
গভীর জঙ্গল হয়ে গিয়েছে ঈশ্বর
সুতরাং , ভয় আমার পিছু নিয়েছে ।
গাছ দেখলে আজ-কাল
ঈশ্বরের হাত নখ দেখতে পাই ।
আত্মরক্ষার অস্তিত্ব সংকটে ভুগি
শুনেছি, বনের হিংস্র পশুগুলো
না-কি ধার্মীক হয়ে গেছে
তাই , ভয় আমার পিছু নিয়েছে ।
বাবার দু’চোখে যে ঈশ্বর-কে
আমি দেখেছি প্রতিদিন
তা বাবার মৃত্যুতে মরে গেছে গাছ হয়ে ।
বাবার জন্মান্তরবাদটা
গহীন কর্কশ দাবানল হয়ে-বন ,
পুড়ে যাওয়া পাতাপরা শব্দে
যা গজিয়ে ওঠে
তা হলো,
মেয়ে মানুষের শরীর
পুরুষ মানুষ নামক ধর্ষক ,
ঈশ্বর প্রেরীত দালাল চেলা
তাই ,
আজ-কাল ভয় পিছু নিয়েছে
আতঙ্ক তাড়া করছে
গাছ দেখলেই আঁতকে উঠি
শরীরটা কাঠ হয়ে যাওয়া ঈশ্বরাতঙ্কে ।
১২টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
বাবার জন্মান্তরবাদটা
গহীন কর্কশ দাবানল হয়ে-বন ,
পুড়ে যাওয়া পাতাপরা শব্দে
যা গজিয়ে ওঠে
তা হলো,
মেয়ে মানুষের শরীর
পুরুষ মানুষ নামক ধর্ষক ,
ঈশ্বর প্রেরীত দালাল চেলা….
এই স্তবকটা পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেছি।
ভাবনাময় কবিতায় কেবলই আক্রোশ দেখলাম।
ভালো লিখেছেন কাজল 🌹🌹
ফয়জুল মহী
মনোরম লেখা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাবার জন্মান্তরবাদটা
গহীন কর্কশ দাবানল হয়ে-বন ,
পুড়ে যাওয়া পাতাপরা শব্দে
যা গজিয়ে ওঠে
তা হলো,
মেয়ে মানুষের শরীর
পুরুষ মানুষ নামক ধর্ষক ,
ঈশ্বর প্রেরীত দালাল চেলা । সাবিনা আপুর মতো আমিও এতটুকু তে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন
তৌহিদ
ঈশ্বরকে নিজের মতো করে খুঁজে পান এটাই প্রার্থনা। ভালো থাকবেন দাদা।
দেবজ্যোতি কাজল
ঈশ্বর মানুষের বিশ্বাসেই শুধু আছে
ব্লগ সঞ্চালক
প্রিয় ব্লগার,
আপনার প্রকাশিত সবগুলো লেখাই ( আড্ডা পোষ্ট ব্যতীত ) আপনি ইতিপূর্বে আপনার নিজের ব্লগে পোষ্ট করেছেন।
আমরা কি ধরে নেবো যে আপনি এখন আর লিখতে পারছেন না, বা সোনেলার পাঠকদের আপনি কোনো নতুন লেখা পড়াবেন না? 🙂
নীতিমালা একটু পড়ুন কষ্ট করে।
শুভ ব্লগিং।
দেবজ্যোতি কাজল
বুঝলাম না । আমি তো নিয়ম অনিয়মের বাঁধ ভেঙে নিয়মিত লেখা পোস্ট করছি ।
সুরাইয়া পারভীন
কবিতার পরতে পরতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ভয়ার্ত চোখ একটা একটা গাছকেও বিভৎস রূপে দেখতে এটাই স্বাভাবিক। চমৎকার লিখেছেন
সুপায়ন বড়ুয়া
“আত্মরক্ষার অস্তিত্ব সংকটে ভুগি
শুনেছি, বনের হিংস্র পশুগুলো
না-কি ধার্মীক হয়ে গেছে
তাই , ভয় আমার পিছু নিয়েছে ।
বাবার দু’চোখে যে ঈশ্বর-কে
আমি দেখেছি প্রতিদিন
তা বাবার মৃত্যুতে মরে গেছে গাছ হয়ে ।”
অপ্রিয় সত্য ভাষন
উঠে আসে আপনার
সুনিপুন লেখনিতে।
শুভ কাপনা।
দেবজ্যোতি কাজল
ধন্যবাদ দাদা
সঞ্জয় মালাকার
কবিতার পরতে পরতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ভয়ার্ত চোখ একটা একটা গাছকেও বিভৎস রূপে দেখতে এটাই স্বাভাবিক। চমৎকার রচনাশৈলী কবিতা ভালো লাগলো দাদা।
ভালো থাকুন সব সময়।
শুভেচ্ছা জানাবেন।
দেবজ্যোতি কাজল
তুমিও ভাল থাকবে