
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভূক্তভোগীরা দিনকাল অতিক্রান্ত করছেন সেটি নিজের চোখে না দেখলে অনুধাবন করতে পারবেন না।
কর্মস্থলে প্রতি ঘন্টায় লাশের মিছিলে স্বজনদের আহাজারি শুনছি। দেখছি মৃতদের দাফনকাফন সম্পন্ন করার অগ্রীম প্রস্তুতি হিসেবে খুঁড়ে রাখা সারি সারি কবর! এগুলো বর্ণনা করলেও বুক কেঁপে ওঠে।
এই দূরবস্থার জন্য কোন একপক্ষ দায়ী নয়। জনগণের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে উদাসীনতা এবং আমাদের দায়িত্বশীলদের পর্যাপ্ত সময় পাওয়া সত্ত্বেও অজ্ঞতা ও তৈলবাজীর বুলি অনেকাংশেই দায়ী।
একসময় কেউ আবেগজাত হয়ে বলেছিলেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমরা বিশ্বের রোলমডেল। ২০০০ শয্যার আইসোলেশন কেন্দ্র উদ্বোধন করে কেউ বলেছিলেন বিশ্বে এত দ্রুত আর কেউ এমন হাসপাতাল বানাতে পারেনি।
অথচ সেসবের এখন আর কোন অস্তিত্ব নেই, যেন বাতাসে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাসপাতালগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করলে আজ এই দূরাবস্থা কিছুটা হলেও লাঘব হতো।
মাঝেমধ্যে চিন্তা হয় আমাদের দেশপ্রেম শুধুমাত্র কিছুলোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ কেন? দেশপ্রেম সত্ত্বায় কেন আমরা সমন্বিত চিৎকারে মন থেকে বলতে পারিনা- ভালোবাসি বাংলাদেশ।
এগুলো নিত্যদিন দেখে আর লেখা আসছেনা আমার। চরম বিপর্যস্ত হচ্ছে আমার জীবনযাপন। সকল উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কেটে গিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠুক এটাই প্রার্থনা।
সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
(ছবি- সংগৃহীত)
১২টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
এটার জন্য সাধারণ জনগণ কম দায়ী নয় | কোথায় কোন স্বাস্থ্যবিধি নাই | কেউ বলে করোনারে ভয় পাইনা , আল্লাহ রে ভয় পাই | কেউ বলে আমাগো হইবোনা , বড় লোকের করোনা হয় | আপনার জন্য আমি কেন কষ্ট করবো |কী বিচিত্র দেশ | সবাই শুধু নিজের হিসাব বুঝে | এবার লকডাউন এ কষ্ট করবে কে ???
তৌহিদুল ইসলাম
কিছু গণ্ডমূর্খদের জন্য আজ এই অবস্থা। নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মানে না অন্য কাউকে মানতে বলে না। একা সরকার, আপনি আমি কিছুই করতে পারবো না। তাই নিজেদের সচেতন হাওয়াই সবচেয়ে উত্তম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।শুভকামনা জানবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
গরীব দেশের মানুষের আর কি করার আছে। তবে সরকারের সচেতনতার অভাব যথেষ্ঠ। খালি গাল গল্প চলছে এতদিন এখন তো সব সত্য ফাঁস।
শুভ কামনা ভাই।
তৌহিদুল ইসলাম
একা সরকারের আর কিইবা করার আছে। যদি জনগণ সচেতন না হয় ঢাকঢোল পিটিয়ে আসলে স্বাস্থ্যবিধি বানানো যায় না। সরকার যতই লকডাউন দিক যতোই কিছু করুক মানুষ নিজেরা সচেতন না হলে কিছুই করার নেই।
ভালো থাকুন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
কত কিছু যে নীরবে দেখে যেতে হচ্ছে তা বলে শেষ করা যাবে না।
শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে এর জ্বালা কত সুদূর প্রসারী।
তৌহিদুল ইসলাম
জ্বী ভাইজান, একদম ঠিক বলেছেন। করোনার কাছে আসলে প্রত্যেকে অসহায় হয়ে গিয়েছি। কোন পন্থায় কিছুই কাজে আসছে না। নিজেরা সচেতন না হলে আর কোন লাভ নেই।
দোয়া রাখবেন ভাই।
পপি তালুকদার
বেশ কিছুদিন আগের কথা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে এমন ভাব নিয়ে সবাই চলাফেরা করছে।এখন যা হচ্ছে তার জন্য অনেকাংশেই আমরাই দায়ী।
তবুও কামনা আল্লাহ সব কিছু স্বাভাবিক করে দিক।
তৌহিদুল ইসলাম
একদম ঠিক বলেছেন আপু জোর করে আসলে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়না। সবচেয়ে বড় বিষয় লকডাউন দিয়ে কর্মজীবী মানুষের পেটের ক্ষুধা তো বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত সবার আগে। তাহলে মানুষ বাইরে যাবে না।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই প্রার্থনা।
আরজু মুক্তা
নীরবে চোখের জল ফেলি।
সাংঘাতিক ও কঠিন একটা সময়
তৌহিদুল ইসলাম
এই দুঃসময় কেটে যাবে ইনশাল্লাহ। আল্লাহ সকলকে হেফাজতে রাখুন সুস্থ রাখুন এটাই প্রার্থনা। ভালো থাকুন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এ যে ভয়াবহ অবস্থা ! একদিকে মৃত্যু ভয় অন্যদিকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অবতীর্ণ। অর্থনৈতিক অবস্থা খুব নাজুক। সরকার কোনো ব্যবস্থা ই নেয়নি চিকিৎসা ক্ষেত্রে গত এক বছরে। নতুন ধারায় করোনা অবতীর্ণ হবার পরেও প্রশাসন নড়েচড়ে বসলো না। জনগণ ও প্রশাসন সবাইকেই দোষ দিচ্ছি । ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা অবিরাম
তৌহিদুল ইসলাম
যে ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছি আসলে নিজেরা সচেতন না হলে কোন লাভ নেই। তাই সকলের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। আপনিও ভালো থাকুন আপু।