
জীবনটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলো, সব কিছুতেই ভাটা পড়ে আছে, ইনকামের অবস্থা তথৈবচ, জমাজাট্টি যা ছিলো তা এখন নেই এর পথে, ব্যবসায়ী বলুন বা চাকরিজীবী কেউই ভালো নেই, কারা ভালো আছেন শুধু?
সরকারি চাকুরিজীবীরা।
আসুন ডেল্টা ভাইরাস নিয়ে কিছু আলোচনা সেরে ফেলিঃ
যে কোনো ভাইরাসই ক্রমাগত নিজের ভেতরে নিজেই মিউটেশন ঘটাতে করতে থাকে অর্থাৎ নিজেকে বদলাতে থাকে, এবং তার ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরন তৈরি হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন মাথাব্যথার প্রয়োজন হয়না, কারণ নতুন সৃষ্ট অনেক ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল এবং কম ক্ষতিকর হয়।
কিন্তু কিছু ভ্যারিয়েন্ট আবার অধিকতর ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে – যার ফলে টিকা দিয়ে একে কাবু করা দুরূহ হয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসের ভারত ভ্যারিয়েন্ট – যেটার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭ – প্রথম ভারতে শনাক্ত হয় গতবছর অক্টোবর মাসে।
গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়ান্ট, যেটিকে এতদিন ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়ান্ট বলা হচ্ছিল, দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তিত হয়েছে। ইউরোপে প্রথমবার শনাক্ত হওয়া এই ভ্যারিয়ান্টকে ‘ডেল্টা প্লাস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
কয়েকটি গবেষণার তথ্য উদ্ধৃত করে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তথাকথিত ‘ডেল্টা প্লাস’ ভ্যারিয়ান্ট আগের ভ্যারিয়ান্টগুলোর চেয়ে সহজে ছড়ায়, ফুসফুসের কোষের সাথে অপেক্ষাকৃত সহজে যুক্ত হয় এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত টিকা যে মূলনীতি অনুসারে তৈরি করা হয় – ‘মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি’ – তার বিরুদ্ধে কার্যকর।
নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটি ভারতে শনাক্ত হওয়া ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়ান্টের সাথে সম্পর্কিত। ভারতে দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে মূল কারণ মনে করা হয় ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টকে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতে প্রথমবার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যায় এ বছরের এপ্রিল মাসে। তিনটি অঙ্গরাজ্যের ৬টি জেলায় এই ভ্যারিয়ান্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
ভারত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন সহ ৯টি দেশে এই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট এরই মধ্যে বিশ্বের ৮০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাস সাধারণত সবসময়ই পরিবর্তিত হতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাস পরিবর্তিত হয়ে দুর্বল হয়ে যায়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ভাইরাস পুরনো ভাইরাসের চেয়ে শক্তিশালী ও বেশি সংক্রামক হয়ে দেখা দেয়, যেই পরিবর্তিত রূপটি অন্য ভ্যারিয়ান্টগুলোর তুলনায় বেশি মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি করে।
ডেপল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্টটিতে ‘কে৪১৭এন’ নামে একটি অতিরিক্ত মিউটেশন রয়েছে, যেটি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া বেটা ও গামা ভ্যারিয়ান্টেও পাওয়া গেছে।
তথ্য সূত্রঃ BBC বাংলা।
ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে বেশ কয়েকটি টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে, যার মধ্যে আস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মর্ডানা, সিনোভেক এখন বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে, টিকা দেওয়ার বয়স সীমা এখন ২৫ বছর করা হয়েছে এবং খুব দ্রুতই বয়স সীমা ১৮ করা হবে, এখন দলে দলে লোক টিকা নিচ্ছে, এইটাই এখন পর্যন্ত পজিটিভ বিষয়।
এখন আসি আমাদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করিঃ
আমরা বীরের জাতি কিন্তু দুঃখজনক ভাবে এই দেশের বীর বাঙ্গালি নিজেরাই সচেতন নন কোভিড বিষয়ে, গত চারমাসে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে, লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত, এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে যা ভারতের চাইতেও বেশি।
সত্যি দুঃখজনক, আমাদের এমন অবস্থার জন্য সরকারের চাইতে আমরা সবচাইতে বেশি দোষী, কিভাবে?
এইটি খুবই সিম্পল যে দেশের মানুষ করোনাকে ভয় পাইনা, মুখে মাস্ক রাখেনা, মাস্ক পড়লেও নাকের নিচে, থুতনিতে পড়ে, লকডাউন মানেনা, সরকার লকডাউন দিলে তা কি দেখার জন্য বাইরে বের হয়ে দেখে, তাদেরকে কিভাবে আমরা দোষী ভাববো না বলুন?
এখন বাংলাদেশে করোনা যেভাবে ছড়িয়ে গেছে তা যদি একবার উপলব্ধি করতে পারেন, তাহলে আতংকিত না হয়ে পারবেন না।
প্রায় ঘরে ঘরেই করোনা হানা দিয়ে বসেছে, রিসেন্ট ঘটনা বলি, সরকারের বেয়াক্কেলে সিদ্ধান্তের কারণে কুরবানির হাট থেকেই বেশিরভাগ কুরবানি দাতা করোনা সংক্রমিত হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের আরেকটি কারণ হলো, বেশির ভাগ মানুষ জেনে বুঝেই করোনা সংক্রমিত অবস্থায় বিভিন্ন ভাবে অন্যদেরকেও সংক্রমণ করে আসছে তার ভারিভুরি প্রমাণ আছে।
আবার অনেকে অলরেডি সংক্রমিত হয়েছেন তা নিজেরাও জানেন না, জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে আছেন এই ভেবে যে তা সাধারণ সর্দি কাশি জ্বর, এমন মানুষও অন্যদের সংক্রমিত করছে অনিচ্ছাকৃত ভাবেই, সত্যি দুঃখজনক।
সলরকারকেও দোষ না দিয়ে পারিনা, সরকার যেভাবে লকডাউন নামক সার্কাস শুরু করছে তা এই জাতির জন্য ভয়াবহ।
সরকার এবং প্রসাশন এক কথাতে কখোনোই অনড় থাকতে পারছেনা, আজ বলে কঠোর লকডাউন, পরদিন দেখা যায় রাস্তায় মানুষের ঢল, কয়েকদিন পর বলে কঠোর থেকে কঠোরতম লকডাউন, কিন্তু তা যেন যে লাউ, সেই কদু।
আর্মিও নামিয়েছে জনগণকে কন্ট্রোল করার জন্য, কিন্তু তাতে কি হয়েছে, তাদেরকে কি আমরা মানি?
এদিকে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মিরা তো লাথির কাঁঠাল, সরকার এবং শিল্পোদ্যোক্তাদের প্যাঁচে পড়ে শুধু এদিক থেকে ওদিক গড়াচ্ছে।
এরা অসুস্থ হলে তার দ্বায়িত্বও নিচ্ছে না শিল্পোদ্যোক্তারা, না নিচ্ছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, সংক্রমণ বন্ধ করা উনাদের কাজ নয়, উনাদের কাজ চিকিৎসা দেওয়া, জনশ্রুতি আছে স্বাস্থ্যসেবা লঙ্ঘিত এই দেশে, যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরও উপযুক্ত আইসিইউ বেড, হাই ফ্লো অক্সিজেন নজল, চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্বিকার কিন্তু ব্যবসার দিকে মন বেশি।
শুনা যাচ্ছে টিকা নিয়েও বড় ধরণের ব্যবসা হচ্ছে।
কি করণীয় উচিত সরকারেরঃ
সরকারের উচিত ছিলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লকডাউন, কারফিউ পরিচালনা কিভাবে দিচ্ছে তা অবলোকন পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, যেমন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কথায় ধরুন, ভারত লকডাউন তো দিয়েছেই, সাথে কারফিউও জারি করেছে কিছু কিছু স্থানে।
যেখানে লকডাউন দিয়েছে, সেখানে পুলিশ দিয়ে লকডাউন ভঙ্গকারীদের শাস্তি দিয়েছে, কাউকে দিয়ে করিয়েছে ব্যাঙ লাফ, কাউকে করিয়েছে গড়িয়ে গড়িয়ে বাসায় ফেরার শাস্তি, কাউকে বেতিয়েছে বেত দিয়ে, এতে কারোরই সাহস হয়নি ঘরের বাইরে যাওয়ার।
আমাদের সরকার কেন এইসব করছেনা, তাদের এতে কিসের ভয়?
এগুলো করা তো জনগণকেই রক্ষা করার জন্য, নয় কি?
কিন্তু আমাদের সরকার কঠোর না হওয়ার কারণেই এই দেশ এবং জাতি ভুগবে, এই দেশেও হয়তো লাশ নিয়ে অবজ্ঞা হবে, নদীতে ভাসবে, সাগরে ভাসবে, কুকুরে টানবে, কবরেও জায়গা কম পড়বে।
আল্লাহ মালিক আমাদের রক্ষা করুন, সবাইকে অনুরোধ করবো, দয়া করে নিজেরা নিজেদের সেইফ করুন, যথাযথ নিয়মে মাস্ক পড়ুন, হাত মুখ নাক পরিস্কার রাখুন, হাত স্যানিটাইজ করুন, অযথা নাকে মুখে হাত দেবেন না, বাইরের খোলা খাবার, পানিয় খাবেন না, এক জায়গায় অনেক মানুষ জড়ো হবেন না, স্যোসাল ডিস্টেন্স মেনে চলুন, তাহলে আল্লাহও নিশ্চয় আমাদের রক্ষা করবেন, আমীন।
সমাপ্ত।
ছবিঃ গুগল।
২০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইজান সরকারও দিকবিদিক অবস্থা আবার জনগণের অবস্থাও তাই। আর কিছু কিছু জনতা আছে রাজনীতির ভন্ডামী করা। তাঁদের মা, বাবারা নিল সেই জল ঘোলা করে।
আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা, আবদার করে ক্ষমা ও মাপ চাইতে হবে আল্লাহপাকই পারেন রক্ষা করে। ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তা করবেন।
ইঞ্জা
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, আমীন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
হালিমা আক্তার
সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।আর এক শ্রেণির মানুষ এসময় বৈরী পরিবেশ নিয়ে রাজনীতি করছে। কিছু মানুষ নিজেদের ইচ্ছা মাফিক চলছে। আল্লাহ আমাদের একমাত্র ভরসা। শুভ কামনা। ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন সুপ্রিয় ব্লগার, সুষ্ঠু পরিচালনার অভাব বলেই আজ আমরা মৃত্যুর মুখোমুখি।
ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
এবার উল্টা সরকারের কঠোর লকডাউন দরকার। আর জনগণের দরকার মাস্ক পরিধান। হেডিং ভালোনলাগছে। শিধু সরকারি চাকরিজীবী রা ভালো। বাকিদের আসলেই জমানো টাকা তুলে খেয়ে শেষ।
আল্লাহ ভরসা
ইঞ্জা
আপু কিছুই নয়, বেতাইলেই সব ঠিকঠাক চলতো, সরকার কিভাবে যে মানুষকে বিপদে ফেলেছে তা ভেবেই আমি আতংকিত হচ্ছি।
ধন্যবাদ সতত।
কামাল উদ্দিন
এই করোনা আমাদেরকে এতো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করছে যে, জানিনা কবে আবার সঠিক রাস্তায় ফিরে আসতে পারবো। কেন যে সরকারী চাকুরীজীবি না হয়ে ব্যবসায়ী হতে গেলাম মাথায় ধরছে না।
ইঞ্জা
সত্যি আফসোস লাগছে ভাই।
রেজওয়ানা কবির
এই করোনা সবকিছু থামিয়ে দিয়েছে কোথাও কেউ ভালো নেই।
ইঞ্জা
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, আমীন।
ধন্যবাদ আপু।
তৌহিদুল ইসলাম
প্রথমেই বলি সরকারি চাকরীজীবিরা সবাই ভালো আছে এটি সঠিক নয়। তবে হ্যা কিছু সুবিধাতো পাচ্ছেই এবং পৃথিবীর সবদেশেই সরকারি চাকুরেরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন এটা সত্য। উচিত ছিলো বেসরকারি অফিসগুলোকে তাদের কর্মজীবিদেরকেও সুবিধা দেয়া, কিন্তু দিচ্ছেনা কেন?
লকডাউন পৃথিবীর কোন দেশের তেমন কার্যকর হয়নি। হয়েছে সেসব দেশে যেখানে প্রত্যেক বাড়িতে খাবার পৌঁছে যেতো। উদাহরণ – কানাডা, সুইডেন ইত্যাদি। আমাদের দেশ কানাডার মত নয় ভাই।
সরকার একটা ঘোষনা দিলে সব ব্যাবসায়ীরা এর বিপক্ষে যায়। সরকার কি করবে বলুন। আমাদের অর্থের চিন্তা আগে। মানুষ মরে বাঁচুক ব্যবসায়ীদের কোন দায় নেই। দেশ চালাচ্ছে আমলারা, মন্ত্রীরা নিষ্কৃয় হয়ে আছে।
ডেল্টা ভেরিয়েন্ট মিউটেশনের মাধ্যমে যতটা ক্ষতি করেছে নিজেরা সচেতন না হলে সামনে অন্ধকার নেমে আসছে নিশ্চিত।
ভালো থাকুন ভাই। শুভকামনা।
ইঞ্জা
ভাই উল্টো বেসরকারি চাকরিজীবীরা চাকরি হারাচ্ছে, ঘরে ঘরে দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষ বাঁচবে কি করে?
আমাদের দেশে খাদ্য সহায়তা সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না, যা জনগণের জন্য, তা দলিয় লোক, তাদের আত্মীয়রা পাচ্ছে।
সরকারের নির্দেশনা দোকান মালিক, শিল্পোদ্যোক্তারা বাধা দিচ্ছে কারণ সরকার কঠোর হচ্ছে না, একটু কঠোর হলে অনেক কিছুই সরকারের দ্বারা সম্ভব হতো ভাই।
মন্ত্রী আমলারা নিজেরাও ব্যবসায়ী, ফলশ্রুতিতে দেশ এখন আমলা মন্ত্রীদের কথায় চলে।
সত্যি ভাই এখন নিজেরা সচেতন না হলে নিজেরাই মরে ভূত হবো।
সুন্দর বিশ্লেষণ মূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
দালান জাহান
সুন্দর জনকল্যাণমুখী পোস্ট। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাই। আমাদের সচেতন হতে হবে। আর সবশেষে কথা একটাই, আল্লাহ ভরসা।
ইঞ্জা
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই, শুভকামনা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা শুধুই দেখে যাচ্ছি, ইতোমধ্যেই আমার বেশ কয়েকজন সহপাঠি মারা গিয়েছেন।
কার যে কী করা উচিৎ সেটি ই ঠিক করতে পারছি না। শুধু সাধারণ মানুশের ভোগান্তি দেখে যাচ্ছি।
আল্লাহ সহায় হবেন সবার , এই কামনা করি।
ইঞ্জা
আমিও কিছু সহপাঠী এবং আত্মীয় হারিয়েছি এবং হারানোর পথে, ভাইজান আমিও সমদুঃখী আপনার সাথে কিন্তু শুধু আল্লাহ নয় নিজের উপরেও ভরসা করতে হবে, নিজেদের সচেতন হতে হবে, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ কারিম আমাদের উপর সহায় হবেন, আমীন।
ধন্যবাদ ভাইজান।
আলমগীর সরকার লিটন
সত্যই মহান আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন আমিন
ইঞ্জা
আমীন।
ধন্যবাদ ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যখন পরিচিত কারো মৃত্যু সংবাদ শুনি আত্মাটা কেঁপে ওঠে। চারিপাশে মৃত্যুর কুপ জেগে উঠেছে। নিজেদের সচেতনতা নিজেদের কাছে। সাবধান নই কেউ আমরা। প্রশাসনিক গাফিলতি খুব পীড়া দেয় আর জনগণের ঘাড়ত্যাড়ামি ভাব দেখলে শরীর জ্বলে। বয়স্ক লোকজনের অবস্থা দেখলে মনে হয় করোনা আসলে আসুক তবুও মাস্ক পড়বো না। জানিনা কি হবে? সরকারিদের বেতন নিয়ে চিন্তা নেই, বেসরকারি দের অবস্থা খুবই খারাপ, অকল্পনীয়। বাকীটা ঈশ্বর জানেন
ইঞ্জা
সত্যি কি যে হবে ভেবে ভেবে আতংকিত হই আপু, ঠিকই বলেছেন, সরকার যেমন গাফিলতি করছে, তেমনই ঘাড় ত্যাড়া জনগণ, উফফ।