
কিরে ভাই কি করস?
দেখছি পৃথিবীটা
মনে হয় এই মাত্র জন্মাইলি ?
আমিতো প্রতিদিন
এক বার করে মরি
এক বার করে জন্মাই
রাখ তোর কবি খেঁয়াল।আসলে কি হয়েছে ক?
তুই বলতো-আমি কি জিন্দা আছি নাকি মইরা গেছি?
এ আবার কেমন কথা ?
কসনা একটু…
দাড়া তোরে একটু চিমটি কাইট্টা লইঁ।
নাহ তুইতো জিন্দাই আছস। হঠাৎ এ কথা কেন?
বলছি…….
মাঝে মাঝে নিজেকে হাঁরিয়ে ফেলি।নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস যেন নেই।আমি যা করছি,বলছি,চিন্তা করছি তা কি সঠিক নাকি আমার সাথে যাদের মতের মিল নেই কিংবা কর্মের মিল নেই তারাই সঠিক !??
তুই কি ইদানিং মনোবিজ্ঞান বেশী পড়ছিস-নাকি ঘুম কম হচ্ছে ?
কেন ? আমার ঘুমটুম সব ঠিক আছে।
-ঘুমাস কয়টায়?
-এইতো রাত-ওভার দু’টায়!
-তখন কি রাত আর রাত থাকে ?
-কেন,সকালে পুষিয়ে নেই।
-এইতো এখানে সমস্যা, তুই যে কত বিজ্ঞ তা বুঝা গেল-রাত আর দিনের ঘুম কি এক হল!
-আরে ধুর কিয়ের মাঝে কি আনলি! আমি কইলাম কি আর তুই কইলি কি?
-আমারটাই রাইট…মানুষের ঘুম ভাল না হলে মুখে আবল তাবল কয়।
-তাহলেতো বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরাও মুখে আবল তাবল কয় কারন তারঁওতো ঘুমায় না বললেই চলে।
-হ,তোর মাথা আর হেগো মাথাতো এক মনে করস!
-নাহ্ তোর সাথে তর্কে পারা যাবে না।তবে এখন ক’ আমি যা কইলাম তা কি ঠিক কি না?
-নারে দোস্ত তুই সত্যিই পাগল হয়ে গেছস।আমি যাই–আমার অনেক কাজ আছে।
বলার আর সময় পেল না প্রশ্নের উত্তরটা দিয়ে যা।বন্ধুটি চলে গেল।আমি একা আবারো চিন্তায় পড়লাম।এতো কাছের বন্ধুটিও যখন আমাকে বুঝলো না তাহলে হয় আমি ভুল পথে চলছি নতুবা বন্ধুটি ভুল পথে চলছে।
দিনের পত্রিকা হাতে নিলাম।মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিলাম আমরা কেমন কেবল নেগেটিং নিউজগুলোই হাইলাইট করে নিউজ করছি দেশে কি হাইলাইট করার মত কোন পজিটিভ নিউজ নাই? আশ্চর্য আমাদের সব কাজ কর্মের ধরণ।
চোখ পড়ল এক লক্ষ টাকায় একটি ঢেউ টিন। সরকারী আমলাদের একি এলাহী কান্ড! মানুষের বিবেক বলে কি কিছুই নেই।সব শেষ যে কয়েকটি নিউজ চোখে পড়ল তা চোখ বুলিয়ে মনের ক্ষোভে পত্রিকা টি টেবিলে রেখে দিয়ে ছাদে উঠে গেলাম।ছাদের নির্মল হাওয়ায় মনে প্রশান্তি এলেও মানুষদের মনুষত্বহীনতার অধ্যায়ের কালি মন থেকে মুছতে পারছি না।
মানুষ রোগ হতে বাচতে ঔষধ সেবন করেন। সেই ঔষধ যদি আরেক মানুষ টাকার জন্য নকল করে বাজারে বিক্রি করে তবে আর আমরা মানুষ রইলাম কই!।
মানুষ বেচে থাকার জন্য খাবার খায় সেই খাবারে যদি থাকে মানুষ ধ্বংসের বিষ তবে মানুষকে আর মানুষ বলব কি করে।
চিকিৎসক নিঃসন্দেহে সেবক।সেই সেবক যখন টাকার জন্য চলেন ভিন্ন পথে তখন রোগীর অবস্থা কি ভয়ানক পরিনতির দিকে ধাপিত হবে তা কি সুশিক্ষিত ডাক্তার বা ক্লিনিক মেডিক্যাল সাহেবদের মনে জাগ্রত হয় না।নাকি সেবকে কসাই বলতে হবে।
সাংসারিক জীবনে পরিবারে কোন সন্তান না থাকলে সেই পরিবারে কোন শান্তি থাকে না।একটি সন্তানের জন্য কেউ কেউ কত শত দোয়া দরূদ মানত আর অর্থের পাহাড় ঢালে অথচ কেউ কেউ সন্তান ভুমিষ্ঠ করেই পালিয়ে যা। এ কেমন মানুষ!নাড়ী ছেড়াঁ ধনকে কি ভাবে ফেলে যেতে পারে।
মানুষ হত্যাতো এখন মুরগী জবাইয়ের মত।যখন তখন সামান্য কারনে লাশ ফেলে দিচ্ছে ছেলে পিতার পিতা ছেলের ভাই ভাইয়ের বোন বোনের।কথায় আছে রক্তের বাধন যায় না খন্ডন-তাহলে এদের শরিরে কোন রক্ত প্রবাহিত হয়।এ সব রহস্যের শেষ কোথায়?
আর এ সব যখন আমি বলতে চাই তখন এই মানুষরাই আমার কন্ঠরোধ করতে চায়,বলে চুপ থাক নতুবা বিপদ আছে।তাহলে কি কেবল আমিই ভুল পথে চলছি ভুল কথা বলছি?আমি যা ভাবি তবে তা কেন বাস্তবে দেখিনা,আবার আমি যা ভাবতে চাই না তা কেন ঘটছে অনবরত।তাহলে আমি কি মৃত!যার কথা কেউ শুনতে পায় না নাকি তারাঁ মৃত যাদের আমি বুঝাতে পারছি না।
ক্রমশতঃ…
১৮টি মন্তব্য
তৌহিদ
লেখার শিরোনাম হতে পারে দীর্ঘশ্বাস নিয়েও বাঁচার তীব্র আকুতি ☺☺
প্রতিদিন এভাবেই সকাল শুরু হয় আমাদের। বাসা থেকে বের হলে মনে হয়, ফিরে আসবো তো!!
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি লেখায় বৈচিত্র আসবে।চেষ্টা করব মানব মনের মনতাস্তিক বিষয়গুলোর রহস্য উন্মোচনে।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা আমাদের অসতদের মাঝে মানবতা জাগুক। মনুস্যবোধ ভাবে আসুক।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি।
মোঃ মজিবর রহমান
👆
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন প্রশ্ন নিয়ে এসেছেন,
কী ভুল, কোনটি ভুল এবং তা কিসের নিরিখে নির্ধারিত হবে তা আগে বুঝতে হবে,
আর বুঝলেই বা কী করা কী বলা যাবে তা ঠিক করা সত্যি-ই কঠিন।
লেখা চলুক।
মনির হোসেন মমি
আসলে তাই ভাইজান।
আরজু মুক্তা
মানুষ বিচিত্র। বিচিত্র তার রং। মানসিক অবক্ষয়।
মতের মিল নাই। কেউ কারও জন্য অপেক্ষা করেনা!
নিজে ভালো থাকলেই হলো।
মনির হোসেন মমি
ঠিক তাই।ধন্যবাদ আপু।
রেজওয়ান
গুটিকয়েক অসৎ ব্যক্তিদের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত😥
মনির হোসেন মমি
কিন্তু কেন এ রহস্যের শেষ কোথায়? ধন্যবাদ ভাইটি পাশেই থাকুন।
রেজওয়ান
শেকড় যতদিন শক্ত না হবে ততদিন আমাদের এইগুলো সহ্য করতেই হবে!😭
সাবিনা ইয়াসমিন
এতো রহস্য করে লেখা ঠিক না ছোট্ট ভাই। ক্রমশ রহস্যের জট খুলে দিন। নয়তো ভাবতে ভাবতে আমার ঘুমটুম জটলা পাকিয়ে যাবে। 🙁
মনির হোসেন মমি
ঘুমপাড়ানীর মাসিপিসি আসছে….একটু ধৈর্য ধরেন। ধন্যবাদ আফা।
নিতাই বাবু
লেখায় মনুষ্যত্ব নিয়ে দারুণ যুক্তি দেখালেন দাদা। যা লিখেছেন, একেবারে একশো-তে-একশো বলতে হচ্ছে। শুভকামনা থাকলো।
মনির হোসেন মমি
হুম ধন্যবাদ প্রিয় দাদা।
রুমন আশরাফ
“তাহলে কি কেবল আমিই ভুল পথে চলছি ভুল কথা বলছি?আমি যা ভাবি তবে তা কেন বাস্তবে দেখিনা,আবার আমি যা ভাবতে চাই না তা কেন ঘটছে অনবরত।তাহলে আমি কি মৃত!যার কথা কেউ শুনতে পায় না নাকি তারাঁ মৃত যাদের আমি বুঝাতে পারছি না।”
মুগ্ধ হয়ে গেলাম লেখাটি পড়ে।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইটি।