
সাজেক ভ্যালি বলতে রুইলুই ও কংলাক এই দুইটি আদিবাসি গ্রামকেই বুঝায়। মূলত সাজেক রাঙামাটি জেলার একেবারে উত্তরে বাঘাইছড়ি উপজেলার একটা ইউনিয়ন। রাঙামাটি জেলায় হলেও সাজেক যেতে হয় খাগড়াছড়ি থেকে। আর রাঙামাটি থেকে সাজেক যেতে হলে কাপ্তাই লেক পাড়ি দিয়া খাগড়াছড়ি জেলা হয়েই ওখানে যেতে হয়। সাজেকের উচ্চতা ১৫০০ ফুটের মতো। এই গ্রাম দুটিতে লুসাই,পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসীরা বসবাস করে। আদিবাসিদের জীবন যাত্রা খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করতে রুইলুই পাড়াটা সত্যিই অনন্য। কংলাক পাড়া ছাড়া বাকী তিন দিকের পাহাড়গুলো সাজেক থেকে নিচু হওয়ায় ঐ দিককার পাহাড় চুড়া এবং সেখানকার আদিবাসিদের বাড়ি-ঘর গুলো ছবির মতো সুন্দর দেখায়। সাজেক ভ্যালিতে দাড়িয়ে মেঘে ঢাকা নিচের পাহাড় চুড়া গুলোর দিকে তাকালে মনে হবে যেন এক স্বপ্নের জগৎ। সেই সাথে দূরের মিজোরামের পাহাড় ও যেন আপনাকে হাতছানি দিবে ওখানে ছুটে যেতে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তাটাই এ্যডভেঞ্চারে ভরপুর। রাস্তার বাঁকে বাঁকে আদিবাসি কুড়েগুলো দেখলে সত্যিই মন জুড়ায়। কখনো রাস্তা এতোটাই খাড়া উঠে গেছে বা নেমে গেছে যে বুকে সত্যিই কাঁপন ধরায়। তবে একটা ভালো ব্যাপার হলো পুরো রাস্তাই মসৃণ পিচঢালা।
(২/৩) সাজেক যাওয়ার পথ, আর সেই পথের ধারে আদিবাসিদের বাড়িঘর।
(৪) ওখানে যাওয়ার পথে দেখবেন আদিবাসি শিশুরা আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে….ওদের জন্যও শুভেচ্ছা স্বরূপ কিছু চকলেট সাথে নিতে ভুলবেন না যেনো।
(৫) রাস্তা খুব প্রশস্ত নয়, দুইটা চান্দের গাড়ি মোটামুটি ক্রস করতে পারে।
(৬/৭) সবুজ গাছগাছালির ভেতর দিয়ে এমন সুন্দর রাস্তায় চলতে নেই কোন ক্লান্তি।
(৮) সাজেক রিসোর্ট :রুইলুই পাড়ার একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত আর্মি পরিচালিত এই রিসোর্ট।
(৯/১০) রিসোর্ট রূনময়:এটি রুইলুই পাড়ার শেষ প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ আর্মি পরিচালিত একটি রিসোর্ট।
(১১/১২) রুইলুই পাড়ার লাল সবুজ আদিবাসি কুড়েগুলো দেখতে কিন্তু বেশ লাগে।
(১৩) যদিও সেনা বাহিনীর শৈল শিখড়ে আমাদের থাকার জন্য নির্ধারিত রুম ছিলো তবু আমরা হেলিপ্যাডে তাবু টানিয়ে কয়েকজন ঘুমিয়ে ছিলাম বা বলা বলে পুর্ণিমার চাঁদের সাথে লুকোচুরি খেলছিলাম।
(১৪) দু’দিন আগেই পূর্ণিমা ছিলো, আদো ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদটা আমাদের সাথে সারা রাত্রি মেঘের আড়ালে লুকোচুরি করেই কাটিয়ে দিলো।
(১৫) ভোরে উঠেই আদিবাসি তরুণীরা নিচের কোথাও থেকে পানি নিয়ে আসছে।
(১৬/১৭) কেউবা কুড়ের দরজা খুলেই আড়মোড়া ভেঙে মোটা বাঁশের পাইপে তামাক খায়ে সারা দিন কাজ করার শক্তি যুগিয়ে নিচ্ছে।
(১৮) রুইলুই পাড়ার স্টোন গার্ডেন।
(১৯) ফিরে আসার আগে খুব স্বল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম কংলাক পাড়া, এটা কংলাক পাড়ার একটা ঘরের ছবি।
(২০) কংলাক পাড়ার উঁচু পাহাড়ে দাড়িয়ে তোলা রুইলুই পাড়ার ছবি।
২১টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
সুন্দর একটি বিষয় লিখলেন ভাইজান
আঁকা বাকা পাহাড়ি ঢালু পথে প্রকৃতি অপরুপ
রঙে সাজিয়েছে সাজেক ভ্যালি।
খুব ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
পাহাড়ের এমন সৌন্দর্য দেখে ইচ্ছে করে একটা জীবন দেইনা কাটিয়ে এখানেই, শুভ রাত্রি।
পার্থ সারথি পোদ্দার
সাজেক ভ্যালির সুন্দর বর্ননা দিয়েছেন।নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে পেলাম।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা জানবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ । তবে আরো কিছু মনোমুগ্ধকর ছবির আশা করেছিলাম। এতে মন ভরেনি। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
কামাল উদ্দিন
ছবি তোলার নেশাটা আমার ভয়াবহ আপু। সাজেকে কম করে হলে আমি এক হাজার ছবি তুলেছি। কিন্তু ব্লগে তো মাত্র দিয়েছি বিশটি। ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকুন সব সময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সাজেকের যে ছবির সাথে পরিচিত আপনার থেকে আরো বেশী ভালো ছবি আশা করি। আমি যে আপনার ফটোগ্রাফীর ভক্ত
প্রদীপ চক্রবর্তী
ছবি, লেখা,বর্ণনা অসাধারণ লাগলো দাদা।
অনেককিছু জানলাম।
কামাল উদ্দিন
জানার কোন শেষ নাই দাদা। শুভ কামনা সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
কোন স্থান সম্পর্কে এত বিস্তারিত ও সুন্দর বর্ণনা এই প্রথম পড়লাম।
বলেন, ঠিক না বেঠিক?
এতো লেখালেখি হচ্ছে, হবেও।আমরা সমতলের মানুষ, পাহাড় আমাদের টানে।
সত্যি -ই সব কিছু ছবির মত। বিশেষ করে শেষ ছবিটি।
কামাল উদ্দিন
কন কি বড় ভাই, আপনি আবার কবে বেঠিক কথা কইছিলেন? ঠিক ঠিক ১০০% ঠিক😍
হালিম নজরুল
বাঁশের পাইপে তামাক খাওয়ার দৃশ্যটি চমৎকার।
কামাল উদ্দিন
আমার কাছেও বিষয়টা বেশ জটিল মনে হয়েছে। ধন্যবাদ নজরুল ভাই, ভালো থাকুন সব সময়।
জিসান শা ইকরাম
সাজেক দেখলাম আপনার পোস্টের মাধমে।
যাওয়া হয়নি এখনো।
বাঁশের পাইপে তামাক খেতে ইচ্ছে করছে কামাল ভাই।
যেতে হবেই 🙂
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
বাঁশের পাইপে আমি তামাক খেয়েছি, তবে নিয়ন্ত্রণ করাটা বেশ কঠিন ভাইজান।
ফয়জুল মহী
কমনীয়, নন্দিত উপস্থাপন ।
কামাল উদ্দিন
শুভ কামনা জানবেন ভাইজান।
তৌহিদ
সাজেক আসলেই অনেক সুন্দর জায়গা। যাওয়া হয়নি তবে ইচ্ছে আছে। বাঁশের পাইপ টেস্ট করতেই হবে। ছবিগুলি কিন্তু দারুন!
ভালো থাকুন ভাই।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই, আপনিও ভালো থাকুন সব সময়।
আরজু মুক্তা
আমি গিয়েছি। উচ্চতা মনে হয় ১৮০০ ফুট হবে।
ভালো লাগলো
কামাল উদ্দিন
হতে পারে আপু, উচ্চতা নির্নয়ের যন্ত্র ঐ সময় আমাদের সাথে ছিলো না, ধন্যবাদ।