, নিরিবিলি একটু ট্রাই করে দেখি ; সুন্দরি নারীর হাতে চুড়ি পরানো হ্যান্ডক্যাপ পরানোর থেকেও কঠিন কিনা !
৩৪টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
আমাদের এক ব্লগার আছেন, যার নাম দিপ্তী। তার নীলের প্রতি ভালোবাসা দেখে এটা লেখা। তবে, কাকতালীয় ভাবে কিছু মিলে গেলে, আমি আশ্চর্য হবো না। তার জন্য শুভ কামনা
রেজওয়ানা কবির
আপু বিশ্বাস আমি আসলেই চমকে চমকান্বিত হয়ে গেলাম। আর ভালো লাগলো এই ভেবে যে আপনি আমার পছন্দ এতো খুঁটিয়ে দেখে সুন্দর করে নীল চুড়ি,নীল শাড়ী আর নীল ভালোবাসায় অনুগল্প পড়ে আমি মুগ্ধ। আমি সেই নীল দীপ্তি♥️♥️♥️
এবার আসি খুনসুটি আর ভালোবাসায় ফিরে গিয়েছিলাম যদিও সব মেলেনি তবে প্রেমের সময় থেকে এখন পর্যন্ত এভাবে নীলসব কিনে দেয়, বিশেষ করে নীল চুড়ি। কেউ যদি সত্যি এভাবে প্রপোজ করত নির্ঘাত সেইসময় প্রেমে পড়ে যেতাম। নিজেকে মাঝে মাঝে নীলান্জনাও মনে হয়।।। ক্ষতি কি না হয় একটু ভাবলামই।।।রোমান্টিকতায় ভরপুর গল্প। একেবারে অসাধারন তাও আবার আমাকে চিন্তা করে লেখা চমৎকারতো হবেই😃😃😃।আপু এই গল্পে নাটক হলে আমি কিন্তু মডেল হিসাবে নায়িকা চরিত্রে থাকব বলছি। ভালো লাগল, ভালো থাকবেন আপু,সবসময় শুভকামনা ♥️♥️♥️
আরজু মুক্তা
শুভ কামনা
সাবিনা ইয়াসমিন
অতঃপর আশিক সেই এক টুকরো আকাশের দু’হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়েই দিলো!
রোমান্টিক গল্প ভালো লেগেছে, আর নীলাঞ্জনাকে-ও
শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ আপা। ভালো থাকবেন
রেজওয়ানা কবির
আরেকটা বিষয় গল্পের নায়িকা ভেবেই নিজেকে আরও বেশি আয়নার সামনে দেখলাম আজ। ছোটবেলায় কেউ জিজ্ঞেস করত,বড় হয়ে তুমি কি হবে??আমি তখন অনেক ছোট অত বুঝি না তবে আম্মুর কাছে শুনতাম আমি নাকি বলতাম সিনেমার নায়িকা হতে চাই😃যাক তবুও তো আপনার অনুগল্পের নায়িকা হলাম,এর চাইতে আর বেশি কি হতে পারে! এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।তবে শাহবাগে এভাবে অনেক চুড়ি কিনতাম, আজাদ আর আমার বন্ধু বান্ধুবীদের কাছ থেকেও কিনে নিতাম সেই চুড়ি। অনেক পুরনো নস্টালজিক স্মৃতিতে আবার ভাসলাম আপনার কৃপায় আপু। আবার ধন্যবাদ♥️
রেজওয়ানা কবির
আবার আসলাম আরেকটা কথা বলতে আশিক আমার বন্ধু আর বান্ধুবীর বয়ফ্রেন্ড ছিল। ওকে লেখাটি শেয়ার করে দিব ভাবছি। শুভরাত্রী আপু।
আরজু মুক্তা
শেয়ার দিন। নিশ্চয় ওনারও ভালো লাগবে।
আরজু মুক্তা
আচ্ছা, যদি সুযোগ আসে তাহলে নায়িকা রোলে নেয়া হবে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ফুড এন্ড নিউট্রিশান না পড়ে ফ্যাশান ডিজাইনিং পড়া উচিত ছিলো কারন তরকারীতে ঝাল বেশি দেয়।
নীলের অত্যাচারে থাকা দায় আর আপনি দিলেন একধাপ বাডিয়ে আজই কিনতে যাবে।
চরিত্র যেই হোক ফুটিয়ে তোলার হাত লাগে। অনুগল্প সুন্দর হয়েছে।।।
রেজওয়ানা কবির
যা বলেছো তুমি।আসলেই ফুডে না পড়ে যদি ফ্যাশন ডিজাইনে পড়লে তোমার মাথা আরও শপিং শপিং করে পাগল করে দিতাম। তাই শুকরিয়া করো আর খুব শীঘ্রই নীল আরেকটা শাড়ী কিনে দাও🤪🤪🤪
আরজু মুক্তা
হা হা। এই হলো ফুড এণ্ড নিউট্রশন? রান্না বাদ। স্টাইল চলুক।
রিতু জাহান
গতকাল সন্ধ্যারাতে রংপুর শহরটা সেজেছিলো,গাঢ় নীলে,,,
হা হা, তা ঠিক,, পুরুষ লাই দিলে মাথায় ওঠে।
ভালবাসায় দুজনেই হাওয়ায় ভাসলেই তাতে পরিপূর্ণতা আসে সত্যি।
রোমান্টিকতায় ভরপুর।
ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
আপনার ভাল লাগছে জেনে ভালো লাগলো।
নীল নীল শুভেচ্ছা
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু গল্পে গল্পে গল্পের মত হলে কত কী-ই-না হতো!
হ্যান্ডকাপ উপমা সুন্দর হয়েছে।
আরজু মুক্তা
যে ভাবেই হোক। পাঠক ভালো বললেই ভালো লাগে।
শুভেচ্ছা
মোঃ মজিবর রহমান
ভালোবাসার ভেলায় তুলে নাচাতে বেশ নিপুণ হাতে দক্ষ , তাই উজ্জ্বল দিপ্তি স্ফুলিঙ্গ নয়নে আনিল চটপটে। ফাঁসির মঞ্চ কারিগর মঞ্চের মাঝে আনে নিপুণ রঙ্গে, ঠংগে ভোলায় আলাভোলায় থাকিতে পারে কি কভু।
পড়ার সময় খুব কম তাও আসি প্রিয় লিখা পড়তে।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরজু মুক্তা
আমি আপ্লুত। আমার লেখা আপনার প্রিয়। এতেই আমি খুশি।
শুভ কামনা ভাই
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি যেন শাহবাগের চুড়ির দোকানে হারিয়ে গেলাম। আহা নীল বোধহয় সবার ই কম বেশি প্রিয় রঙ। ওনার নাম যে দিপ্তী তা জেনেছি রম্য আপুর থেকে। খুউব রোমান্টিক গল্প। খুব সুন্দর উপস্থাপন বরাবরের মতই আপু। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
আরজু মুক্তা
দিদি ঠিক। কম বেশি সবারি নীল পছন্দ।
আপনাদের ভালো লাগলো জেনে লেখার আগ্রহ বেড়ে গেলো।
শুভ কামনা সবসময়
নিতাই বাবু
শুভেচ্ছা অভিনন্দন! আপনার লেখা “নীলাম্বরী” এ সপ্তাহের আলোচিত পোস্ট। যার পাঠকসংখ্যা মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ৭০০ শো-এর উপরে। আবারও অভিনন্দন! তবে হ্যাঁ, আমি অবাক হইনি! আর ব্লগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণও করছি না। এর কারণ হলো, অনলাইনে থাকা লিখাবার পড়িবার যেকোনো সাইট শুধু একদেশ আর এক জায়গা থেকেই লেখা হয় না এবং পড় হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও লেখা যায়, পড়াও যায়। তাই একজন ব্লগারের পোস্ট করা লেখা একসাথে সারাবিশ্ব থেকে কোটি কোটি মানুষও পড়তে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কোটি পাঠক হবে না কেন? হতেও তো পারে! এতে তো অবাক হবার কিছুই নেই। শুধু থাকতে হবে নিজের আত্মবিশ্বাস! আমার পোস্টে আপনার করা মন্তব্যের লিংক এখানে। প্লিজ কিছু মনে করবেন না, দিদি।
আরজু মুক্তা
আমার নিজের কাছে এটা অবিশ্বাস্য কারণ আমার লেখা শুধু এই সাইটে। কোথাও লিংক দেয়া হয়নি। অবশ্যই আমি ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বলবো, কেনো এমন হলো? আপনারা যদি এর কারণ জানান আমি খুশি হবো।
আপনার কথায় মন খারাপ করিনি দাদা। কারণ আমার লেখা টপ লিস্টে যায় যখন আমি এফবিতে শেয়ার দেই। এবং মোটামুটি ৩/৪ দিন লাগে।
আমি আবারও অনুরোধ করছি ব্লগ কর্তৃপক্ষকে।
ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
নীল শাড়ি, নীল চুড়ি, আর নীলাঞ্জনা। অপূর্ব নীলের সমাহার।চুড়ি যদি হয় হ্যান্ডকাফ – মন্দ নয়। এমন হ্যান্ডকাফ সারাজীবন পড়ে থাকা যায়। শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
হা হা। আসলেই কম বেশি চুড়ি সবারি পছন্দ। ধন্যবাদ আপা।
শুভ কামনা
আলমগীর সরকার লিটন
নীল আসলেও সুন্দর বেদনার ছায়ার মতো লাগে সবচেয়ে নীল আকাশ——-মুক্তা আপু
আরজু মুক্তা
বেদনা না। আমার তো নীল খুবই পছন্দ। মনে হয় নীলেই হারাই।
শুভ কামনা ভাই
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
চমৎকার ভাবে শেষ করেছেন –হা হা। এবার চলুন। ঘরে না ফিরে নীল শাড়ির আঁচলে আমার দুঃখগুলো ঢাকতে চাই। নীল শাড়িতে মুগ্ধ হয়ে, নিরিবিলি একটু ট্রাই করে দেখি ; সুন্দরি নারীর হাতে চুড়ি পরানো হ্যান্ডক্যাপ পরানোর থেকেও কঠিন কিনা !
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শুভ কামনা সবসময়
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার প্রতিও শুভ কামনা রইল আপা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আহা!
নীলাম্বরী কে নিয়ে এক রোমান্টিক গল্প লিখলেন,দিদি।
সত্যিই বেশ ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
আপনার মন্তব্য পেয়ে আর একটা লিখতে ইচ্ছে করছে।
শুভ কামনা
নার্গিস রশিদ
নীল দিয়ে সাজানো লেখাটা পড়ে মন টায় নিলের মত শান্ত স্নিগ্ধ হয়ে গেল । ভাল থাকবেন।
আরজু মুক্তা
আপনার জন্য এক আকাশ ভালোবাসা থাকলো।
শুভ কামনা