
মৃগ নদী,সন্ন্যাসী মাটি ছোট্ট গাঁ আনন্দপুর।
এ গ্রামটি বিলাস বাবুর বাড়ি হতে প্রায় সাতান্ন কিলোমিটার দূরে।
অন্যান্য গ্রামের ন্যায় গ্রামটি কারুকাজ আর সৌন্দর্যের বাহারে গড়ে উঠেছে।
উঁচুনিচু পাহাড় আর ব্রিটিশ আমলের দেওয়ালে গড়ে উঠেছে বড়বড় কামরা। প্রতিটি কামরার দেওয়াল জুড়ে ভিন্ন কারুকার্যে ভূতপ্রেতের ভয়ংকর ছবি।
ভয়ংকর ভূতপ্রেতের ছবি হলেও তা ছিলো চোখ জুড়ানো।
গ্রামের লোকসংখ্যা খুবি কম। অধিকাংশ লোক কবিরাজ সম্প্রদায়ের। তাদের বসতি গড়ে উঠেছে মৃগ নদীর তীর ধরে।
গ্রামটি যেমন অদ্ভুত তেমনি বিচিত্র সৌন্দর্যে ভরপুর।
হঠাৎ একদিন বিলাস বাবুর ছেলে বিনু আর রাজেন্দ্র বর্মণের ছেলে রাঘব দুজনি আনন্দপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো।
দুজনি বাল্যবন্ধু।
একই ক্লাসে লেখা পড়ার করার পাশাপাশি দুজনি ছোটখাটো চাকরি করে তাকে। তাদের মধ্য একজন টুলের পন্ডিত অন্যজন বিদ্যানন্দ স্কুলের শিক্ষক।
তাদের শৈশব থেকে আজও কোন ঝগড়াঝাঁটি হয় নি। একে অপরের সুখেদুঃখে সমব্যথীত হয়ে থাকে।
আনন্দপুরে পৌঁছাতে তাদের প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে।
দুজনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
ঠাকুমার মুখে ভূতের গল্প শুনে রাঘবের ভূত ধরার নেশা সেই ছোটবেলা থেকে। কত অজস্র ভূতপ্রেতের গল্প বই পড়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ছোটখাটো চাকরি থাকায় গত কয়েকদিন ধরে ভূতের সন্ধানে খুঁজে বেড়ায় নি রাঘব। আজ আনন্দপুরে আসার একমাত্র কারণ হলো ভূতের সাথে দেখা করা!
এ নিয়ে বাল্যবন্ধু বিনুর তেমন একটা উদ্দীপনা নেই। ভূতপ্রেতের কথা শুনলে নিত্যানন্দ ভয়ে আতঙ্ক হয়ে পড়ে।
কিন্তু আনন্দপুরে যে ব্রিটিশ আমলের বেশ বড়সড় কামরা রয়েছে ইহাতে ভূতের উপদ্রব বড্ড বেশি।
এতো ভূতের সমাগম বিনু আগে তা মোটেই জানেনা।
আজ একদিকে অমাবস্যাতিথি তারমধ্যে শনিবার। ভূতের আনাগোনা সন্ধ্যার পর হতে শুরু হয়ে গিয়েছে।
কারুকার্যের কামরার ঠিক উত্তর পাশে গ্রামের মহাজন হরিবাবুর বাগানবাড়ি। দূর হতে কোন অতিথি আসলে সেখানে বাড়াটিয়া হয়ে থাকতে হয়।
আজ রাত্রিবেলা বিনু আর রাঘব দুজনি চারদিনের জন্য আটশত টাকা মাইনে ভাড়া নিয়ে নেয় হরিবাবুর কাছ হতে।
বাড়িখানা রাঘবের দিব্যি পছন্দ হলেও বিনুর মনে বাড়িটা নিয়ে বড্ড সংশয় জাগছে।
বাড়ির আশপাশ ঘিরে বটগাছ আর অশ্বত্থ গাছে চারদিক জুড়ে আছে।
রাত্রি প্রায় এগারোটা হতে চলছে। দুজনি খেয়েদেয়ে শুয়ে আছে। কিন্তু ভূতের আনাগোনা নেই।
দুজনি স্বস্তি সহকারে ঘুমিয়ে পড়লেও বিনু মনের সংশয় কাটছে না। এ যেন চোখে ঘুম এসেও আসছে না। রাত যত গভীর হচ্ছে বিনুর মনের সংশয় ততো গভীর হচ্ছে।
কখন জানি ভূত থাকে এসে ঘাপটি মেরে ধরে।
এদিকে রাঘব ঘুমিয়ে প্রায় কুম্ভকর্ণ।
১১টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নিত্যানন্দ আর রাঘবের গল্প শুরু হলো! দুই বন্ধুর ভূত ধরা শুনতে চাই। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। শুভ কামনা রইলো
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দিদি।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভুতের গল্প শুনতে লাগে ভালো।
ধরতে যদি পারে লাগবে আরো ভালো।
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দাদা।
অপেক্ষায় থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
দেখা যাক রাঘবের ভূতের সাথে দেখা হয় কিনা?
আর কিভাবে ধরবে ভূত। পরের পর্বের অপেক্ষায় শুভকামনা রইলো দাদা
প্রদীপ চক্রবর্তী
সে অপেক্ষায়…
সাধুবাদ দিদি।
জিসান শা ইকরাম
ভুতের অপেক্ষায় আছি,
পরের পর্বে নিশ্চয়ই পড়তে পারবো ভুতের কথা।
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দাদা
হালিম নজরুল
দেখি ভূত কি করে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
হ্যাঁ দাদা,
সে অপেক্ষায় আমরা…
তৌহিদ
দুই বন্ধু ভূত ধরতে পারবেতো?