
কি ভাবছো কন্যা?
পুকুর পাড়ের এই বৃক্ষ ছায়া গল্প হয় কত আলোকচিত্রের!
অথবা,ক্যানভাসের আঁকা কাব্য হয়ে অমরত্ব পায় কত প্রদর্শনীতে।
কিংবা, প্রকৃতির বুকে উপন্যাসের মন্ত্রমুগ্ধ আঁচল হয়ে ওড়ে মন-গহীনে!
অথচ,কেউ কি জানে?
কি গভীর সম্পর্ক এই পুকুর জলের সাথে বৃক্ষ ছায়ার?
কি গভীর টানে তাদের হৃদয় স্পর্শহীন মিলিত হয় নীরবতায়।
মূলত,স্পর্শহীন নৈকট্যের আড়ালে দূরত্বই কিন্তু তাদের চিরন্তন বাস্তবতা।
তবুও তাদের হৃদয় মিলেমিশে একাকার হয় নিবিড় বন্ধনে
দূরত্বের আকাশসম উচ্চতা জেনেও কন্যা তুমি মৃত্তিকায় দাঁড়িয়ে প্রেমিকের হৃদয় ছুঁয়ে যাও অহর্নিশ।
বাস্তবতাকে বারংবার ভাঙো তুমি ইস্টকখন্ডের মতো হাতুড়ির আঘাতে।
নির্মান করো ভালোবাসার প্রগাঢ় ভবন।
হৃদয়ের বৈশিষ্ট্য কেবলই প্রিয়জনকে চুম্বকের মতো আকৃষ্ট করা!
তবে, দূরত্বের সেতু না হয় উপরিভাগেই থাক কন্যা,
নিম্নভাগে তোমার অন্তরে যে নদীর স্রোতের মতোই প্রেমিকের ভালোবাসা বহমান –
তা না হয় গোপনই থাক কন্যা।
এ অনুভূতি একান্তই তোমার !
এই অনুভূতির গভীরত্ব ছুঁয়ে দেখার তৃপ্ততা যে মানব ডুবুরিকেও করে পরাজিত
পরাজিত করে এ অনুভূতির গভীরত্ব পাতালপুরীর বিস্তৃত রহস্যকেও ।
২৪টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
অতুলীয় ভাবনায় নান্দনিক লেখনী ।
নাদিরা ইসলাম নাইস
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল।
খাদিজাতুল কুবরা
“অথচ,কেউ কি জানে?
কি গভীর সম্পর্ক এই পুকুর জলের সাথে বৃক্ষ ছায়ার?
কি গভীর টানে তাদের হৃদয় স্পর্শহীন মিলিত হয় নীরবতায়।
মূলত,স্পর্শহীন নৈকট্যের আড়ালে দূরত্বই কিন্তু তাদের চিরন্তন বাস্তবতা।”
সোনেলার উঠোনে আপনাকে স্বাগতম।
শুরতেই মনোমুগ্ধকর কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছেন।পথের দুরত্ব কিছুই নয় যদি দুটি মন একসুতোয় বাঁধা রয়।
খুব ভালো লাগলো দূরত্বের গভীরত্ব।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইলো।
শুভ ব্লগিং।
নাদিরা ইসলাম নাইস
ভালোবাসা অবিরাম আপু। তোমার নিখুঁত পাঠে আমি আপ্লুত। দোয়া করো আপু।
আরজু মুক্তা
দূরত্বই একসময় অতিনিকটে হবে। দূরত্ব বোঝায় ভালোবাসা!
স্বাগতম সোনেলায়। চমৎকার কবিতা দিয়ে মন ভরালেন।
অন্যদের লেখা পড়ুন। মন্তব্য করুন। সবার কাছ থেকে শেখার আছে।
শুভকামনা সবসময়।
নাদিরা ইসলাম নাইস
অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
রেজওয়ানা কবির
স্বাগতম সোনেলায়।ভালো লিখেছেন আপু শুভকামনা।
নাদিরা ইসলাম নাইস
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপ্লুত হলাম। শুভকামনা রইল।
শামীম চৌধুরী
কবিতার সঙ্গে ছবিটার দারুন মিল।
আর কবিতাটি অসাধারন।
নাদিরা ইসলাম নাইস
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইল।
মনির হোসেন মমি
কি গভীর সম্পর্ক এই পুকুর জলের সাথে বৃক্ষ ছায়ার?
কবিতায় কত গভীরে ভাবনাটা নিয়ে গেছেন।পুকুর জলে যে গাছের ছায়া পড়ে তাও একটা ভল লাগার চমৎকৃত বিষয়।খুব ভাল লাগল। লিখুন কবিতা সহ অন্যান্য বিষয়াদি নিয়েও।স্বাগতম সোনালীর উঠোনে।
নাদিরা ইসলাম নাইস
আপনার নিখুঁতপাঠেরজন্যঅনেকধন্যবা। আপ্লুত এবং অনুপ্রাণিত হলাম।
শুভকামনা রইল।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার উঠোনে স্বাগত আপনি।
আশাকরি এ উঠোন আপনার ভালো লাগবে, সবার সাথে মিলেমিশে সোনেলার উঠোনে বিচরন করুন আন্তরিক ভাবে, এই প্রত্যাশা আমার।
পুকুর জলের সাথে বৃক্ষের ছায়ার নৈকট্য থাকলেও দুরত্ব কখনো কমে না।
কন্যার মনের দূরত্বের গভীরতা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন।
শুভ কামনা।
নাদিরা ইসলাম নাইস
অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করব নিয়মিত হবার,
আপনার মন্তব্যেে অনুপ্রাণিত হলাম।
আপনার জন্যওশুভকামনা রইল।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এ অনুভূতি একান্তই তোমার !
এই অনুভূতির গভীরত্ব ছুঁয়ে দেখার তৃপ্ততা যে মানব ডুবুরিকেও করে পরাজিত****
অসাধারণ লাগলো।কন্যার ছবিটাও মনমুগ্ধকর।
সোনেলায় আপনাকে স্বাগতম।
লিখতে থাকুন সুন্দর সুন্দর কবিতা।
শুভ কামনা।
নাদিরা ইসলাম নাইস
ভীষণ ভালো লেগেছে সোনেলায়।
অনুপ্রাণিত হলাম আপনার নিখুঁত পাঠে।
অনেক ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
খাপে খাপ ছবি আর লেখায়।
গোপন কইরেন না আমাদের পড়ার সুযোগ দিইয়েন আপু।
সুন্দর কবিতা।
নাদিরা ইসলাম নাইস
আচ্ছা পড়ার সুযোগ দেবো ভাইয়া।
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
সোনেলায় স্বাগতম আপু। প্রথমেই অনবদ্য একটি কবিতা নিয়ে এলেন দেখে ভালো লাগলো। আশাকরি সোনেলায় বিচরণ করতে আপনার ভালো লাগবে।
পুকুরজলে বৃক্ষের ছায়ার সাথে জীবনবোধের অন্তরিক্ষ মিলের বর্ণনায় ফুটে উঠেছে প্রেম, বিরহের নিখুঁত গল্প। যে গল্প মনের গহীনে অপ্রকাশিত থেকে যায়। মুখ ফুটে বলা হয়ে ওঠেনা।
লিখুন নিয়মিত। আমার মনে হচ্ছে আপনি গল্পও চমৎকার লিখতে পারেন। শুভকামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমাদের মনের ভাবনায়, চোখের তারায় কতকিছু কে কত কাছের মনে হয় আবার দূরের মনে হয়। দুটি দেহ একসাথে থেকেও অনেক দূরে বসবাস করে মনের আঙ্গিনায় আবার নীলাকাশ টা দূর দিগন্তে মনে হয় মিলে গেছে তেমনি বৃক্ষের ছায়াও মিলে যায় জলের বুকে, আসলে সেটা কখনোই মিলেনা -যার যার জায়গায় অটল দাঁড়িয়ে থাকে। মনের মিলটাই আসল, দুজনের দূরত্ব ঘুচিয়ে দেয় মনের ভালোবাসার। বৃক্ষের ছায়ার সাথে পুকুর জলের বর্ণনায় জীবনবোধের দারুন চিত্র তুলে ধরলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।সোনেলায় স্বাগতম আপনাকে। নিয়মিত লিখুন, চমৎকার লিখেন আপনি তাই নিয়মিত আশা করছি আপনার লেখা পড়বার। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
নাদিরা ইসলাম নাইস
আপনার মূল্যবান মন্তব্যেে অনুপ্রাণিত হলাম খুব ।
নিখুঁতভাবে পাঠ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি নিয়মিত লেখার চেষ্টা করব। দোয়া রাখবেন।
শুভকামনা রইল আপু।
Jasim uddin
দূরত্বের আকাশসম উচ্চতা জেনেও কন্যা তুমি মৃত্তিকায় দাঁড়িয়ে প্রেমিকের হৃদয় ছুঁয়ে যাও অহর্নিশ।
নাদিরা ইসলাম নাইস
অসংখ্যধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা
সঞ্জয় মালাকার
লেখার সাথে ছবিটিরখুব মিল,
অসাধারণ কাব্য কথন পাঠে মুগ্ধহলাম।