আফসোস
এ কেমন স্বাধীন দেশ আমার! আহ্……..!!
আজ ভারাক্রান্ত মনে এ বিষয় টি লিখতে বসলাম। তনু চলে গেল অপ্রত্যাশিত এক অমানবিক ঘটনায়। চলে গেল নুসরাত না ফেরার দেশে।
নতুন করে খবর এলো লক্ষিপুরের সদর উপজেলার ২নং হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে গতকাল দুপুরে ঘরে একা পেয়ে হিরা মনি (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষতবিক্ষত করে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। যখন তার মা ক্যান্সারে মৃত বাবার লাশ আনতে ঢাকার পথে। যখন মেয়েটি একবুক কষ্ট নিয়ে বাবার লাশের অপেক্ষায় একটি বার বাবার মুখখানি দেখে চীর বিদায় জানাবে।
পাষন্ড নেশাগ্রস্ত এই নরপশুদের গ্রেফতার করা হয়েছে।তারা হলো আরিফ ও সুমন। বহাল তবিয়তে জনগনের ট্যাক্সের টাকায় খেয়ে পরে বেঁচে যাবে।
কি অধিকার তাদের বেঁচে থাকার? এভাবে থেকে একদিন আবার হয়তো বেরিয়ে যাবে জন সমাজে।
কেন? কেন? কেন???
তনু, নুসরাত, হিরামনি আরো নাম জানা তরুণীরা এভাবে নির্যাতিত হয়ে প্রান দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে আর্তনাদের প্রশ্ন রেখে যায়। আমরা চলে গেলাম কেন? আমরা তো পরিশালিত, পরিমার্জিত পোষাক পড়েছিলাম। আমরা তো কাউকে ভালবাসি বলে আবার অন্যের হাত ধরিনি।
তবে কেন এভাবে, এ সুন্দর পৃথিবী থেকে আপনজনদের কাঁদিয়ে অকালে মা, বাবার কোল খালি করে আমাদের চলে যেতে হচ্ছে। আর নরপিশাচরা কোন না কোন ভাবে এ দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছে । কেন তারা এখনো বেঁচে আছে। কে দিয়েছে তাদের বাঁচার অধিকার?
ধর্ষনের একমাত্র বিচার প্রকাশ্যে ফাঁশি। ধর্ষিতার দাফনের পূর্বেই।
সচেতন হন আপনার পরিবারের ছেলে মেয়েদের নিয়ে। নিরাপত্তা দিন নিজেই তাদের। ধর্ষক নামের হায়নারা আপনাদের চার পাশেই আছে। সুযোগ পেলেই বিষাক্ত ছোবল দিবে।
আসুন, আমরা একই কন্ঠে আওয়াজ তুলি।
ধর্ষনের একমাত্র শাস্তি হোক,
ধর্ষনকারী গ্রেফতারের সাথে সাথে ফাঁশি কার্য্যকর করা জনসম্মুখে!!
সৈয়দা শাহানাজ পারভীন
ধানমন্ডি, ঢাকা।
১৮ জুন ২০২০
তথ্যসূত্র : S A Media. Face book. Com.
১১টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
খুব চমৎকার লেখা । ভাল লাগলো ।
কামাল উদ্দিন
এই লেখাটা কি কারণে আপনার ভালো লাগলো ভাই!!!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এরপর না জানি কার নাম আসবে! এই সিরিয়াল দীর্ঘ ই হচ্ছে যত ই হাঁসফাঁস করিনা কেন। মনুষ্যত্ব কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! এদের ফাঁসির চেয়ে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক। মৃত্যু হলেতো মরে গিয়ে বেঁচে গেল। বেঁচে থেকে যণ্ত্রনা ভোগ করাতে হবে যাতে অন্যরা দেখে শিক্ষা নেয় , ভীত থাকে, কম্পিত থাকে। আমার মতে ফাঁসি হলেও কোনো পরিবর্তন আসবে না। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
এস.জেড বাবু
পশুত্ব লালন করে এমন মানুষগুলোও দেখতে অবিকল মানুষের মতো।
থেমে নেই পশুত্ব জাহির করা, থেমে নেই অত্যাচার অবিচার।
আফসোস
তৌহিদ
স্বাধীনতার অপব্যবহারকারী কিছু দুষ্টু লোকের জন্য অনেক কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমাদের মুল্যবোধ জাগ্রত হোক এটাই কাম্য।
ভালো থাকুন সবসময়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সকলের মূল্যবোধ জাগ্রত হোক।
ধর্ষনের একমাত্র বিচার প্রকাশ্যে ফাঁসি হোক।
তা না হলে এরমাত্রা বেড়েই চলবে।
কামাল উদ্দিন
পরিবারের সবার সাথে বসে মাঝে মাঝে টিভিতে এমন খবর গুলো দেখলে খুবই অসস্তি লাগে। কিছু সংখ্যক দূর্বৃত্তের জন্যই এমন খবর গুলোতে পুরুষ হিসাবে আমাদের নিজেকে অপরাধী মনে হয়। ওদের দৃষ্টান্তমূলক এবং দ্রুত শাস্তি কার্যকর করা উচিৎ। কিছু শাস্তি হলেও রায় কার্যকর হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ার কারণে অনেক সময় মানুষ জানতেই পারেনা অমুক জঘন্য কাজের শাস্তিটা আদৌ হয়েছে কিনা। দূর্বৃত্তরা এতে উৎসাহিত হয়। তবে আমি মনে করি ফাঁসির চাইতে বিশেষ অঙ্গ হানি করে বাকি জীবনটা ওদের বাঁচিয়ে রাখার শাস্তিটাই বেশী কার্যকর হবে।
আরজু মুক্তা
আমরা বুঝি, সরকার বোঝেনা
হালিম নজরুল
মাঝেমধ্যে ভীষণ লজ্জা পাই নিজেকে পুরুষ ভেবে।
জিসান শা ইকরাম
হিরা মনির ঘটনা পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি আপু।
স্বাভাবিক আইনে ধর্ষন বন্ধ হবেনা আমাদের দেশে।
দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্য বিচারই পারে ধর্ষন বন্ধ করতে।
নিয়মিত লিখুন।
মোহাম্মদ দিদার
লজ্জিত হতে হয় পুরুষ পরিচয়ে, যখন আট বছরের মেয়ে বচ্চাটির আর্তনাদেও মন গলেমা পরুষ নানধারীর।দিন দিন তনু নুশরাতের নামের পাশে নাম যোগ হতেই থাকবে, যতদিন এ দেশে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তুি না হবে।মনুষ্য চেতনা জাগ্রত না হবে।