সময় অ সময়, সময় সু সময়

রিতু জাহান ১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:০১:৫৩অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৪ মন্তব্য

‘বিড়ালের আড়াই পা’করতে না পারার অপরাধে
মস্তিষ্ক বিকৃতি কুরুচিপূর্ণ মেধাশূন্য অমানুষদের কুদৃষ্টি পড়া
ক্ষণিক যে সময়গুলিতে ভাগ্য দীনহিন ও অধমুখী হয়
সে ভাগ্যকে দুর্বাক্য শুনিয়ে যাই,
কেনো এই মহা দুর্দশা ও ঘোর অমঙ্গল?
মুহ্যমান দাঁড়িয়ে থাকি দু’কদম দূরে সু-শীতল এক বৃক্ষতলে
বাষ্প কন্ঠ ডুকরে ওঠে।
দুর্ভাগ্যের সে দশা পূর্ণ হতে দেয়না সে বটবৃক্ষ।
সে উপলব্ধি তখন এমন,
শৈশব কৈশরে চৈত্রের দুপুরে হেঁটে যাওয়া বড় ক্লান্ত ধুলোময় পথ ধরে,
দূরে দৃষ্টির সীমানায় এক বটবৃক্ষের ছায়ার শীতল পরশের স্পর্শ।
দুরাত্মা সে তাপদাহকে প্রবল যুদ্ধে পরাস্ত করে সে শীতল পরশ।
অথবা,
গ্রীষ্মের রোজায় রোজাদার পিপাসায় জীবন যখন অস্থির
রোজা ছেড়ে দেবার ক্ষণিক ইচ্ছা,
পরক্ষণে চিন্তা, ইফতারিতে সে পানের তৃপ্ততা পাওয়া তো তবে পুরাই বৃথা।
পূণ্যের সে প্রাপ্তির তৃপ্তি।
কিন্তু!
সে দুঃসময়ের ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন না হতো
নিদারুন সব শব্দ দূষণের কোলাহল ছেড়ে
ক্ষত বিক্ষত হয়ে, চির অভিমানে
অবক্র সে পথ ধরে ঈঙ্গুদী বন অবধি হেঁটে যেতাম
অন্ধকার নেমে আসায় সে অরণ্যে তখন
মেধাশূন্য জন্তু জানোয়ারের ঝিল্লিরব, বাঘের গর্জন, সিংহের নাদ, হস্তির বৃংহিত
কখনও বা বাঘ আক্রান্ত হরিণের করুণ আর্তনাদ।
আত্মহত্যা মহাপাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতে মৃত্যুর অপেক্ষায় কেটে যেতো দিন থেকে দিন রাত থেকে রাত।

,,,,রিতু,,,,,

১৭..৭.১৮. কুড়িগ্রাম।

৫৯৮জন ৫৯৮জন
0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ