
১
নায়লার সাথে আমার বিয়েটা হঠাৎ করেই হয়ে গেল। বলতে গেলে একরকম জোর করে আমাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হল। ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে শুনি আমার জন্যে মেয়ে দেখা হয়েছে; মেয়ে নাকি ভয়াবহ সুন্দরী, একমাত্র মিলা ছাড়া সবাই মেয়ে পছন্দ করেছে!
পুরো রাস্তা জ্যাম। আগেরদিন সকালে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে বাড়ি পৌঁছেছি পরদিন সকালে। ঘরে ঢুকে ব্যাগপত্র রেখে বারান্দায় বসেছি, মিলা এসে বলল, ‘ভাইয়া, তোর বিয়ে!’
আমি বললাম, ‘আচ্ছা, ভালো। তোর কী খবর? পড়াশুনা কিছু করছিস?’
-‘ভাইয়া, সত্যি সত্যি তোর বিয়ে!’
আমি এবার নড়েচড়ে বসলাম। মিলা খুব দুষ্টু প্রকৃতির, কিন্তু এখন কথা বলার ধরণ দেখে সিরিয়াস কিছু মনে হচ্ছে। বললাম, ‘মানে কী?’
মিলা আমার কাছে এসে দাঁড়াল। গলা প্রায় খাঁদে নামিয়ে বলল, ‘তোর জন্যে মেয়ে দেখা হয়েছে। ওই যে শামস খালু আছে না, উনার ভাইয়ের মেয়ে। সবাই পছন্দ করেছে, আমিও দেখতে গিয়েছিলাম।’
আমার বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। মিলার হাত ধরে বললাম, ‘তোর পছন্দ হয়নি?’
-‘মেয়েটা অনেক সুন্দর। সবাই পছন্দ করেছে।’
-‘তুই?’
-‘সবাইকে বলেছি, আমার ভালো লাগেনি।’ মিলার চোখে স্পষ্ট হতাশা। ও কেন একথা বলেছে, আমি জানি। পিউলীর ব্যাপারটা মিলা জানে।
বললাম, ‘ঠিক আছে, দেখা যাক। যা, আমাকে পানি খাওয়া।’
মিলা ভিতরে চলে গেল। আমার সামনে জ্বলজ্বল করে পিউলীর মুখটা ভাসতে লাগল। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। আমি কিছুতেই এই বিয়ে করব না। অসম্ভব!
২
অথচ সেই অসম্ভবটাই সম্ভব হল। ঈদের তৃতীয়দিন আমার বিয়ে হয়ে গেল। আমি বাড়ি আসার পরদিন মা আমাকে সব খুলে বলেছিল। নায়লার যখন জন্ম হয়, তখনই আমার বাবা-মা আর নায়লার বাবা-মা কথা ‘ফাইনাল’ করেছিলেন! এখন কিছু করার নেই! মা আমার হাতটা নিজের মাথায় নিয়ে বলল, ‘তুই অমত করিস না বাপ!’ আমি মুখে অমত করতে পারলাম না, কিন্তু ভিতরটা ভেঙ্গে যেতে লাগল। এর ফাঁকে একদিন মা আমাকে জোর করে নায়লাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিল, এ সময় নাকি ছেলে-মেয়ের দেখাসাক্ষাৎ করতে হয়।
নায়লা আসলেই সুন্দরী সন্দেহ নেই। আমি প্রায় অভিভূত হয়ে গেলাম।
৩
বিয়ের প্রথম রাতে নায়লা ঘুমাল মেঝেতে! রাত এগারোটার দিকে ঘরে ঢুকেই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুমের ঘোরে নায়লাকে একবার বললাম, ‘তুমি ইচ্ছে করলে বিছানায় ঘুমাতে পার।’
নায়লা বলল, ‘আমার কাজ আছে!’
আমার ঘুম ভাঙল মাঝরাতে। জানালা দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস আসছে! ঘর অন্ধকার। আমি অবাক হয়ে দেখলাম, নায়লা জানালার পাশে বসে আছে। জানালার ফাঁক গলে পূর্ণিমার আলো পড়েছে নায়লার মুখে। মুখের অর্ধেকটা দেখা যাচ্ছে। আচ্ছা, পরী কি নায়লার চেয়ে সুন্দর? কেন যেন আমার বুকটা ধক করে উঠল!
পরের দিনটা এতো ব্যস্ততায় কাটল, নতুন বউয়ের সাথে কথা বলার সময়ই পেলাম না। শেষ-বিকেলে বারান্দায় বসে আছি, নায়লা চা হাতে এসে আমার পাশে বসল। আমার হঠাৎ মনে হল, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মেয়েকে বিয়ে করেছি!
নায়লা বলল, ‘নাও, চা।’
আমি চায়ের কাপটা হাতে নিলাম। বিয়ের আগে যখন নায়লার সাথে কথা হয়েছিল, ও তখন আমাকে আপনি করে বলছিল। এখন হঠাৎ করে তুমিতে চলে এসেছে। এটা অবশ্য ভালো। বললাম, ‘চা কি মা দিতে বলল?’
-‘মা দিতে বলবে কেন! আমিই বানালাম। কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি-’
-‘বল।’ আমি অনুমান করলাম, ও পিউলীর বিষয়ে কিছু বলবে। কোনোভাবে হয়তো পিউলীর কথা জেনে গেছে।
নায়লা কেমন যেন ইতস্তত করতে লাগল। হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল, বলল, ‘না, থাক। পরে বলব।’
উল্টো দিকে ঘুরে হাঁটতে শুরু করল নায়লা। একটু গিয়ে আবার ফিরে এল। বলল, ‘শোনো, আমি প্রতিদিন মেঝেতে ঘুমাতে চাই।’
আমি একেবারে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। প্রথমত, এরকম একটা প্রসঙ্গে ও কথা বলবে, এটা আমি ভাবতেও পারিনি। দ্বিতীয় কারন, ওর এই কথাটার অর্থ আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি!
৪
সে রাতেও নায়লা মেঝেতে ঘুমাল এবং ভোরের দিকে আমি আবিস্কার করলাম ও জানালার কাছে বসে আছে। আমি উঠে গেলাম। নায়লা জানালার দিকে মুখ করে বসেছে, আমি কাছে গিয়ে বললাম, ‘এখানে বসে কী করছ?’
নায়লা মুখ না ফিরিয়েই বলল, ‘কিছু না।’
আমি চমকে উঠলাম। নায়লার কণ্ঠ কেমন যেন ভরাট শোনাচ্ছে। ও কি কাঁদছিল? আমি হঠাৎ করে মেয়েটার প্রতি এক ধরণের টান অনুভব করলাম। টানটা ঠিক ভালবাসা নয়, ভালবাসা আর মমতার মাঝামাঝি একটা অনুভূতি। আমি ওর কাঁধে হাত রাখলাম, ‘শুয়ে পড়ো নায়লা।’
নায়লা ছিটকে সরে গেল। ক্ষিপ্রবেগে উঠে দাঁড়িয়ে কর্কশ গলায় বলল, ‘খবরদার, আমার গায়ে হাত দিবি না!’
ভয়ে আমি স্থির গেলাম। মনে হল মেরুদণ্ড বেয়ে একটা বরফের সাপ নেমে গেল। নায়লার মুখের বাম দিকটা পুরোপুরি ক্ষতবিক্ষত! থ্যাঁতলানো! চোখ দুটো আগুণের মতো জ্বলজ্বল করছে!
আমি একটা আর্ত-চিৎকার দিয়ে উঠলাম। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।
সকালে যখন চোখ খুললাম, তখন আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি। রেল লাইনে কু-ঝিকঝিক করে একটা ট্রেন চলে যাচ্ছে। আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম, সাড়ে আটটা। নিচে মেঝেতে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে নায়লা, আমার সদ্য বিয়ে করা বউ। কী অদ্ভুত, অপরূপ রূপবতী বউ পেয়েছি আমি!
বিছানা থেকে মেঝেতে পা দেওয়ার সাথে সাথে রাতের কথা মনে পড়ল। রাতে কি আমি স্বপ্ন দেখেছি? তাই হবে হয়তো, নাহলে আমি বিছানায় এলাম কী করে!
৫
দিনের পর দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে লাগল। নায়লা মেঝেতে ঘুমায় এবং প্রায়ই আমার ভোরবেলা ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখি, ও জানালার পাশে বসে আছে। সেই রাতের পর থেকে আমি এরকম সময়ে ওর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি বিশ্বাস করি, ওই রাতের পুরো জিনিসটা ছিল আমার কল্পনা অথবা স্বপ্ন; তবু কেন যেন আমি চুপসে গেছি। ভোরবেলা ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে আমি জানালার দিকে তাকাই, যখনই ওকে দেখি, বুকের মধ্যে ভয়ানক একটা কাঁপুনি ওঠে!
ব্যাপারটা বেশিদিন চেপে রাখতে পারলাম না। একদিন সকালে নায়লাকে ডাকলাম। নীল চুড়িদারে অপ্সরী যখন আমার সামনে এসে দাঁড়াল, তখন আমার একবার মনে হল প্রসঙ্গটা না তুলি। বললাম, ‘বসো।’
নায়লা বিছানায় আমার পাশে বসল। আমার হাতে হাত রেখে বলল, ‘তোমার কি খুব বেশি মন খারাপ?’
আমি চমকে উঠলাম, ‘কেন?’
-‘আমি জানি তুমি কী বলবে?’
-‘কী বলব?’
নায়লা আমার কাছে সরে এলো। লম্বা করে একটা শ্বাস নিয়ে বলল, ‘তুমি কি জানো, পিউলী মারা গেছে!’
আমার বুকের মধ্যে ধড়াস করে উঠল! বিয়ের কথাবার্তা যখন পাকা, তখন একদিন পিউলীকে ফোন দিয়ে সব বলেছিলাম। ওর হাউমাউ কান্নার মধ্যেই ফোন কেটে দিলাম। এরমধ্যে আর খোঁজ নেইনি। ইচ্ছে করেনি কিংবা ভুলে গিয়েছিলাম, এমন না; সাহস হয়নি! তারপর সিম পালটিয়ে ফেলেছি! কিন্তু পিউলী মারা গেল, সেটা আমি জানি না, অথচ নায়লা জানল কীভাবে! বললাম, ‘আমি কি তোমাকে পিউলীর কথা বলেছিলাম?’
-‘না।’
-‘মিলা বলেছে?’
-‘না।’
-‘তাহলে?’
নায়লা তীক্ষ্ণ চোখে আমার দিকে তাকাল, ‘আমি জানি!’
-‘মানে কী?’
-‘যেদিন আমাদের বিয়ে হয়, সেদিন সন্ধ্যায় পিউলী সুইসাইড করেছে।’
হঠাৎ করে আমার পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে গেল! আমি নায়লার চোখের দিকে তাকালাম, সেখানে অপরিসীম ভালবাসার ছায়া। এই মেয়েটা আসলে কে?
একটু থেমে ও আবার বলতে শুরু করল, ‘যেদিন আমাদের বিয়ে, সেদিন সন্ধ্যায় পিউলী সুইসাইড করেছে। বিষ খেয়েছিল।’
আমি বললাম, ‘তুমি কীভাবে জানলে নায়লা?’
নায়লা কাতর কণ্ঠে বলল, ‘ও তোমাকে মেরে ফেলবে!’
-‘কে কাকে মেরে ফেলবে?’
-‘পিউলী। তোমাকে।’
একই সাথে একটা ভয়ানক ভীতি আর রাগ আমাকে চেপে ধরল। ধমকের স্বরে বললাম, ‘কী উল্টাপাল্টা বলছ নায়লা?’
নায়লা বলল, ‘আমি একটাও উল্টাপাল্টা বলিনি। তুমি খোঁজ নিয়ে দেখো, পিউলী মারা গেছে কিনা!’
আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কীভাবে জান?’
আগের মতই তীক্ষ্ণ চোখে, হিসহিসে গলায় নায়লা বলল, ‘আমি জানি!’
-‘কিন্তু পিউলী আমাকে মেরে ফেলবে, মানে কী?’
নায়লা হঠাৎ করে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করল, ‘ও তোমাকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবে! কেউ তোমাকে বাঁচাতে পারবে না!’
এই কয়েকদিনের পরিচিত মেয়েটার জন্যে আমার খুব মায়া হতে লাগল। আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললাম, ‘কিচ্ছু হবে না, তুমি টেনশন করো না!’
সারাদিন আমি একটা ঘোরের মধ্যে কাটালাম। নায়লা আচরণ রহস্যজনক। সম্ভবত বড় কোনো মানসিক চাপের মধ্যে আছে। আমাকে হয়তো মেনে নিতে পারছে না। খুব তারাতারি চিকিৎসা না করালে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। বিষয়টা নিয়ে মা কিংবা মিলার সাথে আলোচনা করব কিনা দ্বিধায় পড়ে গেলাম।
৬
দেখতে দেখতে আমার ছুটি শেষ হয়ে এলো। আগের মতই নায়লা প্রতি রাতে মেঝেতে ঘুমায় আর ভোরের দিকে জানালার পাশে বসে থাকে। সেদিনের ঘটনার পর থেকে আমি আর ওকে এসব নিয়ে ঘাঁটাই না। নতুন নতুন আমাকে ঠিক মন থেকে গ্রহণ করতে পারছে না, কিছুদিন গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
৭
ঘটনাটা ঘটল আমি ঢাকায় আসার তিন দিন আগে। মাঝরাতে হুটোপুটির শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। মনে হল আবছা অন্ধকারে মেঝেতে কিছু ধ্বস্তাধস্তি করছে। আমি ভীতু প্রকৃতির মানুষ। লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে দরজার কাছে গেলাম। দরজা খুলতে গিয়ে কী মনে করে পিছনে ফিরলাম। জানালা গলিয়ে আসা কালচে আলোতে যা দেখলাম, তা অবর্ণনীয়। শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল একটা স্রোত বেয়ে গেল।
কুকুরের মতো একটা প্রাণীর সাথে ধ্বস্তাধস্তি করছে একটা নারীমূর্তি, নায়লা! হঠাৎ আমার মনে হল, এই মুহূর্তে এখান থেকে চলে গেলে সেটা খুব কাপুরুষতা হবে। সুপুরুষ সাঁজতে হোক আর কৌতূহলে হোক, আমি হাত বাড়িয়ে বাতি জ্বালিয়ে দিলাম।
সাথে সাথে সব থেমে গেল। ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় একটা বড়সড় কালো প্রাণীকে জাপটে ধরে আছে নায়লা! আলো দেখে প্রাণীটা ছিটকে সরে গেল। আমি চিনতে পারলাম, নেকড়ে! হিংস্র চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে দু’পা পিছিয়ে গেল। চতুষ্পদীর এই ভঙ্গির সাথে আমি পরিচিত, কোনো কিছুর উপর ঝাপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি।
আমার বুকের মধ্যে হাতুড়ি পেটার শব্দ হতে লাগল। হৃৎপিণ্ডের দ্রিম দ্রিম শব্দ স্পষ্ট কানে আসছে। আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে নেকড়েটার দিকে তাকিয়ে আছি। কুতকুতে চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে নেকড়ে! মুহূর্তের মধ্যে নেকড়েটা আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ল।
৮
আমার জ্ঞান ফিরল সকালে। মাথার উপর মা’র উদ্বিগ্ন মুখ, পাশে মিলা দাঁড়িয়ে আছে।
পুরো মেঝে জুড়ে ছোপ ছোপ রক্ত। জানালার গ্রিল ভাঙ্গা। একটু দূরে নায়লার রক্তাক্ত দেহ। আমি কাছে গেলাম। নায়লার গলা থেকে বুকের উপর অংশ পর্যন্ত আঁচরের গভীর দাগ। মুখের বাম দিকটা ক্ষতবিক্ষত; অথচ ডান পাশটা কী অদ্ভুত রকমের সুন্দর!
লেখকের চিরকুটঃ
খেয়াল করে দেখলাম, আমার লেখাগুলো একই ধাচের হয়ে যাচ্ছে। সবই সেই রহস্য গল্প, পাঠক যার কূলকিনারা করতে পারেন না। পাঠককে স্বস্তি দিতেই হোক, আর নিজের ভালো লাগার জন্যেই হোক, বেশ কিছুদিন আর রহস্য গল্প লিখব না বলে ঠিক করেছি।
তাহলে আজ আবার এই লেখা কেন?
এই লেখাটা অনেক পুরনো। প্রায় ছয় বছর আগের। আজ হঠাৎ আবিষ্কার করলাম, এই গল্পটা সোনেলাতে দেইনি। (অথবা দিলেও মুছে ফেলেছি! যদিও এরকম করার কথা না!) ভাবলাম, আপনাদের পড়তে দেই।
৩১টি মন্তব্য
ইঞ্জা
একি লেখা আগেও পড়েছি, কার লেখা পড়লাম?
আপনার নাকি?
নাজমুল আহসান
পড়ে থাকলে আমার লেখাই পড়েছেন। যদি না কেউ অন্য কোথাও নিজের নামে চালিয়ে দেয়!
তবে, আমারও মনে হচ্ছে লেখাটা সোনেলাতে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি না।
ইঞ্জা
হাঁ এইটা আপনারই লেখা সোনেলাতে পড়েছি।
মনির হোসেন মমি
অনেক পর্ব !! ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে।
নাজমুল আহসান
পড়েন, ঠাণ্ডা মাথায় পড়েন।
মনির হোসেন মমি
পড়েছি ভাইয়া। বেশী দিন হয়নি মনে হয় লেখাটা আরো একবার পড়েছিলাম।নায়লা নামটি এবং ঘটনাটি জেনে। যাক নতুন করে আবার না হয় পড়লাম।তাছাড়া গল্পটি পড়ার মত প্রতিটি দৃশ্যে পরবর্তী দৃশ্য পড়ার আগ্রহ জাগিয়ে তুলে।
অশোকা মাহবুবা
গল্পটা কি শেষ? রহস্য থেকে গেল? যদিও ঘটনা কি হয়েছে বুঝতে অসুবিধা হয়নি কিন্তু মনে হচ্ছে যেন লেখক বলে দিলে পারতেন। হা হা হা অসাধারন লিখেছেন। এরকম রহস্য গল্প হঠাৎ না লেখার চিন্তা কেন বুঝলাম না। আমার তো দারুণই লাগল। শুভ কামনায়।
নাজমুল আহসান
গল্প লিখতে গেলেই কীভাবে যেন সেটা রহস্য গল্প হয়ে যায়। আমার আগের দুই-একটা লেখা পড়লে বুঝতে পারতেন! এই লজ্জাতেই এইসব রহস্য-টহস্য লেখা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যা-ই হোক, আপনি মন্তব্য করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
এখানেই পড়েছি, আবার পড়তে মন্দ-তো লাগেনি।
ছ’বছর আগে থেকেই লিখছেন! কিন্তু সামান্য টের পেলাম এই-তো সেদিন।
সামান্য হলেও পুষিয়ে দিলে আর কিছু আক্ষেপ থাকবে না।
রহস্য গল্পে রহস্য থাকবে, এমনটি-ই স্বাভাবিক। বন্ধ করার মানে হয় না।
যেভাবে হোক, যে লেখা হোক, পাঠক পড়তে কিন্তু চায়। এটি মনে থাকলেই হয়।
নাজমুল আহসান
আমারও মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন গল্পটা লিখলাম। সন্ধ্যাবেলা। সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল খুব।
সময় কত দ্রুত চলে যায়!
তৌহিদ
আমি প্রথমবার পড়লাম। আপনার লেখা অন্যান্য রহস্য গল্পের মতই এটিও মনে জায়গা করে নিলো। কেন যে নিয়মিত লেখেননা!!
ভালো থাকবেন ভাই।
নাজমুল আহসান
দোয়া করবেন, যেন লিখতে পারি।
সময় করে পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
তৌহিদ
শুভকামনা রইলো ভাই।
আরজু মুক্তা
গল্পটা তো ঝুলায় রাখলেন।শেষ হয়েও হইলোনা শেষ।
তবে, ভয় পাইনি! প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এক নিঃশ্বাসে পড়েছি।
নাজমুল আহসান
ভয় পাওয়ানোর জন্যে তো লিখিনি! যেদিন ভয় পাওয়ানোর জন্যে লিখব, সেদিন ভয় পাইয়েই ছাড়ব! হেহে!
আরজু মুক্তা
সেই আশায় থাকলাম!
মোস্তাফিজুর খাঁন
রহস্য থেকে গেলো,,, ভাই ।
অসাধারণ লেগেছে ।
গল্পে রহস্য যেন সৌন্দর্যে পর্দা ।
তাইতো রহস্য ভালোবাসি
নাজমুল আহসান
🙄🙄
সাবিনা ইয়াসমিন
নায়লার উপর কি পিউলির আত্মা ভর করেছিলো? নইলে নায়লার গলার সাউন্ড দুই রকম হলো কিভাবে!!
আবার ভাবছি, আসলে ব্যাপারটা অন্য। নায়লার ভেতর কোনো আধ্যাত্মিক শক্তি ছিলো হয়তো। তাই সে পিউলির প্রেতাত্মা দেখতে পেতো। এরপর হাজব্যান্ডকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জান দিয়েছে।
কিন্তু এটাও যুতসই লাগছে না।
আরেহ ধুর, এটাতো রহস্য গল্প। ভৌতিক গল্প না। তাহলে আমার মগজ বারবার ভুত-আত্মা নিয়ে টানাটানি করছে কেন?
* ডেভলপার সাহেব, আমি বলতে একটু লজ্জা পাচ্ছি। কিন্ত না বলেও পারছি না। গল্পটা পড়ে ভয় পেয়েছি। 😞😞
নাজমুল আহসান
ঘটনা আসলে কী ঘটেছিল, আমি নিজেও জানি না। আপনার মাথায় বুদ্ধি আছে, বোঝা যায়। রহস্য উদঘাটন করতে পারলে আমাদেরকে জানাইয়েন।
আর গল্প পড়ে ভয় পেয়েছেন জেনে আমিও একটু লজ্জা পাচ্ছি!
নিতাই বাবু
এমন হতেও পারে! যেমন: আমার ছোট মামা মারা গেলেন। আমার বড়দাদা জানতেন না। বড়দাদা চাকরি করতেন শহরে। মামা মারা যাবার ঠিক চারদিনের দিন দাদা ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসছেন। ট্রেন থেকে নামলেন রাত ১০টার দিকে। রেলস্টেশন থেকে আমাদের বাড়ি অন্তত দেড় কিলোমিটার দূরে। ঘুটঘুটে অন্ধকার। দাদা হাঁটছে। পেছনে মানুষের হাঁটার শব্দ বড়দাদা টের পেলেন। পিছন দিকে তাকালেন। দেখলেন আমার ছোট মামাকে। বড়দাদা মামাকে দেখে বললেন, ‘মামা আপনি?’ মামা বললেন, ‘হ্যাঁ, এইতো তোদের বাড়িতেই যাচ্ছি। রাতে তোদের বাড়িতে থাকবো’। বড়দাদা খুব খুশি হলেন। রাতের অন্ধকারে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির সামনে এসে হঠাৎ একসময় আমার ছোট মামা আলো আঁধারে মিলিয়ে গেলেন। বড়দাদা বাড়িতে পা রাখতেই, মা কেঁদে কেঁদে মামার মৃত্যুর খবর দাদাকে বলতে লাগলেন। আমার বড়দাদা অবাক দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
ঘটনাটা এমনই হয়েছে বলে মনে হয়। তবে হ্যাঁ আপনার লেখা ৮পর্ব পুরোপুরি পড়েই মন্তব্য করেছি। পড়তে ভালোই গেলেছিল। আপনাকে শুভেচ্ছা।
নাজমুল আহসান
হায় হায়! এরকম একটা গল্প তো আমিও লিখেছিলাম- পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নিতাই বাবু
হুবহু তা-ই তো হয়েছে দাদা। তবে হ্যাঁ আমারটা কিন্তু গল্প নয়, বাস্তব ঘটনা। একের প্রতি অন্যের ভালোবাসার টান থাকলে নাকি এরকম হয়!
শাহরিন
অসাধারণ গল্প। মোটেও এই ধরনের গল্প লেখার চিন্তা বাদ দেয়া যাবে না।
নাজমুল আহসান
আপনার ভালো লেগেছি জেনে আনন্দিত হচ্ছি।
এ ধরণের লেখার চিন্তা বাদ দিচ্ছি না, আপাতত কিছুদিন লেখার ধরণ পাল্টানোর ইচ্ছে আছে।
শাহরিন
হবে না ভাইয়া। আমি তো ভক্ত হয়ে গিয়েছি আপনার লেখার।
মোঃ মজিবর রহমান
ভালগল্প। ভাললাগা রইল
নাজমুল আহসান
ভালো পাঠক। ভালোলাগা রইল।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ভাইয়া,তারপর…….
নাজমুল আহসান
তারপর আর কী?