কিছুদিন আগের কথা আমি এবং আমার ছোট খালা সন্ধ্যাবেলা বাসায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় আমার নানা আমাদের রুমে প্রবেশ করে জিজ্ঞাসা করেন “শান্তার(আমার বড় ভাবি) অফিসে কি আজ কোন অনুষ্ঠান ছিল সকালে দেখেছিলাম শাড়ী পরে বের হল ?” , উত্তরে আমার খালা বলেন “হা , আজ তার অফিসে তার একটা অনুষ্ঠান আছে , আমিই তাকে তৈরি হতে সাহায্য করলাম , কেন! কি হয়েছে !? , নানা বললেন “নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে ফেরার সময় পরিচিত এক লোক আমাকে বলল ‘আপনার নাত বৌকে দেখলাম সকালে খুব রং মেখে বের হয়েছে , একটু খেয়াল রাইখেন কই যায় !? । খালা অবচেতন মনে বলল “ওহ , আচ্ছা” ; আমি নানাকে জিজ্ঞাসা করলাম “নানা প্রতিউত্তরে আপনি কি বললে আসলেন – লোকটা আপনার নাত বৌয়ের উপর নজর রাখতে বলেছে তাই !” । তখন নানা বললেন “যা সত্যি তাই বলেছি, বলেছি আমার নাত বৌ হাই কোর্টের উকিল সে কই যায় এটা নিশ্চয়ই এখন আপনাকে ভেঙে বলতে হবে না , আর সে রং মেখে ঘর থেকে বের হয়েছে কিনা আমি দেখেছি , কই আমার কাছে তো খারাপ কিছু দেখাল না , আমার নাত বৌ তাকে খারাপ দেখালে আমি নিজেই তাকে শাসন করতাম , আমি সকালে দেখেছি সে শাড়ী পরে কোর্টে যাচ্ছে এর মানে হয়তো কোর্ট শেষে উকিলদের কোন অনুষ্ঠান আছে , কিছু বলার আগে ভেবে বলবেন কি বলছেন আর কার সম্পর্কে বলছেন !!”। আমি নানার কথা শুনে অবাক , তিনি ছয় যুগ আগের মানুষ হয়েও তার মনোভাব কতোটা সুন্দর ।
আমার নানার স্থানে অন্য কোন ব্যাক্তি থাকলে আমি নিশ্চিত সেই ব্যাক্তি নিজের বিবেক বা নিজের জানার এবং সম্পর্কের উপর বিশ্বাস করে বিচার না করে তার নাতিকে জানাত , তিল কে তাল করত , ব্যাক্তির নাতি তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করত , শুরু করে দিতো বিশ্বাস আর অবিশ্বাস এর হিসেব – নিকেশ , পরিশেষে একটা সুন্দর সংসার ভেঙে যেতো । এমনটা হতো কারণ আমরা নিজেকে আর নিজেকে বিশ্বাসের চেয়ে উড়ো কথায় বড্ড বেশী বিশ্বাসী । আমরা জানি আমাদের সমাজে সব সময় একপক্ষ দণ্ডায়মান আছে যারা অপরের ভালো সহ্য করতে না পেরে কানাকানি আর গুঁজব ছড়িয়ে থাকে তবুও আমরা তাঁদের ফাঁদে পা দেই এবং সুন্দর সুন্দর সম্পর্ক গুলো নষ্ট করে ফেলি ।
আমার নানা পারতেন না লোকটার কথা শুনে এসে পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাত বৌকে চার দেয়ালে বন্দী করে দিতে ! , পারতেন না বলতে “ঘরের বৌ পড়া লিখা করেছ ভালো কথা কোর্ট – কাচারি করতে হবে না “!! আমার নানা কি পারতেন না তার নাত বৌকে খারাপ বলতে !!! , পারতেন কিন্তু তিনি তা করেন নি কারণ তিনি তার নাত বৌকে ঘরের বৌ ভাবার আগে একটা মানুষ ভেবেছেন যার সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে আর লোকে তো অনেক কথা বলবে তাঁদের কোন কাজ নাই কিন্তু মুখ আছে তাই হাজার কথা বলে এতো কথা কানে নিলে আমরা সুন্দর আগামীর আশা করা যাবে না ।
এইতো গতকালের কথা – বন্ধু – বান্ধব মিলে পান্থপথ মোড়ে চায়ের দোকানে চা পান করছিলাম , এমন সময় একটা লোক চায়ের দোকানে এসে বসলো এবং বলল “ আপনাদের গলায় আইডি কার্ড গুলো দেখে বুঝলাম আপনারা এই ভার্সিটির ছাত্র – ছাত্রী , আচ্ছা পড়া – লিখার পাশাপাশি কিছু করছেন !” , আমি লোকটার কথা শুনে ভাবলাম বাচাল টাইপের লোক এর কথায় কান দিয়ে লাভ নাই চা’য়ে মনোযোগ দেই কিন্তু লোকটা অবিরাম তার কথা গুলো বলে যাচ্ছে , দেখলাম আমার সঙ্গে যারা ছিল তারাও আনমনে লোকটার কথা শুনে “হুম হুম” করছে । ওই লোকটার যতটুক কথা আমার কানে আসছিল তা অনেকটা এ রকম -> এই দোকানের ম্যানেজার আমি , নিজের অন্য ব্যবসা আছে তবুও দোকান দেখা শোনা করি , এই দোকানটা যার সে যখন আপনাদের মতো তখন থেকে এই ব্যবসা শুরু করে , এখন পান্থপথ সহ্য ধানমন্ডি এরিয়ায় তার মোট ২০ টা চায়ের দোকান আছে এবং পড়া – লিখা করছে (নাম টা শুনতে পাইনি) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে , এইতো কয়েকদিন পর তার এম.বি.য়ে শেষ হবে “ । চা’য়ের টাকা দিয়ে আসার সময় আমার বান্ধুবি খুব আগ্রহ বশত তাকে জিজ্ঞাসা করে “ এতক্ষণ যার কথা বললেন সে আপনার কি হয় !” , লোকটা হাস্যউজ্জ্বল মুখে জবাব দিলেন “ আমার স্ত্রী “ । আমার সঙ্গে যারা ছিল তাঁরা আমাকে জিজ্ঞাসা করছে আমি কি লোকটার শেষ কথা শিনেছি কিনা , আমি বললাম – হা শুনেছি । আমরা সবাই ওই লোকের কথা আধশোনা করছিলাম কারণ রাস্তা – ঘাটে আমাদের এই সমাজে আমাদের কারোই ভালো কথা শোনার অভ্যাস নাই , আমরা রাস্তায় বের হলে দেখি মারামারি , ঝগড়া , বেস্ত সব মানুষ এবং অযথা বাজে কথা । আরেকটা বিষয় হল – ২০১৮ সাল যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী , বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন কাজে নারীদের অবদান দেখা যাচ্ছে তখন একদল আওয়াজ তুলছে বা অজুহাত দেখাচ্ছে -> নারীদের বেশী পড়া –লিখা করা ঠিক না / নারীদের বাহিরে কোন রকম কাজ করতে দেয়া ঠিক না / পড়া – লিখা করলেই কি কাজ করতে হবে এমন কোন কথা নাই / ঘরের বৌ বাইরে গেলে ঘর সামলাবে কি ভূতে / আজকাল মেয়েরা পড়া – লিখা করতে ভার্সিটিতে গেলে নোংরা মেয়ে হয়ে যায় তাই বাল্যবিবাহ শুরু করা দরকার / দেশে ধর্ষণ বেরেছে মেয়েদের মোটে মাত্র ঘরের বাইরে বের হওয়া ঠিক না / সমঅধিকার চায় কিন্তু সব যায়গায় আলাদা সুবিধা ভোগ করে -> ওই সময় এক সামান্য ব্যবসাহি নিজের বৌয়ের সাফল্য এর কথা গর্ব করে বলছেন । সত্যি এখনো এ সমাজে এমন মানুষ আছেন যারা নারীদের শুধু ভোগের বস্তু ভাবে না । খুব ইচ্ছে করে এসব মানুষদের খুঁজে এনে ওই সব লোকদের (যারা মেয়ে শব্দটা গালিতে রুপান্তর করছে ) সামনে দাড় করাতে আর বলতে “ দেখো তোমরা পুরুষ হয়ে বিপরীত লিঙ্গকে এক দলা মাংস বাদে মানুষ ভাবতে পারছ না আর মেয়েরা তোমরা নিজেরা কিছু করছ না কিন্তু অন্য মেয়ে কিছু করতে গেলে তোমাদের কানাকানি আর গালাগালি শুরু হয়ে যায় তোমরা কেমন মানুষ বলতো! তোমরা কি সত্যি মানুষ ! মানুষ হলে এই সুখি মানুষ গুলোর দিকে তাকিয়ে বলো তোমাদের মনুষ্যত্ব কোথায়!? ।
আজ বিকেলে ক্লাশ শেষে বাসায় ফেরার সময় ল্যাবঅ্যাইড হাসপাতালের সামনে থেকে রিস্কায় উঠি , রিক্সার সিটটা একটু ঢালু ছিল আর আমি পিছলে যাচ্ছিলাম তাই পা একটু বাড়িয়ে ঠেশ দিয়ে বসেছিলাম ; রিক্সাচালকের পা আমার পায়ে বারি খায় তখন সে পিছন ফিরে বলে “মা বই পড়তে পড়তে বেখেয়ালি হয়ে যাইয়েন না , পা টা একটু ভিত্রে নেন “ , আমি বললাম “ চাচা স্লিপ কাটছে বসতে পারছি না তাই এমনটা হয়েছে” , তিনি বললেন “ আরেক হাত দিয়ে রিস্কার হুড ধরে বসেন “ , এক মোড়ে রিক্সা জেমে আটকাল ফুটপাতে একজন আম বিক্রি করছিল , রিক্সাচালক হুট করে তাকে বলে বসলো “ সব বিক্রিই কইরেন না , নিজেও দু’চারটা খাইয়েন , পাশের রোগা রিক্সা চালকদের জিজ্ঞাসা করছে দুপুরে খেয়েছে কিনা ! ; আমি বই পড়া রেখে তার কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দিলাম । রিক্সা যখন ইস্টার্ন প্লাজার সামনে তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন “ মা আপনি কি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন যে বই হাঁতে আছেন !” , আমি বললাম “ না চাচা, বই টা ভাল্লাগছে তাই পড়ছি “ , তিনি বললেন “ বাহ , কিন্তু ব্রেনটারে আজাইর দিয়েন , বই পড়েন আবার মাথায় মোটা কাপড় বেঁধে মাথা ঢেকে রাখসেন , ঘুমায়েন আর প্রতিদিন এক বাটি করে স্বব্জি খায়েন “ , আমি বললাম “জী আচ্ছা “ । কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন ,” আমার দুটা বেটি আছে বাড়িতে , বড় টারে দিয়া দিসি আর ছোটটা কিলাস নাইনে পড়ে , আপনার মতোই দেখতে কিন্তু গায়ের রং টা কালো , কিন্তু পড়া – লিখায় বেশ ভালো “ , আমি জবাবে বললাম “ সুন্দর কখন রং দিয়ে বঝায় না চাচা “ । ফুটওভার ব্রিজের সেখানে বাংলামটর সিগন্যালে টাকা দিয়ে আমি নেমে পড়তে চাইলে তিনি বলে উঠেন “ মা আপনি কি ওই পারে যাইবেন !” , আমি বললাম “জী” , তখন তিনি বললেন “তাহলে রিক্সায় বসেন আমি আপনাকে ওপারে দিয়া আসি , কোন রিস্কাচালক এপার থেকে ওপারে যায় না , আমি যাচ্ছি কারণ আপ্নারে দেখে মেয়ের কথা মনে পরেছে “ ; আমি অবাক হয়ে রিস্কায় বসে থাকলাম , তিনি ওপারে আমাকে নামিয়ে দিয়ে বললেন “ মা পড়া – লিখা করে মানুষের মতো মানুষ হউ “ , তার এই কথা বা দু’য়ার বিনিময়ে আমি “ধন্যবাদ” ছাড়া কিছুই বলতে পারলাম না । খুব ইচ্ছে করছিলো তাকে ডেকে তার জীবনের কথা শুনি কিন্তু তা করলাম না কারণ তিনি খুব বেস্ত হয়েই রিক্সা নিয়ে তার কাজে চলে যাচ্ছে আর আমি ইচ্ছে করলেও তা করতেও পারতাম না জানি ।
কোন এক মহৎ ব্যাক্তি বলেছেন “ মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে সমুদ্র দেখতে যায় কিন্তু আশে পাশের কিছু লোক যে বুকে বিশাল সমুদ্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে সমুদ্রের খোঁজ কেও করে না “ । সত্যি বলতে যারা আসল মানুষ – যাদের মনুষ্যত্ব আছে তাঁরা শুধু নারী – পুরুষের বেলায় না , যেকোনো ভালো কাজে যে কোন পরিস্থিতিতে কখনো ওজুহাত দেখায় না । তাঁরা কারো কথায় কান দেয় না , নিজের সুস্থ মস্তিষ্ক আর বিবেক দিয়ে বিচার করে কথা বলে এবং কাজ করে । এ সমাজে যারা গুঁজব ছড়ায় , মানুষের পিছে লেগে থাকে , অন্যকে নিয়ে কানাকানিতে মেতে উঠে এবং অপরের ভালো কাজে বাঁধা হয়ে দাড়ায় আসলে তাঁদের কোন কাজ নেই তাই তাঁরা এমন করে কারণ “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা”।
আমি নারীবাদী বা ফেমিনিস্ট না কিন্তু লিখার বেশীরভাগ জুড়ে নারীদের কথা লিখেছি কারণ ঘটনা গুলো কোননা কোন ভাবে নারীদের নিয়ে এ সমাজের প্রতি সুন্দর বার্তা ছিল তাই এতো দিনের ঘটনা এক করে লিখেছি । নারীকে কে নারী ভেবে মানুষটাকে ভোগের বস্তু হিসেবে দেখাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অপরাধ ।
অনেকেই অনেক বার বলেছে আমি বার বার সমাজের খারাপ দিক বা নারীদের প্রতি অত্যাচার নিয়েই লিখি কিন্তু ভালো দিক বা নারীরা ভালো আছে এই সমাজেই এসব কখনো লিখি না বা বলি না , তাঁদের বলছি “ সবার মতো আমারও খারাপ দিকটা দেখতে দেখতে অভ্যাস হয়ে গেছে তাই দেখি খারাপ – শুনি খারাপ তাই লিখিও খারাপ । আমার কথা হচ্ছে নারী হোক আর পুরুষ হোক আপনার সামনের / পিছনের / পাশের মানুষটাকে লিঙ্গ দিয়ে বিচার করার আগে মানুষ ভাবুন ; আপনার যেমন সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে তেমনি ওই মানুষটারও বেঁচে থাকার সুন্দর , সুস্থ এবং নিরাপদ একটা পরিবেশ – সমাজ – দেশের প্রয়োজন আছে ।
-গালিবা ইয়াসমিন
(০৬/০৭/২০১৮)
১৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
তিনটি ঘটনা আপনি উল্লেখ করেছে, বলতে পারি দেখার চোখ আপনার আছে।
শত অব্যবস্থার মধ্যেও অনেক ভাল কিছু লুকিয়ে আছে, আমরা দেখতে চাচ্ছি না,
হাওয়ায় গা ভাসাচ্ছি;
সচেতনতা ছাড়া উত্তরণ এক কথায় অসম্ভব।
গালিবা ইয়াসমিন
হা , আমাদের চিন্তা – ভাবনা পাল্টাতে হবে । দেখার দৃষ্টি পাল্টাতে হবে
মৌনতা রিতু
মানুষের ন্যাগেটিভ টাইপ কথা শুনলে আমি প্রচন্ডরকম রেগে যাই। বাজে কথা বলে ফেলি প্রতিউত্তরে। আসলে এটাই আমাদের সমাজ। আমরাই তৈরি করেছি। মনে আছে, বাসায় খুব কড়া শাসন ছিলো, মাগরিবের আযানের দশমিনিট আগে ঘরে ঢুকতে হবে। বাইরে তোমার হাজার কাজ থাকুক না কেনো। ফিরতে হতো সে নিয়মে। খুব ছোটোবেলায় আযানের সাথে সাথে হাত মুখ ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়তে বসা।
আমার বড় ছেলে মেমনের এই জীবনের কথা শোনার অভ্যাস আছে। টুকটুক করে কথা বলে, পাশে বসে। তা নিয়ে পরে লিখে ফেলে ছেলে আমার। আসলেই তাই, একেকটা মানুষের জীবনের গল্প একেকটা রহস্যগল্প, একেকটা উপন্যাস।
না, শুধু খারাপ দিক নেই। ভাল দিক অবশ্যই আছে। আসলে আমার মাথায় একটা প্রশ্ন, কথা ঘুরপাক খায়। নারীই কিন্তু নারীর শত্রু। আমি পুরুষকে কখনো নারীর শত্রু ভাবি না। সত্যিই ভাবি না। যদি তাই হতো পরকিয়া নামক বাজে শব্দটার উৎপত্তি হতো না। যদি তাই হতো, এক পুরুষ চারটা বিয়ে করতে পারতো না। হুম, নারীই নারীর শত্রু। পুরুষ শত্রু নয়, পুরুষ ভোগী। আর তাকে সে সুযোগ আমরাই দেই।
তবে আমি কিন্তু, ধর্ষণের মতো ঘটনাকে বলছি না। ওটা ভিন্ন। একটা নারী, পরকিয়ায় যতোটা পোড়ে, ধর্ষনে ততোটা পোড়ে না যদি সে বেঁচে থাকে।
ভালো লিখেছেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
রিক্সাওয়ালার কথাবার্তায় মনে পড়ে গেলো একটা সময় আমি রিক্সাতে উঠলেই রিক্সাওয়ালার সাথে কথা বলে বলে গন্তব্যে যেতাম। একেকজনের কতো কতো ঘটনা, তাদের জীবনকাহিনী লিখে রাখলে আজ কী দারুণ-ই না হতো!
এবারে আসি শিক্ষিতদের প্রসঙ্গে। শিক্ষিত দুই রকমের। সুশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষিত। স্বশিক্ষিত সকলে হতে পারেনা। আপনার এই পোষ্টে আপনার নানা, তারপর ওই রিক্সাওয়ালা দুজনেই স্বশিক্ষিত।
ভালো লাগলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু ভুলে এই মন্তব্য এখানে চলে এসেছে। ^:^
গালিবা ইয়াসমিন
রিতু আপু আপনি ঠিক বলেছেন আমিও তাই মানি
নীলাঞ্জনা নীলা
রিক্সাওয়ালার কথাবার্তায় মনে পড়ে গেলো একটা সময় আমি রিক্সাতে উঠলেই রিক্সাওয়ালার সাথে কথা বলে বলে গন্তব্যে যেতাম। একেকজনের কতো কতো ঘটনা, তাদের জীবনকাহিনী লিখে রাখলে আজ কী দারুণ-ই না হতো!
এবারে আসি শিক্ষিতদের প্রসঙ্গে। শিক্ষিত দুই রকমের। সুশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষিত। স্বশিক্ষিত সকলে হতে পারেনা। আপনার এই পোষ্টে আপনার নানা, তারপর ওই রিক্সাওয়ালা দুজনেই স্বশিক্ষিত।
ভালো লাগলো।
গালিবা ইয়াসমিন
জী , ধন্যবাদ 🙂
জিসান শা ইকরাম
এককথায় বলা যায় অসাধারন একটি লেখা পড়লাম।
অনেক শক্তিশালী একটি লেখা,
আপনার লেখা পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি, আর চিন্তার একটি নতুন দরজা উন্মোচন হলো আমার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন লেখার জন্য।
লেখালেখিটা চালু রাখবে গালিবা, দেশ আপনার মত মানুষই খুঁজছে। দেশের মানুষ আপনার কাছ হতে শিখবে অনেক।
গালিবা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্য এর জন্য (3 -{@
ইঞ্জা
আপনার প্রতিটি অক্ষর, প্রতিটি লাইন মন প্রাণ ভরিয়ে নিয়ে পড়লাম আপু, কারণ আমারো মেয়ে আছে, সে এখন অনার্স পড়তেছে, আর কিছু কি বলার আছে আপু? 🙂
গালিবা ইয়াসমিন
নাহ 🙂
ধন্যবাদ এই ভালোবাসা দেয়ার জন্য -{@
ইঞ্জা
শুভকামনা রইলো আপু
মোঃ মজিবর রহমান
আপুরে এই বিশ্ব সংসারে কথায় কথায় কান ঝালাপালা হচ্ছে একটু শান্ত স্থির হয়ে চলা বা ভাবার সময় খুবই কম।
আমি পড়েছি মোবাইলে। মনোযোগ সহকারে।
সুন্দর লেখা -{@
গালিবা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ 🙂 আমার লিখা কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য
শুন্য শুন্যালয়
আপনার লেখা সম্ভবত প্রথম পড়লাম। সুন্দর একটি বিষয় আর বেশ গুছিয়ে লেখা। নারীবাদী কিংবা ফেমিনিস্ট যদি গালিও হয়, তবুও আমি গর্ব ভরে বলতে চাই আমি ফেমিনিস্ট। যারা ফেমিনিস্টের আসল অর্থ জানে, তারা জানে এটার মানে কি।
সুন্দর একটা কথা লিখেছেন, বুকের মাঝেইই সমুদ্র নিয়ে ঘোরে তাদের দিকে খেয়াল করিনা। আসলে মানুষ দেখার মধ্যেই একটা বিশালতা আছে। মানুষের।মতো বৈচিত্র্য সমুদ্রেও নেই।
পড়বো আপনার লেখাগুলো আস্তে আস্তে। এতো ভালো যে লেখে, তার লেখাতো পড়তেই হয়।
গালিবা ইয়াসমিন
🙂 ধন্যবাদ আমার লিখা পড়ে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য 🙂
তৌহিদ ইসলাম
আপনার লিখাটি কয়েকবার পড়লাম। অনেক সুন্দর এবং সাবলীল লিখনি। মানুষকে মানুষ হিসেবে আগে ভাবতে হবে সবার। ভালো থাকবেন।
গালিবা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য 😀