
আবার সেই পুরনো ঢাকা। রাজধানীর আরমানিটোলার একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে চার জনের মৃত্যু। পুরনো ঢাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির নীচ তলায় বিভিন্ন কারখানা বা গুদাম ঘরের কাজে ব্যবহার করা হয়। পুরনো ঢাকার চকবাজার, ইসলামবাগ, আরমানিটোলা, রহমতগঞ্জ, লালবাগ এসকল এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রাবার, প্লাস্টিক জাতীয় বস্তুর কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ব্যবহারকৃত কাঁচামাল অতিদাহ্য পদার্থ। এসকল দাহ্য পদার্থ থাকায় সেখানে সহজেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।
২০১০ সালের ৩ জুন নীমতলীর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রায় ১২৪ জন নিহত হন। ২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুন লেগে মারা যায় প্রায় ৮১ জন। এছাড়া ও ছোট দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন আমরা সবাই সরব হই। প্রশাসন তখন নড়েচড়ে বসে। কিছুদিন পর আবার সেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। পুরনো ঢাকা থেকে বারবার কেমিক্যাল এর গুদাম সরানোর কথা বললেও কোনো সফলতা আসে নাই। এ ব্যাপারে সেখানকার ব্যবসায়ীদেরও কোন সহযোগিতার মনোভাব আছে বলে মনে হয় না। তারা তাদের ব্যবসার সুবিধার্থে সেখান থেকে গুদাম সরাতে চান না।
এরফলে কিছু দিন পর পর দুর্ঘটনায় যে প্রাণহানি ঘটছে তার দায় কার। আর কত প্রাণ আগুনে দগ্ধ হলে পুরানো ঢাকার কেমিক্যাল এর গুদাম সরানো হবে।
ছবি- নেট থেকে নেয়া।
১৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
সেখানকার মানুষদের অতি ব্যবসায়ীক মনোভাব এর জন্য দায়ী। এত দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও তারা নির্বিকারের মতো বারংবার একই কাজ করে।
১৭ টি পরিবার এক মুহুর্তে নিঃস্ব হয়ে গেলো! যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা চলে গেছেন আক্ষেপ অভিযোগ থেকে মুক্তি নিয়ে, কিন্তু আহতদের অবস্থার কথা ভেবে বিমর্ষবোধ করছি আল্লাহ তায়ালা সহায় হোন, আর দোয়া করি কর্তৃপক্ষ সহ সেখানকার মানুষদেরও সুবুদ্ধির উদয় হোক।
সমসাময়িক বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
হালিমা আক্তার
কারো কোন জবাবদিহিতা নাই। পুরনো ঢাকার বাড়ি গুলো মনে হয় , আগুনের গোলার উপর রয়েছে।যে কোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আল্লাহ সহায় হোন। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হ্যাঁ টিভিতে দেখলাম। এমন ঘটনা ঢাকায় অহরহ হলেও এর কোন সুরাহা নেই। আবার দেখবেন লোকজন দোকান দিয়ে বসবে। সরকারও কোন পদক্ষেপ নেয়না।
শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
ওখানে প্রত্যেকটি বাড়ির নীচে গোডাউন। না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।এত প্রাণহানি তবু বোধোদয় নাই। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই দুঃখজনক ঘটনা, এ থেকে নিস্তারের উপায় আমরা জানিনা,
আর কত মৃত্যু আমাদের চাই, তাও জানি না।
হালিমা আক্তার
যতদিন মানুষের শুভবুদ্ধি না হবে, ততদিন এভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে। শুভকামনা।
আরজু মুক্তা
আর কতো মৃত্যু! সরকারও এসব ব্যাপারে নির্বিকার।
হালিমা আক্তার
সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
অনেক অনেক সুন্দর লেখা।
শুভকামনা রইল
হালিমা আক্তার
অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা।
পপি তালুকদার
আমরা বাংলাদেশে বাস করি।। যখন একটা বিষয় সামনে আসে সেটা নিয়ে পরে যাই তারপর কিছুদিন পরে ওটা মনে রাখার সময় কই!
হালিমা আক্তার
আর এ কারণেই আমাদের কোন পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনা। শুভেচ্ছা রইলো।
তৌহিদুল ইসলাম
এই যে প্রতিবছর একই রকমের দূর্ঘটনা ঘটছে এর দায় একদিকে সেই এলাকার বাসিন্দা এবং সরকার দুপক্ষেরই আছে। এতবার বলার পরেও বাড়ি মালিক কেমিকেল গোডাউন ভাড়া দিচ্ছেন কেন? অন্যদিকে কোম্পানিগুলিকে সরে যাবার জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গা সরকার দিচ্ছেনা কেন সেটা বোধগম্য নয়।
এমন প্রাণপপ্রদীপ নিভে যাওয়া ঘটনা ঘটুক তা আর চাইনা। শুভকামনা আপুন
হালিমা আক্তার
পুরনো ঢাকার বাড়ির মালিক ভাড়া দিচ্ছে টাকার জন্য। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আর যেন কোনো দুর্ঘটনায় প্রাণহানি না ঘটে। শুভকামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি বুঝিনা এদের টনক কবে নড়বে , এতো আপনজনের মৃত্যু সহ্য করে ক্যামনে? নিজেরাই নিজেদের মৃত্যু ফাঁদ বানিয়ে রেখেছে । ক্যামিকেলের গোডাউন দিয়ে এক একটা দূর্ঘটনার গোডাউন তৈরি করেছে। সরকার কঠোর হতেও পারেনা এদের অসহযোগিতার কারণে। কেউ যদি জেনেশুনে মৃত্যু কে আলিঙ্গন করতে চায়, ঘুমের ভান ধরে থাকে তখন কারো পক্ষে সম্ভব নয় তাকে উদ্ধার করা/ তার ঘুম ভাঙ্গানো।
চাইলেই তারা সবাই মিলে গোডাউন গুলো একত্রিত করে এক জায়গায় করতে পারে, পরিবার/ নিজেকে রক্ষা করতে পারে এমন করুণ মৃত্যুর হাত থেকে।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা অবিরত
হালিমা আক্তার
এক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। শুভকামনা ভালো থাকবেন।