
-দোস্ত আমি আর পারতাছি না, বিশ্বাস কর জীবন ডা তেতো হইয়া গেছে।family, relationship, study খালি প্যারা আর প্যারা।কোনদিন না আমি সুইসাইড কইরা বসি।
-আরে মরবার আগে কইয়া যাইস বিরিয়ানি খাইয়া আসুম নাইলে এহনই ট্রিট দিয়া যা ব্যাটা।যা গিয়া ঘুম দে,সব ঠিক হইয়া যাইবো।
ডিপ্রেশনের প্রথম পর্ব শুরু।ডিপ্রেশন মানে কী? ডিপ্রেশন মানে হলো একগুঁয়েমি। আপনার মনের একগুঁয়েমি। আপনার কিছু করতে ভালো লাগবে না,খেতে ইচ্ছে করবে না, সব কিছু যন্ত্রণা মনে হবে।শান্তির পথ খুঁজে পাবেন না সর্বদা এটা ওটা নিয়ে চিন্তায় জর্জরিত থাকবেন।
নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবেন একগুঁয়েমি কেনো বললাম?
একগুঁয়েমি বলার কারন এই আপনি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খুঁজবেন এবং পেয়েও যাবেন কিন্তু সেই পথ ধরে হাঁটবেন না,কারন আপনার ভালো লাগবে না সেই পথ।আপনি আপনার চিন্তাধারার ওপর অঢল থাকবেন।
যদি আপনি প্রথম ধাপেই এই একগুঁয়েমি কাটাতে পারেন তবে নিশ্চিত ভাবে বাকি ধাপগুলো হ্যান্ডেল করতে পারবেন।
আরে বলা তো সহজ,যন্ত্রণার আপনি কী বুঝবেন?
আসলেই আমি বুঝবো না,আপনার যন্ত্রণা আমি কখনোই অনুভব করতে পারবো না।আমি কেনো আপনার কোনো আপনজনই না।সবাই কেবল সান্ত্বনা দিতে পারবে বা মজা নিতে পারবে গুটিকয়েক মুক্তির পথ দেখাতে পারবে।আর কিচ্ছু না।মোটকথা আপনি খেতে না চয়লে তো আর জোর করে খাওয়াতে পারবে না।আপনাকেই আপনার জন্য সব করতে হবে।
নিজেকে ভালোবাসতে হবে সবার আগে,পৃথিবীর মায়া বারবার পাবেন না।আপনি চলে গেলে কারও কিচ্ছু হবে না বিশ্বাস করুন কিচ্ছু না।দু চারদিনের কষ্ট তারপর শেষ।
খারাপ সময় সবসময় থাকবে না,রাতের পরই তো সূর্যের দেখা পান।তাহলে আত্মবিশ্বাস কম কেনো?ভালোসময় আপনার খুব নিকটেই থাকে কেবল আপনিই ছুঁতে চান না।
সুইসাইড সমাধান নয়,একগুঁয়েমি কাটান,প্রথম ধাপ থেকেই সমাধানের জন্য লেগে পড়ুন,সেইসব বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ করুন যে আপনার খারাপ সময়ে মজা নেই।আর নিজের খারাপের সময়ের কথা কাউকে বলবেন না,নিজে সমাধানের পথ খুঁজুন এবং কাজে লাগান।আপনি যাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে যাবেন তারাই উল্টো ডিপ্রেশন বাড়িয়ে দেবে।খুব চাপ অনুভব করলে একান্ত প্রার্থনায় আপনার সৃষ্টিকর্তাকে বলুন,তিনিই উত্তম সাহায্যকারী।
ডিপ্রেশন থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন।
১৩টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
খুবই উপকারী ও সময়োচিত লেখা
ইঞ্জা
নিজেকে ভালোবাসতে হবে সবার আগে,পৃথিবীর মায়া বারবার পাবেন না।আপনি চলে গেলে কারও কিচ্ছু হবে না বিশ্বাস করুন কিচ্ছু না।দু চারদিনের কষ্ট তারপর শেষ।
যথার্থ বলেছেন, ডিপ্রেশনে কোনো লাভ নেই, কেউ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে সে নিজেকে বলুক “সব যাক চুলায়, আমি থাকবো আনন্দে”, এ ধরণের উদ্দীপনা মূলক অটো সাজেসন নিজেকে দেওয়া উচিত।
সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয় নিয়ে আপনার অবতারণা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
সোনেলার উঠোনে আপনাকে সু স্বাগতম, এ উঠোনকে মনে করুন একান্ত আপনার, ভালো ভালো লেখা দিয়ে সোনেলাকে সমৃদ্ধ করুন, জানেন কি এই সোনেলায় সারা বিশ্বের প্রায় তিন হাজারের অধিক ভিউয়ার এসে লেখা পড়ে, সুতরাং আনন্দের সাথে লিখুন।
হ্যাপি ব্লগিং।
মোঃ মজিবর রহমান
সোনেলার উঠানে আপনার মনের মতো করেই লিখুন। এইতো কিছুক্ষন পুর্বে আপনাকে এই ব্লগে দেখলাম। এটাই প্রথম পষ্ট সুন্দর।
আসিলেই ডিপ্রেশন বিভিন্নভাবে মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। একাক্কিত্ব, চাকরি,, সংসারে চাকরি হারালে, সংসারের ব্যায়ের খরচ মিটানো সম্ভব নাহলে ইত্যাদি।
আসলেই মুক্তি অতো সহজ নয়। বেকার হলে, প্রয়োজনের তুলনায় আয় কম হলে।
সুন্দির ওকটি পষট। যাইহোক যেকেউ মুক্তি পাক এই ডিপ্রেশন থেকে কামনা করি।
কামাল উদ্দিন
ডিপ্রেশন মানে একগুয়েমী খুব সুন্দর বলেছেন আপু। আমি বলি জীবন একটাই, একে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকা দরকার। আর একটাই যেহেতু জীবন একে সব সময় উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা করে যাওয়াই উচিৎ। দুঃসময় আমানুষের কখনো স্থায়ী হয়না। চমৎকার অনুপ্রেরণা মূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
সোনেলার উঠোনে সু-স্বাগতম, লিখতে থাকুন সাথেই আছি।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আমরা কমবেশি সবাই এটাতে ভুগে থাকি। সাধারণত বন্ধু বান্ধবরা উড়িয়ে দেয় কিংবা হাসাহাসি করে। তাই নিজেকেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।সাথে ভালো লাগা কাজগুলো করতে হবে। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
মনের কথা গুলোই বলেছেন। নিজেকেই নিজের ভালো রাখতে হবে, ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। অহেতুক বিষন্নতা বা নিজেকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দেয়ার মাঝে কোন সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় না।
সোনেলা ব্লগ পরিবারে আপনাকে স্বাগতম।
নিয়মিত লিখুন, অন্যদেরটাও পড়ে নিজের পাঠপ্রতিক্রিয়া রাখুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
স্বাগতম আপনাকে সোনেলার আঙ্গিনায়। খুব ভালো একটি সমসাময়িক বিষয় নির্বাচন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনার মূল্যবান কথাগুলো খুব ভালো লাগলো। সহমত পোষণ করছি। তবে এটাও ঠিক ডিপ্রেশন একবার শুরু হলে সহজে শেষ করা যায়না। কারন প্রাইমারি স্টেজে এটা কেউই বুঝতে পারে না তাহলে প্রতিকার করবে কিভাবে? গভীরে না গেলে আমরা সে বিষয়টিকে সহজে পাত্তাও দেইনা। শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
চমৎকার বক্তব্য — আসলেই আমি বুঝবো না,আপনার যন্ত্রণা আমি কখনোই অনুভব করতে পারবো না।আমি কেনো আপনার কোনো আপনজনই না।সবাই কেবল সান্ত্বনা দিতে পারবে বা মজা নিতে পারবে গুটিকয়েক মুক্তির পথ দেখাতে পারবে।আর কিচ্ছু না।মোটকথা আপনি খেতে না চয়লে তো আর জোর করে খাওয়াতে পারবে না।আপনাকেই আপনার জন্য সব করতে হবে।
ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
আমি এখানেই থেকে গেলাম, থেমেও গেলাম। কারণ, এটা সত্যি কথা, বাস্তব কথা!
সোনেলা পরিবারের সুস্বাগত! আশা করি নিয়মিত আমাদের পাশে থাকবেন। অন্যজনের লেখাও পড়বেন, মন্তব্য করে সবার মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুক এবং নিরাপদে থাকুন!
জিসান শা ইকরাম
স্বাগত আপনি সোনেলায়।
ডিপ্রেশন নিয়ে চমৎকার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
নিয়মিত লেখুন।
জবাব এ ক্লিক করে সবার মন্তব্যের জবাব দিন।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
সুইসাইড কোন সমাধান নয়, এটা কাপুরুষতা। তবে সুইসাইডের মত একটা ডিসিশন একজন কেন নিচ্ছেন সেটা খুঁজে বের কিরা জরুরী। মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা সবার জন্য অতীব প্রয়োজনীয়।
ভালো লিখেছেন।
আরজু মুক্তা
নিজে ভালো না হলে তো, আমি অন্যকে কেমনে ভালো রাখবো। সুইসাইড সমাধান নয়। চারিদিক দেখো। ভালো খোঁজ। জীবন গড়ো
মনির হোসেন মমি
জুলাইয়ের পোষ্ট মন্তব্যের প্রতি উত্তর একটাও নাই।ভাবতাছি পোষ্টদাতা প্রিয় ব্লগার কী ডিপ্রেশনে পড়ে গেল নাকি..হা হা হা!
যখন যা তখন তা
সব সময় স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করাটাই শ্রেয়।খুব ভাল একটা লেখা।মনে সাহস এলো।