বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বলছে, বর্তমানে নতুন যেসব রোগ দেখা যাচ্ছে, তার ৭০ শতাংশ পশুপাখি থেকে আসছে। সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, নিপাহ ভাইরাস আসে পশুপাখি থেকে। মানুষ, প্রাণী ও প্রতিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় এসবের উৎপত্তি হচ্ছে। একই সঙ্গে মানুষ ও পশুপাখির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসব রোগের বিস্তার বেশি। আসুন জেনে নেয়া যাক পশু-পাখি থেকে প্রাণঘাতি রোগগুলি।
বাদুড় থেকে ইবোলাঃ
ভয়াবহ ইবোলা ভাইরাসে মৃত্যুহার ৫০ শতাংশের মতো। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে মধ্য আফ্রিকায় বড় প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১১ হাজার মানুষ মারা গেছে। ইবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃত্যুই অবধারিত। এ অসুখের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি এখন পর্যন্ত। তবে একটা ভালো খবর হলো খুব সংক্রামক নয় এটি। ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে কঙ্গো, সুদান, গাবন ও আইভরি কোস্টে এ ভাইরাসের প্রকোপ বেশি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে কোনো সংক্রমিত পশুর রক্ত বা শরীর রসের সংস্পর্শ থেকে। প্রাকৃতিক পরিবেশে হাওয়ার মাধ্যমে সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মনে করা হয়, বাদুড় নিজে আক্রান্ত না হয়ে এ রোগ বহন করে ও ছড়ায়। বাদুড় ছাড়াও গরিলা, শিম্পাঞ্জির মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আছে। সংক্রমিত প্রাণীর সংস্পর্শে বা মাংস খেয়ে এ রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত রোগীর লালা, বমি, মলমূত্র, ঘাম, অশ্রু, বুকের দুধ এবং বীর্যের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্তদের ব্যবহার করা সুই, সিরিঞ্জ এমনকি কাপড়ের মাধ্যমেও ছড়ায়। নাক, মুখ, চোখ, যৌনাঙ্গ বা ক্ষতের মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। রোগাক্রান্তরা সুস্থ হয়ে গেলেও সাত সপ্তাহ পর্যন্ত বীর্যের মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। মৃতদের মাধ্যমেও ছড়ায়। এ রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। দেশে প্রবেশের বন্দরগুলোতে রোগী শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। এ রোগের প্রতিষেধক টিকা এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
পোষা তোতা থেকে প্যারট ফিভারঃ
সিটাকোসিস প্রতিরোধ করতে পাখির খাঁচা যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখুন, একটি খাঁচায় বেশি পাখি রাখা থেকে বিরত থাকুন এবং একটি খাঁচার মল ও অন্যান্য বর্জ্য যেন আরেকটি খাঁচায় না পড়ে
অনেকেই আছেন যারা শখ করে বাড়িতে পাখি পোষেণ। এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয় যারা পাখির ব্যবসা করেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, ষাটেরও বেশি ঘাতক রোগ-জীবাণু ছড়ায় পাখির মল বা বিষ্ঠা থেকে! এর মধ্যে পোষা তোতা অন্যতম। কর্নাটক ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল অ্যান্ড ফিশারিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, পাখির মল বা বিষ্ঠা থেকে নানা রকমের রোগ-জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কাশি, জ্বর ছাড়াও নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস বা ‘সিটাকোসিস’ নামে এক ধরনের ফ্লু শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। সিটাকোসিস নামক ইনফেকশনটি প্যারট ফিভার নামেও পরিচিত। প্যারট ফিভার হলো ক্ল্যামাইডিয়া সিটাসি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন। সংক্রমিত তোতা অথবা এ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বহনকারী অন্যান্য পাখির শ্বাসপ্রশ্বাসীয় তরল বা মল লোকজন শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে প্যারট ফিভার হতে পারে।
গরু ছাগল থেকে ছড়ায় অ্যানথ্রাক্সঃ
অ্যানথ্রাক্স হলো একটি মারাত্মক দশা যা প্রাণনাশক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গরু, ছাগল, ভেড়া ও হরিণ হলো প্রাণী-সংক্রামক অ্যানথ্রাক্সের সর্বাধিক কমন উৎস
অ্যানথ্রাক্স গবাদিপশুর একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। গবাদিপশু থেকে এ রোগ মানুষেও ছড়ায়। এ রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত খাদ্য খেয়ে বিশেষ করে বর্ষাকালে নদীনালার পানি ও জলাবদ্ধ জায়গার ঘাস খেয়ে গবাদিপশু অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়। মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে- এক ধরনের অ্যানথ্রাক্স হয় পরিপাকতন্ত্রে, আরেক ধরনের অ্যানথ্রাক্স শরীরের বাইরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়। পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর সংক্রমণ হলে সাধারণত হালকা জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসার মধ্যে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিটক্সিন বা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। অ্যানথ্রাক্স হলো একটি মারাত্মক দশা, যা প্রাণনাশক হতে পারে। তাই এ রোগ নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে- গরু, ছাগল, ভেড়া ও হরিণ হলো প্রাণী-সংক্রামক অ্যানথ্রাক্সের সর্বাধিক কমন উৎস।
ইঁদুর থেকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্লেগঃ
সে সময় ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য হতো কৃষ্ণসাগর দিয়েই। আর তখন সেই জাহাজগুলোতে চড়ে বসত অসংখ্য ইঁদুর, যেগুলো কিনা প্লেগের প্রধান জীবাণুবাহী। ইঁদুরের ছড়ানো রোগে পৃথিবীতে এসেছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মহামারীগুলোর কয়েকটি। এর মধ্যে অন্যতম মহামারীর নাম দ্য ব্ল্যাক ডেথ। কোনো কোনো ইতিহাসবিদের মতে, এ মহামারীতে অন্তত ১০ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। শুধু ইউরোপের ইতিহাসেই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও এটি সবচেয়ে আলোচিত মহামারী। ১৪ শতকে কৃষ্ণসাগরের (ব্ল্যাক সি) উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল বলে একে ব্ল্যাক ডেথ বলা হয়। সে যুগে ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য জাহাজগুলো যাতায়াত করত কৃষ্ণসাগর দিয়েই। আর এখান থেকে খাদ্যদ্রব্যের জাহাজগুলোতে চড়ে বসত অসংখ্য ইঁদুর, যেগুলো মূলত রোগের জীবাণু বহন করত। ইতিহাসবিদদের মতে, ব্ল্যাক ডেথের সময় যে রোগটি অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল তা গ্রন্থিপ্রদাহজনিত প্লেগ। কারও কারও মতে, ভয়াবহ এ রোগটি ছড়িয়েছিল ইবোলা ভাইরাসে। ১৩৪৭-৫১ খ্রিস্টাব্দ সময়কালেই ইউরোপের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছিল।
বনরুই থেকে করোনা ভাইরাসঃ
চীনে পাচার হওয়া বনরুইয়ে করোনাভাইরাসের দুই ধরনের উপস্থিতি পেয়েছেন গবেষকরা। এরপরই নতুন মোড় নিয়েছে করোনার উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা চীনে পাচার হওয়া মালয় প্রজাতির বনরুইয়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের দুই ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ভাইরাসের সঙ্গে মিল আছে মানুষের শরীরে পাওয়া ‘কভিড-১৯’ এর। হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। চীনে পাচার হওয়া বনরুইয়ে করোনাভাইরাসের দুই ধরনের উপস্থিতি পেয়েছেন গবেষকরা। এরপরই নতুন মোড় নিয়েছে করোনার উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা। ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পিটার ডাসক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বনরুইয়ের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া মহামারীর সম্পর্ক রয়েছে।
বিড়াল থেকে টক্সো প্লাসমোসিসঃ
দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লোকেরা এ রোগে তীব্রভাবে ভুগতে পারে। উপসর্গের মধ্যে ক্লান্তি, মাংসপেশি ব্যথা, মাথাব্যথা ও জ্বর অন্তর্ভুক্ত যা এক মাসেরও বেশি সময় থাকতে পারে।
আমরা অনেকেই বাসায় বিড়াল পুষে থাকি। এ ছাড়াও বাসাবাড়ির আশপাশে বিড়াল বসবাস করে। কিন্তু বিড়াল থেকে মানুষের দেহে ছড়াতে পারে রোগ। টক্সোপ্লাসমোসিস ও বার্টোনেলা উভয়টাই বিড়াল দ্বারা ছড়ায়। তবে রোগ দুটি ভিন্ন অণুজীব দ্বারা সৃষ্টি হয়। টক্সোপ্লাসমা গোন্ডি নামক পরজীবী দ্বারা টক্সোপ্লাসমোসিস বিকশিত হয়। সংক্রমিত বিড়ালের মল বা মূত্রের মাধ্যমে মানুষের মাঝে এ ইনফেকশন ছড়াতে পারে। তাই পোষা বিড়ালের মলমূত্র পরিষ্কার করার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন তা কখনই শরীরের স্পর্শে না আসতে পারে। সংবাদমাধ্যমে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ নিধি জিলদয়াল বলেন, ‘সাধারণত এ রোগটি তেমন তীব্র নয়, কিন্তু এটি কিছু মানুষের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। গর্ভবতী নারী, কেমোথেরাপির রোগী অথবা দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লোকেরা এ রোগে তীব্রভাবে ভুগতে পারে। উপসর্গের মধ্যে ক্লান্তি, মাংসপেশি ব্যথা, মাথাব্যথা ও জ্বর অন্তর্ভুক্ত যা এক মাসেরও বেশি সময় থাকতে পারে।’
শিম্পাঞ্জি গরিলা, বানর থেকে এইডসঃ
শিম্পাঞ্জি, গরিলা ও বানর থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ১৩টি ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এইচআইভি-১ এর এম গ্রুপটিই মানুষের মধ্যে বেশি ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়।
এইচআইভি সংক্রমণে মানবদেহে এইডস রোগের সৃষ্টি হয়। এইডস মূলত রোগ নয়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাবজনিত নানা রোগের সমাহার। এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, ফলে নানা সংক্রামক রোগ ও কয়েক রকম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগী মৃত্যুমুখে ঢলে পড়ে। এইচআইভি ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর অনাক্রম্যতা কমতে কমতে এইডস ঘটানোর মতো অবস্থায় পৌঁছতে অনেক বছর লাগে। এইচআইভি ভাইরাস আবিষ্কারের ৩০ বছর পর মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকারের এইচআইভি ছড়িয়ে পড়া, স্থানান্তরিত হওয়ার কারণ অজানাই ছিল। ১৯২০ সালের দিকে কিনসাসা থেকেই উৎপত্তি হয়েছিল এ ভাইরাসের। গবেষকরা বলছেন, নতুন ধরনের পদ্ধতিতে এইচআইভি ভাইরাসের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা সম্ভব হয়েছে। শিম্পাঞ্জি, গরিলা ও বানর থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ১৩টি ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এইচআইভি-১ এর এম গ্রুপটিই মানুষের মধ্যে বেশি ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়।
হাঁস-মুরগি থেকে মানুষের দেহে বার্ড ফ্লুঃ
বার্ড ফ্লুর লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে খুব সামান্য হতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে অত্যন্ত তীব্র হতে পারে যেখানে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বার্ড ফ্লু পাখির এক ধরনের জ্বর কিন্তু এ জ্বরটির জন্য দায়ী এক ধরনের ভাইরাস, যার নাম এইচ৫এন১। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হাঁস-মুরগি থেকে ভাইরাসটি মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো বন্যপাখি, সামুদ্রিক বা শীতের অতিথি পাখির মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে। যেমন অতিথি পাখি কোনো পুকুরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় মল ত্যাগ করলে সেই পুকুরে নামা হাঁস ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সেই হাঁস থেকে ডিম বা মাংসের মাধ্যমে ভাইরাসটা ঢুকে যেতে পারে মানবদেহে। সাধারণত সংক্রমণের ১-৩ দিন পর সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই রোগীর ঠান্ডার লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন- জ্বর, গা ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ করা, ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি। বার্ড ফ্লুর লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে খুব সামান্য হতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে অত্যন্ত তীব্র হতে পারে যেখানে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। পরবর্তীতে অবস্থা জটিল হলে অনেক ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা হৃৎপিন্ডের সংক্রমণ ঘটতে পারে।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষনীয় একটি লেখা দিলেন। একসাথে অনেক গুলো ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
চতুর্দিকে সংক্রামন বাসা বেধেছে ভাই। বর্তমানে দেশে প্রধান সংক্রমিত রোগ ধর্ষণ। মানুষ গড়ার কারিগররাও এ থেকে পিছিয়ে নেই। এরা কোন প্রজাতির প্রাণী সেটা গবেষণার দাবী রাখে।
মুক্তা আপু,
অনেক সময় শখের বস্তুটিও প্রাণঘাতী হয়ে উঠে। এই পশুগুলি ভাইরাস বহন করে। সবচেয়ে আশ্চর্য হলো এরা বহনকারী। কিন্তু নিজেরা আক্রান্ত হয় না। অন্যের দেহে ছড়ায়। তাই সাবধানতার বিকল্প নেই।
শুভ কামনা রইলো।
পশু পাখি পোষা আমার স্বভাবের একটা অংশ। হাস/ মুরগী, খরগোশ, কবুতর, টিয়া/ বাজগিরি এখন আর পুষি না। বাড়িতে সবাই বকে। কুকুরটা বাড়ির বাইরেই থাকে, কিন্তু সমস্যা হলো বিড়াল গুলো নিয়ে। তিনটা বিড়াল, এরা আবার মাঝে মধ্যে বন্ধু বান্ধব নিয়ে আসে। আপনার পোস্ট পড়ার পর বেশ ভয়ে আছি। সাবধানে থাকা লাগবে 🙁
ধন্যবাদ এতো গুলো উপকারী তথ্য একসাথে দেয়ার জন্যে। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
তথ্যবহুল পোস্ট ভাইয়া। কিন্তু কথা হলো যেগুলো থেকে ছড়িয়ে পড়ে তার মধ্যে বনরুই আর বাদুর ছাড়া সবগুলোই আমাদের সাথে জড়িত। তাহলে সাবধানতা ছাড়া উপায় নেই।
আল্লাহ ভরসা। শুভ কামনা॥
পাখির বিশ্বরেকর্ড 🐦
পাখিটির ইংরেজী নাম লিমোসা লেপোনিকা( Limosa lapponica)বিরতিহীন একটানা 12000 হাজার পথ উড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে।
পাখিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে গত 18 সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে 27 সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের ফেইথ অফ থেমেস(Firth of Thames) দ্বীপে অবতরণ করে। দীর্ঘ 12000 হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পাখিটির সময় লাগে নয় দিন, দীর্ঘ এই নয় দিনে পাখিটা 224 ঘন্টা একটানা উড়ে।
দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে পাখিটি একবারের জন্যও কোথায় থামেনি বা বিরতি নেয়নি। পাখিটির উপর সবসময় একটা স্যাটেলাইট নজর রেখেছিল। গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বন্য সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই তথ্য প্রকাশ করে। পাখিটির দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দেওয়ার সময় তার গতি মাঝে মাঝে ঘন্টাই 100 কিলোমিটার উঠে যেত।
এর আগে 2007 সালে একটি পাখির একটানা 11.680 কিলোমিটার উড়ার রেকর্ড ভেঙে ফেললো এই
Limosa lapponica পাখিটি।
এটা Bar-tailed Godwit, এদের আরো চমক চমক ইতিহাস আছে। পরবর্তীতে কোন লেখায় বিস্তারিত লিখবো।Limosa lapponica গোত্রের পাখি বিশ্বে এক প্রজাতির পাখি। এদের কোন উপপ্রজাতি নেই। ধন্যবাদ আপনাকে পাখি সম্পর্কে আপনার আগ্রহ জেনে।
ভালো থাকবেন।
২৩টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষনীয় একটি লেখা দিলেন। একসাথে অনেক গুলো ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দিদিভাই।
মোঃ খুরশীদ আলম
চতুর্দিকে সংক্রামন বাসা বেধেছে ভাই। বর্তমানে দেশে প্রধান সংক্রমিত রোগ ধর্ষণ। মানুষ গড়ার কারিগররাও এ থেকে পিছিয়ে নেই। এরা কোন প্রজাতির প্রাণী সেটা গবেষণার দাবী রাখে।
শামীম চৌধুরী
এদের নিয়ে গবেষনার দরকার নেই। এরা পশুর কাতারেও পড়ে না। এরা অধমের অধম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
অনেক কিছু জানলাম। তথ্যবহুল পোস্ট। এটা পড়ে অনেকেই সাবধানতা মেনে চলবে।
আপনাকে ধন্যবাদ
শামীম চৌধুরী
মুক্তা আপু,
অনেক সময় শখের বস্তুটিও প্রাণঘাতী হয়ে উঠে। এই পশুগুলি ভাইরাস বহন করে। সবচেয়ে আশ্চর্য হলো এরা বহনকারী। কিন্তু নিজেরা আক্রান্ত হয় না। অন্যের দেহে ছড়ায়। তাই সাবধানতার বিকল্প নেই।
শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
আর সব যদি বাদ দেই, আমাদের তো অনেক বিড়াল!!
ভয় তো পেতেই হচ্ছে। বাড়তি সাবধানতা দরকার বুঝতে পারছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান,
শখের জিনিষ অনেক সময় মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার।
ভালো থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট।
সবকিছু বাদ দিয়ে পরিবেশ সুরক্ষা করে
নিরামিষ ভোজি হতে হবে।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
শামীম চৌধুরী
নিরামিষ হবার দরকার নেই দাদা। সচেতন থাকলেই আমরা এসকল ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারি।
হালিম নজরুল
ইবোলা
এনথ্রাক্স
প্যারট ফিভার
প্লেগ
করোনা
প্লাজমোসিস
এইডস
বার্ড ফ্লু
নানান রোগ নিয়ে সত্যিই চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
পশু পাখি পোষা আমার স্বভাবের একটা অংশ। হাস/ মুরগী, খরগোশ, কবুতর, টিয়া/ বাজগিরি এখন আর পুষি না। বাড়িতে সবাই বকে। কুকুরটা বাড়ির বাইরেই থাকে, কিন্তু সমস্যা হলো বিড়াল গুলো নিয়ে। তিনটা বিড়াল, এরা আবার মাঝে মধ্যে বন্ধু বান্ধব নিয়ে আসে। আপনার পোস্ট পড়ার পর বেশ ভয়ে আছি। সাবধানে থাকা লাগবে 🙁
ধন্যবাদ এতো গুলো উপকারী তথ্য একসাথে দেয়ার জন্যে। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
সাবিনা আপু,
সাবধানতা ও সচেতনতাই একমাত্র মুক্তির পথ। যে শখ মানুষের মৃত্যুর কারন হতে পারে সেই শখ থেকে বিরত থাকা উত্তম।
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক কিছু জানাতে পাললাম শামীম দা
রোকসানা খন্দকার রুকু
তথ্যবহুল পোস্ট ভাইয়া। কিন্তু কথা হলো যেগুলো থেকে ছড়িয়ে পড়ে তার মধ্যে বনরুই আর বাদুর ছাড়া সবগুলোই আমাদের সাথে জড়িত। তাহলে সাবধানতা ছাড়া উপায় নেই।
আল্লাহ ভরসা। শুভ কামনা॥
শামীম চৌধুরী
বনরুই আমাদের সঙ্গে খুব একটা যায় না। তবে বাদুড় অহরহ আমাদের চারপাশে আছে। নিপা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য বাদুড় পারদর্শী। সচেতনতাই একমাত্র মুক্তি।
শামীম চৌধুরী
জানাতে পেরে ভাল লাগছে কবি দা।
ছাইরাছ হেলাল
পাখির বিশ্বরেকর্ড 🐦
পাখিটির ইংরেজী নাম লিমোসা লেপোনিকা( Limosa lapponica)বিরতিহীন একটানা 12000 হাজার পথ উড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে।
পাখিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে গত 18 সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে 27 সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের ফেইথ অফ থেমেস(Firth of Thames) দ্বীপে অবতরণ করে। দীর্ঘ 12000 হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পাখিটির সময় লাগে নয় দিন, দীর্ঘ এই নয় দিনে পাখিটা 224 ঘন্টা একটানা উড়ে।
দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে পাখিটি একবারের জন্যও কোথায় থামেনি বা বিরতি নেয়নি। পাখিটির উপর সবসময় একটা স্যাটেলাইট নজর রেখেছিল। গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বন্য সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই তথ্য প্রকাশ করে। পাখিটির দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দেওয়ার সময় তার গতি মাঝে মাঝে ঘন্টাই 100 কিলোমিটার উঠে যেত।
এর আগে 2007 সালে একটি পাখির একটানা 11.680 কিলোমিটার উড়ার রেকর্ড ভেঙে ফেললো এই
Limosa lapponica পাখিটি।
পৃথিবীতে কত কিছু না হয়!!
শামীম চৌধুরী
এটা Bar-tailed Godwit, এদের আরো চমক চমক ইতিহাস আছে। পরবর্তীতে কোন লেখায় বিস্তারিত লিখবো।Limosa lapponica গোত্রের পাখি বিশ্বে এক প্রজাতির পাখি। এদের কোন উপপ্রজাতি নেই। ধন্যবাদ আপনাকে পাখি সম্পর্কে আপনার আগ্রহ জেনে।
ভালো থাকবেন।
শামীম চৌধুরী
বার হেডেড গুজও এই ধরনের একটি আজব পাখি। ওজন প্রায় ৩ থেকে ৫ কিলোগ্রাম। এত ওজন নিয়ে এরাও ১২০০০হাজার ফুট উচুতে উড়ে।
তৌহিদ
চমৎকার এবং তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটির জন্য অবশ্যই লেখক ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। আপনার এই লেখা আমাদের সবারই জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করলো নিশ্চিত।
ভালো থাকুন ভাইজান।
হালিম নজরুল
ইবোলা
এনথ্রাক্স
প্যারট ফিভার
প্লেগ
করোনা
প্লাজমোসিস
এইডস
বার্ড ফ্লু
নানান রোগ নিয়ে সত্যিই চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। অনেক সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষনীয় একটি লেখা দিলেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।