
সান্তাহার রেল কলোনিতে বিহারিদের দাপটে বের হওয়া যেনো প্রাণটা হাতে নিয়ে বের হবার মতো। জানটা যেনো ঠোঁটের কাছে আটকে থাকে যেকোনো সময় বের হয়ে যেতে পারে কারো খামখেয়ালীতে। মানুষের জীবনটা কি অদ্ভুত! মানুষই কেড়ে নেয় আস্ত অনুভূতিপ্রবণ একজন মানুষের প্রাণ।
কিবরিয়া সাহেব,, রেলওয়ে পুলিশে চাকরি করেন। সেই সুবাদে রেল কলোনিতে তার বাস। ছোট্ট দুই রুমের বাসা। ঘর থেকে বের হতে ঠিক সামনেই মাটির চাড়ি পাতানো বাথরুম। এ কোয়ার্টারগুলো ব্রিটিশদের তৈরি। বৃটিশরা এতো স্বাস্থ্য সচেতন অথচ বাড়িতে ঢুকতে আসতে তারা এমন মাটির চাড়ির বাথরুম তৈরি করে দিয়েছে সাধারণ বাঙ্গালীদের জন্য। ঘরের বাইরে আসতে যেতে যেনো উপলব্ধি করানো তোমরা ছোটো জাত! চরম বৈষম্যের এক জলজ্যান্ত উদাহরন যেনো। অথচ তাদের নিজেদের বাসভবনগুলো অন্যরকম। রাজকীয় সবকিছু। বিশাল বড় যায়গা নিয়ে এক একটা রেল অফিসারের বাঙলো। এমন বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য বৃটিশদেরও এ ভারতবর্ষের মানুষ তাড়িয়ে ছেড়েছে। অনেক বাঙালী আছেন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে সরাসরি জড়িত। সে সব নিপীড়ন সয়ে সয়ে দেশ হাজার বছরের শাষণ শোষণ তো শেষ হলো কিন্তু আর এক শাসকগোষ্ঠী পাকিস্তান যেনো বাঙালীর কপালে এক দুর্বহ যন্ত্রণা নিয়ে এলো। বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েও পেলো না।
সে যাকগে,,,
দেশে এখন নাজুক অবস্থা। চারিদিকে কার্ফিউ। যে কোনো সময় যুদ্ধের প্রস্তুতি। বিহারী কলোনিতে বাঙালি হয়ে বাস করা সে সময় কতোটা দুঃস্বহ ছিলো তা তারাই জানে যারা কলোনিতে বাস করেছে। অন্তত অন্য সাধারণ বাঙালীর চেয়ে যুদ্ধটা তাদের জন্য আরো বেশি জরুরী ছিলো। হয় লড়ে বাঁচো নতুবা মরো এমন। তাই যুদ্ধ করে বীরের মতো মরাই শ্রেয় বলে মনো করলেন কিবরিয়া সাহেব। ঘরে সদ্য বিয়ে করা সুন্দর একটা বউ। কিবরিয়া সাহেবের বাড়িতে মেনে নেয়নি কিবরিয়া সাহেবের এ বিয়েটা। বউ তার ইন্ডিয়ান ঘটি। কি অদ্ভুত বাজে শব্দ ‘ইন্ডিয়ান ঘটি’। একা মেয়েটাকে রেখে যুদ্ধে যাবে! তবু যে যেতে হবে। কিবরিয়া সাহেব উপর-আল্লাহর উপর ভরসা করে পাশের বাড়ির এক বুড়ি মহিলাকে রেখে মোটামুটি একমাসের বাজার করে দিয়ে হাতে কিছু টাকা গুজে চলে গেলেন যুদ্ধে। সাথে নিলেন তারই কর্মজীবনের রাইফেল। ট্রেনে চড়ে চলে গেলেন একেবারে দক্ষিণবঙ্গে।
এপ্রিলের গরম পড়ে গেছে। কোনো থাকার খাওয়ার নিশ্চিন্ত ঠিকানা নেই। পকেটে টাকা পয়সা নেই। আছে বুকে অদম্য সাহস আর সন্মান নিয়ে নিজের মাতৃভূমিতে বেঁচে থাকার বিশ্বাস। বিশ্বাস সত্যিই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। রুপসাঘাটের নদী পেরিয়ে যেতে হবে মোংলা বন্দরে। নদী পার হয়ে যানবাহন ভ্যান। হাতের বন্দুকটা বহন করা এখন তার বড় যন্ত্রণা মনে হচ্ছে। ওটা লুকানো টাই যেনো এখন বড় কঠিন কাজ। যুদ্ধের সময় সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য তখন বরং জোগাড় করতে পারলেই মনে হয় ভালো হতো। নানান ভাবনায় পথ চলা শুরু করলেন কিবরিয়া সাহেব। লুঙ্গি পরে পায়ের সাথে বেঁধে নিয়েছেন বন্দুকটি। স্বাভাবিক হাঁটায় ব্যাঘাত ঘটছে। চোখ শুধু বার বার নজর ঘোরাচ্ছে কোনো সন্দেহের দৃষ্টি তাকে ফলো করছে না তো! পৌছে গেলেন খুলনা আট নাম্বার সেক্টর কমান্ডারের নির্দেশ মতো। বাগেরহাট জেলার রামপাল থানা এলাকায়। এখানে গাজী বাড়িতে তাকে যেতে হবে। মানজুর গাজী। এলাকার তাগড়া জোয়ান পুরুষ। তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এখানে থেকে নদীপথে তার কাজ হবে পাকিস্তানি আর্মি সেনাদের নজরদারি করা। সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়া। কোনো এলাকায় নতুন মানুষ যেতে দেখলে রাজাকারের সহযোগিরা এসে সন্দেহের চোখে দেখে। তাই কিবরিয়া সাহেবকে গাজি বাড়ির মেয়ে লুচির বর পরিচয় করানো হয়েছে। দিনের বেলা খেত খামারের নানান কাজে ব্যাস্ত সময় কাটে কিবরিয়া সাহেবের। খবরাখবর পৌছে দিতে আর একজন ছেলে আছে তাদের দলে। ছিপছিপা পাতলা গড়নের গ্রামের ভদ্র সাদাসিধে টাইপের ছেলে রমজান। যাকে দেখে কারোরই সন্দেহ হবার কথা নয়। সেক্টর কমান্ডার তার মাধ্যমে নানান খবরাখবর পৌছে দেয়। রেডিও শোনাও যেনো তখন এক ভয়ের কাজ। চুপচাপ করে রেডিও শুনতে হয়। কিবরিয়া সাহেব বাড়িতে বউ এর কাছে চিঠি পাঠালেন নিজের কুশলাদি জানিয়ে। পাল্টা চিঠি এলো বড় সাবধানে। বউ তার প্রেগনেন্ট। কিবরিয়া সাহেব খুশি হবেন নাকি উৎকণ্ঠায় কাটাবেন যেনো ভুলে গেলেন। চোখের কোনায় পানি। যুদ্ধের জন্য লুচির সাথে গ্রামে বিয়ে হয়েছে বলে জানাজানি হলেও লুচিকে তিনি বন্ধুর বোন হিসেবেই দেখেন। কিন্তু লুচিও কি তাই? সে কি এমন সম্পর্কে নাম দেয়াতে মনের কোনায় কোথাও বাসা বাঁধেনি! মনের কি দোষ যদি সে ভালবেসেই ফেলে?
মোড়লগঞ্জ একটা খবর পৌছাতে হবে। সাথে কিছু গ্রেনেড নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এখন যুদ্ধের মাঝ সময়ে। সময়টা যেনো আরো থমথমে। বাইরে এমন সব বয়সের পুরুষ মানুষের যাতায়াত কঠিন। তার উপর গ্রেনেড বহন করে নিয়ে যাওয়া মৃত্যুকে হাতে নিয়ে যাওয়ার সমান। দায়িত্ব পড়লো লুচির উপর। লুচিকে মোংলা থেকে লঞ্চে তুলে দেয়া হলো। পেটে বাচ্চা আছে এমনভাবে গ্রেনেড তার পেটে বেঁধে দেয়া হলো। সাথে দেয়া হলো রমজানকে। মানজুর গাজী নিজের বোনকে এমন মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কাজে পাঠানোর সিদ্ধান্তে বাড়ির মানুষ আর তেমন আপত্তি তোলেনি। লুচি চলে গেলো পেটে বেঁধে গ্রেনেড। অতি সাধারণ কৃষক সমাজে এ এক বেশ দারুন ব্যাপার। আটপৌরে সাধাসিধে সাজতে সময় লাগে না মোটেও। বুঝতে অসুবিধেই হয় না ভিতরে তারা কি সেজে আছে। মূলত হয়তো এটাও একটা কারণ যে বাঙালীর স্বাধীনতা পেতে দেরি হয়নি। লুচি পান চিবোতে চিবোতে পৌছে গেলো মোড়লগঞ্জ তালুকদার বাড়ির বাহানায় তার গন্তব্য স্থানে। গ্রেনেড পৌছে তাকে ফিরে আসতে হবে। সাঙ্কেতিক ভাষায় কাগজে হামলা করার ম্যাপ নিয়ে ফিরে এলো লুচি। এ এক বিজয় যেনো কিবরিয়া সাহেবের।
এর মধ্যে শীত পড়তে শুরু করেছে। মোংলা পশুর নদীতে রাতের অন্ধকারে সাঁতরে পাকিস্তানী বোট এ গ্রেনেড রাখতে হবে। মিষ্টি পানি দেশের মানুষ কিবরিয়া সাহেব। সমুদ্রের লবন পানির সাথে কোনোরকম পরিচয় নেই। তার উপর শীতের রাত। নদীতে নেমে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে সুযোগ বুঝে বোর্ড এ গ্রেনেড ছুঁড়তে হবে। রাতের এ নিরব অন্ধকারে বউটার কথা মনে পড়ছে। বাবা মায়ের কথা মনে পড়ছে। স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে ভাইবোনদের খুনসুটি। মুহূর্ত স্মৃতি মানুষকে নিয়ে যায় অনেক দূরে। শুধু মানুষই পৌঁছাতে পারে না সময়ের তালে মন তার ঠিকই পৌছে যায়। রাতে পানিতে ছলাৎ শব্দ যেনো আরো তীব্র হয়। সাঁতার কেটে যেভাবেই হোক পাকিস্তানি বোট এর কাছে পৌছাতেই হবে। খবর আছে এ বোর্ড আসতেছে মোড়লগঞ্জ থেকে। এরা গিয়ে ভিড়বে ওদের খুলনার দলে। তখন ঠেকানো মুশকিল হবে। তাই বড় দলে ভেড়ার আগেই ছোটো দলটাকে শেষ করতে হবে। রমজান আর কিবরিয়া সাহেবের ঠোঁটের সাথে ঠোঁট বাড়ি খাচ্ছে। যেনো আটকানো যাচ্ছে না। শীতের তীব্রতা সহ্য করা কঠিন হচ্ছে।
আকাশে উজ্জ্বল পূর্ণ চাঁদ নেই তবু যেনো বোর্ডটার হাল্কা অবয়ব বোঝা যাচ্ছে। এগিয়ে আসছে বোট। ডুব সাঁতারে তারা পৌছে গেলো বোট এর কাছে। মেরে দিলো পটাপট তিন চারটা গ্রেনেড। সাথে সাথেই ডুব দিলো নদীতে। বাঙলার ছেলে তাই ডুব সাঁতারে বাজিমাত করে দিলো পাকিস্তানীদের। কিবরিয়া সাহেবের এখানকার কাজ মোটামুটি শেষ। ফিরে যেতে হবে। খবর এসেছে বাচ্চাটা তার মারা গেছে আঁতুড়ঘরেই। প্রথম ছেলে বাচ্চা।
যুদ্ধও শেষ। একে একে আত্মসমর্পন করতে শুরু করেছে পাকিস্তানি হানাদাররা। এ দেশে তাদের দোসররা পালাচ্ছে দিক বিদিক। কেউ কেউ খোলস পাল্টে দেশপ্রেমিক হয়ে যাচ্ছে রাতারাতি। এদিকে লুচির গায়ে কিবরিয়া সাহেবের নাম লেগে গেছে বিয়ের। তাকে পাত্রস্থ করা এ দেশে অসম্ভব। গ্রামের মানুষ নানান কথার জাল বোনে। কথার চাবুকে মরে রোজ। শেষমেষ বার্ধক্য ধরেছে এমন লোকের সাথে লুচির বিয়ে হয়।
সে ঘর একবছর না যেতেই পেটে সন্তান রেখেই মারা জান লুচির স্বামী। সত্যি কি বিয়ে হতেই হয়? একটা মেয়ের কি বিয়ে ছাড়া এ সমাজে চলে না? সন্তান নিয়ে আজীবন একা কেটে গেছে লুচির বাকী জীবন।
লাল সবুজের বাঙলা এমন কতো কতো ত্যাগে যে মানচিত্র পেয়েছে তার সঠিক কোনো হিসেব নেই। আসলে অগনিত সে সকল হিসেব। ভালো থাকুক লুচির দেশমাতৃকা।
,,রিতু জাহান,, রংপুর।
১৭টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
আসলেই লাল সবুজের বাংলা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া। গল্পের মতোই অনেক জীবন অসময়ে ঝরে গেছে। তারা ভালো থাকুক এই কামনা।
রিতু জাহান
আসলেই তাই,,,, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
তৌহিদুল ইসলাম
এরকম হাজারো আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকার সম্মান আমরা ধরে রাখতে পারছি কই। লুচি’র মত অসহায় কত মা বোনের নীরব অশ্রুতে হৃদয়ে লেখা হয়ে একটি নাম – বাংলাদেশ।
লেখা মনে দোলা দিয়ে গেলো আপু। শুভকামনা জানবেন।
রিতু জাহান
আমি সান্তাহার রেলকলোনি আর সৈয়তপুর রেলকলনিতে বিহারিদের দাপট দেখছি!
মাগো! ওরা এখনো বাংলা বলে না। স্কুল মানে মক্তব টাইপ আছে ওদের বিহারি মানে উর্দু ভাষার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
একজন অংশগ্রহণকারীর মত করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে তুলে এনেছেন।
উঠে এসেছে ত্যাগ, একান্ত ব্যাক্তিগত বাস্তবতায়। অনেক শ্রমের লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
কৃতজ্ঞতা রইলো কবি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
রেজওয়ানা কবির
লাল সবুজের এই বাংলাদেশ যা লক্ষ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে এই জন্য অনেক গর্ববোধ হয় কিন্তু স্বাধীনতা কি সত্যি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি??? এরকম হাজার প্রশ্ন মনে প্রকাশ করতে পারি না, তবে কেন এত অন্যায়, এত রাহাজানী,এতো ধর্ষন এতো???.? শুধু এটুকুই স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। সকল শহীদদের প্রতি শুভকামনা। ভালো লিখেছেন, শুভকামনা।
রেজওয়ানা কবির
দুঃখিত লক্ষ হবে।
রিতু জাহান
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। ভালো থাকবেন
সাবিনা ইয়াসমিন
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার যুদ্ধ কেবল বিজয়ের হাসিতে সমাপ্ত হয়নি, এর সাথে যুক্ত ত্যাগ, হাহাকার, দীর্ঘশ্বাস, না বলা ভালোবাসার হাজারো গল্প এখনো অসমাপ্ত রয়ে আছে। লুচি ভালোবেসেছিল, প্রথমে মানুষকে, তারপর দেশ মাতৃকাকে। বেনামি ভালোবাসার জোরে সে লড়াই করেছিলো বাকি জীবনেও। কিন্তু লুচিদের মতো নারীদের ভাগ্যে বীরশ্রেষ্ঠ পদবী জুটেনি। হয় বীরাঙ্গনা নয়তো বিয়ে করে বর জুটিয়ে নেয়া, এই পরিনতি মেনে নিতে হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ঘটি, এই শব্দটা মানুষ এতটাই তাচ্ছিল্যের সাথে উচ্চারণ করে, শুনলে কেন জানি নিজেদের সভ্য মানুষ ভাবতে লজ্জা হয়।
রিতু জাহান
আমার এক দাদী ছিলো,,ভীষণ সুন্দরী। গ্রামের সবাই দাদীকে ঘটি দাদাী বলেই জানতো।। শিক্ষিত মহিলা ছিলেন। তখনকার সময় দাদাি হিটারে রান্না করতেন। খুলনাতে। আমিও ঘটি দাদাি বলতাম। জানতামইনা কেনো এ নাম!
পরে জানতে পেরে আর কোনোদিন ডাকিনি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ,, কৃতজ্ঞতা রইলো।
হালিমা আক্তার
আমাদের লাল সবুজের পতাকায় এরকম কত লুচির আত্মত্যাগ মিশে আছে। লুচিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীন মানচিত্র। বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো সকল শহীদদের প্রতি। শুভ কামনা অবিরাম।
রিতু জাহান
বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো সকল শহীদদের প্রতি।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল আপু।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা কাহিনী , মানুষের ত্যাগের কথা আমাদে সকলের অগোচরেই রয়ে গেছে — লাল সবুজের বাঙলা এমন কতো কতো ত্যাগে যে মানচিত্র পেয়েছে তার সঠিক কোনো হিসেব নেই। আসলে অগনিত সে সকল হিসেব। ভালো থাকুক লুচির দেশমাতৃকা।
রিতু জাহান
একদম। কতো যে অজানা রয়ে গেছে। কতো আাড়ালে রয়ে গেছে,,,
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
এখনো অনেক অজানা কাহিনী ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়নি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
মুক্তিযুদ্ধ হৃদয়ে,,,,