পঞ্চম বারে ঘোষনা আসলো ৫ই’মে পর্যন্ত সাধারন ছুটি বাড়ানো হলো। তবে গুলশান বনানীর মতন অভিজাত এলাকা সহ ঢাকা শহরে নামী-দামী হোটেল রেস্তোরা খোলা যাবে। সাথে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
ষষ্ঠ বারে ঘোষনা আসলো আগামী ১৬ই মে পর্যন্ত সাধারন ছুটি বাড়ানো হলো। সাথে প্রজ্ঞাপন জারী হলো ঈদ উপলক্ষে আজ থেকে সীমিত আকারে শপিংমল সহ দোকান পাট খোলা যাবে।গণপরিবহন ঈদের ছুটি পর্যন্ত বন্ধ থাকিবে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান-পাট ব্যবসা বানিজ্য করতে হবে।
যে কোন মহামারী বা দূর্যোগে মানুষকে দুটি ঝুঁকির মধ্যে যে কোন একটি ঝুঁকি নিতে হবে। (১) জীবনের ঝুঁকি ও (২) জীবিকার ঝুঁকি। বাঙালী জাতিকে গার্মেন্টস শিল্পের মালিকরা প্রথমেই জীবিকার ঝুঁকি নিতে বাধ্য করলো। অসহায় দিন-মুজুরেরা জীবিকার ঝুঁকি নিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মিছিল সহকারে কর্মস্থলে আসার কাফেলা ধরলো। মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে শ্রমিকরা একমুঠো ভাতের আশায় বিনা কাফনের কাপড়ে পোষাক শিল্প নামক খাঁচায় প্রবেশ করলো।
এদের সাথে সুর মিলিয়ে দাবী তুললো অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। তারাও হলফনামায় স্বাক্ষর দিয়ে কসম খেলো আমরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবো। রাষ্ট্র তাদেরও দাবী পূরন করলো। এখানেও দোকান শ্রমিকরা জীবিকার ঝুঁকিতে প্রবেশ করলো। উদ্দেশ্য একটাই একমুঠো ভাত।
হয়তো বা সপ্তম বারে ঘোষনা আসবে গন-পরিবহনও রাস্তায় নামানো যাবে তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ঈদকে সামনে রেখে সরকার বাহাদুরকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে। মোটর শ্রমিকরা শ্লোগান দিবে আমরাও জীবিকার ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। আস্তে আস্তে সবই স্বাভাবিক অবস্থায় হয়তো বা চলে আসবে। কারন মানুষ ক্ষুধার কাছে মৃত্যুকে ভয় না করে একমুঠ ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার আশা করে।
সরকার বাহাদুর এই সিদ্ধান্তগুলি নিতে বাধ্য হয়েছে তার আশে পাশের জনপ্রতিনিধিদের কুকর্মের জন্য। অসহায়,দরিদ্র ও দিনমুজুরদের বরাদ্দকৃত চাউল,তেল যদি জনপ্রতিনিধিদের বিছানার নীচে বা ঘরের মাটির নীচে খাদ্যভান্ডার হয় তখন ক্ষুধার্ত মানুষের জীবিকার ঝুঁকি না নিয়ে উপায় কি? এখানে আমি সরকারের ইচ্ছা ও হতদরিদ্র ছিন্নমূলদের জন্য খাবারের ব্যাবস্থা করাকে শ্রদ্ধা জানাই।
যে দেশের মানুষকে জীবিকার ঝুঁকি নিতে বাধ্য করা হয় সেদেশে স্বাস্থ্যবিধি কি?
আর কেনই বা সাধারন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে?
যারা ব্যবসা করছেন তাদের স্বার্থটা ঠিকই আদায় করে নিচ্ছেন। তার সুফল হয়েতো পাবেন অর্থনৈতিক ভাবে। কিন্তু দেশে মহামারীর আশংকা থেকেই যাচ্ছে। অথচ আমরা যারা সরকারের সকল আদেশ ও স্বাস্থ্য নীতিমালা দীর্ঘ ৪০দিন মেনে চললাম তাদের অবস্থা কোথায়? আমরাতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেটে পাথর বেঁধে দূর্যোগপূর্ন দিনগুলি পার করছিলাম। আর কতদিন আমাদের এভাবে দিন পার করতে হবে? আমাদের প্রশ্নের উত্তর কে দিবে?
সর্বশেষে আমাদের দেশে যা হবে বা আমার আশংকা সেটা হলো করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারীর রূপ নিতে পারে। অসংখ্য মানুষ মারাও যেতে পারে। এই ভাবে করোনার বিরুদ্ধে চলতে চলতে মানুষের ভিতর Herd Immunity তৈরী হয়ে যাবে। তখন হয়তো বা মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।
ভাই, হার্ড ইমুইনিটির কথা ভালেও ভয় লাগে, এ বিষয়টি একটু আগে থেকেই জেনে নিয়েছি।
অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে আছি, জানি না কী হবে। কত দিন টিকতে পারব।
আল্লাহ সহায় হবেন।
হেলাল ভাই, হার্ড ইমিউনিট্ হবার আগেইতো প্রায় অর্ধেক লোক মারা যাবে। কে বাঁচে কে থাকে সেটাই অজানা। আমরা সচেতন হলেই এমন দূর্যোগ মোকাবেলা করা কোন ব্যাপার ছিলো না। বর্তমান ১-১৫ মে বাংলাদেশের জন্য পিক টাইম। আর এই সময়টাই সব খুলে যাচ্ছে। আল্লাহ ভাল জানেন।
না জানি কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছি আমরা।
ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হোক এ কামনা করি সৃষ্টিকর্তার নিকট।
এ সুযোগে অনেকেই ফায়দা লুটছে আর আমাদের মতো লোকেরা বুকে পাথর বেঁধে আছে এটাই চিরসত্য।
একটাই চাওয়া পৃথিবী তাঁর সগর্ভে ফিরে আসুক।
সময়োপযোগী লেখা দাদা।
সাধুবাদ দাদা।
ভালো থাকুন অনেক।
ভাইয়া আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। ব্যবসায়ীদের চাপে পড়েই সরকার সবকিছু খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে। আর তাই সামনে ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের সবার। ধন্যবাদ ভাইয়া সমসাময়িক তথ্যপূর্ণ পোষ্ট টি শেয়ার করার জন্য
ত্রানের চাল, তেল আত্মসাতকারীদের দৃষ্টান্তমুলক কিছু শাস্তি দিলে এদের দৌড়াত্ব কমানো যেতো। কিন্তু সব কিছুতেই কেমন একটা গা ছাড়া অবস্থা চলছে।
সরকার কি চাচ্ছে তাই ই জনগন বুঝতে পারছে না। কম করছে না সরকার, কেবল মাত্র কর্ম কৌশল প্রনয়ন সঠিকভাবে নেই বলে মনে হয়।
হার্ড ইমুইনিটি তৈরী হওয়া পর্যন্ত টিকে থাকব তো ভাই?
মানুষ বুঝে গেছে করোনা তাদের কাবু করতে পারবে না।
ক্ষুধায় মরে অন্যদের মারার ছেয়ে করোনায় মরি।
টিভির পর্দায় বিদেশের ছবি দেখে দেখে আতঙ্কে ডাক্তার রোগী প্রতারনা খেলতে গিয়ে রোগী গেল বেড়ে। না হলে চিখিৎসায় ভাল হওয়ার কথা।
বনানীর বস্তির ৫০ হাজার লোকতো আগে মরার কথা ছিল?
করোনা পরাজীত হবে কারন এদেশের মানুষ চুমা মদ আর ঠান্ডা খায় না বিদেশের মতো।
শুভ কামনা।
সামনে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। খারাপ লাগছে অসহায় দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে। ঘরে থাকলে না খেয়ে মরবে। বাইরে থাকলে মহামারীতে মরবে
আশে পাশে রকম অসৎ নেতা মন্ত্রী থাকলে সরকার এক সৎ থেকে কী আর করবে?
যারা অকালে মরছে চায় তারা বের হবে
আর যাদের জীবনের মায়া আছে তারা নিরাপদেই থাকবে
করোনা এখন সাখের করাতের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন আমাদের জন্য। জীবিকার জন্য বের হয়ে করোনায় জীবন বিসর্জন অথবা জীবন বাঁচানোর তাগিদে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে না খেয়ে মরার দশা।
দেশের সবকিছুতেই একটা ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে সবার মধ্যে। সমস্যাটা সিস্টেমে নাকি সিস্টেম যারা নাড়ছেন তাদের মধ্যে ঠিক বোধগম্য নয়। যেই হোক সংশোধন করা উচিত। কারন অন্তত এই মাসটা ঘরবন্দী থাকলে আশার আলো দেখা যেতে পারে।
আর যদি করোনা জয়ী হয় সামনে অন্ধকার নেমে আসছে। ভালো লিখেছেন ভাইজান।
১৯টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
বেশ । ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, হার্ড ইমুইনিটির কথা ভালেও ভয় লাগে, এ বিষয়টি একটু আগে থেকেই জেনে নিয়েছি।
অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে আছি, জানি না কী হবে। কত দিন টিকতে পারব।
আল্লাহ সহায় হবেন।
শামীম চৌধুরী
হেলাল ভাই, হার্ড ইমিউনিট্ হবার আগেইতো প্রায় অর্ধেক লোক মারা যাবে। কে বাঁচে কে থাকে সেটাই অজানা। আমরা সচেতন হলেই এমন দূর্যোগ মোকাবেলা করা কোন ব্যাপার ছিলো না। বর্তমান ১-১৫ মে বাংলাদেশের জন্য পিক টাইম। আর এই সময়টাই সব খুলে যাচ্ছে। আল্লাহ ভাল জানেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
না জানি কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছি আমরা।
ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হোক এ কামনা করি সৃষ্টিকর্তার নিকট।
এ সুযোগে অনেকেই ফায়দা লুটছে আর আমাদের মতো লোকেরা বুকে পাথর বেঁধে আছে এটাই চিরসত্য।
একটাই চাওয়া পৃথিবী তাঁর সগর্ভে ফিরে আসুক।
সময়োপযোগী লেখা দাদা।
সাধুবাদ দাদা।
ভালো থাকুন অনেক।
শামীম চৌধুরী
দাদাভাই আপনিও ভালো থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। ব্যবসায়ীদের চাপে পড়েই সরকার সবকিছু খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে। আর তাই সামনে ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের সবার। ধন্যবাদ ভাইয়া সমসাময়িক তথ্যপূর্ণ পোষ্ট টি শেয়ার করার জন্য
শামীম চৌধুরী
ভাল থাকবেন দিদি।
জিসান শা ইকরাম
ত্রানের চাল, তেল আত্মসাতকারীদের দৃষ্টান্তমুলক কিছু শাস্তি দিলে এদের দৌড়াত্ব কমানো যেতো। কিন্তু সব কিছুতেই কেমন একটা গা ছাড়া অবস্থা চলছে।
সরকার কি চাচ্ছে তাই ই জনগন বুঝতে পারছে না। কম করছে না সরকার, কেবল মাত্র কর্ম কৌশল প্রনয়ন সঠিকভাবে নেই বলে মনে হয়।
হার্ড ইমুইনিটি তৈরী হওয়া পর্যন্ত টিকে থাকব তো ভাই?
এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
আমরা বড়ই অসভ্য জাতি। 😥😥
সুপায়ন বড়ুয়া
মানুষ বুঝে গেছে করোনা তাদের কাবু করতে পারবে না।
ক্ষুধায় মরে অন্যদের মারার ছেয়ে করোনায় মরি।
টিভির পর্দায় বিদেশের ছবি দেখে দেখে আতঙ্কে ডাক্তার রোগী প্রতারনা খেলতে গিয়ে রোগী গেল বেড়ে। না হলে চিখিৎসায় ভাল হওয়ার কথা।
বনানীর বস্তির ৫০ হাজার লোকতো আগে মরার কথা ছিল?
করোনা পরাজীত হবে কারন এদেশের মানুষ চুমা মদ আর ঠান্ডা খায় না বিদেশের মতো।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দাদা চুমা,মদ আর ঠান্ডার দরকার হয় না। এক জিলাপীর লাইন ও শপিংমল যথেষ্ট।
সুরাইয়া পারভীন
সামনে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। খারাপ লাগছে অসহায় দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে। ঘরে থাকলে না খেয়ে মরবে। বাইরে থাকলে মহামারীতে মরবে
আশে পাশে রকম অসৎ নেতা মন্ত্রী থাকলে সরকার এক সৎ থেকে কী আর করবে?
যারা অকালে মরছে চায় তারা বের হবে
আর যাদের জীবনের মায়া আছে তারা নিরাপদেই থাকবে
শামীম চৌধুরী
জ্বী আপু। সবাই নিরাপদে থাকুক।
কামাল উদ্দিন
করোনা এখন সাখের করাতের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন আমাদের জন্য। জীবিকার জন্য বের হয়ে করোনায় জীবন বিসর্জন অথবা জীবন বাঁচানোর তাগিদে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে না খেয়ে মরার দশা।
শামীম চৌধুরী
ঠিকই বলেছেন। করোনা এখন আমাদের জন্য শাঁখের করাত।
তৌহিদ
দেশের সবকিছুতেই একটা ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে সবার মধ্যে। সমস্যাটা সিস্টেমে নাকি সিস্টেম যারা নাড়ছেন তাদের মধ্যে ঠিক বোধগম্য নয়। যেই হোক সংশোধন করা উচিত। কারন অন্তত এই মাসটা ঘরবন্দী থাকলে আশার আলো দেখা যেতে পারে।
আর যদি করোনা জয়ী হয় সামনে অন্ধকার নেমে আসছে। ভালো লিখেছেন ভাইজান।
শামীম চৌধুরী
আমাদের দেশের পুঁজিবাদীদের লোভ বেশী।
হালিম নজরুল
আল্লাহই জানে কপালে কি আছে!