মন’ সে এক আশ্চার্য্য জিনিস!
বর্তমান যখন শান্ত ধীর স্থীর,
কর্মভারে দেহ, মন ও চোখের পাতা ক্লান্তিভারে নত নয়,
তখন এমন সব অবসারে মনের মাঝে সুপ্তাবস্থায় পড়ে থাকা ছবিগুলো উঠিয়ে আনে।
তার থেকে সামান্য ক্ষুদ্র অংশকে উঠিয়ে এনে অতিরিক্ত প্রাধান্য দিতে সনিপুন।
আর জটিল সব জটগুলো খোলার বৃথা চেষ্টা,
এ যেনো বসে বসে চাঁদের আলো আর ভোরে আলোর সংঘর্ষের খেলা দেখা।
জিতে যায় ভোরের আলো, তা বর্তমান।
এখন জীবন মধ্যাহ্ন, এ এক মায়ালোক
আধো- আলো, আধো-অন্ধকার,
জীবনের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে,
আবারো অতিতে উঁকি।
কতোশতো কর্ম, কতোশতো ব্যার্থতা
জীবন সংসারে নারীকর্মে সফলতা যা আসে
তাতে অকারণ অভিবাদন পৌছায় না।
করুনার পরশ, কিছু তীরষ্কারের বাণ ছুঁয়ে যায় ঠিকই
নাহ! এ আমার জীবন যাত্রার বিষন্ন সমালোচনা নয়।
দিন শেষে পড়ন্ত বিকেলে এক কাপ চা, ক্যাসেট প্লেয়ারে পছন্দের কোনো মিষ্টি সঙ্গীত।
জীবনে প্রাপ্তির তৃপ্ততা আমার অনেক বেশি,
তাকে বেশি পাকিয়ে ভারি করিনি,
তা সব আমার কাঁচাবুদ্ধিহীন অনুভূতি।
ঠিক যেনো ভোর হবার আগে পূর্ণচাঁদের আলোর মতো স্নিগ্ধ নির্মল।
,,,,,,রিতু,,,,,,,
১১/০৫/১৮.
সোনেলার উঠোন আবারো ভরে গেছে। এ মিষ্টি রোদে সকলের মনের সব বর্ণ শব্দ চিকচিক করে উঠবে এটাই কাম্য।
১৪টি মন্তব্য
ইঞ্জা
বাহ দারুণ লিখলেন আপু, ” দিন শেষে পড়ন্ত বিকেলে চা, কেসেট প্লেয়ারে কোনো মিষ্টি সঙ্গীত” এই তো ভুলিয়ে দেয় সারাদিনের ক্লান্তি আর গ্লানি।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইজু। আসলেই তাই। এইতো জীবন।
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু
জিসান শা ইকরাম
অনেক অনেক ভাল লিখেছ এটি।
মন কতকিছু ভাবে, কতজনে প্রকাশ করতে পারে মনের ভাবনা গুলো?
-{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইয়া। মন আসলেই অনেক কিছু ভাবে। ভাবছি এমন সব এলোমেলো লেখাও লিখব।
রিমি রুম্মান
সোনেলার উঠোন আবারো ভরে গেছে। এ মিষ্টি রোদে সকলের মনের সব বর্ণ শব্দ চিকচিক করে উঠবে এটাই কাম্য… সময়োপযোগী…
মৌনতা রিতু
হুম আপু, ধন্যবাদ। 🙂
খসড়া
কিভাবে শুরু হল আর কিভাবে শেষ হলো,
হয়তো বলার ছিল কিছু
না বললেও চলে আবার থেকেও যায় রেশ।
মিষ্টি রোদে ভেজাই পা।
মৌনতা রিতু
যখন থেকে জীবনের সুখ দুঃখের অনুভূতি বুঝতে শুরু, তখন থেকে যদি আবার শুরু করা যেতো!
এখন শিশিরে পা ভেজানো আর হয়ে ওঠে না।
শক্ত মাটির শক্ত ঢিলা পা ওখানেও অভ্যস্ত।
থ্যাকু😍😍
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
জীবন এমনি মনে হয়।অবসরে মন কত কথা কয়।ভাল লাগল বেশ। -{@
মৌনতা রিতু
ঠিক মনির ভাই অবসরে রাজ্যের এলোমেলো কথা ভেবে বসি। ধন্যবাদ মনির ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
উঠোন ছড়ানো রোদ আঁকিবুঁকি করছে। সোনারঙের ঘ্রাণে ভরে গেছে সোনেলা।
শান্তসুন্দরী আপু এত্তো ভালো লেখো কি করে, বলবে? (3 -{@
মৌনতা রিতু
শব্দের খেলা হারিয়ে গেলে কষ্ট হয়। দেখো কতোশতো শব্দের নাচ দেখা যাবে এখন। প্রজাপতির মতো ডানা মেলেছে যেনো। কতোদিন তোমাদের সবার লেখা পড়া হয় না সোনেলায়।
এখন ভাল লাগছে বেশ।
ভাল থেকো আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু আমি এখন আর লিখতে পারছিনা। তোমাদের লেখা কিন্তু ঠিকই পড়ি। 🙂