সরস্বতী পূজা সাধারণত স্কুল কলেজে হয়। পূজা করেও সাধারণত ছাত্রছাত্রীরা। সেই দিনেই ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনের কেন্দ্রও হয় স্কুল কলেজগুলো। তাহলে পূজা কিভাবে সুষ্ঠুভাবে হবে? হিন্দুদের কোন পূজা কবে তা বাংলা বছরের প্রথমেই জানা যায়। তাহলে সেই দিনেই নির্বাচন দেওয়ার কি দরকার ছিলো? গত বছর দুর্গাপূজা চলার সময় রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনের জন্য ৫ অক্টোবর তারিখ দেওয়া হলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আপত্তি জানিয়েছিল, কিন্তু নির্বাচন কমিশন কর্ণপাত করেনি। ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন পরিবর্তন করার  রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।  নির্বাচন ৩০ তারিখেই হবে।

দেশটা যদি চীন হতো, সব ধর্মীয় আচরণ নিষিদ্ধ হতো তবে এসব বলার দরকারই হতো না। আপনারা বলবেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কিন্তু সংখ্যালঘুদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন যে তোরা সংখ্যালঘু। এই আচরণ অতি হাস্যকর। এরথেকে বলে দিন যে সংখ্যালঘুদের পূজাপার্ব্বণের অধিকার নেই সেটা বরং ভালো।

আমার মতে এবার সারাদেশের সরকারি স্কুলকলেজে পূজা না করাই উচিত, প্রতিবাদ স্বরূপ। কিন্তু তা হবে না। বরং কিছু তেলবাজ, সুবিধাপ্রাপ্ত হিন্দুরা কুতকুতে চোখমুখ করে ত্যালত্যালা হাসি দিয়ে কতো ভাল আছে, কতো অসাম্প্রদায়িক দেশে আছে সেই ফিরিস্তি দিবে।

৮৩৪জন ৭১৭জন
0 Shares

১১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ