
রুদ্রর সেলফোনে রিং হতেই রুদ্র ডায়ালে দেখে বললো, আমাকে এক্সকিউজ করুন স্যার, অফিস থেকে কল এসেছে।
সিউর তুমি কথা বললো, সুলতান সাহেব বললেন।
প্লিজ আপনারা কন্টিনিউ করুন, আমি গাড়ি বারান্দায় আছি, বলেই রুদ্র উঠে বাইরে চলে গেলে সুলতান সাহেব রুদ্রর যাওয়া দেখলেন।
জ্বি ভাই সাহেব কি বলছিলেন যেন, রুদ্রর মা জিজ্ঞেস করলেন।
ভাবী আসলে এই সময় কথাটি বলা উচিত কিনা ভাবছিলাম।
ভাই আপনি নিঃসংকোচে বলতে পারেন।
ভাবী আপনারা আমার বিপদ বুঝতে পারছেন, আমি সত্যি অসহায় অবস্থায় পড়ে গেছি।
তা বুঝতে পারছি ভাই।
আসলে এ আমার স্বার্থপরতা বলতে পারেন, আসলে রুদ্রকে আমার ভীষণ পছন্দ, তাই বলছিলাম আর কি, আপনাদের আপত্তি না থাকলে রুদ্রকে আমার মেয়ের বর হিসাবে চাইছিলাম।
রুদ্রর মার চোখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেই ধপ করে নিভে গেলো, বললেন, ভাই অনিলাকে বউ হিসাবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার কিন্তু এর আগে আপনার একটা বিষয় জানা উচিত, যদি আমি না জানাই তাহলে পরবর্তীতে দোষী হব আমি।
সুলতান সাহেব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ভাবী সাহেব কি সমস্যা খুলে বলুন।
রুদ্রর মা মাথা ঘুরিয়ে উঁকি দিয়ে তাকালেন রুদ্রকে দেখা যায় কিনা, এরপর নিচু স্বরে বললেন, এ কথাটি যেন আর কেউ না জানে প্লিজ ভাই।
ভাবী চিন্তা করবেননা প্লিজ, আপনি আমাকে বলতে পারেন।
আসলে সবাই জানে রুদ্র আমার ছোটো ছেলে, কিন্তু আসলে আমি ওর মা না, ছলছল চোখে বললেন রুদ্রর মা।
রুদ্রর মা আবার বলতে শুরু করলেন, রুদ্র আসলে আমার ভাই মেঝোটির এক মাত্র সন্তান, আমার ভাই আর ওর বউ সিলেট যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করে, রুদ্রর মা স্পটে মারা যায়, ভাই আমার হাসপাতালে রুদ্রকে আমার কোলে দিয়ে ইন্তেকাল করে, সেই থেকে রুদ্র আমারই ছেলে হিসাবে বড় হয়েছে যা ওও জানেনা, আমি চাইওনা ও জানুক, ছেলে আমার কষ্ট পাবে, কয়েক ফোঁটা চোখের জল গড়িয়ে পড়লো রুদ্রর মার।
বড় একটা নিশ্বাস ফেললেন সুলতান সাহেব, বললেন ভাবী আপনি নিশ্চিত থাকুন এ ব্যাপারে অনিলাও জানবেনা, কিন্তু আপনাদের আপত্তি না থাকলে আমি আজই ওদের বিয়ে দিতে চাই।
রুদ্রর মা হেসে বললেন, ভাই আমি একটু রুদ্রর মতামত জানি, তারপর বলছি, বলেই উনি কমুকে নিয়ে বাইরের বাগানে গেলেন রুদ্রর কাছে।
মম তোমরা চলে আসলে, তাহলে আমি যাই বিদায় নিয়ে আসি।
না না রুদ্র আমরা তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি, কুমু আন্টি বললেন।
রুদ্র অবাক হয়ে তাকালো।
রুদ্রর মা সব খুলে বললে রুদ্র বললো, মম আমি এখন কিভাবে বিয়ে করবো, মাথার উপর এতো কাজ, এছাড়া চিনু ফোন দিলো, বললো পরশু ফ্রান্স যেতে হবে।
এই ছেলে আগে কথা শুন, অনিলাকে কি তোর পছন্দ হয়না।
না মম তা কি বলেছি?
তাহলে আপত্তি কিসের, বিয়ে আজই হবে।
মম আমার অবস্থা বুঝবেনা?
না আর কোনো কথা শুনবো না, আমার আর একটা মেয়ে দরকার।
রুদ্র কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো ওর মায়ের দিকে, এরপর বললো, মম অনিলাকে জিজ্ঞেস করেছো?
আমরা কেন বাবা, তুমিই জিজ্ঞেস করো, কুমু আন্টি মিটিমিটি হাসছেন।
আচ্ছা তোমরা ভিতরে যাও, অনিলাকে পেলে একটু আসতে বলো।
রুদ্রর মারা ভিতরে চলে গেলে রুদ্র সিগারেট ধরিয়ে চিন্তা করতে লাগলো।
অনিলাকে আসতে দেখে রুদ্র সিগারেটটা ফেলে দিতে গেলে অনিলা না করলো, আমার অসুবিধা হয়না, আব্বু খান তো।
রুদ্র তবুও সিগারেট ফেলে দিলো ডাস্টবিনে এরপর বললো, তুমি কিছু শুনেছো?
হাঁ আব্বু বলেছেন।
রুদ্র অবাক হয়ে তাকালো।
কি বলেছেন?
এই তোমরা খাবে আরও মেহমান আসছে, সবার জন্য রান্নার আয়োজন করতে।
আরেহ ধুর, আর কিছু বলেছেন স্যার?
না আর কি বলবেন?
আসলে স্যার চান, বলেই রুদ্র থামলো।
কি চান আব্বু, অবাক হয়ে তাকালো অনিলা।
মানে, মানে।
আরেহ আমার অনেক কাজ, মানে মানে করলে চলবে?
স্যার চান আমি তোমাকে বিয়ে করি, বলেই রুদ্র জোরে নিশ্বাস ফেললো।
অনিলা হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো রুদ্রর দিকে।
কি কিছু বললে না, রুদ্র অনিলার চোখে চোখ রাখলো।
অনিলার মুখিটা রক্তাভ হয়ে উঠলো, বললো আমি এইসব কিছু জানিনা, আমি যাই, বলেই চলে যেতে পা বাড়ালে রুদ্র ডাক দিলো।
তুমি এ বিয়েতে রাজি।
অনিলা চোখ নামিয়ে মাথা হেলালো।
মানে তুমি রাজি না?
অনিলা চোখ তুলে তাকালো রুদ্রর দিকে, তুমি আমাকে করুনা করে বিয়ে করছো নাতো?
রুদ্র থমকে গেলো, এরপর বললো, কেন এই কথা বলছো?
অনিলার চোখ ভর্তি জল দেখে রুদ্র এগিয়ে গিয়ে চিবুক তুলে ধরে বললো, আমি তোমাকে পছন্দ করি, তাই বিয়েতে মত দিয়েছি, এখানে করুনার বিষয় কেন আসবে বলো?
অনিলা রুদ্রর চোখে চোখ রেখে কি যেন খুঁজলো, আমাকে ভালোবাসবে?
হাঁ।
অনিলার চোখে মুখে হাসি দেখা দিলো, বললো চলো ভিতরে, সবাই নিশ্চয় অপেক্ষা করছে।
তুমি যাও আমি আসছি।
আচ্ছা, অনিলা ভিতরে চলে গেলে রুদ্র কয়েক বন্ধুকে কল দিয়ে আসতে বললো।
রুদ্র যখন ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করলো তখন পুরা ঘর জুড়ে উৎসবের আমেজ, সুলতান সাহেব উঠে গিয়ে রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে বললেন, I am so happy my boy, তোমাদের জন্য অনেক দোয়া।
রুদ্র তুই কি রেডি হতে যাবি বাবা, রুদ্রর মা জিজ্ঞেস করলেন।
আরেহ না না, ও পাঞ্জাবি পড়ে রয়েছে, একদম ফিটফাট , কুমু আন্টি বললেন।
কুমু তুই ভাইকে ফোন দে, বল আমার লাগেজ নিয়ে আসতে, সাথে বাচ্চাদেরকেও নিয়ে আসতে বল তাড়াতাড়ি আসতে বল, কাজি সাহেব রাত আটটায় আসবেন, রুদ্রর মা বললেন।
রুদ্র বাবা তুমি বসো।
জ্বি স্যার, আপনিও বসুন।
আরে কি কি স্যার করছিস, ভাই সাহেব আর স্যার নেই তোমার, এখন থেকে উনি তোমার শ্বশুর, বলেই রুদ্রর মা হাসলেন।
রাত সাড়ে আটটার পর সবার উপস্থিতিতে রুদ্র আর অনিলা কাজি সাহেবের কাছে কবুল বলার পর উপস্থিত অনিলার খালু মুনাজাত করে দোয়া খায়ের করার পর সবাই অভিনন্দন জানানো শুরু করলো।
রুদ্রর কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত ছিলো, তারা সবাই রুদ্র আর অনিলাকে ঘিরে ধরে ছবি তুলতে লাগলো।
রুদ্র অনিলাকে নিয়ে গিয়ে অনিলার বাবা, রুদ্রর মাকে কদমবুচি করলে উনারা দুজনকেই জড়িয়ে ধরে দোয়া দিলেন।
রুদ্র তুমি বন্ধুদের নিয়ে আসো, খাবার রেডি, ভাবী সাহেব চলেন খেতে সবাইকে নিয়ে, আপনারা সবাই আসুন, টেবিলে খাবার দেওয়া হয়েছে, সুলতান সাহেব অনিলাকে নিয়ে সবাইকে পথ দেখালেন।
খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে ছাদে, সবাই টেবিলে বসলে রুদ্র আর অনিলাকে নিয়ে বসলো বন্ধুরা।
খাওয়া দাওয়ার পর এলো বিদায়ের পালা, রুদ্র সুলতান সাহেবের কাছে গিয়ে বললো, স্যার আমরা আগামীকাল সকালে ঢাকা রওনা হবো।
স্যার নয় বাবা, আব্বু ডাকলে আমি খুশি হবো।
রুদ্র মিষ্টি হেসে বললো, জ্বি স্যার, মানে আব্বু।
তোমরা রওনা হয়ে যেও, আমি বিকালের ফ্লাইটে যাবো, ঢাকাতেই তোমাদের বিয়ের প্রোগ্রাম করবো কয়েকদিনের মধ্যেই।
এখন না প্লিজ, আমি কয়েকদিনের মধ্যেই ফ্রান্স যাবো, ফিরে আসি, এরপর করবেন, এছাড়া আমার ভাইয়া ভাবী, বোনও নেই, উনাদের ছাড়া প্রোগ্রাম কিভাবে করি?
আচ্ছা ঠিক আছে বাবা, ওরা ফিরে আসুক তারপর করবো।
রুদ্ররা বিদায় নিয়ে হোটেলে চলে এলো, রুদ্রর মা কমু আন্টিদের সাথে চলে গেলেন।
হোটেলের রিসেপসনে এসে রুদ্র অনিলার এন্ট্রি করে রুমে এসে অবাক হলো, পুরা বিছানায় ফুল দিয়ে সাজানো।
এগুলো তুমি করিয়েছো, অনিলা জিজ্ঞেস করলো।
না আমি নিজেই অবাক হয়েছি, সেলফোনে কল হচ্ছে দেখে ডায়ালে দেখলো জামাল, রিসিভ করে হ্যালো বললো।
বন্ধু রুমের চেহেরা পছন্দ হয়েছে?
তুই করেছিস, কখন?
তুই ফোন দেওয়ার পর আন্টি ফোন দিয়ে এরেঞ্জ করতে বলাতে এই কর্মযজ্ঞ করেছি।
ধন্যবাদ বন্ধু।
ওকে বিরক্ত না করি বন্ধু, ভাবীর দিকে নজর দে, বাই।
বাই বন্ধু।
আমি ড্রেসটা চেইঞ্জ করলে মাইন্ড করবে তুমি, অনিলা জিজ্ঞেস করলো।
সিউর হোয়াই নট, আমি কি বাইরে যাবো?
না লাগবেনা, আমি ওয়াস রুমে যাচ্ছি।
আমি সিগারেট খেতে পারবো?
খাও, আমি আসছি, মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে অনিলা নিজের ব্যাগ খুলে স্লিপিং ড্রেস বের করে বিছানায় বসে গয়না গুলো খুলতে শুরু করলো।
রুদ্র সিগারেট ধরিয়ে মুগ্ধ চোখে অনিলাকে দেখছিলো, তা খেয়াল করে অনিলা বললো, কি দেখছো?
তোমাকে।
জানো মম আমাকে এই গয়না গুলো দিয়েছে, বললেন সব উনার নিজের গয়না।
তাই, মমও না কি করে, আসলে উনি খুব খুশি হয়েছেন।
আর তুমি?
রুদ্র হাসলো।
……. চলবে।
ছবিঃ গুগল।
৩৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
পড়েও ১ম মন্তব্য ভাইজান।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
যাক অবশেষে কাজের কাজ সারা হয়ে গেল.
এর পরের জন্য অপরক্ষায় থাকলাম।
ইঞ্জা
হুম কাজের কাজ হলো ভাইজান। 😊
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন হলো । বিয়েটা হওয়াতে ভালো লাগলো। এখন দেখি আগামী পর্বে কি হয়।রুদ্রর বিষয়টি শুনে খারাপ লাগলো। শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
জ্বি আপু, ধন্যবাদ।
তৌহিদ
এটি আপনার তিনশততম পোস্ট! অভিনন্দন ইঞ্জা ভাই।
লেখার মন্তব্য নিয়ে পরে আসছি।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অশেষ ভাই
নিতাই বাবু
বিয়ের খবরে মনে আনন্দ জাগলো, দাদা। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা
ফয়জুল মহী
একরাশ মুগ্ধতা একরাশ ভালো লাগার ভালোবাসা ।
ইঞ্জা
অশেষ ধন্যবাদ ভাই
শামীম চৌধুরী
একজন চৌকস ও মেধাবী ছেলে রুদ্রকে বর হিসেবে কার না পছন্দ। যাক একটা বিয়ে খেতে পারবো সামনে। করোনাকালে বহুদিন বিয়ে থেকে বঞ্চিত। ভাল লাগলো গল্পটি। সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই, বিয়ে খেতে চাইলে আমারে বিয়ে করান, খাওয়াও হবে। 🤣
মোঃ মজিবর রহমান
ফুলশয্যা দারুন মনোরম স্বপ্ন ভ্রমণে স্বচক্ষে দর্শন করেচ্ছি
ইঞ্জা
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়জন।
মোঃ মজিবর রহমান
☝
ইঞ্জা
❤💕
রোকসানা খন্দকার রুকু।
দাওয়াত খাওয়া যাবে।
চলছে ভালোই।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
দাওয়াত অবশ্যই খাবেন। 😊
রেজওয়ানা কবির
বিয়েটা হয়েই গেল।।।।
ইঞ্জা
জ্বি হয়েই গেলো, আপনারা উপহার নিয়ে যান দেখা করতে। 😊
খাদিজাতুল কুবরা
বাহ্ বেশ রোমান্টিক দৃশ্যের অবতারণা হলো।
রুদ্রের মায়ের অনেস্টি ভালো লাগলো। বিয়েতে এসব বিষয় গোপন করা উচিত নয়।
ইঞ্জা
আসলে এইসব বিষয় লুকিয়ে রাখলে আগামীতে সাংসারিক সমস্যা হতে পারে বলেই বলে দেওয়া উচিত।
খাদিজাতুল কুবরা
একদম তাই।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
জিসান শা ইকরাম
এই পোস্ট আপনার তিনশততম পোস্ট।
এ এক অনন্য মাইলফলক ভাইজান।
তিনশততম পোস্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
লেখার মন্তব্য সব পর্ব পরার পরে দেব।
শুভ ব্লগিং।
ইঞ্জা
অপরিসীম ধন্যবাদ ভাইজান, আপনি ধমকি দিয়ে ব্লগে না আনলে আমার যে কি যে হতো, আপনার কারণেই আমি লিখতে শুরু করেছি, আমার এই তিনশত তম পোস্ট আপনাকে উৎসর্গ করলাম ভাইজান।
ভালোবাসা জানবেন।
জিসান শা ইকরাম
আপ্লুত হলাম ভাই।
সোনেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা কতটা তা আমি জানি ভাইজান।
আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা।
আপনার প্রতিও ভালোবাসা।
ইঞ্জা
আমিও আপ্লুত হলাম ভাইজান।
ধন্য যোগ ভাইজান।
তৌহিদ
অসম্ভব সুন্দর এই পর্বটি পড়ে সত্যি বলছি আমার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো। আমার কেন জানি মনে হয়েছিল আজ ঘুমানোর আগে আপনার লেখাটি পড়তেই ভালো লাগবে আর হলোও তাই। রুদ্রর মা নেই তাতে কি সে যেভাবে মানুষ হয়েছে তাতে কেউই এমনকি সে যদি কখনো জানেও যে তার আসল মা কে তবুও বর্তমানকে অস্বীকার করবে এমন ছেলে সে নয়। ভবিষ্যতে কি হবে তা জানিনা।
অনিলার সাথে রুদ্রর বিয়েতে খুব ভালো লাগছে। হ্যাপি কাপল। দুজনে সুখী হোক এটাই প্রার্থণা।
এই পর্বটি জিসান ভাইকে উৎসর্গ করেছেন দেখে আমিও আপ্লুত হলাম। এমন সম্মান পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।
শুভকামনা ভাই।
ইঞ্জা
সত্যি বলতে কি গল্পটিকে লুতুপুতু প্রেমের গল্প রাখতে চাইনা ভাই, সামাজিক এই গল্পের প্রতি পদে পদে বার্তা রেখে যেতে চাই আমি, যাতে মানুষ নিজেকে বুঝতে শিখে, নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যেতে পারে সামনে, গল্পের প্রতিটি মোড়ে আমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে তার ইন্ডাইরেক্ট প্রয়োগ পাবেন এই গল্পে।
জিসান ভাইজান অলেখক আমাকে লেখক করেছেন, সাহিত্য জগতে এখন অনেক মানুষ আমাকে চিনে, কোনো এক প্রোগ্রামে যখন ভক্তরা এসে ঘিরে ধরে, আমার লেখার প্রশংসা করে তখন ভাইজানের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা নত হয়ে যায়, বিশ্বাস করুন, ব্লগে লেখার আগে আমি এক লাইনও কোথাও লিখিনি, এ জন্যই আমার এই কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ ভাই, ভালোবাসা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
বিয়ের প্রস্তাব দেয়ামাত্র বিয়ে পড়িয়ে দিলেন! দারুন একটা চমক দিলেন ভাইজান। রুদ্রের জন্ম ইতিহাস রুদ্র নিজেও জানে না, তবে পাঠকরা জেনে রাখলো। কেন জানি মনে হচ্ছে এই ঘটনার কিছু অংশ আগামীর জন্যে রেখে দিলেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
তিনশত পোস্ট পূর্ণ করার জন্য অভিনন্দন এবং অজস্র শুভেচ্ছা রইলো ভাইজান। খুব শিগগির অর্ধ সহস্র কমপ্লিট করুন এটাই চাই 🙂
ভালো থাকুন। শুভ কামনা অনেক অনেক 🌹🌹
ইঞ্জা
হাঁ আপু ঠিকই ধরেছেন, এই জন্ম ইতিহাস গল্পের কোনো এক মোড়ে ব্যবহৃত হবে।
গল্প যেহেতু সামাজিক, এজন্যই বিয়েটাও আকষ্মিক ভাবেই করিয়ে দিলাম।
ধন্যবাদ আপু, এই ব্লগ আমাকে অনেক দিয়েছে যা আমি অল্প হলেও ফিরিয়ে দিতে চাই কৃতজ্ঞতা স্বরুপ, তা পারবো কিনা জানিনা, দোয়া রাখবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
দোয়া শ্রদ্ধা সম্মান সবই অবারিত রইলো ভাইজান। সারাক্ষণ ভালো থাকুন, সুস্থ্য নিরাপদে থাকুন। 🌹🌹
আলমগীর সরকার লিটন
অফিসে বসে গল্পপড়া মানে ——–তবুও কিছু প্রিয় লেখকের লেখা কষ্ট করে পড়ি
অনেক শুভেচ্ছা রইল প্রিয় ইঞ্জা দা
ইঞ্জা
আনন্দিত হলাম ভাই, ধন্যবাদ। 😊
সুপায়ন বড়ুয়া
অনিলা রূদ্রের বিয়ে
তাও হল চট্টগ্রামে। আমর হলাম বঞ্চিত।
তবুও নবদম্পতির জন্য শুভ কামনা।
রুদ্র এতিম নিজেই জানে না।
কিন্তু এখন শশুর শাশুরী জানলো।
অনীলা কি না জেনে থাকবে ?