জয়পুর থেকে ২৯৫ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে যখন সারিস্কা টাইগার ফরেষ্টে পৌছি তখন ক্লান্তির কোন ছাপ শরীরে বা চেহারায় কিছুই অনুভব করলাম না। মনেই হয়নি এতটা পথ ভ্রমন করলাম। সারাক্ষন শরীরের ভিতর উত্তেজনা কাজ করছিলো আর নানান প্রশ্ন মনের ভিতর জেগে উঠছিলো। কখন গহীন বনের ভিতর প্রবেশ করবো? কখন বাঘ মামার সাথে দেখা হবে? কি কি বণ্যপ্রানীর দেখা মিলবে? কত আয়তনের হবে এই বনটি? পাখিগুলি কি কাছে পাবো? ইত্যাদি ইত্যদি।
দেখুনতো,কেমন অদ্ভুদ চরিত্রের মানুষ আমি। যারা আমার সফর সঙ্গী ছিলেন তাদের সঙ্গে আপনাদের পরিচয়ই করালাম না। নাহ! নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। আমি সহ ৬ জন আমার সঙ্গে ছিলেন। প্রথাযশঃ সাংবাদিক হাসান খোন্দকার , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর এর ভেটেনারী বিভাগের ডীন অধ্যাপক ড. আ,ন,ম আমিনুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডাঃ নাজমুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাজিম আহম্মেদ, আমার একমাত্র পুত্র মাহবুবুল হক চৌধুরী দীপ এবং আমাদের ট্যুর অপারেটর সুজিত বেরা।
৮৮১ বর্গকিঃমিঃ জুড়ে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আলওয়ার জেলায় সারিস্কা টাইগার রিজার্ভ বন অবস্থিত। এই বনটির প্রকার ভেদ হলো গ্রীষ্মমন্ডলীয়, শুকনো, পাতলা এবং ক্রান্তীয় কাঁটা।
সারিস্কা বনের প্রবেশ মুখে গাড়ী থেকে নেমে ওয়াশরুমে হাত-মুখ ধুঁয়ে আমরা সবাই গরম গরম কফি পান করলাম। কফিতে চুমুকের সাথে সাথে শরীরটা চাঙ্গা হয়ে উঠলো। মনে হলো মৃত্যুসঞ্জীবনীর সাধ পেলাম। পুরোদ্দমে মনে ও দেহে পূর্ন শক্তি সঞ্চার হলো। ইচ্ছা শক্তিও বেড়ে গেল ভিতরে সাফারীর জন্য।
সারিস্কা বনের ভিতর ভারতীয় বন বিভাগ প্রতিদিন দুইটি সাফারীর আয়োজন করে। প্রথমটা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। দ্বিতীয়টা দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। আমাদের ট্যুর অপারেটর দুপুরের সাফারীর জন্য বন বিভাগ থেকে জিপসী গাড়ি ভাড়া ও প্রবেশ মূল্য দিয়ে টিকিটের ব্যাবস্থা করে আমাদেরকে গাড়িতে চড়িয়ে দিলেন। ঘড়ির কাঁটাতে ২টা বেজে উঠালো। জিপসী চালক মহেন্দ্র সিং ও বন বিভাগের গাইড রতন কৈরালা আমাদের সঙ্গী হলেন।
বনের প্রবেশ মুখ।
সরকারী ট্যাক্সের খতিয়ান।
বন বিভাগরে যাবতীয় কাজ শেষে গাইড রতন কৈরালা আমাদের সঙ্গে করে রওনা দিলো বনের ভিতর প্রবেশের জন্য। এখানে বলে রাখছি যে, পর্যটকরা যে জায়গায় সাফারী ফি,গাড়ি ভাড়া ও বিশ্রামের জন্য প্রথমে আসতে আয় তার উল্টা পথে প্রায় দুই কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে বনের ভিতর প্রবেশ করতে হয়। আমাদের জিপসী বনের চেক পোষ্টে এসে দাঁড়ালো। গাইড ভিতরে প্রবেশের অনুমতিপত্র,টিকিট, দেখানোর পর একজন নিরাপত্তা কর্মী গাড়ির সামনে এসে জানতে চান আমাদে সঙ্গে কোন খাবার বা পলিথিন ব্যাগ আছে কিনা? আমরা না সূচক জবাব দেবার পর চেক পোষ্টের গেইট খুলে দিলো। বনের ভিতর যে কোন ধরনের খাবার ও পলিথিন ব্যাগ বহন করা নিষিদ্ধ।
বনের বেশ অনেকটা ভিতরে আমরা ঢুকে গেলাম। চারিদিক শুধু গাছ আর গাছ। ছনবন দিয়ে ঘেরা। ছোট ছোট কাঁটাযুক্ত গাছগুলি লতার মতন গুল্ম বেঁধে বনের গহীনতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আমাদের দেশের সুন্দরবনের মতন এত গহীন বন না। সুন্দরবনে চোখের তিন ফুট সামনে কি আছে তা দেখা যায় না। কিন্তু সারিস্কা বনে ৭-১০ ফুটের ভিতরে সব দেখা যায়। জিপসী গাড়ি ধীর ধীেরে চলছে। এমন ভাবে চলছে, যে কেউ পায়ে হেঁটে গাড়ীর আগে যেতে পারবে। আর এটাই বনের ভিতর সাফারীর নিয়ম। চলার পথে মাঝে মাঝে গাইড রতন কৈরালার সঙ্গে গল্প করি। জানতে চাই, এই বনে কতদিন যাবত গাইডের কাজ করছে। রতন মূলতঃ বন বিভাগের লোক। যখন যেখানে সরকার বদলী করে সেখানেই কাজ করতে হয়। তবে সহসাই এদের বদলী করে না। কোন রকম অসৎ বা অনৈতিক কাজে না জড়ালে।
তার কাছে জানলাম সারিস্কাতে বন্যপ্রাণীদের মধ্যে বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও এই রিজার্ভে ভারতীয় চিতাবাঘ, জঙ্গলের বিড়াল, ক্যারাকাল, ডোরাকাটা হায়েনা, সোনার কাঁঠাল, চিতল, সাম্বার হরিণ, নীলগাই, বুনো শুয়োর, ছোট ভারতীয় সিভেট, জাভান মঙ্গুজ, অসম্পূর্ণ মুংগুজ, মধু ব্যাজার সহ অনেক বন্যপ্রাণী প্রজাতি রয়েছে। রেসাস মাকাক এবং ধূসর ল্যাঙ্গুর বানর ও সাথে ভারতীয় খরগোশ।
পাখির মধ্যে বেশ কিছু বিরল প্রজাতির পাখি রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধূসর পার্টরিজ, সাদা-গলা কিংফিশার, ইন্ডিয়ান পিয়াফুল, গুলশ কোয়েল, স্যান্ডগ্রোস, ট্রিপাই, সোনালি-ব্যাকড কাঠওয়ালা, ক্রেস্টেড সার্পেন্ট ঈগল, ইন্ডিয়ান ঈগল সহ বেশ কয়েক প্রজাতির পেঁচা।
বনের ভিতর সফরসঙ্গীদের সাথে
যদিও বনের ভিতর গাড়ি থেকে নামার অনুমতি নেই। ছবি তোলার জন্য নেমেছিলাম। ছবি তুলেছেন আমাদের গাইড রতন কৈরালা।
বাঘ সম্পর্কে গাইড রতনের কাছে জানতে চাইলে সে অনর্গল কবিতার মতন মুখস্ত বলতে থাকে। আমি আপনাদের জানানোর জন্য তার অনেক কথাই রেকর্ড করে রেখেছিলাম।
২০০৩ সালে, ১৬ টি বাঘ রিজার্ভে থাকত। ২০০৪ সালে জানা গিয়েছিল যে রিজার্ভে কোনও বাঘের দৃষ্টি নেই এবং বাঘের উপস্থিতির কোনও অপ্রত্যক্ষ প্রমাণ যেমন গাছের চিহ্ন, গাছের উপর স্ক্র্যাচ চিহ্ন পাওয়া যায় নি। রাজস্থান বন বিভাগ ব্যাখ্যা করেছে যে “বাঘগুলি অস্থায়ীভাবে রিজার্ভের বাইরে চলে গেছে এবং বর্ষা মৌসুমের পরে ফিরে আসবে”। প্রকল্প বাঘ, ও জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ), এই ব্যাখাকে সমর্থন করেছে। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে জানা গিয়েছিল যে সারিস্কায় কোনও বাঘ নেই। রাজস্থান বন বিভাগ এবং প্রকল্প বাঘ পরিচালক সারিস্কায় একটি “জরুরি বাঘ শুমারি” ঘোষণা করেছিলেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো একটি তদন্ত করেছিল। দুই মাসের তদন্তের পরে, সংস্থাটি অবশেষে ঘোষণা করেছিল যে কোনও বাঘই রিজার্ভে রাখা হয়নি। বাঘ নিখোঁজ হওয়ার জন্য পাচারকে দোষ দেওয়া হয়েছিল।
২০০৮ সালের জুলাইয়ে, রান্থম্ভোর জাতীয় উদ্যান থেকে দুটি বাঘ সরিস্কা টাইগার রিজার্ভে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি মহিলা বাঘকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ২০১২ সালে, দুটি বাঘের শাবক এবং তাদের মা পাঁচটি বয়স্কের সাথে মোট বাঘের সংখ্যা ৭এ নিয়ে এসেছিল ২০১৪ সালের জুলাইয়ে, আরও দুটি বাচ্চা দাগ দেওয়া হয়েছিল, তাতে মোট ১১টি বাঘ ছিল। অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত, পাঁচটি বাচ্চা সহ মোট ১৮ টি বাঘ এই টাইগাস রিজার্ভে রয়েছে বলে গাইড রতন কৈরালা আমাদের জানান।
গহীন বনের ভিতরের রাস্তা।
পর্যটকদের বহনকারী জিপসী গাড়ি।
ড.আমিনুর রহমানের সাথে।
সাংবাদিক হাসান খোন্দকারের সাথে।
নজিম আহম্মেদ ও আমার ছেলের সাথে।
লাল জ্যাকের পরিহিত ট্যুর অপারেট সুজিত বেরা, গাড়ীর চালক ধর্মেন্দ্র।
নিষেধ না মেনে গাড়ী থেকে নামে পোজ দিলেন! ভয় লাগেনি।
যদি সম্ভব হয় ২৯৫ কিমিতে কী কী দেখলেন, জানতে চাই।
আপনি হুট করে এতটা পথ পার হয়ে যাবেন সেটি হতে দিতে চাই না।
আছিইইইইইইইইইই। কঠিন ভাবে।
হেলালভাই, ২৯৫ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিতে যা যা নজরে পড়েছে তা শুধু সবুজে ঘেরা প্রকৃতি ও পৃথিবীর খুঁটি বা পিলার পাহাড়। আমি গাড়ির চালক ধর্মেন্দ্রকে বলেছিলাম ভাই পাহাড়গুলির নাম কি? জবাবে সে বলে পাহাড়ের নামতো পাহাড়ই। আমি বোকা হয়ে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকি। আর তেমন কোন উল্লেখযোগ্য স্থাপনা নেই হলে লেখায় আনিনি। যেগুলো দেখেছি বা জেনেছি তার সবই লেখায় আনার চেষ্টা করছি। তিন মাস পর পাবলিস করার কারন হলো যেন সব তুলে ধরতে পারি। আশা করি নিরাশ হবেন না। বরাবরের মতন পাশে থাকবেন ভাইজান। ভালো থাকবেন।
গত পর্ব পড়লেও কমেন্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে দুঃখিত ভাই, সোনার কাঁঠালটা কি আর অসম্পূর্ণ মঙ্গুজটা কি খুলে বললে জানতে পারতাম।
আমি আপনার প্রতিটি লেখায় ফলো করি বলেই হয়তো অনেক কিছুর নাম অবশ্য জানি, ধন্যবাদ ভাই।
এখানে বলবো নাকি পরের পর্বে আপনার রেফারেল্স দিয়ে তুলে ধরবো? তাতে সবাই জানতে পারবে প্রানীগুলোর পরিচয়। আপনার কমেন্টস না হলেও কষ্ট নেই। কারন আমি জানি আপনি আমার সব ছবি ও লেখা নেশার মতন সেবন করেন। যাতে ামি কৃতার্থ। আপনার উৎসাহ আর খবরদারীতে ব্লগে এ পর্যন্ত আমার সফর। ভালো থাকবেন ভাইজান।
ভাই, বাঘের হিসেবের বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে বন কর্মকর্তারাই বাঘ পাচারের সাথে জড়িত। আজ সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন দেখে ভালো লাগলো। কাজের ফাঁকে এরকম ভ্রমণ মনে গতিসঞ্চার করে। সবার জন্য শুভকামনা।
তার মানে কি শেষ পর্যন্ত মামার সাথে আপনাদের সাক্ষাৎ হয়নি? আশা করছি পরের পর্বে মামার সাক্ষাৎ আমরা পাবোই। তাছাড়া অনেক দুরের বাঘকে কাছে নিয়ে আসার জন্য আপনার কামান থুক্কু ল্যান্সওয়ালা ক্যামেরা তো রয়েছেই। সাথেই আছি, এগিয়ে যান।
কামাল ভাই,ভাগ্য সবসময়ই আমার পিছনে অন্ধকার হয়ে হাঁটে। এ নতুন নয়। কথা সত্য বলেছেন। ৫০০ফিট দুরে মামা থাকলেও যন্ত্রের আগা দিয়ে খেইচ্যা কাছে আনতে পারুম। কিন্তু মামা কই? সাথে থাকুন আর দোয়া করুন।
ভাইজান আমার প্রিয় ছড়াকার,গল্পকার ও কবি যদি আমার সফর সঙ্গী হোন তবে ভাবতে পারেন সফরটা কেমন হবে? একদিকে কলমযোদ্ধা আরেক দিকে আলোযোদ্ধা। আহা….!!প্রতিক্ষায় রইলাম।
বনের গহীনের রাস্তা এতোটা ফাঁকা , এটা কেমন বন! দেখে তো গ্রামের মেঠো পথ মনে হচ্ছে। যেভাবে সাহস নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছবি তুললেন সত্যিই ধন্যবাদ আপনাকে। বাঘ পাচারের ঘটনা গুলো দুঃখ জনক। বাঘ মামা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো
সব বনেই দিদি রাস্তা তারা বানিয়ে নেয়। বনরক্ষীরা বন পাহারায় থাকে। গাছ কাটা থেকে শুরু করে বন্যপ্রানী হত্যা ও পাচার যেন করতে না পারে তার জন্য। এত বড় বন পায়ে হেটে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা নিজেরাই রাস্তা করে চলাচলের জন্য।
২১টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
সব কথা অতি সহজ সরল ও নন্দিত ভাবে উপস্থাপন ।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ মহী ভাই। এ্যাডভেঞ্চার কাহিনী সামনে। সাথে থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
নিষেধ না মেনে গাড়ী থেকে নামে পোজ দিলেন! ভয় লাগেনি।
যদি সম্ভব হয় ২৯৫ কিমিতে কী কী দেখলেন, জানতে চাই।
আপনি হুট করে এতটা পথ পার হয়ে যাবেন সেটি হতে দিতে চাই না।
আছিইইইইইইইইইই। কঠিন ভাবে।
শামীম চৌধুরী
হেলালভাই, ২৯৫ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিতে যা যা নজরে পড়েছে তা শুধু সবুজে ঘেরা প্রকৃতি ও পৃথিবীর খুঁটি বা পিলার পাহাড়। আমি গাড়ির চালক ধর্মেন্দ্রকে বলেছিলাম ভাই পাহাড়গুলির নাম কি? জবাবে সে বলে পাহাড়ের নামতো পাহাড়ই। আমি বোকা হয়ে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকি। আর তেমন কোন উল্লেখযোগ্য স্থাপনা নেই হলে লেখায় আনিনি। যেগুলো দেখেছি বা জেনেছি তার সবই লেখায় আনার চেষ্টা করছি। তিন মাস পর পাবলিস করার কারন হলো যেন সব তুলে ধরতে পারি। আশা করি নিরাশ হবেন না। বরাবরের মতন পাশে থাকবেন ভাইজান। ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
গত পর্ব পড়লেও কমেন্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে দুঃখিত ভাই, সোনার কাঁঠালটা কি আর অসম্পূর্ণ মঙ্গুজটা কি খুলে বললে জানতে পারতাম।
আমি আপনার প্রতিটি লেখায় ফলো করি বলেই হয়তো অনেক কিছুর নাম অবশ্য জানি, ধন্যবাদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
এখানে বলবো নাকি পরের পর্বে আপনার রেফারেল্স দিয়ে তুলে ধরবো? তাতে সবাই জানতে পারবে প্রানীগুলোর পরিচয়। আপনার কমেন্টস না হলেও কষ্ট নেই। কারন আমি জানি আপনি আমার সব ছবি ও লেখা নেশার মতন সেবন করেন। যাতে ামি কৃতার্থ। আপনার উৎসাহ আর খবরদারীতে ব্লগে এ পর্যন্ত আমার সফর। ভালো থাকবেন ভাইজান।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
তৌহিদ
ভাই, বাঘের হিসেবের বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে বন কর্মকর্তারাই বাঘ পাচারের সাথে জড়িত। আজ সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন দেখে ভালো লাগলো। কাজের ফাঁকে এরকম ভ্রমণ মনে গতিসঞ্চার করে। সবার জন্য শুভকামনা।
আপনি অনেক ভালো লেখেন ভাই। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
শামীম চৌধুরী
হুম। প্রতিটি দেশের বনের অবস্থা এমনই। একটা চক্র সবসময় প্রকৃতির এই ভাষাহীন প্রাণীগুলি নিয়ে ব্যবসা করে। ধন্যবাদ তৌহিদ বরাবরের মতন উৎসাহ দেবার জন্য।
প্রদীপ চক্রবর্তী
দাদা,
আপনার লেখার তুলনায় হয় না। এইভাবে সারাজীবন প্রকৃতির সাথে মিশে থাকুন।
মনযোগ সহকারে পড়লাম বেশ ভালো লাগলো দাদা।
এমন পোস্ট আরও চাই..
আপনার লেখায় আনন্দিত হলাম।
শুভকামনা।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দাদা ভাই। বন ও জঙ্গল সবচেয়ে মঙ্গল। প্রকৃতির সাথে থাকা মানে সবই সবুজ ভাবা। যেখানে কোন হলুদতার সুযোগ নাই। আপনার জন্য রইলো শুভেচ্ছা।
কামাল উদ্দিন
তার মানে কি শেষ পর্যন্ত মামার সাথে আপনাদের সাক্ষাৎ হয়নি? আশা করছি পরের পর্বে মামার সাক্ষাৎ আমরা পাবোই। তাছাড়া অনেক দুরের বাঘকে কাছে নিয়ে আসার জন্য আপনার কামান থুক্কু ল্যান্সওয়ালা ক্যামেরা তো রয়েছেই। সাথেই আছি, এগিয়ে যান।
শামীম চৌধুরী
কামাল ভাই,ভাগ্য সবসময়ই আমার পিছনে অন্ধকার হয়ে হাঁটে। এ নতুন নয়। কথা সত্য বলেছেন। ৫০০ফিট দুরে মামা থাকলেও যন্ত্রের আগা দিয়ে খেইচ্যা কাছে আনতে পারুম। কিন্তু মামা কই? সাথে থাকুন আর দোয়া করুন।
কামাল উদ্দিন
দোয়া নিয়া সাথেই চলতে থাকলাম
হালিম নজরুল
এমন নেশায় পেয়েছে যে জীবনে কোন একবার আপনার সফরসঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা জাগে।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান আমার প্রিয় ছড়াকার,গল্পকার ও কবি যদি আমার সফর সঙ্গী হোন তবে ভাবতে পারেন সফরটা কেমন হবে? একদিকে কলমযোদ্ধা আরেক দিকে আলোযোদ্ধা। আহা….!!প্রতিক্ষায় রইলাম।
আরজু মুক্তা
তখন পাখির ছবি তুলতেননা?
শামীম চৌধুরী
কখনের সময় বলছেন মুক্তা আপু। আমি পাখির ছবি তোলা শুরু করি ২০০৪ থেকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বনের গহীনের রাস্তা এতোটা ফাঁকা , এটা কেমন বন! দেখে তো গ্রামের মেঠো পথ মনে হচ্ছে। যেভাবে সাহস নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছবি তুললেন সত্যিই ধন্যবাদ আপনাকে। বাঘ পাচারের ঘটনা গুলো দুঃখ জনক। বাঘ মামা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো
শামীম চৌধুরী
সব বনেই দিদি রাস্তা তারা বানিয়ে নেয়। বনরক্ষীরা বন পাহারায় থাকে। গাছ কাটা থেকে শুরু করে বন্যপ্রানী হত্যা ও পাচার যেন করতে না পারে তার জন্য। এত বড় বন পায়ে হেটে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা নিজেরাই রাস্তা করে চলাচলের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
বাঘ মামাকে দেখার অপেক্ষায় আছি।
ভ্রমন পোষ্ট ভালো হচ্ছে,
শুভ কামনা ভাই।