১:
কী হারিয়েছ বাউল?/
তোমার আর নিঁখোজ হয়েছে কী বাউল? চিনেছ যখন অন্ধকারেে জোনাক গুনতে! একটা করে সিঁড়িতে পা রেখে হয়ে উঠেছ সাধকের পৈতে!
যেখানে হয়নি অভাব আঁধারের -আলো!
২:
আঁধারের অন্ধকার-/
অন্ধকারের ভেতরে অন্ধকার গুণছি
তাকিয়ে আছি একটা করে সিঁড়ি ভাঙব বলে, চেয়ে দেখছি অন্ধকার নিয়েছে আমায় সবটুকু কেড়ে।
বিনিময় চাইলাম বলে, চুপ থেকে আরো লম্বা হয়ে গেলো অন্ধকার…..
৩:
অমৃতের খোঁজে-/
আমাদের দুঃখগুলো নির্বোধ! সহসা বোধ নিয়ে করে কানামাছি।আমরা নিত্য পড়ে থাকি,খুশি খুঁজতে দঙ্গলের ভীড়ে।
অবিরত রকম চিৎকারে চেঁচাই একফোঁটা গরলের বিপরীত অমৃতের খোঁজে। তবু হতস্যি ছাড়েনা বিশ্বাসের! অপলক গ্যাঁট করে রেখে যাই আকাঙ্খার বায়না।
কোনো একদিন বিশ্বাস ফিরবে আপন ঘরে…….
৪:
পরিনতির অপেক্ষা-/
এখানে এখন মধ্য দুপুর বিকেলের হামাগুঁড়ি। জাগতিক যত ব্যস্ততা থেমে গিয়ে কমলা রোদের হাতছানী। নৈকট্যপ্রত্যাশায় ক্রমশঃ ধীর পায়ে এগোচ্ছে ঘন অন্ধকারের যবনিকার ঘন্টাধ্বনি। চুপচাপ হেঁটে গেছে পথ দশকের পর দশক রোদের চাতাল।
উঠোনের শেষপ্রান্তে ঠাঁয় সংখ্যায় হলুদ রং নিয়ে অপেক্ষায় আছে একটা সুর্যমূখী! ঢলে যাবার সময় এলো বলে……..
৫:
সময়ের দেয়াল- /
দেয়ালটা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চল!
ঘড়িটা সেঁটে আছে, দেয়াল বেয়ে বেয়ে নেমে যায় সময়ের স্রোত।
বালিয়াড়িতে লেখা নাম ধুয়ে দিয়ে যায় সমুদ্র ফেণিল ঢেউ…..
উষ্ণ চায়ের কাপে ঠোঁট রেখে, একজোড়া শীতল চোখ ধরে রাখে রাশি রাশি নোনাজল……।
১৪টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বাউল কোন অসুখ নেই হারিয়ে যায় না বাউল ভাবগম্যে ভেসে থাকে সবই বুঝে দেখে এটাই বাউল লিপি আপু
বন্যা লিপি
আপনি কি বাউল এর ধরন বোঝাচ্ছেন আমাকে? আপনি কী লেখা বুঝছেন? ওইটুকু লেখায় কী লেখা আছে তা বুঝেছেন? বুঝলে সে নিয়ে মন্তব্য করুন। বাউলের ধরন চিনাতে হবে না আমাকে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমরা পৃথিবীতে এসেছি বাউল হয়ে। অন্ধকার আমাদের চারপাশে ঘিরে রেখেছে। তাকে কাটানোর নানা প্রয়াস প্রচেষ্টা। সময় দাড়িয়ে ঠায়, শেষ বিকেল এলেই বলবে শেষ। তারপরও চলছি,,, চলতে যে হবে!
শুভ কামনা রইলো আপু। ভালো থাকবেন।
বন্যা লিপি
যখন কেউ সাধক হয়ে যায় অনুভবের জায়গা থেকে, তখনই সে বাউল। আর বাউলের হারাবার কিছু নেই। অন্ধকারের ভেতর অন্ধকার গুণে দেখার মত সাধনা আর হয়না। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইলো।শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
বাউল তো সব হারিয়েই বৈরাগ্য সাধন করে। দুঃখে যাদের জীবন গড়া, তারা তো দুখেই পোড়ে। ভাবি হয়তো, সময়েই সব নতুন হবে। কিন্তু জোয়ার ভাটার টানে। শুধু চর জাগে। তারপর খোঁড়াতে খোঁড়াতে জীবন সায়াহ্নে এসে হিসাব কষেও লাভ হয় না। জীবনের প্রতি পরতে তখন ছত্রাক জমে গেছে। সময়ও থমকে দাঁড়ায়। চোখের জলের দাগটুকু মরা চামড়ায় ভেসে থাকে।
বন্যা লিপি
এ যাবৎ কালের সেরা মন্তব্য এটা। ভাল্লাগছে…..খুব ভাল্লাগছে এই মন্তব্য ফু’ম্মা। ভালবাসা নিরন্তর।
আরজু মুক্তা
আমি তো ধন্য।
ভালোবাসা অবিরাম
তৌহিদ
একজন বাউলের হারানোর কিছু নেই। সব কিছু পিছনে ফেলেই সে বৈরাগ্যসাধনা করে। আমার ধারনা এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষই জীবনে কোন না কোন সময় নিজেকে বৈরাগী অনুভব করে। সে বড্ড কঠিন সময়।
ভালো থাকুন আপু।
বন্যা লিপি
সংসারে থেকেও সংসার বৈরাগ্য ধারন করে থাকা বাউলের কথা এখানে রেখেছি ভাই। সে এক জটিল চরিত্র বটে! আমার উক্তি সার্বজনীনতায় প্রকাশিতব্য চরণ।
ভালো থাকুত নিরবধি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মাতৃজঠরটা অন্ধকারাচ্ছন্ন । সেখান থেকে এ পৃথিবীর আলোতে এসেও মানবজীবন বাউল হয়েই ঘুরে বেড়ায় অমৃতের খোঁজে দিশাহীন -এক অন্ধকার থেকে আরেক অন্ধকারে। ভাবে এই বুঝি মিলবে সেই কাঙ্ক্ষিত অমৃত/সুখ/চাওয়া পাওয়া। ভেবে ভেবেই জীবন সায়াহ্নে এসে তরী নোঙর করে ওপাড়ে যাবার। সম্বল হয় শুধুই অশ্রুজল চোখের কোনে জমে থাকা। ছোট ছোট শিরোনামে জীবনের প্রতিটি ধাপ তুলে দারুন একটি লেখা দিলেন আপু ।
বন্যা লিপি
ছোটদিভাই, আপনার মন্তব্য সবসময়ের জন্য বিশ্লেষনে ঠাঁসা। খুব ভালো লাগে। ভালো থাকবেন সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু 💓🌹। ভালোবাসা অবিরাম
শামীম চৌধুরী
বাউল আছে বলেই আমরা এখনো বাঙালী। বাউলের গানে তার স্বাধ পাই। দারুন লিখেলেন বফু।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ মন্তব্যে শা’চ্চু।