ভালোবাসার উল্টোপিঠ

নীরা সাদীয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ১১:৩৪:৪১পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৫ মন্তব্য

আমাদের কলেজের ডিপার্টমেন্টে এক মামা ছিলেন। তিনি হল সুপার ম্যামের বাসার সাহায্যকারী মেয়ের সাথে ফিস ফাস করতেন। এই কাহিনী আবার ডিপার্টমেন্টের কিছু মেয়ে আগ্রহভরে শুনতো। আমার কোনকালেই এসব বিষয়ে আগ্রহ ছিলো না। তারপরও একদিন অনিচ্ছাস্বত্তেও শুনে ফেললাম তিনি বলছেন,

“আমি এই কাজ করতাম না। করছি শুধু আপনার মামী অসুস্থ বলে।”

(তার মানে,ওনি ম্যামের বাসার ঐ মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাবেন। নিজের অসুস্থ স্ত্রী, ছোট্ট সন্তানকে ফেলে রেখে যাবেন।) কলেজের মেয়েরাও যথারীতি হাহা হিহি করছে। কবে কি হবে তা জানতে চাইছে। তারা একটাবারও ভাবছে না, এই Tragedy একদিন তাদের জীবনেও আসতে পারে!

মেয়ের বাবা যখন একটা ছেলের হাতে নিজের মেয়েটাকে দিয়ে দেন, তখন সেই মেয়ের সকল সুখ দুখের দায়িত্ব যত্নসহকারে ছেলেটিকে দিয়ে দেন। তিনি যদি জানতেন, স্ত্রী অসুস্থ হলে জামাই বাবাটি তাঁর আদরের মেয়েটিকে ফেলে পালিয়ে যাবে, তাহলে কি দিতেন? অনেকেই প্রশ্ন তুলবেন, “একটা মেয়ে কিভাবে আরেকটা মেয়ের সংসার ভাঙলো”?
জ্বী, যত দোষ নন্দ (পড়বেন নারী) ঘোস! সেই শশুড়ের মেয়েটির দায়িত্ব পৃথিবীর সকল নারীর নয়, বরং জামাই বাবাজির! তাই, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো ভাবাই আমাদের উচিত।

এবার আসি মেয়েগুলোর প্রসঙ্গে। এই যে তারা আগ্রহভরে মামার Adventure তথা পালিয়ে যাওয়ার গল্প শুনছে, কে বলতে পারে তাদের জীবনেও এমন ঘটনা আসবে না? তারা যতটা মুখ ফর্সাকারী ক্রীম, প্যাক, ময়দা মাখে, ততটা যদি মগজ ধৌতকারী কিছু মাখতে পারতো, তাহলে বোধহয় এদের উন্নতি হতো, আর ঐসব মামারাও প্রশ্রয় পেত না।

৫০১জন ৪৪৫জন

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ