অষ্টাবিংশ বয়সে এসে আজকের দিনের শুরুটা সবচেয়ে বেশি স্পেশাল আমার জীবনে! জীবনের প্রথম স্বচক্ষে সূর্যোদয় দেখেছি। এই প্রথম দেখেছি অন্ধকারের বুক চিরে একটু একটু করে ভোরের মায়া ত্যাগ করে পূর্বাকাশের কোল জুড়ে সকালের আলো ফুটতে। আহ্! এই দেখা যে কতোটা তৃপ্তির কতোটা প্রশান্তির তা বলে বা লিখে বোঝানো সত্যিই অসম্ভব।

জানেন, আমি আগে কখনো দেখিনি সূর্যোদয়ের এতো সুন্দর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। কখনো দেখেনি ভোরের আকাশের অন্ধকার ভেদ করে নতুন সকালের হাতছানি এতো মায়াময় হয়। সূর্য যে এতোটা স্নিগ্ধ হয় জানা ছিল না।

ইদানিং আমি নিজের প্রতি বেশ কেয়ারিং হয়েছি। বুঝতে শিখেছি ভালো থাকতে হলে নিজেকেই নিজের দ্বায়িত্ব নিতে হবে। আগে নিজেকেই ভালোবাসতে হবে

তাই একটু একটু করে আমার উড়নচণ্ডী স্বভাব বদলে নিচ্ছি। এতে আমার মমতাময়ী মা ভীষণ খুশি।

এবার আসি স্পেশাল শুরুর গল্পে। ইদানিং আমি প্রতিদিন ভোরে উঠছি।  আমি বছরের পর বছর নামাজ পড়েছি তবে চার ওয়াক্ত আর এক ওয়াক্ত মানে ফজরের নামাজ কাযা পড়েছি। যদিও জানি রেগুলার কাযা নামাজ পড়া যায় না তবুও পড়েছি।

এখন রাতের শেষ প্রহরে ঘুম ভাঙ্গে আমার। ভোর ৪:৩০ মি. এ ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর ফজরের নামাজ আদায় করে জগিং ড্রেস পরে বেড়িয়ে পড়লাম। তখনও ঘোর অন্ধকার। একদম সুনশান চারদিক। রাস্তার পাশে বড় বড় নিয়ন বাতির আলো ছড়ানো ছিটানো। প্রায় ৪৫ মিনিট হাঁটা/দৌড়ানোর পর বাসায় এলাম। এখনও সূর্য ওঠেনি। অন্ধকারেই সিঁড়ি ভেঙ্গে চার তলা ভবনের ছাদে গিয়ে বসলাম। তারপর চেয়ে চেয়ে দেখলাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূর্য ওঠা। পাখিদের আনাগোনা,উড়াউড়ি দেখলাম। নয়ন যুগোল স্বার্থক আমার।

১৩৪২জন ১১৮৭জন
0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ