
শখ পূরণে কতকিছুই না করে মানুষ। কথায় আছে না, শখের তোলা আশি টাকা। এজন্যই হয়তো এত শ্রম, সময় ও অর্থের বিনিময়ে চকলেটের বাড়িটি বানিয়েছেন জিন-লুক-ডিক্লুজ। আপনিও তার কাছ অনুপ্রেরণা পেতে পারেন। নিজের শখটি পূরণ করে পেতে পারেন মর্ত্যের মাটিতে স্বর্গীয় সুখ। এ রকম এক শখের বাড়ির গল্প নিয়ে এ ফিচার।
বয়স আট হোক কিংবা আশি, চকলেট পছন্দ করে প্রত্যেকেই। যেকোন উপলক্ষ্যে কাউকে গিফট করতে চাইলে, চকলেটের নামই সবার আগে মাথায় আসে। চকলেট, দুধ, কেক, আইসক্রিম এগুলো সবই আমাদের কাছে খুবই পরিচিত শব্দ। কিন্তু তাই বলে চকলেটের বাড়ি!
সম্পূর্ণ চকলেট দিয়ে তৈরি বাড়ি রয়েছে ফ্রান্সে। জিন-লুক-ডিক্লুজ নামে এক শিল্পী বাড়িটি তৈরি করেছেন। বাড়িটির আয়তন ১৯৩ বর্গফুট। আর দেড়টন চকলেট লেগেছে বাড়িটি তৈরি করতে।
সম্পূর্ণ বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে যা কিছু আছে তার বেশিরভাগই তৈরি হয়েছে চকোলেট দিয়েই। বাড়ির চারপাশের দেয়ালে চকলেটের ছোঁয়া রয়েছে। এমনকি বাড়িটির ছাদও তৈরি হয়েছে চকলেট দিয়েই। বাড়ির জানালা-দরজাতেও চকলেটি স্বাদ রয়েছে। এমনকি ফায়ারপ্লেস, বারান্দাও তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ চকলেট দিয়েই। আমাদের বাড়ির মতোই এই বাড়িটিতেও ঘড়ি, বই সবকিছুই রয়েছে। সেগুলোও তৈরি হয়েছে চকলেট দিয়েই। জিন-লুক-ডিক্লুজ চকলেট দিয়েই ঘর ভরতি বইয়ের সম্ভারের ব্যবস্থা করেছেন।
কি, খুব বেশি অবাক হলেন কি? এখানেই কিন্তু শেষ নয়। চমক আরও অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। এবার শুনুন বাড়ির বাইরের পরিবেশের কথা। বাড়ির বাইরেও চারপাশ ঘেরা চকলেট দিয়েই। বাড়ির সামনের বাগানে সারি সারি ফুলগাছ। সেগুলো সবই চকলেটের তৈরি। এমনকি গাছের ফুলগুলিও তৈরি হয়েছে চকলেট দিয়েই। বাড়িটির চৌহদ্দিতে একটি পুকুর রয়েছে। পুরো পুকুর জুড়েই ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁস। যে কেউই প্রথমে হাঁসগুলি জীবন্ত ভাববেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, এ ব্যাপারে আপনাকে হতাশ হতেই হবে। কেননা ওই হাঁসগুলোও চকলেটেরই তৈরি।
যেহেতু, চকলেটের বাড়ি থেকে কিছুই খাওয়া যাবেনা। আমরা যখন ঘুরতে যাবো ; প্রত্যেকেই সঙ্গে করে ভিন্ন স্বাদের চকলেট নিয়ে যাবো। চকলেট মুখে পুরবো। আর বাড়ির সৌন্দর্য্য উপভোগ করবো।
মনে মনে তাঁকে ধন্যবাদ দিবো,যিনি তাঁর রূপ, মাধুরী, আর মননশীলতা দিয়ে এতো সুন্দর চকলেট বাড়ি তৈরি করেছেন। সেই সাথে ভাববো, আমরাও কি এমন কিছু করতে পারি?
চলুন ঘুরে আসি! —– লেখিকা।
★★ অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে সংগৃহীত।
৩৮টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
দারুন ভাবে চকলেট বাড়ির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। চকলেট প্রেমীরা একবার এ বাড়ির খোঁজ পেলে ছাগলের মতন সব মুড়ে খেয়ে ফেলবে।
হা হা হা..!!
সত্যিই হলেছেন আপু
শখের তোলা আশি টাকা।
শখ ছাড়া মানুষ আত্মার তৃপ্তি পায়না।
আরজু মুক্তা
হা হা। চকলেট তো সবারি প্রিয়।
শখ আলাদা। বাড়িঘর নাই। তবুও দেখবেন আমরা ঘুরতে চলে যাই। টাকা রাখি যে ডিসেম্বর এ ঘুরতে যাবো।
শামীম চৌধুরী
একদম সঠিক বলেছেন। আমার পরিবার জানুয়ারী থেকে জমানো শুরু করে। নভেম্বরেই পাড়ি দেয় ভ্রমনে।
সুপায়ন বড়ুয়া
এ কেমন চকলেট শখের বাড়ি
যদি চকলেটের স্বাধটাই হয়নি পাওয়া।
আর যদি বলেন চকলেট কালার বাড়ি
তাতেই হলো সাড়া আপনার সাথে ঘুড়ে ফিরি।
ভাল লাগলো দ্বিধায় পড়ি।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
চলেন ঘুরে আসি।
শুভকামনা, দাদা
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি হলাম চকলেট খোর কিন্তু শামীম ভাইয়ের মন্তব্যে কিছুটা দমে গেলাম।
আসলেই শখের তোলা আশি।।।।
শুভ কামনা দারুন।।।আরও এমন পোষ্ট চাই।
ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ আপা।
শামীম ভাই কি বলে বলুক। আমরা বাহির থেকে চকলেট কিনে ওখানে বসে বসে খাবো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
পাছে লোকে কিছু বলতেই পারে।হা হা হা হা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চকলেট নাম শুনলেই এখনো জিভে পানি আসে। আজ বিকালেও খেলাম। চকলেট বাড়ি দেখেই তো লোভ হচ্ছে। বাইরের সবকিছু ও চকলেট দিয়ে তৈরি অদ্ভুত। মানুষের ইচ্ছা , শখ যে কত রকম হতে পারে তার প্রমাণ হলো এটি । বর্ণনাতে মুগ্ধ হলাম আপু। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
আরজু মুক্তা
দিদি, ধন্যবাদ।
মানুষের শখের শেষ নাই। আবার দেখারও শেষ নাই।
সুরাইয়া পারভীন
বাব্বাহ্! ভাগ্যিস আমি চকলেট খাই না। নয়তো দাদাভাই এর মন্তব্য অনুযায়ী ছাগলের মত হামলে পড়তে হতো।
যা হোক। অদ্ভুত মানুষদের সব অদ্ভুত শখ থাকে তা বলে চকলেটের বাড়ি, আসবাবপত্র, ফুল গাছ এমনি কি হাসও চকলেটের তৈরি! আবারও প্রমাণিত মানুষ সত্যিই অদ্ভুত বিচিত্র প্রাণী!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু এমন মজার শখ সম্পর্কে জানানোর সুযোগ করে দেবার জন্য
আরজু মুক্তা
আপনাকেও ধন্যবাদ।
চকলেট কি একেবারেই অপছন্দ?
সুরাইয়া পারভীন
অপছন্দ নয় তবে আমি খাইনা
এমন অনেক জিনিস আছে যা আমি একদম খাইনা
যে কোনো ধরনের কোলডিক্স, ফ্রাস্টফুড, ফুচকা
ফয়জুল মহী
নিখুঁত , হৃদয় ছোঁয়া লিখনীতে মন উৎফুল্ল হলো ।
আরজু মুক্তা
শুধু মন উৎফুল্ল? চকলেট খান না?
রেজওয়ানা কবির
বাহ! দারুন নতুন জিনিস জানলাম।আমিও রুকু আপুর মত চকলেটখোর,ইশ! যদি ঘুরে আসতে পারতাম!।
আরজু মুক্তা
চকলেট সাথে নিয়ে ঘুরবো। খাবো আর দেখবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
দারুন সংগ্রহ,
অণুগল্প কৈ!
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ।
এটা টুইস্ট। অনুগল্প আসিতেছে। তবে তার আগে আর একটা মজার পোস্ট থাকছে।
কামাল উদ্দিন
চকলেট আমি অতোটা ভালোবাসি না, তবে এমন জটিল চকলেট প্রেমির কথা এই প্রথম শুনলাম। আচ্ছা ঐ চকলেটগুলো কি খাওয়া যায়? ধরেন গাছ থেকে একটা ফুল বা পুকুর থেকে একটা হাঁস ধরে খাওয়া শুরু করে দিলাম, সেক্ষেত্রে কি প্রকৃত চকলেটই খাওয়া হবে?
আরজু মুক্তা
তাই তো পড়লাম। সব চকলেট দিয়ে তৈরি।
আপনার তো আবার ঘুরঞ্চি মন, যাবেন নাকি?
এবার আমাকে সাথে নিয়েন।
শুভকামনা
কামাল উদ্দিন
বুঝছি, আপনার চকলেট খাইতে মুন্চাইতাছে 🙂
আলমগীর সরকার লিটন
মানুষগুলো কি চকলেটের হবে মনে হচ্ছে মুক্তা আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল
আরজু মুক্তা
হা হা। চকলেট মানব। মজাই লাগবে দেখতে।
শুভকামনা, আপনার জন্য।
আলমগীর সরকার লিটন
আপনাকেউ
তৌহিদ
এ বাবা! চকলেট বাড়ি! এই বাড়িতে আমি গেলে বই খাতা, চাল, আসবাব সব ইঁদুরে খাওয়ার মত হবে। কুটুস করে এক কামর দেবই আমি।
কি অদ্ভুত শখ মানুষের।
আরজু মুক্তা
শখের তোলা আশি টাকা। আসলেই এতো চকলেটের মাঝে, মন তো হারাবেই।
ইঞ্জা
এমন বাড়ি পেলে আমি থেকে যেতাম সেখানে, সকাল বিকাল, দুপুর খেতাম শুধু চকলেট। 😁
আরজু মুক্তা
হা হা।
একদম।
ইঞ্জা
আমার খুব প্রিয় এই চকলেট আপু।
হালিম নজরুল
চমৎকার সংগ্রহ
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আমি কিন্তু ভোজন বিলাসী।চকলেট হলেতো কথাই নেই।
এতো লোভনীয় জিনিস দিয়ে বাড়ি সত্যি আর্চায্য সুন্দর।
পড়ে খুব ভালো লাগলো।
শখ আছে বলেই মানুষ এতো সুন্দর নিদর্শন গড়েন।
অনেক ভালোবাসা রইলো আপু।
আরজু মুক্তা
আপনার জন্য থাকলো শুভেচ্ছার ফুলঝুড়ি।
মোঃ খুরশীদ আলম
মহান আল্লাহর বিচিত্র সৃষ্টি মানুষ। শখ পূরণে কতো কিছুই না করে তারা। এগুলোর কিছু অর্থহীন আর কিছু তাৎপর্যময়।
আরজু মুক্তা
শখ জিনিসটা বোঝা জটিল। কেউ দেখিয়ে শখ পূরণ করে। কেউ খাইয়ে।
নিজের ভালো লাগা থাকলেই হলো।
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
নাদিরা ইসলাম নাইস
চকোলেট বাড়ির হাঁসগুলো জীবন্ত!! সত্যিই অবাক করার মতোই। আপু, এখন চকলেট বাড়িতে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারছিন!
ভীষণ ভালো লেগেছে ।
আরজু মুক্তা
আমি তো রাজি। আপনারা সাথে থাকলেই হবে।
শুভকামনা আপু