
রোজ রাতে বাঁশি বাজতো। উমা! সেকি সুর। বর্ষায় বানের জলে ভেসে ঘাটে ভিড় জমায়। আমি! বিক্রিত সুরের প্রলোভনে।
দেহের বসতভিটায় প্রেম জন্মেছে। পড়ার টেবিলে শুধুশুধু আঁকিবুঁকি। সীমানাহীন কল্পনায় ভেসে মন যখন বিরহে দৌড়ায়, খোঁজখবরে জানি বাঁশির মালিক কে ?
আনন্দে আহ্লাদে মেতে উঠি। প্রিয়মুখ দর্শনে দেহের কলকব্জাগুলো শিহরিত হয়। হৃদয় পকেটে অনুভূতির আগুন দাউদাউ করে জ্বলে।
সারাদিনের অনেকটা সময়ই কাটে একসাথে। চোখে চোখ পরলেই বোবা হয়ে যাই। বুকে ধুকপুক কাঁপুনি বাজে। বলিনি অব্যক্ত কথাগুলো।
বর্ষাও শেষ। থইথই পানিতে ভাসে না বাঁশিরসুর। যে সুরে ডুবে ডুবে দিশেহারা।
এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট পেয়েছি গতমাসে। সেও পাড়ি দিয়েছে শহরে। অন্য কেউ ডুবে ভাসবে সুরের মূর্ছনায়।
১৯টি মন্তব্য
হালিম নজরুল
থইথই পানিতে ভাসে না বাঁশির সুর্।
————ভাল লাগলো।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ, গল্প লেখার আগ্রহ পেলাম…
সুরাইয়া পারভিন
একের পর এক এমনি করেই ভাসে/ভাসবে সুরের মূর্ছনায়।
চমৎকার উপস্থাপন
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ, ভালো লাগলো. অনুপ্রাণিত…
নিতাই বাবু
আফসোস! বাঁশি তো আগের মতো বাজে না।
নৃ মাসুদ রানা
আসলেই কি? বাঁশি বাজালেই বেজেউঠবে আবার।
নিতাই বাবু
অবশ্যই! লেখার মাঝে স্পর্শ করলেই বাঁশি বেজে উঠবে ইউটিউবের পর্দায়।
বন্যা লিপি
শব্দের গাঁথুনী বেশ ভালো লাগছিলো! গল্পের শুরু কি এটুকু? পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নৃ মাসুদ রানা
শুরু এবং শেষ দুটোই এখানে সমাপ্ত। তারপরও আরেক পর্ব লিখবো আশা করি।
মনির হোসেন মমি
বাশরীয়া বাজায় বাশি
পাগল করে মন….খুব ভাল লাগল।
নৃ মাসুদ রানা
ভালো লাগলেই খুশি হই
জিসান শা ইকরাম
গল্পে কিছুটা ভিন্ন স্বাদ পেলাম।
বাঁশির সুরে কম্পন আসে আমাদের সবার হৃদয়েই।
গল্প ভালো লেগেছে,
শুভ কামনা।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
বাঁশির সুর দোলা দেয় মনে-দেহে। বাঁশি যেমনই হোক, সুর যদি হয় মোহনীয় হয়, তবে শ্রোতার হৃদে বর্ষার ঢেউয়ের মতোই ভাসবে বৈকি!
ভালো লেখেন আপনি 🙂
শুভ কামনা 🌹🌹
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়। ভালোলাগা রইলো। আপনাদের মন্তব্যে লেখার অনুপ্রেরণা পাই।
আরজু মুক্তা
বাঁশী কেনো হায় আমারে কাঁদায়। ও বাঁশী—–!
নৃ মাসুদ রানা
আহা! বাঁশি যেন আগের মতো বাজে না।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনাকে শব্দের কারিগর মনে হচ্ছে। শক্তিশালি শব্দের গাঁথুনি। ভালো লেগেছে।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয় কবিবর – পাশে রাখুন, পাশে থাকুন।
ভালো লাগলো…