
মাঝরাতের কার্নিশে কতগুলো ঝিঁঝিপোকার চলে অহর্নিশ বিতন্ডা।
অকাতরে অপেক্ষারা তাকিয়ে থেকে থেকে
ঘোলা জলে সাঁতার কাটে
ফুলকোছাড়া মাছেরা।
দাওয়ার পাশেই লক্ষীছাড়া পেঁচা ডাকতে থাকে ভয় ধরাতে।
নিঃশব্দের জঘনে সরীসৃপ হেঁটে হেঁটে পায়চারি করে শিরাউপশিরা বেয়ে;
জানলার শিক গলে চলে যায় দৃষ্টি দূর পাহাড়ের জঙ্গলে, শহরের পথ গিয়ে মিশেছে যেখানে সঙ্গোপনে।
কুহকী গুহার আভ্যন্তরিন প্রকোষ্ঠে সন্যাস নেয়া কালো হরফের কতগুলো অবয়ব হাতড়ে হাতড়ে স্বপ্ন টুটে যায় খোলা চোখের আলোয়।
আকাশ থেকে ডাক আসে, এখানে ব্যস্ততার চেয়ার-টেবিল খালি নেই, কাপ্লেটে ঠান্ডা হাওয়া জমে বরফ হয়ে আছে।
সুতো ছেঁড়া ঘুড়িটার রঙিন কাগজ ভাঁজ হয়ে আছে সটানে উড়বার প্রতীক্ষায়…..
কত মাঝরাত ভোর হয়ে গেলো নস্টালজিয়ায় ধুঁকে ধুঁকে!
একটা দাঁড়টানা নৌকো বড্ড একলা পরে আছে সময়ের ঘাটে……।
ছবি- সংগ্রহিত।
১৫টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
কতদিন পর পড়ছি!
দাড়াও, আগে পড়তে দাও, পরে লিখবো কেমন লেগেছে 🙂
বন্যা লিপি
তুমি বড্ড ফাঁকিবাজ! দেখো আমি কিন্তু বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনা।কোমড়ে ব্যামো😊 জলদি পড়া শেষ করে বলো…
কেমন লাগলো
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, তুমি সত্যিই দাড়িয়ে আছো!
আজব! বসো, শুয়ে থাকো, যা খুশি করো। কিন্তু আমাকে সময় দাও প্লিজ 🙏🙏
সাবিনা ইয়াসমিন
দাঁড়টানা নৌকোটা ভেসে থাকে অপেক্ষার স্রোতে,
ফুলকো ছাড়া মাছেরা খোলস ছাড়ে বারেবার
ঘোলাজলে, আরও ঘোলাটে অবয়বে,
নিস্তব্ধতা চাপা পড়ে যায় খেয়ালী সময়ের বেখেয়াল ভাবনায়..
এখানে দিনরাতের নির্দিষ্ট গন্তব্যে নেই,
নেই নির্ধারিত সময়ের হাহুতাশ,
এ যেনো এক অস্তিত্বহীন আলিঙ্গন
কেবলই ধরে রাখার, ধরে থাকার বাহানায়..
বন্যা লিপি
জবাব নেই…..এমন মন্তব্যের সত্যিই জবাব হয়না। কাঠ মিস্ত্রির কাজ দেখেছো কখনো? একটা আববাব গড়তে শুরু থেকে শেষ অব্দি কতটা চাঁচাছোলা করতে হয়!! তুমি সেই কাজটাই করে দিলে পুরো লেখাটার। এমন একটা লেখা আছে আমার বেশ আগে লিখেছিলাম।কোথাও প্রকাশ করিনি। ভাবছি…….পরবর্তি পোস্ট ওটাই করবো কিনা? তোমাকে অবিরাম ভালবাসা❤❤❤
আলমগীর সরকার লিটন
সময় একলাই চলে ধরা যায় না ছুঁয়া যায় না———-
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ
প্রদীপ চক্রবর্তী
কত মাঝরাত ভোর হয়ে গেলো নস্টালজিয়ায় ধুঁকে ধুঁকে!
একটা দাঁড়টানা নৌকো বড্ড একলা পরে আছে সময়ের ঘাটে……।
এই লাইন গুলো খুবি ভালোলাগার মতো,দিদি।
সবমিলিয়ে দারুণ প্রকাশ করলেন।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ দাদা ভাই। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
বহুদিন পর আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগলো বফু।
আসলে ব্যাস্ত জীবনে লেখার জন্য সময় বের করা সবার জন্যই কঠিন। তারপরও আপনার লেখা পড়ার আগ্রহে বসে থাকি।
শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
শা’চ্চু এখন আর লিখতে ইচ্ছে করে না।
আরজু মুক্তা
এখন সময় এমনই। যেনো আমরা পক্ষাগ্রস্ত হয়ে পরে থাকি ঘুণ ধরা টেবিলে। আর একা থাকলেই মনে হয়। এই বুঝি ডাক আসলো। অন্তহীন যাত্রা। শিরা উপশিরা তো ঠাণ্ডা হবেই।
শুভকামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
একলা সময়টা -যেন আমারই মনের কথা গুলো ফুটিয়ে তুললেন। এমন ভাবনা রাশি একাকীত্বে খুব পেয়ে বসে। ওপারের আহবান মনকে ব্যাকুল করে তুলে, মাঝরাতের নস্টালজিয়া, ভাবনা গুলো এভাবেই তিলে তিলে মনের ভিতরে ঘুণ ধরায়। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই আহবান উপেক্ষা করা যায়না। ভয় না পাবার মত বিষয়গুলিও মনকে অস্থির করে তোলে।
শুভ কামনা রইলো আপু। ভালো থাকবেন।
দালান জাহান
“একটা দাঁড়িটানা নৌকো বড্ড একলা পড়ে আছে” যেন হেমন্তেরই হাহাকার শুকনো নদী শূন্য মাঠ।