জরজর করে কাঁদতে লাগলো হিমু। কান্নার শব্দে রান্নাঘর থেকে বুয়া বেরিয়ে এসে বললো – মামা, কাঁদছেন কেন? কি হয়েছে?
কিন্তু কিছুতেই হিমুর কান্না থামছে না। আবার কোন কথাও বলছে না। শুধু খাবারের দিকে একনাগাড়ে তাকিয়ে রয়েছে।
বুয়া গিয়ে অতনুকে ব্যাপারটা খুলে বললো। অতনু সাথে সাথে রুম থেকে বেরিয়ে এসে বললো – কাঁদছিস কেন? কি হয়েছে? খাবার না খেয়ে সামনে রেখে কাঁদছিস।
তারপরও হিমু কেঁদেই যাচ্ছিলো। কোনক্রমেই থামানো যাচ্ছিলো না।
কিছুক্ষণ পরে হিমু একটু শান্ত হয়ে বুয়াকে ডেকে বললো – খালা, খাবার নিয়ে রেখে দেন। আমি খাব না।
অতনু বললো – কেন রে? খাবি না কেন?
অচিন্ত্য বললো – ডিম দিয়ে খাবনা।
অতনু বললো – ডিম আবার তোর কি ক্ষতি করলো?
অচিন্ত্য বললো – কেন তুই জানিস না? আমি যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম তার নাম ছিলো কুসুম। যে আমাকে ছ্যাঁকা দিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করেছে।
কিছুদিন পর আবার সেই কান্না। হিমু কাঁদছে…।
অতনু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলো – ছেলেটি ডিম দেখলে আজও কাঁদে। কারণ মেয়েটির নাম ছিলো কুসুম।

৭৩৬জন ৬১৭জন
0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ