
জীবনের অন্ধকার সময়টা যখন পেরিয়ে যায় –
তখন অন্ধকারে হারিয়ে যায় কিছু চেনা মুখ, চেনা সময়-
অচেনা কটমটে লাল নীল আলোর ঝলকানিতে
কিছু প্রাণান্ত প্রাণ ভেসে যায় অবলীলায় ।।
বিদগ্ধ শহরের গেরুয়া তামাটে কার্ণিশে আজো লেপ্টে আছে –
বিচূর্ণ স্বপ্নের ছায়াকৃতি, দেয়ালে দেয়ালে তার –
নির্লজ্জ উলঙ্গ পোস্টার, এ যেন কোন ক্ষুব্ধ স্বপ্নাবতার,
কুমারি ষোড়শীর হাতে তুলে দিলেন বেশ্যালয়ের চাবি ।।
আমি সমসাময়িক সমাজের কথা বলছি-
এখানে বিরুদ্ধ বারুদের চারিপাশে কার্বন পেপার মোড়া,
অথচ আমরা সুপারসনিক বিস্ফোরণের প্রতীক্ষা করি-
আমরাই আবার পঙ্গু হই আলোর মিছিলের ঊষালগ্নে ।।
ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের প্রথম কান্নার ধ্বনি –
এই মৃতপ্রায় শহরের আজন্ম দায়, অথচ ল্যাম্পপোস্টের-
নিয়ন আলোয় এই অসভ্য সভ্যতা এখনো –
অবৈধ নবজাতকের বীজ বোনে সগর্ব দাম্ভিকতায় ।।
৮টি মন্তব্য
তৌহিদ
সময়ে মানুষ পরিবর্তন হয়ে যায়। স্বার্থের কাছে বলী হয় ভালোবাসা। আমরা অনেক কাজ করি যার ফলাফল হয় শূন্য।
এই সমাজ সভ্যতা আধুনিক হয়েছে, কালিমা লেপ্টে আছে মানুষের মনের অন্তরালে যা দূর হয়নি এখনো তখনো।
ত্রিস্তান
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও আমাদের নবজাতকের প্রথম কান্নার রোল ধ্বনিত হয় পুরাতন বিমানবন্দরের পতিত ঝোপ জঙ্গলে। এর থেকে দুর্ভাগ্য মানব সন্তানের জন্য আর কি হতে পারে?
সুপায়ন বড়ুয়া
সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে তুলে আনলেন
যা সময়ের আস্টেপিষ্ঠে বেঁধে আছে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ত্রিস্তান
জন্মগত ভাবেই আমরা বৈষম্যের শিকার। ভালো থাকবেন দাদাভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যতই আমরা উন্নত উন্নত বলে গলা ফাটিয়ে দেইনা কেন, আমাদের মনের কালিমা, আদি বর্বর সভ্যতার উন্নয়ন হয়নি এখনো। অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইলো
ফয়জুল মহী
কমনীয় ভাবনায় সৃজনশীল লেখা।
হালিম নজরুল
সময়কে দারুণভাবে বেঁধেছেন কবিতার আষ্টেপৃষ্ঠে
জিসান শা ইকরাম
অনেকদিন পরে একটি সুন্দর কবিতা নিয়ে আসলেন।
শুভ কামনা।