
ভাই-বন্ধুসহ সকল পুরুষগণ,
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউনে প্রায় সকলেই আপনারা এখন ঘরবন্দী। এ পরিস্থিতিতে বাড়িতে গৃহ পরিচালনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই একটা বাড়তি চাপ পড়েছে। তার উপর যদি আবার নিরাপত্তার প্রয়োজনে গৃহপরিচারিকাকে ছুটি দেয়া হয়ে থাকে, তবে তো কথাই নেই। এ প্রেক্ষাপটে ঘরের প্রতিটা কাজ পরিবারের নারী সদস্যের পক্ষে একহাতে করা ভীষণ কষ্টকর। বিবেচনা করে দেখুন (বিবেচনা বলেছি এজন্য, ট্র্যাডিশন অনুযায়ী সামাজিক কাঠামোতে বাড়ির কাজ একতরফা নারীরই দায়িত্ব বলে গেঁথে গিয়েছে আপনাদের মাথায়), গৃহপরিচারিকা বাদ দেয়ায় তার কাজটুকুর বাড়তি চাপও সংসারে পড়েছে। এ অবস্থায় পরিবারে স্বস্তিকর পরিবেশ বজায় রাখতে আপনারা হাত বাড়ান। ভাগযোগ করে পরিবারের ছোট থেকে বড় সকলেই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজ করুন, দেখবেন ঘরবন্দী হওয়ার বিরক্তিও আসবে না। কাজের চাপে কারো মধ্যে খিটখিটে মেজাজেরও সৃষ্টি হবেনা।
যে যেভাবে পারুন করুন। যেমন প্রতিবেলার খাবারের আয়োজন একতরফা একজনের কাঁধে না রেখে একবেলার দায়িত্ব আপনি নিজে নিন অথবা বড়ছেলে বা মেয়ে থাকলে সে নিক। যাদের ছোট ছেলেমেয়ে আছে, তারা বাচ্চা দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে পারেন। ফার্নিচার মুছা, থালাবাটি ধোয়া, ফ্লোর পরিষ্কার, ফিল্টারে পানি তোলা, বাথরুম পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজ পরিবারের প্রতিটি সদস্য ভাগ করে নিয়ে নিন। কাপড় ধোয়াটা অবশ্যই যারযার রাখুন।
দেখবেন, পারিবারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে এবং আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে গৃহে অবস্থানকালীন সময়টা।
দিনশেষে টের পাবেন পরিবারই আনন্দভূবন। গৃহই শান্তির নীড়।
ভালো থাকুন সকলে।
১৮টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন। সবার কাজ সবাই ভাগ করে নিলে বা নিজের কাজগুলো নিজে করলে কারো বোঝা হয়না । বরং কাজগুলো সুন্দর সুসম্পন্ন হয়। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
মারজানা ফেরদৌস রুবা
দশের লাঠি, একের বোঝা আপু।
শুভকামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত।
সংসারে শান্তি , মানে বিশ্ব শান্তি
শুভ কামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঘর হোক শান্তির নীড়।
হালিম নজরুল
চমৎকার আহবান
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
ভালো প্রস্তাব।
এতে বোরিং হওয়া থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
একদম। শুধু তাই নয়, পারষ্পরিক ভালোবাসা গভীর হবে।
ফয়জুল মহী
সাবধান থাকবেন। গুজব এড়িয়ে চলবেন। ধর্মকর্ম পালন করেন। ভালোবাসা রহিল আপনার প্রতি এবং আপনার পরিবারের প্রতি। আল্লাহর পর রাষ্টই আমাদের অভিভাবক । ভয় পাবেন না।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
দোয়া রাখবেন। দোয়া রহিল।
কামাল উদ্দিন
ভালো রেসিপি দিয়াছেন, এই সময়টায় এমন ভাবে সবাই কাছাকাছি থাকার ফলে পারিবারিক বন্ধনটাও আরো মজবুত হবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
নিঃসন্দেহে। করোনা আমাদের সামাজিক দূরত্ব তৈরির মাধ্যমে পারিবারিক নৈকট্য আনয়নে ভূমিকা রাখছে।
কামাল উদ্দিন
হুমম, ধন্যবাদ
এস.জেড বাবু
ভাগযোগ করে পরিবারের ছোট থেকে বড় সকলেই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজ করুন, দেখবেন ঘরবন্দী হওয়ার বিরক্তিও আসবে না। কাজের চাপে কারো মধ্যে খিটখিটে মেজাজেরও সৃষ্টি হবেনা।
আসলে মানিয়ে নেয়ার বিষয়-
মন থাকলে মানিয়ে নেয়া যাবে।
তেমন মন মানষিকতা সবার মধ্যে ফিরে আসুক/গর্জে উঠুক।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ভালো থাকার জন্য পরিবেশ তৈরি করে নিতে হয়। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতাই এ পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। একতরফা কিছু হয়না।
এস.জেড বাবু
কি জানি, হবে হয়ত।
ভালো থাকবেন আপনি।
ভালো থাকুক ভালো মনের মানুষগুলো।
সুরাইয়া নার্গিস
লেখাটা ভালো লাগছে, সহমত পোষন করছি।
শুভ কামনা রইল
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ। শুভকামনা।